বিজ্ঞান কল্পকাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hossain Muhammad Ramzan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Hossain Muhammad Ramzan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪৮ নং লাইন:
·'''সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন উড্ডয়নের রেকর্ড''' ধারণকারী বিমান- [[নাসা|নাসার]] ''এক্স-৪৩এ পেগাসাস'', যা '''স্ক্রামজেট''' চালিত,শব্দোত্তর গতিসম্পন্ন, লিফটিং বডি, পরীক্ষামূলক বিমান যা ১৬ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে [[ম্যাক]] ৯.৬ বা ঘণ্টাপ্রতি ৭০০০ মাইল বেগ অর্জন করার মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়ে।
 
·        '''সর্বাধিক গতিসম্পন্ন শক্তিচালিত উড়োজাহাজ উড্ডয়নের রেকর্ড'''- উত্তর আমেরিকান ''এক্স-১৫এ-২'' উড়োজাহাজ ১৯৬৭ সালের ৩ অক্টোবর, ম্যাক ৬.৭২ বা ৪৫২০ মাইল প্রতিঘণ্টা বেগ তুলে এ রেকর্ড গড়ে।
 
o    '''দ্রুততম স্থির পাখাবিশিষ্ট বিমান এবং গ্লাইডার'''- [[স্পেস শাটল|''স্পেস শাটল'']], যা প্রায় ম্যাক ২৫ বা ঘণ্টায় ১৭০০০ মাইল বেগ তুলতে সক্ষম হয়।
৬২ নং লাইন:
o    '''দ্রুততম বর্তমান যাত্রীবাহী বিমান'''- ''বোয়িং ৭৪৭''(ম্যাক ০.৮৮৫) <sup>[[বিমান|https://bn.wikipedia.org/wiki/বিমান]]</sup>
 
·      '''রকেট প্রযুক্তিঃ''' নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুসৃত '''রকেট''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Rocket) এমন এক ধরনের মহাকাশ যান যেখানে রাসায়নিক শক্তির দহনের মাধ্যমে সৃষ্ট উৎপাদকগুলিকে প্রবল বেগে যানের নির্গমন পথে নিঃসরণের ফলে সৃষ্ট [[ঘাতবল|ঘাতবলের]] কারণে অতি দ্রুতযানে রূপ পরিগ্রহ করে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, মহাশূন্যচারী, নিয়ন্ত্রণ ও দিক নির্ধারণ ব্যবস্থা, পেলোড-১, পেলোড-২, ফার্স্ট স্টেজ, সেকেন্ড স্টেজ, বুস্টার, নজেল, প্রধান ইঞ্জিন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সাজসরন্জ্ঞাম  সমৃদ্ধ রকেটযানে রক্ষিত জ্বালানী রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পেছন নিঃসরণের ফলে রকেট সামনের দিকে দ্রুত বেগে চলতে শুরু করে।
 
·        বিশ্বে অনেক ধরনের রকেট উদ্ভাবিত হয়েছে। এটি ছোট্ট বোতল আকৃতি থেকে শুরু করে বৃহৎ আকৃতির মহাকাশযানের মতো হতে পারে। তন্মধ্যে [[Ariane 5|এরিয়েন ৫]] হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ আকৃতির রকেট যা দিয়ে কক্ষপথে [[কৃত্রিম উপগ্রহ]] প্রেরণ করা হয়।
 
·         [[জার্মানি|জার্মান]] [[বিজ্ঞানী]] [[বার্নার ফন ব্রাউন]] আমেরিকার মহাকাশ প্রকল্পে (নাসা) কাজ করেন ও চাঁদে নভোচারী প্রেরণে সহায়তা করেন। [[রকেট|https://bn.wikipedia.org/wiki/রকেট]]
 
'''টাইম ট্রাভেল আসলে কী?'''
১২৬ নং লাইন:
এ তথ্য সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য স্বাভাবিকভাবে হতাশা বয়ে আনতে পারে। তাই আশার বাণী নিয়ে এগিয়ে এলেন ২০১১ সালে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের অ্যাডভান্সড প্রোপালশন ফিজিকস ল্যাবরেটরির ইন্জ্ঞিনিয়ার হ্যারল্ড জি. সোনি হোয়াইট। সোনি বিকল্প প্রযুক্তির র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভে প্রয়োজন হবে না সমতল স্থানসম্পন্ন বুদবুদের (বাবল)। এটি শক্তি সাশ্রয়ীও। মাত্র কয়েক কিলোগ্রাম ভরশক্তিই যথেষ্ট যদিও বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি এ পরিমাণও বিরাট-বিশাল ব্যাপার! যাহোক, এ পরিমাণ ভরশক্তিতে টেকসই এবং বিশাল তরঙ্গমালা তৈরি করা সম্ভব হবে যা দিয়ে মস্তবড় একটা স্পেসশিপ অনায়াসে চালিয়ে নেয়া যেতে পারে। সুখের বিষয়, নাসার প্রকৌশলী সোনি হোয়াইটের প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভ নাসার গবেষণাগারে তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তার নাম র‍্যাপ ফিল্ড ইন্টারফেরোমিটার। তাত্ত্বিকভাবে যন্ত্রটি সম্ভাব্য র‍্যাপ সৃষ্টিকারী কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্ট স্থানের জ্যামিতিতে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরের পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারবে। (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা ৭০)
 
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভের মত প্রযুক্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, টাইপ থ্রির মতো উন্নত কোনো এলিয়েন সভ্যতা হয়তো এরই মধ্যে আলোর গতির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা অর্জন করতে আমাদের মতো কোনো সভ্যতার আরও একহাজার বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই আপাতত এক হাজার বছর অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের মতো স্বল্প আয়ুস্কাল মরণশীলদের হাজার বছর অনেক বেশি বটে। তাই হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অপেক্ষমান আগামীদিনের র‍্যাপ ড্রাইভবিকল্প প্রযুক্তি !
 
'''টাইম মেশিন:ওয়ার্মহোল-র‍্যাপ ড্রাইভের বিকল্প পন্থান'''
 
বিভিন্ন সময়ে বহু বিজ্ঞানী (লিজুং ওয়াং, গুন্টার নিমস, অ্যালফন্স স্তালহফেন) দাবী করে আসছেন যে, তাঁরা আলোর চেয়ে বেশি গতিবেগে সংকেত প্রেরণের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেলের ধারণাটি বাস্তবায়ন করেছেন, যদিও বাস্তবসম্মতভাবে পরীক্ষালব্ধ ফলাফল এখনো সব বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
 
টাইম ট্রাভেল শুধু তাত্ত্বিকভাবেই সম্ভব,বাস্তবিক অর্থে আলোর গতিতে না পৌঁছাতে পারলে সম্ভব না। সেক্ষেত্রে এমন একটি টাইম মেশিন নির্মাণ করা প্রয়োজন-যেখানে আলোর গতির কাছাকাছি গতি অর্জন করা সম্ভব।
 
ফ্রাঙ্ক টিপলার তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন যে, নিজের অক্ষের চারদিকে দ্রুত ঘূর্ণায়মান এক অসীম দৈর্ঘ্যের চোঙ আসলে একটি টাইম মেশিন। তাহলে অবশ্যই এর দ্বারা সময় ভ্রমণ সম্ভব। টিপলার অনুমান করেছিলেন যে,যথেষ্ট বেগে ঘূর্ণায়মান সসীম দৈর্ঘ্যের চোঙের সাহায্যেও সময় ভ্রমণের ধারণাটি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
 
'''আরও দেখুন'''