বিজ্ঞান কল্পকাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hossain Muhammad Ramzan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Hossain Muhammad Ramzan (আলোচনা | অবদান)
১২৮ নং লাইন:
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভের মত প্রযুক্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, টাইপ থ্রির মতো উন্নত কোনো এলিয়েন সভ্যতা হয়তো এরই মধ্যে আলোর গতির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা অর্জন করতে আমাদের মতো কোনো সভ্যতার আরও একহাজার বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই আপাতত এক হাজার বছর অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের মতো স্বল্প আয়ুস্কাল মরণশীলদের হাজার বছর অনেক বেশি বটে। তাই হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অপেক্ষমান আগামীদিনের বিকল্প প্রযুক্তি !
 
'''টাইম মেশিন:ওয়ার্মহোল-র‍্যাপ ড্রাইভের বিকল্প পন্থানপন্থা'''
 
বিভিন্ন সময়ে বহু বিজ্ঞানী (লিজুং ওয়াং, গুন্টার নিমস, অ্যালফন্স স্তালহফেন) দাবী করে আসছেন যে, তাঁরা আলোর চেয়ে বেশি গতিবেগে সংকেত প্রেরণের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেলের ধারণাটি বাস্তবায়ন করেছেন, যদিও বাস্তবসম্মতভাবে পরীক্ষালব্ধ ফলাফল এখনো সব বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
১৩৫ নং লাইন:
 
ফ্রাঙ্ক টিপলার তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন যে, নিজের অক্ষের চারদিকে দ্রুত ঘূর্ণায়মান এক অসীম দৈর্ঘ্যের চোঙ আসলে একটি টাইম মেশিন। তাহলে অবশ্যই এর দ্বারা সময় ভ্রমণ সম্ভব। টিপলার অনুমান করেছিলেন যে,যথেষ্ট বেগে ঘূর্ণায়মান সসীম দৈর্ঘ্যের চোঙের সাহায্যেও সময় ভ্রমণের ধারণাটি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
 
'''নিরাপদ-নির্বিঘ্ন মহাকাশ পরিভ্রমণে কতিপয় সীমাবদ্ধতা:'''
 
মহাকাশীয় পরিবেশ ভূ-প্রাকৃতিক এবং বায়ুমণ্ডলীয় [[আবহাওয়া|আবহাওয়ার]] ধারণা থেকে ভিন্ন। প্রাকৃতিক [[প্লাজমা (পদার্থবিজ্ঞান)|প্লাজমা]], চৌম্বক ক্ষেত্র, বিকিরণ এবং মহাকাশীয় বস্তুসমূহ নিয়েই গঠিত হয় মহাকাশীয় পরিবেশ। মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ভাষ্যমতে:
 
"মহাকাশীয় পরিবেশ, পৃথিবী এবং আমাদের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় প্রভাববিস্তারকারী মহাকাশীয় পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে।পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, সূর্যের আচরণ এবং সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থানই আমাদের মহাকাশীয় পরিবেশের উৎস।"(তথ্য সূত্রঃ [[মহাকাশ যাত্রা|https://bn.wikipedia.org/wiki/মহাকাশ_যাত্রা]])
 
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে [[ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বেষ্টনী|ভ্যান অ্যালেন বেষ্টনীর]] বিকিরণ, [[সৌর বিকিরণ]], ক্ষুদ্র গ্রহাণুকণার অস্তিত্ব  এবং [[মহাজাগতিক বিকিরণ]] জনিত সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া, পৃথিবী প্রদক্ষিণরত মহাকাশযানের অভ্যন্তরে ক্ষীণমহাকর্ষীয় পরিবেশ তৈরি হয়'','' যেখানে ''ওজনহীনতা'' অনুভব করা যায়। ক্ষীণমহাকর্ষীয় পরিবেশে স্বল্পকালীন অবস্থান করলে [[মহাকাশ অভিযোজন উপসর্গ]] দেখা দিতে পারে; এ পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান একাধিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে প্রধান হচ্ছে হাড়ক্ষয়,  পেশী এবং [[সংবহনতন্ত্র|সংবহনতন্ত্রের]] দূর্বলতা ইত্যাদি। তাছাড়া, স্বাস্থ্যের ওপর মহাজাগতিক বিকিরণের প্রভাবে [[ক্যান্সার|ক্যান্সারের]] সম্ভাবনাও বিদ্যমান থাকে।                                                                                                                                                                                                
 
(তথ্য সূত্রঃ [[মহাকাশ যাত্রা|https://bn.wikipedia.org/wiki/মহাকাশ_যাত্রা]])
 
এমতাবস্থায় [[নাসা]] কর্তৃক উৎক্ষেপিত যাত্রীবাহী মহাকাশযানে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার জন্য  ইসিএলএসএস নামক প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। । এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত [[বায়ু|বাতাস]], [[পানি]] এবং [[খাদ্য|খাদ্যের]] ব্যবস্থা, এবং যাত্রীদের স্বাভাবিক শারীরিক তাপমাত্রা ও চাপ বজায় রাখা এবং শারীরিক বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা রয়েছে।
 
মহাজাগতিক পরিভ্রমণ প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি কম নয়।  ১৯৮৬ সালের ২৮ জানুয়ারি তারিখে ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপনের ৭৩ সেকেন্ড পর [[মহাকাশযান চ্যালেঞ্জার]] বায়ুমণ্ডলে বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে মহাকাশযানে অবস্থানকারী সাতজন যাত্রীই নিহত হন। এ দুর্ঘটনার কারণ ছিল চ্যালেঞ্জারের ডানপাশের রকেট বুস্টারের একটি সংযোগস্থলের দুর্বলতা।
 
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩০ জুন সোভিয়েত রাশিয়ার নভোচারীরা চন্দ্র বিজয়ের উদ্দেশ্যে তাদের মহাকাশযান উৎক্ষেপন করেছিল। কিন্ত্ত ৩ রাশিয়ান নভোচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন মৃত অবস্থায়। গত বিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ উড্ডয়নকালীন, প্রশিক্ষণকালীন অন্ততঃ ৩০ জন মহাকাশচারী/নভোচারীর মৃত্যু ঘটে।  
 
২০০৪ সালে [[নেদারল্যান্ড|নেদারল্যান্ডে]] [[আন্তর্জাতিক মহাকাশ নিরাপত্তা উন্নতি সংস্থা]] প্রতিষ্ঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য মহাকাশ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিসমূহের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রসার ঘটানো। (তথ্য সূত্রঃ (i) [[মহাকাশ যাত্রা|https://bn.wikipedia.org/wiki/মহাকাশ_যাত্রা]])
 
(ii) <nowiki>https://americabangla.com/science-and-technology/অআজ_অব্দি_কতজন_নভোচারী</nowiki>)
 
'''ঘুমানোর সমস্যা:'''
 
বাসা বাড়ির মতো আরামদায়ক কোনো বিছানার ব্যবস্থা থাকে না মহাশুন্যে নভোচারীদের, তাদের দেহকে তারা স্পেস ক্রাফটের একটি সাইডে নিজেদের বেঁধে নেন, যাতে করে তারা এদিক ওদিক ভেসে না বেড়ান| এমনকি তারা নিজেদের দুই হাত বুকে জড়িয়ে ঘুমাতে পারেন না| তাদের দুই হাত তাদের সামনে সোজা হয়ে ভাসতে থাকে| ঘুমন্ত নভোযাত্রীদের ভেন্টিলেশনের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয়, না হলে তো তারা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
 
'''খাওয়া-দাওয়া:'''
 
যখন একজন নভোচারী নভোযানে উঠেন তখন তার পছন্দনীয় সকল খাবার-দাবার খাওয়ার শখ পৃথিবীতে রেখে যেতে হয় কয়েক মাসের জন্য। খেতে হয় ইউএস, জাপান, রাশিয়াতে প্রস্তুতকরা প্যাকেটজাত ডিহাইড্রেটেড খাবার| বাসনপত্র অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, এমনকি ছুরি বা কাটাচামচের খোঁচায় যন্ত্রাংশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই এগুলো পৃথিবীতেই রেখে যেতে হয়।
 
'''বিষন্নতার কবলে মহাকাশচারী:'''
 
সময় পরিভ্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য, পৃথিবীর যাবতীয় বিষন্নতা ঝেড়ে ফেলার জন্য । কিন্তু নভোচারীরা মহাকাশে গিয়ে বরং সংগতকারণে ভূগেন সেই বিষন্নতায়।
 
পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ অত্যন্ত একটি রোমাঞ্চকর ব্যাপার, কিন্তু এটা অনেক সময় মানসিক একটি শ্রমে পরিণত হতে পারে এবং নভোচারীদের মনকে অবসাদে আচ্ছন্য করে দিতে পারে| অনেক নভোচারী এটা স্বীকার করছেন যে, দীর্ঘ সময় কাল ধরে মহাকাশ যান চালনা এবং যে সকল অভিযান চলে মহাকাশে সেই অভিযানগুলোতে মনের মধ্যে একটা ভয় ও সংশয় কাজ করে কারণ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয় সেসব অভিযানে| আর এর থেকে তারা একাকিত্ব, বিষন্নতা ও মানসিক চাপে থাকেন।
 
'''আরও দেখুন'''