ফ্রেড বারাট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অবসর - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
Adding 13 books for যাচাইযোগ্যতা (20210126)) #IABot (v2.0.8) (GreenC bot
৮৫ নং লাইন:
 
== যুদ্ধ পরবর্তী সময়কাল ==
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে ফ্রেড বারাটের খেলোয়াড়ী জীবন থেকে পরবর্তী চার বছর নষ্ট হয়ে যায়। ১৯১৯ সালে পুণরায় খেলা শুরু হলে উইজডেন তাদের স্মরণিকায় উল্লেখ করে যে, তিনি তার পুরনো খেলার ছন্দ ফিরিয়ে আনতে খুব ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছিলেন।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1948 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Obituaries| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/781 781]}}</ref> যুদ্ধের পর তিনি তার পুরনো ছন্দে ফিরে পেতে ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন। ১৯১৯ সালের সীমিত খেলায় অংশ নিয়ে ৫৮, ১৯২০ সালে ৬৮ ও ১৯২১ সালে ৯১ উইকেট পান।<ref name="bowl">{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Players/0/515/f_Bowling_by_Season.html | title = First-class Bowling in each Season by Fred Barratt |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref> তবে, ১৯২৩ সালে ১৮.৫৪ গড়ে ১০১ উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও, অত্যন্ত দ্রুততার সাথে রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান।
 
ঐ মৌসুমগুলোয় তার ব্যাটি গড় গড়পড়তা নিম্নমুখী ছিল। ১৯১৯ সালে ইনিংস প্রতি ১৬ রান তুলেন। ১৯২০ সালের শেষদিক পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। এ পর্যায়ে তার ব্যক্তিগত শক্তিমত্তা ও অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী লক্ষ্য করা যায়। ১৯১৯ সালে [[সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সাসেক্সের]] বিপক্ষে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮২ রান তুলেন। দশম উইকেটে সংগৃহীত ৬০ রানের মধ্যে তার সঙ্গী করেছিলেন মাত্র ১১।<ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/9/9543.html | title = Sussex v Nottinghamshire |date = 1919-05-30 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref> ১৯২১ সালে [[হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|হ্যাম্পশায়ারের]] বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে ডজার হোয়াইসলের সাথে জুটি গড়ে ৫০ মিনিটে ১২৯ রান তুলেন। নিজে করেন ৭৯ রান। এরফলে, দলের সংগ্রহ ৬৫/৬ থেকে ২৮৬ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা অপ্রত্যাশিতভাবে অর্জিত হয়।<ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/10/10153.html | title = Hampshire v Nottinghamshire |date = 1921-06-22 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref><ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1922 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Hampshire Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/203 203]}}</ref>
 
== স্বর্ণালী সময় ==
১৯২২ সালে বোলিংয়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পান। ১৬.৩৩ গড়ে ১০৯ উইকেট পান। এ মৌসুমেই তিনি তার সেরা বোলিং গড়ের অধিকারী হন।<ref name="bowl"/> খেলোয়াড়ী জীবনের ইনিংসে সেরা বোলিং করেন। উইজডেন কর্তৃপক্ষ গ্ল্যামারগন দলকে অসহায়ত্বের শিকার হিসেবে উল্লেখ করে। তিনি ৮/২৬ পান ও প্রতিপক্ষকে মাত্র ৭৫ মিনিটে ৪৭ রানে গুটিয়ে দিতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন।<ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/10/10527.html | title = Glamorgan v Nottinghamshire |date = 1922-07-12 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref><ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1923 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Glamorgan Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/348 348]}}</ref> ১৯২৩ সালেও একই ধারা অব্যাহত রাখেন। ১০১ উইকেট পান ও লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে দর্শনীয় ও মারমুখী ভঙ্গীমায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯২ রান তুলেন।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1924 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/76 76]}}</ref><ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/10/10950.html | title = Nottinghamshire v Leicestershire |date = 1923-08-11 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref>
 
১৯২৪ থেকে ১৯২৭ সালের মধ্যে ফ্রেড বারাটের খেলার মান কিছুটা দূর্বলমানের ছিল। তাসত্ত্বেও, নটিংহ্যামশায়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে চিত্রিত হয়েছিলেন। ১৯২৫ সালে উইজডেনে তার ধারাবাহিকতার অভাব সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।<ref name="Wis25"/> ১৯২৪ ও ১৯২৫ সালে ২০ রানেরও কম গড়ে ৯০ উইকেট করে লাভ করেছিলেন। কিন্তু, ১৯২৬ সালে ৩২ গড়ে মাত্র ৬৬ উইকেট দখল করেন।<ref name="bowl"/> ১৯২৭ সালে ২১.১৪ গড়ে ৭৫ উইকেট নিয়ে কিছুটা উত্তরণ ঘটান। এ পর্যায়ে চতুর্থবারের মতো ইনিংসে আট উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ট্রেন্ট ব্রিজে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৮/৫৩ পান।<ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/12/12429.html | title = Nottinghamshire v Worcestershire |date = 1927-07-27 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref> ব্যাটিংয়ের মানও সাধারণ পর্যায়ে চলে যায়। ১৯২৪, ১৯২৫ কিংবা ১৯২৬ সালের কোন মৌসুমেই পঞ্চাশ রান স্পর্শ করতে পারেননি। কেবলমাত্র ১৯২৭ সালে একবার সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন।<ref name="bat">{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Players/0/515/f_Batting_by_Season.html| title = First-class Batting and Fielding in each Season by Fred Barratt |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-17}}</ref>
 
== অল-রাউন্ডারে উত্তরণ ==
১৯২০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কঠিন সময় অতিবাহিত করার পর ১৯২৮ সালে প্রকৃতমানের অল-রাউন্ডার হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেন। ঐ মৌসুমেই তিনি আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন ও সকলের কাছে বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়ান। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ২৫.১৮ গড়ে ১১৪ উইকেট পান ও অপ্রত্যাশিতভাবে ২৯.১৭ গড়ে ১১৬৭ রানের ন্যায় ডাবল লাভ করেন। দ্বিগুণ গড়ের চেয়ে কম হলেও অন্য যে-কোন মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ রান তুলেন।<ref name="bowl"/><ref name="bat"/> উইজডেনে তার আকস্মিক উত্তরণের বিষয়ে বিশ্বেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বেশ ধৈর্য্য সহকারে সঠিক বলকে সঠিক জায়গায় ফেলতে দক্ষতা দেখান। বেশ দ্রুতলয়ে রান সংগ্রহে সজোরে আঘাত করতে পিছুটান ছিল না তার।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1929 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/149 149]}}</ref>
 
১৯২৮ সালে ২৯.১৭ গড়ে ১,১৬৭ রান ও ২৫.১৮ গড়ে ১১৪ উইকেট পান। এরফলে, [[ডাবল (ক্রিকেট)|ডাবল]] লাভের কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯০৬ সালে [[জন গান|জন গানের]] পর প্রথম নটিংহ্যামশায়ারীয় হিসেবে এ অর্জনের সাথে স্বীয় নামকে জড়ান। সকল ধরনের বোলিংকে তুনোধুনো করে ছাড়েন। ড্রাইভের দিকে সবিশেষ দক্ষতা দেখান।
 
১৯২৮ সালে ফ্রেড বারাটের খেলোয়াড়ী জীবনে সংগৃহীত দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেন। প্রথমটিতে করেন অপরাজিত ১৩৯ রান। এটিই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। কভেন্টিতে [[ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ওয়ারউইকশায়ারের]] বোলারদের বিপক্ষে এ রান তুলেন। ডব্লিউ. ওয়াকারের সাথে পঁচাশি মিনিটে ১৯৬ রানের জুটি গড়েন। মাঠের সীমারেখা ছোট হওয়ায় নিজস্ব শক্তিমত্তা অনুশীলন করার সুযোগ পান। সাতটি ছক্কা ও আঠারোটি চারের মার মারেন ফ্রেড বারাট। ব্যাটিং উপযোগী পিচ ও ছোট মাঠের কারণে বেশ ঊর্ধ্বমূখী রান সংগৃহীত হয় এবং কিছু রেকর্ডের সৃষ্টি হয়। নটিংহ্যামশায়ার ৬৫৬/৩ তুলে ইনিংস ঘোষনা করে। এটিই তৎকালীন স্বল্প উইকেট পতনে বৃহৎ সংগ্রহ হিসেবে পরিগণিত হয়। অংশগ্রহণকৃত পাঁচজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে [[জর্জ গান]], [[উইলিয়াম হোয়াইসল]], উইলিস ওয়াকার<!-- Willis Walker --> ও ফ্রেড বারাট - এ চারজন শতরানের ইনিংস খেলেন। বারাটকে অপ্রত্যাশিতভাবে পাঁচ নম্বরে নিয়ে আসা হয়। বারাটের ১৩৯ রানের ইনিংসে সাতটি ছক্কা ও আঠারোটি চারের মার ছিল। উইজডেনের ভাষায়, শক্তিশালী ড্রাইভের অবস্মরণীয় প্রদর্শনী ছিল।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1929 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Warwickshire Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/330 330]}}</ref><ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/12/12734.html | title = Warwickshire v Nottinghamshire |date = 1928-06-23 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-18}}</ref> বিশাল রান তোলা সত্ত্বেও খেলায় জয় পায়নি নটিংহ্যামশায়ার। প্রতিপক্ষীয় ওয়ারউইকশায়ার দ্বিতীয় দিনের বাদ-বাকী সময় ব্যাটিং করে এবং তৃতীয় ও চূড়ান্ত দিন বৃষ্টির কারণে খেলতে পারেনি।
 
দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ফ্রেড বারাট তার দ্বিতীয় [[শতক (ক্রিকেট)|শতরানের]] ইনিংস খেলতে সমর্থ হন। এবার তিনি ট্রেন্ট ব্রিজে অতিথি দল [[গ্ল্যামারগন কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|গ্ল্যামারগনের]] বিপক্ষে পঁচাশি মিনিটে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৩০ মিনিটে অর্ধ-শতরান ও ৮৫ মিনিটে শতরান স্পর্শ করেন। উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, বেশকিছু দূর্দান্ত মারের ইনিংস ছিল। পাঁচটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে, তার ইনিংসটি নিখুঁত ছিল না। আটবার আউট থেকে বাঁচেন। তন্মধ্যে, পাঁচবার লং ফিল্ডে রক্ষা পান।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1929 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/160 160]}}</ref><ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/12/12762.html | title = Nottinghamshire v Glamorgan |date = 1928-07-04 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-18}}</ref>
 
১৯২৯ সালেও ১৯২৮ সালের খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন। এ পর্যায়ে ১৯০৭ সালের পর নটিংহ্যামশায়ার দল প্রথমবারের মতোও [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে]] সক্ষমতা দেখায়। ২২.০৫ গড়ে ৮৬০ রান তুলেন তিনি। দুইবার নব্বুইয়ের কোটা স্পর্শ করলেও সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। বেশ দ্রুতলয়ে রানগুলো আসে। উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, তিনি সারের বিপক্ষে ৮০ মিনিটে ৯৪ ও মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৭৫ মিনিটে ৯০ রান তুলেন।<ref name="Wis30">{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1930 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches| pages = 101–104[https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/101 101]–104}}</ref> [[হ্যারল্ড লারউড]] ও [[বিল ভোস|বিল ভোসের]] সাথে তার বোলিং যে-কোন কাউন্টির বোলিং আক্রমণের চেয়ে সেরা মানের ছিল। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ২১.২৪ গড়ে ১২৯ উইকেট পান।<ref name="bowl"/><ref name="Wis30"/>
 
সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে ২৪.২৭ গড়ে ১,১২৬ উইকেট ও ১৫.২৫ গড়ে ৬,৩৪৭ রান তুলেছিলেন তিনি।
১১৩ নং লাইন:
 
== নিউজিল্যান্ড গমন ==
১৯২৯-৩০ মৌসুমের শীতকালে নতুন টেস্ট পরিবারভূক্ত [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজ]] ও [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ড]] সফরে এমসিসি দল দুইটি দল তৈরি করে। উভয় দলেই প্রতিষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেটার ‌এবং অন্যান্য কাউন্টি দলের মানসম্পন্ন শৌখিন খেলোয়াড় ছিল। কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় নিজেদেরকে পুরোপুরি বাদ রাখেন। নিউজিল্যান্ড গমনার্থে ফ্রেড বারাটকে রাখা হয়। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিলেও টেস্ট খেলেননি তিনি। উইজডেনে এ প্রসঙ্গে লেখা হয় যে, বল হাতে তার কার্যকারিতা প্রকাশের দিন আসে।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1931 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = M.C.C. Team in New Zealand and Australia| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/643 643]}}</ref>
 
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রত্যেকটিতে অংশ নিলেও সফলকাম হননি তিনি। ঐ সিরিজে তিনি মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন। কোন ইনিংসেই একটির বেশী উইকেট পাননি। সামগ্রিকভাবে ঐ সিরিজে তার ব্যাটিংয়ের মানও সাম্প্রতিক মানের ছিল না। ১১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে কোন অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলতে পারেননি।<ref name="bat"/>
১২০ নং লাইন:
 
== অবসর ==
১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডে সন্তুষ্টিবিহীন মৌসুম অতিবাহিত করেন বলে উইজডেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1931 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches | page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/172 172]}}</ref> তিনবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ৫০২ রান তুলেন। ১৯২৯ সালে ১২৯ উইকেট পেলেও এ মৌসুমে মাত্র ৫১ উইকেট পান। উইকেট প্রতি ২১ রানের বিপরীতে ৩১-এর অধিক রান দেন।<ref name="bowl"/> এর কারণ হিসেবে উইজডেনে গ্রীষ্মের ভেজা পিচের প্রসঙ্গ আনলেও এ পর্যায়ে তার বয়স ছিল ৩৬ বছর। ১৯৩১ সালের পরের মৌসুমে অবনতির এ ধারা আরও অব্যাহত থাকে। ২১টি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নিয়ে ৪১-এর অধিক গড়ে মাত্র ২৪ উইকেট দখল করেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ঐ খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে মাত্র ৩০৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1932 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches | page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/207 207]}}</ref> তাসত্ত্বেও ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষ হাসি হাসেন। [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্টের]] বিপক্ষে [[স্যাম স্ট্যাপলস|স্যাম স্ট্যাপলসের]] সাথে জুটি গড়ে অর্ধ-ঘন্টায় ৮২ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ফ্রেড বারাট পাঁচটি ছক্কায় ৭২ রান তুলেছিলেন।<ref>{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1932 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches | page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/199 199]}}</ref><ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13912.html | title = Nottinghamshire v Kent |date = 1931-06-20 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-19}}</ref>
 
আগস্টে, চ্যাম্পিয়নশীপের শেষ খেলায় অংশ নিয়ে শক্ত ব্যাটিংয়ের অধিকারী দলে তিনি এগারো নম্বরে নামেন ও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন।<ref>{{cite web | url = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/14/14046.html | title = Nottinghamshire v Leicestershire |date = 1931-08-12 |publisher = www.cricketarchive.com | accessdate = 2008-12-19}}</ref> ১৯৩১ মৌসুম শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
 
== মূল্যায়ন ==
[[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] ভাষায়, ডানহাতি ফাস্ট-বোলার ছিলেন ফ্রেড বারাট। গতি পথ পরিবর্তন করে পেস সহযোগে বোলিং করতেন তিনি।<ref name="Wis25">{{Cite book | title = [[Wisden Cricketers' Almanack]] | edition = 1925 | publisher = [[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] | chapter = Notts Matches| page = [https://archive.org/details/wisdencricketers0000unse_y6r8/page/214 214]}}</ref> এছাড়াও, নিচেরসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অতি দ্রুত লয়ে ব্যাটিং করতেন। তবে, ১৯২৮ সালের পর থেকে আকস্মিকভাবে কিছুটা নিজেকে সংযত করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন।
 
২৯ জানুয়ারি, ১৯৪৭ তারিখে ৫২ বছর বয়সে নটিংহামের নটিংহাম জেনারেল হাসপাতালে ফ্রেড বারাটের দেহাবসান ঘটে।