আইয়ুব খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
শারমিন মফিজ (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৫৫ নং লাইন:
'''মোহাম্মাদ আইয়ুব খান''' (১৪ইমে ১৯০৭ - ১৯শে এপ্রিল ১৯৭৪) [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]]র একজন উর্ধ্বতন অধিকারিক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকে আইয়ুব প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরীপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর রাষ্ট্রপতি [[ইস্কান্দার মির্জা]] সমগ্র পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন সর্বাধিনায়ক জেনারেল আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদে নিযুক্ত করেন তিনি; ২৭শে অক্টোবর আইয়ুব মির্জাকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে নিজে রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন। [[ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গণঅভ্যুত্থানের মুখে]] আইয়ুব তার ১১ বছরের রাষ্ট্রপতিত্বের অবসান ঘটান পদটি থেকে পদত্যাগ করে।<ref name="Pakistan Herald.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.pakistanherald.com/newprofile.aspx?hofid=1180 |শিরোনাম=Muhammad Ayub Khan the Second President of Pakistan |প্রকাশক=Pakistan Herald.com |সংগ্রহের-তারিখ=16 November 2011 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120317055424/http://www.pakistanherald.com/newprofile.aspx?hofid=1180 |আর্কাইভের-তারিখ=17 March 2012 }}, Retrieved 25 August 2015</ref>
আইয়ুব খানের জন্ম হয়েছিলো [[ব্রিটিশ ভারত]]ের [[উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ]]ের [[হরিপুর জেলা]]য়। ১৯২৬ সালে তরুণ আইয়ুব [[ব্রিটিশ সেনাবাহিনী]]র কর্মকর্তা গড়ার কারিগর 'রয়েল মিলিটারি কলেজ' তে অধ্যায়ন করার সুযোগ পেয়ে যান যেটি ইংল্যান্ডের বার্কশায়ারের স্যান্ডহার্স্টে অবস্থিত ছিলো। ১৯২৮ সালে [[ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী]]তে আইয়ুব দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন; [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় আইয়ুব কর্নেল ছিলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলে আইয়ুব নবগঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার হিসেবে, তার সার্ভিস নম্বর ছিলো পিএ-১০। স্বাধীন পাকিস্তানে আইয়ুব প্রথমে [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] নিয়োগ পেয়েছিলেন ১৪তম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক হিসেবে, এরপর খুব দ্রুত উপরে ওঠেন তিনি; ১৯৫১ সালে [[পাকিস্তান সেনাবাহিনীর
আইয়ুব দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদে জেনারেল [[মুহাম্মদ মুসা খান]]কে নিযুক্ত করেছিলেন। আইয়ুব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা সহ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে মনোযোগ দিয়েছিলেন। আইয়ুব তৎকালীন [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]]ের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি পেশোয়ারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় একটি বিমান ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলেন যেখানে [[যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী]]র বৈমানিকেরা বিমান চালাতো এবং [[পাকিস্তান বিমান বাহিনী]]র আধুনিকায়নে তারা অনেক সাহায্য করেছিলো।<ref>"Story of Pakistan, Part-1"/, Retrieved 25 August 2015</ref> চীনের সঙ্গেও আইয়ুব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন, ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক চরম বৈরিতার দিকে যায় যে বছরে [[চীন-ভারত যুদ্ধ|ভারত চীনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলো]]। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব সরকার ভারতের সঙ্গে একটি বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছিলো যেটি ঐতিহাসিকভাবে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫]] নামে পরিচিতি পেয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির একজন গোঁড়া সমর্থক আইয়ুব পাকিস্তানেও যুক্তরাষ্ট্রর মত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন।
|