আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
৬২ নং লাইন:
'''আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান''' (পূর্বনাম ''ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন'')<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://news.webindia123.com/news/Articles/India/20090624/1282180.html|শিরোনাম=BSI renamed as Acharya Jagadish Chandra Bose Botanical Garden|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2009-06-24|ওয়েবসাইট=news.webindia123.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210210201849/https://news.webindia123.com/news/Articles/India/20090624/1282180.html|আর্কাইভের-তারিখ=2021-02-10|সংগ্রহের-তারিখ=2021-02-10}}</ref><ref>http://www.thestatesman.net/page.news.php?clid=22&theme=&usrsess=1&id=258973{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> [[কলকাতা|কলকাতার]] সন্নিকটে [[হাওড়া|হাওড়ার]] [[শিবপুর|শিবপুরে]] অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক [[উদ্ভিদ উদ্যান]]। সাধারণভাবে এটি ''কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেন'' নামে প্রচলিত হলেও প্রতিষ্ঠাকালে এই উদ্ভিদ উদ্যানটি ''ক্যালকাটা রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন'' নামে পরিচিত ছিল। ২৭৩ একর আয়তনবিশিষ্ট এই উদ্যানে বর্তমানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭,০০০টি গাছ রয়েছে।<ref name = pallabmitra>ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন, ''বাংলার ঐতিহ্য কলকাতার অহংকার'', পল্লব মিত্র, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, ২০১০, পৃ. ৭৪-৭৭</ref> এই উদ্যানটি সাধারণ মানুষের কাছে ''শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন'' নামেও পরিচিত।
 
==প্রাক-কথা==
==ইতিহাস==
[[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] সেনা আধিকারিক কর্নেল রবার্ট কিড ১৭৮৬ সালে তৎকালীন ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সি-র দ্বিতীয় গভর্নর জেনারেল '''স্যর জন ম্যাকফারসন'''-এর কাছে পেশ করলেন একটা বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপনের পরিকল্পনা। রবার্ট কিড তাঁর আর্জিতে লিখলেন, ''শুধুমাত্র কৌতূহল মেটানো কিংবা বিলাসের সামগ্রী হিসেবে বিরল গাছপালা সংগ্রহ এই বাগানের উদ্দেশ্য নয়। লক্ষ্য হবে বাগান থেকে উপযোগী চারাগাছ বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা। যাতে ভারত ও গ্রেট ব্রিটেনের মানুষ উপকৃত হয় এবং সঙ্গে-সঙ্গে জাতীয় ব্যবসা বাণিজ্যের বিস্তার ও সম্পদের বৃদ্ধি ঘটে।''<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কিড সাহেবের বাগান |ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/rabibashoriyo/the-history-of-howrah-botanical-garden-1.1138249}}</ref> মূলত বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা ভেবে তাঁর পরিকল্পনাকে সমর্থন করে ১৭৮৭-র ৩১ জুলাই বিলেতের কর্মকর্তারা সিংহলের মতো বাংলাতেও দারচিনি গাছ ব্যাপক ভাবে উৎপন্ন করা যায় কি না, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন ।
 
জমিতে এক সময় মুঘলদের একটা ছোটখাটো কেল্লা ছিল। নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাছ থেকে কলকাতা উদ্ধারের সময় ক্লাইভ সেই কেল্লা গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন কামানের গোলায়। জমিটা ছিল বুনো গাছপালা আর ঝোপঝাড়ে ভরা একটা পরিত্যক্ত স্থান। গঙ্গায় জোয়ার এলে ভেসে যেত , এতটাই নিচু। এই জমির সংলগ্ন ছিল কিডের নিজস্ব বাগান ও বাড়ি। তবে সেই জমি ছিল বর্ধমান রাজার সম্পত্তি। তাই কোম্পানির দখলে থাকা অন্য এক জমির বিনিময়ে রাজার কাছ থেকে পাওয়া গেল সেই জমি। জমিতে বাস করত রাজার কিছু প্রজা। কোম্পানি তাদের অন্যত্র ১৪৮ বিঘা ৯ কাঠা জমি ও ৩,১৬৬ টাকা ৪ আনা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাধ্য করল সেই জমি ছেড়ে দিতে।
 
==ইতিহাস==
১৭৮৭ সালে কর্নেল কিড এই উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্যান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশ থেকে গাছপালা সংগ্রহ করে এনে সেগুলির পরীক্ষানিরীক্ষা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Oxford dictionary of national biography |ইউআরএল=http://www.oxforddnb.com/index/101015814/ |সংগ্রহের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070930195458/http://www.oxforddnb.com/index/101015814/ |আর্কাইভের-তারিখ=৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এই উদ্দেশ্যে কলকাতার অদূরে [[হুগলি নদী|হুগলি নদীর]] পশ্চিম তীরে কিছু জলাজমি ক্রয় করে এই উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীরা এই উদ্যানটি গড়ে তুলেছিলেন বলে লোকমুখে এটি ''কোম্পানির বাগান'' নামে পরিচিত লাভ করে।<ref name = pallabmitra/> [[জোসেফ ডালটন হুকার]] এই উদ্যানটি সম্পর্কে লেখেন-
{{quote|Amongst its greatest triumphs may be considered the introduction of the tea-plant from China ... the establishment of the [[tea]]-trade in the [[Himalaya]] and [[Assam]] is almost entirely the work of the superintendents of the gardens of [[Calcutta]] and Seharunpore ([[Saharanpur]]).<ref>Joseph Dalton Hooker, ''Himalayan Journals, or Notes of a Naturalist ...,'' Kew (1854), vol. I, p. 5.</ref>}}