বিজ্ঞান কল্পকাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অসম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৭২ নং লাইন:
টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ। এটি আসলে সময়ের অক্ষ বরাবর ভ্রমণ। আমরা সকলেই তিনটি মাত্রা সম্পর্কে অবগত,দৈর্ঘ্য,প্রস্থ এবং উচ্চতা। এই তিনটি মাত্রা বরাবর স্থান পরিবর্তন সম্ভব। তবে ন্যূনতম চতুর্মাত্রিক একটি ধারণা হচ্ছে সময়ের ধারণা। আজ পর্যন্ত এই চতুর্থ মাত্রা দিয়ে স্থান পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। এই সময়ের অক্ষ বরাবর স্থান পরিবর্তনকে কালমাত্রিক সরণ বলা হয়। এক সময় থেকে আরেক সময়ে পরিভ্রমণকেও আমরা সময় ভ্রমণ বলে থাকি। এটি হতে পারে অতীত ভ্রমণ, হতে পারে ভবিষ্যত ভ্রমণ। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান কিন্তু টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ নিয়ে একদমই বসে নেই।
অস্ট্রিয়ার প্রখ্যাত গণিতবিদ কুর্ট গডেল গণিতের মাধ্যমেই দেখিয়েছেন যে আমাদের এই মহাবিশ্বে কিছু Closed
বিশাল ভরের কারণে ব্ল্যাকহোলের চারপাশের স্থান-কালের একটি অসীম বক্রতা সৃষ্টি হয়। লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরবর্তী স্থান-কালগুলো বক্রতার কারণে একটি ক্ষুদ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। এখন আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কোনো বস্তুকে যদি ব্ল্যাকহোলে নিক্ষেপ করি, তাহলে এর কণিকাগুলো ওয়ার্মহোল দিয়ে নির্গত হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরের কোনো জগতে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ স্বাভাবিক সময়ে যে স্থান-কালে পৌঁছতে ওই বস্তুর কোটি কোটি বছর লাগত তাকে আমরা ওয়ার্মহোল ব্যবহারে খুব কম সময়ে এ দূরত্বটুকু অতিক্রম করিয়ে অন্য জগতে প্রবেশ করাতে পারবো।
৮৪ নং লাইন:
মহাকাশ কত বড়? এর উত্তর হয়তো এই পৃথিবীতে কখনও পাওয়া যাবে না। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এতটুকু বলেই ক্ষ্যান্ত হন যে, জানা মহাকাশের চেয়ে অজানা মহাকাশ অ-নে-ক, অ-নে-ক বড়। কত বড়? তা অনুভব-উপলদ্ধি করতে হলে নিম্নোক্ত কিছু পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা যেতে পারেঃ যেমন, গড় দূরত্বে ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরবর্তী সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে যদি ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় নেয় তাহলে সূর্যের পরের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টুরাইতে যেতে ৪ দশমিক ৩৭ আলোক বর্ষ, আমাদের অদূরবর্তী নিজস্ব ছায়াপথ বা (মিল্কিওয়ে) এর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে বেড়াতে পাড়ি দিতে ১০ লাখ আলোক বর্ষ। আর গোটা মহাবিশ্ব যার আনুমানিক পরিধি কল্পনা করা হয়েছে কমপক্ষে যে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন আলোক বর্ষ তার মাইলেজ কিংবা কিলোমিটার বা কত?-এই অচিন্তনীয় দূরত্ব বৈজ্ঞানিক কল্পলোকে মুহুর্তের মধ্যে পাড়ি দিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে কত দ্রুতগতি সম্পন্ন নভোতরী বা নভোভেলার প্রয়োজন তা সহজেই অনুমেয়। এ কারণে সায়েন্স ফিকশনিস্টরা কোন ভেলা বা তরীতে নয় শর্টকাট বিকল্প পথে মহাবিশ্ব মুহর্তের মধ্যে পাড়ি দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে ফিরতে চান। শর্টকাট এই বিকল্প পথের নামকরণও করা হয়েছে “ওয়ার্ম হোল” নামে। প্রস্তাবিত ওয়ার্ম হোল-কে দুই প্রান্ত বিশিষ্ট এক প্রকার সুড়ঙ্গ (টানেল) যা মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের অকল্পনীয় দূরত্বের মধ্যে যোগসূত্রক হিসেবে কাজ করবে।
ওয়ার্মহোলের ধারণাটা এসেছিল কার্যতঃ ত্রিমাত্রিক স্থান কীভাবে সময়ের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে চতুর্মাত্রিক স্থান-কাল তৈরি করে তার ব্যাখ্যা সমম্বলিত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের বিখ্যাত ক্ষেত্র সমীকরণের বিশেষ একটি গাণিতিক সমাধান থেকে। (সূত্র: বিজ্ঞানচিন্তা, মে-২০১৯, বর্ষ: ৩, সংখ্যা-৮, পৃষ্ঠা: ৬৮)।) ওয়ার্ম হোল-কে আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজও বলা হয়।
'''আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজ'''
|