আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৯ নং লাইন:
গ্রন্থটি মৌলিক নয়, কতগুলো প্রশ্নের উত্তর ও তার সত্যায়ন। ১৯০৬ সালে আহমদ রেজা খান বেরলভি নামক এক ব্যক্তি [[হজ্জ|হজ্জের]] উদ্দেশ্যে [[সৌদি আরব|হিজাজ]] গমন করে। হজ্জ শেষে সে [[মক্কা|মক্কায়]] একটি পুস্তক রচনা করে। [[দেওবন্দি|দেওবন্দিদের]] দাবি অনুসারে, সে এই পুস্তকে বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ দেওবন্দি আলেমের বক্তব্যকে শাব্দিক ও অর্থগতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করে এবং তাদের ব্যাপারে কিছু অপবাদ আরোপ করে। [[মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি]], [[রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি]], [[খলিল আহমদ সাহারানপুরি]], [[আশরাফ আলী থানভী]]র বক্তব্যকে বিভিন্নভাবে উপস্থান করে তাদের সবাইকে সুনিশ্চিত [[কাফির|কাফের]] ফতোয়া দেয় এবং এটাও লিখে দেয় যে, যারা তাদেরকে কাফের মনে করবে না, তারাও কাফের। সে দেওবন্দি কিছু পণ্ডিতদের লেখা বইও উপস্থাপন করে। তাদের বিভিন্ন বইয়ের উদ্ধৃতিও উপস্থাপন করে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে সে [[মক্কা]]-[[মদিনা|মদিনার]] আলেমদের সাক্ষ্য গ্রহণের চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু মক্কা-মদিনার আলেমদের নিকট এসব বিষয় পরিচিত না থাকায়, অনেকেই সেখানে [[ফতোয়া]] দেয়ার সময় বলেন যে, যদি বাস্তবেই তাদের [[আকীদা]] এমন হয়ে থাকে, তবে তারা কাফের হবে। হজ্জ থেকে ফিরে কিছুদিন পর রেজা খান ''‘হুসসামুল হারামাইন’'' নামে বইটি প্রকাশ করে এবং প্রচার করে যে, মক্কা-মদিনার আলেমদের নিকট দেওবন্দিরা কাফের।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/Tazkira-Mashaheer-i-Hind-Karwan-i-Rafta/page/n1/mode/2up|শিরোনাম=তাজকেরাহ মাশায়েরে হিন্দ : কারওয়ানে রাফতা|শেষাংশ=আসির আদ্রাভি|প্রথমাংশ=নিজামুদ্দিন|লেখক-সংযোগ=নিজামুদ্দিন আসির আদ্রাভি|তারিখ=১৯৯৪|প্রকাশক=দারুল উলুম হায়দ্রাবাদ|অবস্থান=[[ভারত]]|পাতাসমূহ=৮৮|lccn=97903545|oclc=38024777}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.jstor.org/stable/10.2307/j.ctv80cdjn|শিরোনাম=রিভাবল ফ্রম বিলও: দ্য দেওবন্দ মুভমেন্ট এন্ড গ্লোবাল ইসলাম|শেষাংশ=ইনগ্রাম|প্রথমাংশ=ব্রানন ডি.|বছর=২০১৮|প্রকাশক=ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস|অবস্থান=[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]]|পাতাসমূহ=২৫৪|অনূদিত-শিরোনাম=নীচ থেকে পুনর্জাগরণ: দেওবন্দ আন্দোলন এবং গ্লোবাল ইসলাম|doi=10.2307/j.ctv80cdjn|আইএসবিএন=978-0-520-97013-7|jstor=j.ctv80cdjn|সংস্করণ=১ম}}</ref>
 
এ সময় ইসলামের নবির বংশধর [[হুসাইন আহমদ মাদানি]] মদিনায় বসবাসরত ছিলেন। [[মসজিদে নববী|মসজিদে নববিতে]] [[হাদিস|হাদিসের]] অধ্যাপনার কারণে তার ব্যাপক সুনাম ছিল। ফতোয়ার কার্যক্রমটি গোপনে সংগঠিত হওয়ায় মাদানি এ ফতোয়া সম্পর্কে জানতেন না। পরবর্তীতে যখন এ সম্পর্কে জানতে পারেন, তিনি মক্কা-মদিনার আলেমদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন। কিন্ত কাফের প্রমাণে রেজা খান যে সকল বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়েছে তার অধিকাংশই উর্দু ও ফার্সি হওয়ায় মক্কা-মদিনার আলেমগণ সেগুলির সঠিক মর্মার্থ বুঝতে পারে নাই। তাই [[হুসাইন আহমদ মাদানি]] মক্কা-মদিনার আলেমদের বুঝাতে সক্ষম হন যে, অনারব ভাষায় লেখা বইগুলোর আসল মর্মার্থ বুঝতে হয়তো ভুল হয়েছে কাজেই তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন। তখন মক্কা-মদিনার আলেমগণ দেওবন্দের আলেমদের নিকট ২৬টি প্রশ্ন সম্বলিতপ্রশ্নসংবলিত একটি চিঠি পাঠালেন। বিশুদ্ধ আরবিতে উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করার জন্য আহবান করা হয়। দেওবন্দি আলেমগনআলেমগণ পরামর্শের ভিত্তিতে তৎকালিনতৎকালীন ভারতের [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|সাহারানপুর মাদ্রাসার]] হাদিসের অধ্যাপক [[খলিল আহমদ সাহারানপুরি]]কে উত্তর প্রদানের জন্য নির্বাচিত করেন। সাহারানপুরি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে তৎকালিনতৎকালীন দেওবন্দের সমস্ত আলেমদের দ্বারা সত্যায়ন ও স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কয়েকজন:
* [[মাহমুদ হাসান দেওবন্দি]]
* [[আশরাফ আলী থানভী]]