মাইজদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
৯ নং লাইন:
| image_map =
| map_caption =
| pushpin_map = Bangladeshবাংলাদেশ
| subdivision_type = দেশ
| subdivision_name = [[বাংলাদেশ]]
| subdivision_type1 = [[বাংলাদেশের বিভাগসমূহ|বিভাগ]]
| subdivision_name1 = [[কুমিল্লাচট্টগ্রাম বিভাগ]]
| subdivision_type2 = [[বাংলাদেশের জেলাসমূহ|জেলা]]
| subdivision_name2 = [[নোয়াখালী জেলা]]
৪৪ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''মাইজদী''' হলো দক্ষিণ-পূর্ব [[বাংলাদেশ]]ের একটি শহর,শহর। [[নোয়াখালী জেলা]]য় অবস্থিত,এটি [[কুমিল্লাচট্টগ্রাম বিভাগ|কুমিল্লাচট্টগ্রাম বিভাগের]] একটি[[নোয়াখালী অংশ।জেলা]]য় অবস্থিত। এটি নোয়াখালী জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র এবং এর প্রধান শহর। এটি আবার মাইজদী কোর্ট টাউন হিসেবেও পরিচিত। এটি ৯টি ওয়ার্ড এবং ৩৬টি [[মহল্লা (বাংলাদেশ)|মহল্লায়মহল্লা]] নিয়ে গঠিত। এটির এলাকা ১২.৬১&nbsp;কিমি<sup>২</sup>।
 
==ইতিহাস==
নোয়াখালী শহরের পুরাতন নাম ছিল সুধারাম। নোয়াখালী খালের পশ্চিম তীরে অবস্থিত সুধারাম যা সমুদ্রসাগর থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে ছিলনোয়াখালী জেলারখালের কেন্দ্রস্থান।পশ্চিম ১৮২১-এতীরে নিযুক্তসুধারাম যৌথজেলার শাসকসদরের দ্বারাঅবস্থান ছিল। ১৮২১ সালে ভুলুয়া জেলার দায়িত্বে এটিকেনিযুক্ত যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেটের সদর কেন্দ্রস্থানদপ্তর হিসেবে বাছাই করাসুধারাম মনোনীত হয়। সুধারাম নামটি সুধলিয়ারাম মজুমদারেরমজুমদার নামক ব্যক্তির নাম থেকে নেওয়া হয়,; সুধলিয়ারাম একজন সমৃদ্ধ ব্যবসায়ী এবং দাতা ছিলেন, যিনি তার নামে একটি বিশাল দিঘি খনন করেন।করেছিলেন। ১৮৭৬-এ পৌরসভা গঠন করা হয় এবং ১৯০১-এ জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫২০। এটিরসেই সময় এখানে গ্রাম্য বাজার সাথে, কিছু সরকারি কার্যালয় এবং আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য কিছুই ছিল না। এটি ১৮৯৩-তে ঘূর্ণিঝড়ে এগুলি পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে যায়,যায়। এবংপরে তখনএখানে থেকেভবনগুলি সরকারিমজবুতভাবে কার্যালয়গুলিনির্মাণ সূক্ষ্মকরা মজবুত ভবন।হয়। সেখানে একটি সুন্দরমঞ্চ, ছোটবিলিয়ার্ড গণভবনরুম, আছেএবং সঙ্গেগ্রন্থাগার, একটিছোট টাউন মঁচহল, বিলিয়ার্ডএবং কক্ষসার্কিট এবংহাউস গ্রন্থাগারনির্মিত এরহয়। সুধারামের ট্যাংক থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হত। শহরটি লাকসামের সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল, এবং জাহাজগুলো এখান থেকে দ্বীপ এবং বরিশাল পর্যন্ত চলাচল করত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১= ওয়েবস্টার|প্রথমাংশ১=জে. ই|শিরোনাম=Eastern Bengal and Assam District Gazetteers:Noakhali.|তারিখ=1911|প্রকাশক=দ্য পাইওনিয়ার প্রেস|অবস্থান= আল্লাহবাদ|আইএসবিএন= |ইউআরএল=https://ia600305.us.archive.org/19/items/noakhali00webs/noakhali00webs.pdf}}</ref>
সম্প্রতি একটি ভাল আবর্ত-ভবন নির্মান করা হয়। পানীয় জল সুধারামের জলাশয় থেকে সরবরাহিত হয়েছিল। শহরটি লাকসাম দিয়ে রেলপথ দ্বারা সংযুক্ত, এবং জাহাজগুলো এখান থেকে দ্বীপগুলো এবং বরিশাল পর্যন্ত চলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১= Webster|প্রথমাংশ১=J.E|শিরোনাম=Eastern Bengal and Assam District Gazetteers:Noakhali.|তারিখ=1911|প্রকাশক=The Pioneer Press|অবস্থান= Allahbad|আইএসবিএন= |ইউআরএল=https://ia600305.us.archive.org/19/items/noakhali00webs/noakhali00webs.pdf}}</ref>
 
১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোল একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো আকৃতিতে তৈরী হয় সরকারি সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হত মূলতঃ শহরের জলাধার হিসেবে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও, একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিল। ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
১৯৪৮-এ যখন জেলার সদর দপ্তর মেঘনা নদীর ক্ষয়ের দ্বারা লুপ্ত হয়ে ছিল, এটি ৮ কিমি উত্তরে এর বর্তমান স্থানে পরিবর্তন করা হয় যা হলো মাইজদী।
 
==নামকরণ==
মেজদি বা মেজদিদি থেকে পরিবর্তিত হয়ে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় “মাইজদী” শব্দে পরিণত হয়েছে। জনৈক জমিদারের মেজ কন্যার জনহিতকর কাজের কারণে এতদ্বঅঞ্চলের জনগণ তাঁকে দিদি বলে ডাকতো। মেজদিদির জনপ্রিয়তা থেকেই জেলা শহরটির নাম মাইজদী হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
 
==জনসংখ্যা==
এই শহরের ৭৪৫৮৫জনসংখ্যা জনেরহল জনসংখ্যা৭৪৫৮৫ রয়েছেজন (পুরুষ ৫১.৫০%, মহিলা ৪৮.৫০%)। জনসংখ্যার ঘনত্ব হলো ৫৯১৫ প্রতি &nbsp;কিমি<sup>২</sup>-এ।
 
==শিক্ষা==
এই শহরের লোকদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার হলো ৬০.৭%।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
==বহিঃসংযোগ==
* [http://www.noakhali.gov.bd/ Noakhali.gov.bd]
 
[[বিষয়শ্রেণী:{{বাংলাদেশের শহর]]}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর]]
 
[[বিষয়শ্রেণী:নোয়াখালী জেলা]]
{{Chittagong-geo-stub}}