আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
রচনাশৈলী পরিবর্তন, সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
৩৬ নং লাইন:
| website = http://bsi.gov.in
}}
[[চিত্র:Great banyan tree kol.jpg|thumb|মহাবটবৃক্ষ[[বিশাল বটবৃক্ষ]], আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন]]
[[চিত্র:Kolkata botanical garden lily.jpg|thumb|বোটানিক্যাল গার্ডেনের পুকুর]]
[[চিত্র:Indian botanical gardens.jpg|thumb|উদ্যানের পুকুরে পদ্ম পাতা]]
 
'''আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যালভারতীয় উদ্ভিদ গার্ডেনউদ্যান''' (পূর্বনাম '''ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন''')<ref>http://news.webindia123.com/news/Articles/India/20090624/1282180.html</ref><ref>http://www.thestatesman.net/page.news.php?clid=22&theme=&usrsess=1&id=258973{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> [[কলকাতা|কলকাতার]] অদূরেসন্নিকটে [[হাওড়া|হাওড়ার]] [[শিবপুর|শিবপুরে]] অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক [[উদ্ভিদ উদ্যান।উদ্যান]]। সাধারণভাবে এটি ''কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেন'' নামে প্রচলিত হলেও প্রতিষ্ঠাকালে এই উদ্ভিদ উদ্যানটি ''ক্যালকাটা রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন'' নামে পরিচিত ছিল। ২৭৩ একর আয়তনবিশিষ্ট এই উদ্যানে বর্তমানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭,০০০টি গাছ রয়েছে।<ref name = pallabmitra>ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন, ''বাংলার ঐতিহ্য কলকাতার অহংকার'', পল্লব মিত্র, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, ২০১০, পৃ. ৭৪-৭৭</ref> এই উদ্যানউদ্যানটি সাধারণ মানুষের কাছে '''শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন''' নামেও পরিচিত।
 
==ইতিহাস==
১৭৮৭ সালে কর্নেল রবার্ট কিড নামে [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] এক সেনা আধিকারিক এই উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্যান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশ থেকে গাছপালা সংগ্রহ করে এনে সেগুলির পরীক্ষানিরীক্ষা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Oxford dictionary of national biography |ইউআরএল=http://www.oxforddnb.com/index/101015814/ |সংগ্রহের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070930195458/http://www.oxforddnb.com/index/101015814/ |আর্কাইভের-তারিখ=৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এই উদ্দেশ্যে কলকাতার অদূরে [[হুগলি নদী|হুগলি নদীর]] পশ্চিম তীরে কিছু জলাজমি ক্রয় করে এই উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীরা এই উদ্যানটি গড়ে তুলেছিলেন বলে লোকমুখে এটি '''কোম্পানির বাগান''' নামে পরিচিত লাভ করে।<ref name = pallabmitra/> [[জোসেফ ডালটন হুকার]] এই উদ্যানটি সম্পর্কে লেখেন-
{{quote|Amongst its greatest triumphs may be considered the introduction of the tea-plant from China ... the establishment of the [[tea]]-trade in the [[Himalaya]] and [[Assam]] is almost entirely the work of the superintendents of the gardens of [[Calcutta]] and Seharunpore ([[Saharanpur]]).<ref>Joseph Dalton Hooker, ''Himalayan Journals, or Notes of a Naturalist ...,'' Kew (1854), vol. I, p. 5.</ref>}}
 
৪৮ ⟶ ৪৯ নং লাইন:
{{quote|... contributed more useful and ornamental tropical plants to the public and private gardens of the world than any other establishment before or since. ... I here allude to the great Indian herbarium, chiefly formed by the staff of the Botanic Gardens under the direction of Dr. Wallich, and distributed in 1829 to the principal museums of Europe.<ref>Joseph Dalton Hooker, ''Himalayan Journals, or Notes of a Naturalist ...,'' Kew (1854), vol. I, p. 4.</ref>}} ২,৫০০,০০০ শুষ্ক গাছের এই সংগ্রহ বর্তমানে [[ভারতীয় উদ্ভিদ সর্বেক্ষণ|বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার]] অধীনে সেন্ট্রাল ন্যাশানাল হার্বেরিয়াম নামে পরিচিত।
 
মূল উদ্যানটির আয়তন ছিল ৩০০ একর। প্রতিষ্ঠার অল্পকাল পরে ২৭ একর জমি একটি খ্রিষ্টান কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য দান করা হয়। এই কলেজটিই বর্তমানে [[বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি]] নামে পরিচিত।<ref name = pallabmitra/> ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের [[রানি ভিক্টোরিয়া]] এই উদ্যানটি সম্পর্কে আগ্রহী ছিলেন বলে জানা যায়। সেই সময় এই উদ্যানের নাম ছিল '''রয়্যাল ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন'''। স্বাধীনতার পর ১৯৬৩ সালে এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় '''ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন'''। ২০০৯ সালের ২৫ জুন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী [[জগদীশচন্দ্র বসু|আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর]] জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তার নামানুসারে এই উদ্যানের নামকরণ করা হয় '''আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন'''।
 
স্বাধীনতার পর বোটানিক্যাল গার্ডেন [[ভারত সরকার|ভারত সরকারের]] [[পরিবেশ ও বন মন্ত্রক (ভারত সরকার)|পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের]] অধীনে [[ভারতীয় উদ্ভিদ সর্বেক্ষণ|বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া]] কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৫ সদস্যের একটি পরিচালক পর্ষদ নিয়মিত উদ্যানের কাজকর্ম দেখাশোনা করছেন। [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার|পশ্চিমবঙ্গ সরকারের]] একাধিক প্রতিনিধিও নিয়মিতভাবে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে উদ্ভিদ গবেষক সহ প্রায় ৪০০ কর্মী চাকরিসূত্রে এই উদ্যানের সঙ্গে যুক্ত।<ref name = pallabmitra/>
৬০ ⟶ ৬১ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Acharya Jagadish Chandra Bose BotanicalIndian Botanic Garden|আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বটানিক্যালভারতীয় উদ্ভিদ গার্ডেনউদ্যান}}
* [http://banglapedia.search.com.bd/HT/B_0600.htm Botanical garden in Banglapedia]
* [http://journals.cambridge.org/action/displayAbstract?aid=450989 Adrian P. Thomas, "The Establishment of Calcutta Botanic Garden: Plant Transfer, Science and the East India Company, 1786–1806", ''Journal of the Royal Asiatic Society'' (2006), 16: 165-177 Cambridge University Press]
 
{{কলকাতা}}
{{হাওড়া}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার দর্শনীয় স্থান]]