দৈনিক আজাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
→‎বহিঃসংযোগ: পূর্বনির্ধারিতবাছাই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক সংবাদপত্র
{{Infobox Newspaper
| name = দৈনিক আজাদ
| logo =
২২ নং লাইন:
'''দৈনিক আজাদ''' বিংশ শতাব্দীর [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে]] প্রবর্তিত একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা। ৩১ অক্টোবর ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে [[কলকাতা]] থেকে সর্বপ্রথম এটি প্রকশিত হয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6,_%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95|শিরোনাম=আজাদ, দৈনিক|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=বাংলাপিডিয়া|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190221154614/http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6,_%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95|আর্কাইভের-তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=১ জুন ২০২০}}</ref> দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন [[মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ]]। প্রথম দিকে এই পত্রিকাটি [[বঙ্গ]] এবং [[আসাম|আসামের]] মুসলমানদের বক্তব্যকে প্রতিনিধিত্ব করছে বলে মনে করা হত। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে সম্পাদক ছিলেন শিশু সাহিত্যিক [[মোহাম্মদ মোদাব্বের]]। সেসময় মোহাম্মদ মোদাব্বের এবং তার ছেলের প্রচেষ্টায় এই পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হত। সদরুল আনাম খান এবং নাজির আহমেদও এই প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন। এই পত্রিকায় [[ঢাকা|ঢাকার]] প্রতিদিনকার সংবাদের পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রতিবেদক খাইরুল কবিরের পাঠানো বিভিন্ন সংবাদও ছাপানো হত।
 
[[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] পর ১৯৪৮ সালের ১৯ অক্টোবর পত্রিকার সকল কার্যক্রম ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। [[আবুল কালাম শামসুদ্দিন|আবুল কালাম সামসুদ্দিনকে]] সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন খায়রুল কবির নিউজসংবাদ এডিটরসম্পাদক, মুজিবুর রহমান খান এবং আবু জাফর সামসুদ্দিন ছিলেন সম্পাদকীয় বিভাগে। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দৈনিক আজাদ [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] অন্যতম প্রধান সংবাদপত্রে পরিণত হয়।
 
১৯৪৯ সালে সরকার বিরোধি সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক আজাদের প্রকাশনায় বাধা দেয়া হয়। এবং এই পত্রিকায় সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনের]] সময় এই পত্রিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আজাদ এই আন্দোলনের সমর্থনে ছিলো এবং সরকারের কার্যক্রমের সত্যতা তুলে ধরছিলো। ২১ ফেব্রুয়ারীর হত্যার পরপরই ২২ তারিখে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল। এই হত্যকান্ডের প্রতিবাদ স্মরূপ আবুল কালাম সামসুদ্দিন গণপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি সেই সময় দৈনিক আজাদের সম্পাদক ছিলেন। যদিও এটি তখন [[নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ|মুসলিম লীগ]] ভিত্তিক পত্রিকা ছিল কিন্তু বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছিল এই পত্রিকায়। এর ফলস্রুতিতে আজাদ এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো সংকলনের অন্যতম প্রধান সূত্র ছিল। যদিও বিভিন্ন সময় এটির প্রচারনারপ্রচারণার উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়েছিল। বিশেষত ১ মার্চের পর এটি সরকারের পক্ষে প্রচার করতে থাকে। [[আইয়ুব খান|আইয়ুব খানের]] শৈরাচারী আচরণের কারণে দৈনিক আজাদ আবার সরকারের বিপক্ষে প্রচার শুরু করে। সরকারের দুর্ণীতিদুর্নীতি এবং অনৈতিক আচরনগুলো তুলে ধারা হয় এই পত্রিকায়।<ref>[[Bashirবশীর Al Helal|Al Helal, Bashirআল-হেলাল]], Bhasha"ভাষা Andolonerআন্দোলনের Itihas.ইতিহাস", pp-513পৃষ্ঠা ৫১৩</ref> এই সময় পত্রিকার নেতৃত্বে ছিলেন মওলানার ছোট ছেলে মোহাম্মদ কামরুল আনাম খান।
 
==বন্ধ হওয়া==
১৯৯০ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2018/06/01/642709|শিরোনাম=দৈনিক আজাদ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=কালের কন্ঠ|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200624031527/https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2018/06/01/642709|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ জুন ২০২০|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=১ জুন ২০২০}}</ref>
১৯৬৯ সালে মোহাম্মদ আকরাম খাঁর মৃত্যুর পর পত্রিকাটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়, এতে পত্রিকাটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এছাড়া এটি ইত্তেফাকের কাছেও পাঠক হারাতে থাকে যা তখন ক্রমবর্ধমানভাবে জনপ্রিয় হচ্ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, পত্রিকাটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছু দিন প্রকাশিত হয়। এরপর পত্রিকাটি ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হলে, পত্রিকাটির আইনি মালিক মোহাম্মদ কামরুল আনাম খান এটি পরিচালনা করা শুরু করেন। আর্থিক সহায়তার অভাবে ও সরকারি নীতির কারণে, ১৯৯০ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2018/06/01/642709|শিরোনাম=দৈনিক আজাদ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=কালের কন্ঠ|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200624031527/https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2018/06/01/642709|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ জুন ২০২০|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=১ জুন ২০২০}}</ref>
 
== আরও দেখুন ==
৩৫ ⟶ ৩৬ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
* {{বাংলাপিডিয়া}}
* [https://web.archive.org/web/20120227122049/http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/A_0378.HTM Banglapedia: Azad, the]
 
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:আজাদ}}