বিজ্ঞান কল্পকাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hossain Muhammad Ramzan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Hossain Muhammad Ramzan (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
১০৩ নং লাইন:
 
বিজ্ঞানীদের ধারণা, অতি উন্নত কোন সভ্যতা হয়তো কোয়ান্টাম কণাকে এমনতর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এবং তা দিয়ে তাদের পক্ষে একটা ওয়ার্মহোল তৈরি করা সম্ভবপর হবে। এমন ধারণা সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য সুসংবাদ বটে।
 
'''আশার আলো টাইম ট্রাভেলের বিকল্প নভোতরী ‘র‍্যাপ ড্রাইভ’-এ:'''
 
বিগত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই বিজ্ঞান কল্প কাহিনী জুড়ে রয়েছে র‍্যাপ ড্রাইভের বর্ণনা। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো মেক্সিকান পদার্থবিজ্ঞানী মিগুয়েল আলকুবিরি বিশেষ ধরনের র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। মিগুয়েলের মতে, সাধারণ আপেক্ষিকতায় স্থানের যে নমনীয়তা রয়েছে, সে স্থানটির মধ্যে একটি তরঙ্গমালা সৃষ্টি সম্ভব। এই তরঙ্গ বা ঢেউয়ের মধ্যেই চলমান কোনো নভোযানের পেছনের স্থান প্রসারিত করে সামনের স্থান সংকুচিত করে মহাকাশের অসীম দূরত্ব ঘুচিয়ে দেবে। এখানে নভোযানটি বুদবুদের ভেতর তরঙ্গের ঠিক মধ্যখানে স্বাভাবিক সমতল স্থানে থাকতে পারবে। তরঙ্গটি নিজেই আলোর চেয়ে বেশি বেগে মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কার্যকরভাবে তরাঙ্গায়িত হতে থাকবে।
 
বিগত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই বিজ্ঞান কল্প কাহিনী জুড়ে রয়েছে র‍্যাপ ড্রাইভের বর্ণনা। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো মেক্সিকান পদার্থবিজ্ঞানী মিগুয়েল আলকুবিরি বিশেষ ধরনের র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। মিগুয়েলের মতে, সাধারণ আপেক্ষিকতায় স্থানের যে নমনীয়তা রয়েছে, সে স্থানটির মধ্যে একটি তরঙ্গমালা সৃষ্টি সম্ভব। এই তরঙ্গ বা ঢেউয়ের মধ্যেই চলমান কোনো নভোযানের পেছনের স্থান প্রসারিত করে  সামনের স্থান সংকুচিত করে মহাকাশের অসীম দূরত্ব ঘুচিয়ে দেবে। এখানে নভোযানটি বুদবুদের ভেতর তরঙ্গের ঠিক মধ্যখানে স্বাভাবিক সমতল স্থানে থাকতে পারবে। তরঙ্গটি নিজেই আলোর চেয়ে বেশি বেগে মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কার্যকরভাবে তরাঙ্গায়িত হতে থাকবে।
 
“ওয়ার্মহোলের মতো একটি কার্যকর র‍্যাপ ড্রাইভ বানানোর ক্ষেত্রেও আমাদের বিপুল প্রযুক্তিগত চ্যালেন্জ্ঞ রয়েছে। এখানেও তরঙ্গের কাঠামো সৃষ্টির জন্য এক্সোটিক ম্যাটার প্রয়োজন। কিন্ত্ত কীভাবে করা সম্ভব, সেটি চিন্তা করতে গিয়ে পদার্থবিদেরা যেসব পদ্ধতির কথা বলেন, তা হয়তো অতি উন্নত কোন সভ্যতার পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। কারণ, এ ধরনের কোনো তরঙ্গ কাঠামো তৈরির জন্য বৃহস্পতির মতো দানবীয় কোনো গ্রহের সমান শক্তির দরকার।”(বিজ্ঞানচিন্তা, মে, ২০১৯, বর্ষ:৩, সংখ্যা:৮, পৃঃ ৭০)।        
 
এ তথ্য সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য স্বাভাবিকভাবে হতাশা বয়ে আনতে পারে। তাই আশার বাণী নিয়ে এগিয়ে এলেন ২০১১ সালে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের অ্যাডভান্সড প্রোপালশন ফিজিকস ল্যাবরেটরির ইন্জ্ঞিনিয়ার হ্যারল্ড জি. সোনি হোয়াইট। সোনি বিকল্প প্রযুক্তির র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভে প্রয়োজন হবে না সমতল স্থানসম্পন্ন বুদবুদের (বাবল)। এটি শক্তি সাশ্রয়ীও। মাত্র কয়েক কিলোগ্রাম ভরশক্তিই যথেষ্ট যদিও বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি এ পরিমাণও বিরাট-বিশাল ব্যাপার! যাহোক, এ পরিমাণ ভরশক্তিতে টেকসই এবং বিশাল তরঙ্গমালা তৈরি করা সম্ভব হবে যা দিয়ে মস্তবড় একটা স্পেসশিপ অনায়াসে চালিয়ে নেয়া যেতে পারে। সুখের বিষয়, নাসার প্রকৌশলী সোনি হোয়াইটের প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভ নাসার গবেষণাগারে তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তার নাম র‍্যাপ ফিল্ড ইন্টারফেরোমিটার। তাত্ত্বিকভাবে যন্ত্রটি সম্ভাব্য র‍্যাপ সৃষ্টিকারী কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্ট স্থানের জ্যামিতিতে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরের পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারবে। (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা ৭০)
 
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভের মত প্রযুক্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, টাইপ থ্রির মতো উন্নত কোনো এলিয়েন সভ্যতা হয়তো এরই মধ্যে আলোর গতির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা অর্জন করতে আমাদের মতো কোনো সভ্যতার আরও একহাজার বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই আপাতত এক হাজার বছর অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের মতো স্বল্প আয়ুস্কাল মরণশীলদের হাজার বছর অনেক বেশি বটে। তাই হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অপেক্ষমান আগামীদিনের র‍্যাপ ড্রাইভ প্রযুক্তি !
 
'''আরও দেখুন'''