জগৎ (জীববিদ্যা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shariat1729 (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
Shariat1729 (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
৯ নং লাইন:
# [[অ্যানিম্যালিয়া]]
 
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:Two kingdom.png|বাম|থাম্ব|440x440পিক্সেল|দুই রাজ্য ]]
 
=== দুই রাজ্য ===
জীবকে কিছু শ্রেণিতে ভাগ করার প্রয়াস আদিকাল থেকেই  চলে আসছে। [[এরিস্টটল|অ্যারিস্টটল]] (৩৮৪-৩২২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) তার রচিত ''‘হিস্টোরিয়া এনিমেলিয়াম’'' গ্রন্থে প্রাণীদেরকে [[শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (জীববিজ্ঞান)|শ্রেণিবিন্যাস]] করার চেষ্টা করেন। সেই কালেই তার শিষ্য থিওফ্রাস্টাস (৩৭১-২৮৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) তার রচিত ''‘হিস্টোরিয়া প্ল্যানটেরাম’'' গ্রন্থে বৃক্ষের শ্রেণিবিন্যাস করার চেষ্টা করেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=A short history of biology, a general introduction to the study of living things|শেষাংশ=Singer|প্রথমাংশ=Charles J.|বছর=1931|অবস্থান=Oxford}}</ref> কার্ল লিনিয়াস (১৭০৭-১৭৭৮) আধুনিক জীববৈজ্ঞানিক নামকরণের ভিত্তি গড়ে তুলেন। তিনি জীবজগতকে প্রধান দুই ভাগে ভাগ করেন - ''Regnum Animale'' (প্রাণি জগত) ও ''Regnum Vegetabile'' (উদ্ভিদ জগত)। লিনিয়াস তৃতীয় আরেকটি জগত দাড় করান যার নাম তিনি দেন ''Regnum Lapideum'' (খনিজ পদার্থ)
 
=== তিন রাজ্য ===
১৬৭৪ সালে অ্যন্টনি ভন লিউয়েন হুক, অনুজীববিজ্ঞানের জনক, লন্ডনের রয়েল সোসাইটিতে প্রথম অনুবীক্ষণিক এককোষী জীবের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেন। এর আগে অনুবীক্ষণিক জীবের অস্তিত্ব সম্পর্কে কারো জানা ছিলো না। শুরুর দিকে এই এককোষী অনুজীবদেরকে জীবজগতে কোনোভাবে রেখে দেওয়া হতো। ১৮৬০ সালে জন হগ একটি তৃতীয় রাজ্যে, প্রোটোকটিস্টা, এর প্রস্তাব করেন এবং ''Regnum Lapideum'' কে চতুর্থ রাজ্য হিসেবে গণ্য করেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Not plants or animals: a brief history of the origin of Kingdoms Protozoa, Protista and Protoctista|শেষাংশ=Scamardella|প্রথমাংশ=Joseph M|বছর=১৯৯৯|প্রকাশক=International Microbiology}}</ref>
 
১৮৬৬ সালে আর্নেস্ট হেকেলও তৃতীয় একটি রাজ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন এবং তিনি তার নাম দেন প্রোটিস্টা, যারা না প্রাণি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত না উদ্ভিদ রাজ্যের অন্তর্গত। তবে তিনি ''Regnum Lapideum'' রাজ্য হিসেবে গণ্য করেননি। এককোষী প্রাণিদের নিয়ে তিনি যে রাজ্য দেন তাঁকে তিনি বলেন, প্রোটিস্টা (Protista) এবং বহুকোষী জীবদেরকে তিনি দুই রাজ্যে ভাগ করেন ১. প্রাণীজগৎ ও ২. উদ্ভিদজগৎ
[[চিত্র:Three kingdom bn.png|থাম্ব|440x440পিক্সেল|তিন রাজ্য ]]
 
=== চার রাজ্য ===
অনুজীববিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন হলে জানতে পারা যায় এককোষী জীবদের মাঝে আবার দুইটি ভাগ রয়েছে। কিছু এককোষী জীবের নিউক্লিয়াস সুগঠিত হয় আর কিছু জীবের নিউক্লিয়াস সুগঠিত হয়না। ১৯২৫ সালে এডওয়ার্ড চ্যটন দুইটি নতুন শব্দ জীববিজ্ঞানে আনেন ‘প্রোক্যরিয়ট’ (যাদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়) ও ইউক্যরিয়ট (যাদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত)। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1197417/|শিরোনাম=The Prokaryote-Eukaryote Dichotomy: Meanings and Mythology|শেষাংশ=Sapp|প্রথমাংশ=J.|সাময়িকী=Microbiology and Molecular Biology Reviews}}</ref> ১৯৩৮ সালে হার্বার্ট এফ. কোপল্যন্ড জীবজগৎকে চার রাজ্যে ভাগ প্রস্তাব দান করেন। এই চারটি রাজ্যের নাম হলো – ১. মনেরা ২. প্রোটিস্টা ৩. প্লান্টি ৪. এনিমেলিয়া। বর্তমানে শনাক্তকৃত ব্যকটেরিয়া ও আর্কিয়া এই মনেরা রাজ্যের অন্তর্গত। ১৯৬০ এর দিকে রজার স্টেনিয়ার ও সি.বি. ভ্যান নীল এই রাজ্যের প্রচারে সহায়তা করেন এবং এই রাজ্যের উর্দ্ধে দুইটি অধিজগতে ভাগ করেন, (১) প্রাককেন্দ্রিক অধিজগৎ ও (২) সুকেন্দ্রিক অধিজগৎ ।
[[চিত্র:Four kingdom.png|বাম|থাম্ব|440x440পিক্সেল|চার রাজ্য ]]
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
== তথ্যসূত্র ==
[[বিষয়শ্রেণী:জীববিজ্ঞান পরিভাষা]]