আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
সংশোধন
৪৬ নং লাইন:
 
রবার্ট কিড ১৭৮৭ সাল থেকে ১৭৯৩ সাল পর্যন্ত বোটানিক্যাল গার্ডেনের সাম্মানিক সুপারিন্টেনডেন্ট ছিলেন। ১৭৯৩ সালে উদ্ভিদবিদ [[উইলিয়াম রক্সবার্গ]] উদ্যানের সুপারিনটেনডেন্ট হলে, উদ্যানের নীতিপ্রণয়নে একটি বড়োসড়ো পরিবর্তন আনা হয়। রক্সবার্গ সমগ্র ভারতবর্ষ থেকে নানা প্রজাতির গাছ কিনে এনে এই উদ্যানে একটি বড়ো [[হার্বেরিয়াম]] গড়ে তোলেন।<ref>Roxburgh, W (1814) ''Hortus Bengalensis or a catalogue of the plants growing in the Honourable East India Company's botanic garden at Calcutta''. Mission Press : Serampore. 105pp.</ref> হুকার উদ্যানের প্রথম কুড়ি বছরের ইতিহাস, বিশেষত যে সময় [[নাথানিয়েল ওয়ালিচ]] এর সুপারিন্টেনডেন্ট ছিলেন, সেই সময়টি সম্পর্কে লিখেছেন,
{{quote|... contributed more useful and ornamental tropical plants to the public and private gardens of the world than any other establishment before or since. ... I here allude to the great Indian herbarium, chiefly formed by the staff of the Botanic Gardens under the direction of Dr. Wallich, and distributed in 1829 to the principal museums of Europe.<ref>Joseph Dalton Hooker, ''Himalayan Journals, or Notes of a Naturalist ...,'' Kew (1854), vol. I, p. 4.</ref>}} ২,৫০০,০০০ শুষ্ক গাছের এই সংগ্রহ বর্তমানে [[বোটানিক্যালভারতীয় সার্ভেউদ্ভিদ অফ ইন্ডিয়াসর্বেক্ষণ|বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার]] অধীনে সেন্ট্রাল ন্যাশানাল হার্বেরিয়াম নামে পরিচিত।
 
মূল উদ্যানটির আয়তন ছিল ৩০০ একর। প্রতিষ্ঠার অল্পকাল পরে ২৭ একর জমি একটি খ্রিষ্টান কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য দান করা হয়। এই কলেজটিই বর্তমানে [[বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি]] নামে পরিচিত।<ref name = pallabmitra/> ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের [[রানি ভিক্টোরিয়া]] এই উদ্যানটি সম্পর্কে আগ্রহী ছিলেন বলে জানা যায়। সেই সময় এই উদ্যানের নাম ছিল '''রয়্যাল ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন'''। স্বাধীনতার পর ১৯৬৩ সালে এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় '''ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন'''। ২০০৯ সালের ২৫ জুন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী [[জগদীশচন্দ্র বসু|আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর]] জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তার নামানুসারে এই উদ্যানের নামকরণ করা হয় '''আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন'''।
 
স্বাধীনতার পর বোটানিক্যাল গার্ডেন [[ভারত সরকার|ভারত সরকারের]] [[পরিবেশ ও বন মন্ত্রক (ভারত সরকার)|পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের]] অধীনে [[ভারতীয় উদ্ভিদ সর্বেক্ষণ|বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া]] কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৫ সদস্যের একটি পরিচালক পর্ষদ নিয়মিত উদ্যানের কাজকর্ম দেখাশোনা করছেন। [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার|পশ্চিমবঙ্গ সরকারের]] একাধিক প্রতিনিধিও নিয়মিতভাবে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে উদ্ভিদ গবেষক সহ প্রায় ৪০০ কর্মী চাকরিসূত্রে এই উদ্যানের সঙ্গে যুক্ত।<ref name = pallabmitra/>
 
==বিশাল বটবৃক্ষ==