পূর্ণেন্দু পত্রী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন:
১৯৫১ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ''একমুঠো রোদ'' প্রকাশিত হয়। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ''দাঁড়ের ময়না'' মানিক পুরস্কার লাভ করে। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল ''শব্দের ঠিকানা'' (১৯৭৫), ''সূর্যোদয় তুমি এলে'' (১৯৭৬) ''আমাদের তুমুল হৈ-হল্লা'' (১৯৮০) ও ''গভীর রাতের ট্রাঙ্ককল'' (১৯৮১), ''আমিই কচ আমিই দেবযানী'' ইত্যাদি। সাহিত্য গবেষক শিশিরকুমার দাশ তাঁর কাব্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ''ছন্দের কৌশল, প্রতিমা গঠনের স্পষ্টতা এবং কথনভঙ্গির ঘরোয়া চাল তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য।'' পূর্ণেন্দু পত্রীর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''ভোমরাগুড়ি'', ''মালতীমঙ্গল'' ইত্যাদি। ''রূপসী বাংলার দুই কবি'' তাঁর একটি বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ। পূর্ণেন্দু পত্রী কলকাতা সম্বন্ধে প্রায় এক ডজন গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''শহর কলকাতার আদি পর্ব'', ''বঙ্গভঙ্গ'', ''কি করে কলকাতা হল'', ''ছড়ায় মোড়া কলকাতা'', ''কলকাতার রাজকাহিনী'', ''এক যে ছিল কলকাতা'' ইত্যাদি। জীবনের শেষপর্বে [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]কে নিয়ে এক বিশাল গবেষণার কাজ শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে ১৯৯৬ সালে তার প্রথম খণ্ড ''বঙ্কিম যুগ'' প্রকাশিত হয়। শিশুসাহিত্যেও তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় লেখক। ছোটোদের জন্য লিখেছেন ''আলটুং ফালটুং'', ''ম্যাকের বাবা খ্যাঁক'', ''ইল্লীবিল্লী'', ''দুষ্টুর রামায়ণ'', ''জুনিয়র ব্যোমকেশ'', ''যজাম্বো দি জিনিয়াস'', প্রভৃতি হাসির বই। ''আমার ছেলেবেলা'' নামে তাঁর একটি স্মৃতিকথাও রয়েছে। সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার]] তাঁকে [[বিদ্যাসাগর পুরস্কার|বিদ্যাসাগর পুরস্কারে]] ভূষিত করেন।
 
১৯৬৫ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্প অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র স্বপ্ন নিয়ে মুক্তি পায়। এর পর [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথের]] কাহিনি অবলম্বনে ''[[স্ত্রীর পত্র (চলচ্চিত্র)|স্ত্রীর পত্র]]'' ও ''[[মালঞ্চ (চলচ্চিত্র)|মালঞ্চ]]'' সহ পাঁচটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন তিনি। এছাড়াও নির্মাণ করেন সাতটি তথ্যচিত্র। ''স্ত্রীর পত্র'' চলচ্চিত্রটির জন্য [[তাসখন্দ চলচ্চিত্র উৎসব|তাসখন্দ চলচ্চিত্র উৎসবে]] শ্রেষ্ঠ চিত্রনির্মাতা ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৪ সালে নির্মিত তাঁর ''ছেঁড়া তমসুক'' চলচ্চিত্রটিও একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিল।
 
সাহিত্য ও চিত্র-পরিচালনা ছাড়াও পূর্ণেন্দু পত্রী অন্যতম পরিচয় প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে। বাংলা সাহিত্যের শতাধিক ধ্রুপদী গ্রন্থের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছিলেন তিনি। তাঁর অঙ্কিত প্রচ্ছদচিত্রগুলি গুণমানে ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে বিশেষ স্বাতন্ত্র্যের দাবিদার।
 
==ফিল্মোগ্রাফি==
পরিচালনা:
*স্বপ্ন নিয়ে (১৯৬৬)
*স্ত্রীর পত্র (১৯৭২)
*ছেঁড়া তমসুক (১৯৭৪)
*অবনীন্দ্রনাথ (১৯৭৬)
*পটচিত্র (তথ্যচিত্র, ১৯৭৭)
*মালঞ্চ (১৯৭৯)
*কালীঘাট (তথ্যচিত্র, ১৯৮১)
*গীতগোবিন্দম্ (১৯৮১)
*ছোটো বকুলপুরের যাত্রী (১৯৮১)
*ক্ষীরের পুতুল (তথ্যচিত্র, ১৯৮২)
 
চিত্রনাট্য:
*স্ত্রীর পত্র (১৯৭২)
 
== তথ্যসূত্র ==