নাভেদ-উল-হাসান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আইসিএলে অংশগ্রহণ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
১৫৯ নং লাইন:
বিপিএল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে [[Dhaka Gladiators|ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স]] দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। [[বিগ ব্যাশ লীগ|বিগ ব্যাশ প্রতিযোগিতায়]] বল হাতে বেশ সফল হয়েছিলেন। ২০১১-১২ মৌসুমের আসরে হোবার্টের পক্ষে ১৫ উইকেট দখল করে শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।<ref>{{cite web|url=http://stats.espncricinfo.com/big-bash-league-2011/engine/records/bowling/most_wickets_career.html?id=6538;type=tournament|title=Cricket Records - Big Bash League, 2011/12 - Records - Most wickets - ESPN Cricinfo}}</ref> এছাড়াও, ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া বিগ ব্যাশ লীগে অংশ নেন। [[তাসমানিয়া ক্রিকেট দল|তাসমানিয়ান টাইগার্স]] ও [[Hobart Hurricanes|হোবার্ট হারিকেন্সের]] পক্ষে খেলেছেন তিনি। তিনি ঐ রাজ্য দলের কাল্ট হিরো হিসেবে দ্য পিপল’স মালেট নামে পরিচিতি লাভ করেন।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]], চুয়াত্তরটি [[একদিনের আন্তর্জাতিক]] ও চারটিমাত্র [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক|টি২০আইয়ে]] অংশগ্রহণ করেছেন নাভেদ-উল-হাসান। ২৮ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখে করাচীতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
মাঝে-মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এছাড়াও, খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। টেস্ট দলে খেলার জন্যে তাকে [[শোয়েব আখতার]], মোহাম্মদ আসিফ, উমর গুল ও মোহাম্মদ সামি’র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। তবে, ওডিআই দলে বেশ নিয়মিতভাবে খেলতেন। ২০০৩ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৭৪টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়ে ১১০ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৬/২৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। সবমিলিয়ে ৩৩ বছর বয়সী নাভেদ উল হাসান পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৮৭টি খেলায় অংশ নেন।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাকে চড়ামাশুল গুণতে হয়। ফলশ্রুতিতে, পরের দুই খেলা থেকে বাদ পড়েন তিনি। এছাড়াও, আবুধাবি ও স্কটল্যান্ড গমনার্থে তাকে উপেক্ষিত হওয়াসহ শারীরিক সুস্থতার বিষয়েও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এরফলে, জুলাই, ২০০৭ সালে তাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের চুক্তি থেকে ছেটে ফেলা হয়।
 
[[২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৩]] সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড শেষে বিদায়ের ন্যায় পাকিস্তানের বিপর্যকর ফলাফলের পর বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া হয়। ফলে, [[Cherry Blossom Sharjah Cup 2003|৪ এপ্রিল, ২০০৩]] তারিখে চেরি ব্লুজম শারজাহ কাপে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐ খেলায় [[হাসান তিলকরত্নে]] ও [[প্রসন্ন জয়াবর্ধনে|প্রসন্ন জয়াবর্ধনেকে]] উপর্যুপরী বলে বিদেয় করেন। কয়েকটি খেলায় বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিলেও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়।<ref>{{cite web|url=http://content-aus.cricinfo.com/ci/content/player/42272.html|title=Naved-ul-Hasan|website=Cricinfo}}</ref>
 
দলের প্রধান সদস্যদের আঘাতে পেস আক্রমণ ব্যাহত হলে তাকে পুণরায় পাকিস্তান দলে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর আবার তাকে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী থেকে উপেক্ষার শিকার হতে হয় এবং উমর গুল ও [[ইফতিখার আঞ্জুম|ইফতিখার আঞ্জুমের]] ন্যায় উদীয়মান ফাস্ট বোলারদের সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৬/২৭। জামশেদপুরে ভারতের বিপক্ষে এ সাফল্য লাভের ফলে তার দল জয়ী হয়। সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৫ সালে আইসিসি কর্তৃক [[আইসিসি বিশ্ব একদিনের আন্তর্জাতিক একাদশ|বিশ্ব একদিনের আন্তর্জাতিক একাদশে]] তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
 
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাকে চড়ামাশুলচড়া মাশুল গুণতে হয়। ফলশ্রুতিতে, পরের দুই খেলা থেকে বাদ পড়েন তিনি। এছাড়াও, আবুধাবি ও স্কটল্যান্ড গমনার্থে তাকে উপেক্ষিত হওয়াসহ শারীরিক সুস্থতার বিষয়েও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এরফলে, জুলাই, ২০০৭ সালে তাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের চুক্তি থেকে ছেটে ফেলা হয়।
 
২২ জুলাই, ২০০৯ তারিখে শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে পাকিস্তানের ওডিআই দলে ঠাঁই দেয়া হয়। এছাড়াও, ২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতার ৩০-সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় তাকে রাখা হয়। এর একদিন পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাকে গ শ্রেণীভূক্ত করে চুক্তিতে আবদ্ধ করে।<ref>{{cite web|url=http://www.cricdb.com/archive/international/news/detail.php?nid=2056|title=PCB awards 'C' category contract to Rana Naveed}}</ref>
 
ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআইগুলোয় সর্বাধিক সফলতা পেয়েছেন। প্রাপ্ত ৯৫টি উইকেটের ৫৬টিই পেয়েছেন দল দুটির বিপক্ষে। কিন্তু, খেলায় তিনি ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি। ৩৩ বছর বয়সী নাভেদ-উল-হাসান ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালের পর থেকে পাকিস্তানের পক্ষে খেলেননি। টি২০ খেলাগুলোয়ও বেশ সফল ছিলেন। ১৯.৫৭ গড়ে ১০২টি টুয়েন্টি২০ উইকেট লাভ করেছেন।
 
== আইসিএলে অংশগ্রহণ ==