রবীন্দ্রসঙ্গীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
Rabindra-Sangeet-lyrics (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4838618 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে (mobileUndo)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Rabindra-Sangeet-lyrics (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন দৃশ্যমান সম্পাদনা
২৮ নং লাইন:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।<ref>''গীতবিতানের জগৎ'', সুভাষ চৌধুরী, প্যাপিরাস, কলকাতা, ২০০৬ সং, পৃ. ১৭১</ref> তার গানের কথায় [[উপনিষদ্‌]], [[সংস্কৃত সাহিত্য]], [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব সাহিত্য]] ও [[বাউল]] দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে [[ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত|ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের]] (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) [[ধ্রুপদ]], [[খেয়াল]], [[ঠুমরি]], [[টপ্পা]], [[তরানা]], [[ভজন]] ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসংগীত, [[কীর্তন]], [[রামপ্রসাদী]], পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সংগীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।<ref>''রবীন্দ্রসংগীতের ত্রিবেণীসংগম'', ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা, ১৪০৫ মুদ্রণ, পৃ. ২১, ৩৭-৩৮</ref> রবীন্দ্রনাথের সকল গান ''[[গীতবিতান]]'' নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।<ref>''গীতবিতানের জগৎ'', সুভাষ চৌধুরী, প্যাপিরাস, কলকাতা, ২০০৬ সং, পৃ. ১২২</ref> তার মৃত্যুর পর ''গীতবিতান'' গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত।<ref>''গীতবিতানের জগৎ'', সুভাষ চৌধুরী, প্যাপিরাস, কলকাতা, ২০০৬ সং, পৃ. ১২৪</ref> ৬৪ খণ্ডে প্রকাশিত ''স্বরবিতান'' গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
 
[[জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি|জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে]] সংগীতচর্চার ব্যাপক প্রচলন ছিল। রবীন্দ্রনাথের বাবা [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য দাদারা নিয়মিত [https://rabindrasangeets.in সংগীতচর্চা] করতেন। কিশোর বয়সে রবীন্দ্রনাথের সংগীতশিক্ষায় সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তার নতুনদাদা [[জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]।<ref>''রবীন্দ্রজীবনকথা'', প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ১৪১৪ মুদ্রণ, পৃ. ২০-২৩</ref> এগারো বছর বয়সে লেখা ‘[[গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে]]’ গানটি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত প্রথম গান।<ref>''গীতবিতানের জগৎ'' সুভাষ চৌধুরী, প্যাপিরাস, কলকাতা, ২০০৬ সং, পৃ. ৫৮০</ref> এরপর প্রায় ৭০ বছর ধরে তিনি নিয়মিত গান রচনা করে গিয়েছিলেন। স্বরচিত গীতিকবিতা ছাড়াও কয়েকটি [[বেদ|বৈদিক]] স্তোত্র ও [[বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধ]] মন্ত্র এবং [[বিদ্যাপতি]], [[গোবিন্দদাস]], [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]], [[সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[অক্ষয়কুমার বড়াল]], [[সুকুমার রায়]] ও [[হেমলতা দেবী]] কর্তৃক রচিত কয়েকটি গানে সুরারোপ করেছিলেন।<ref>''গীতবিতান'', ৩য় খণ্ড, ‘গ্রন্থপরিচয়’, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা, ১৪০৭ সং, পৃ. ১০২৮-২৯</ref> তার লেখা শেষ গানটি হল ‘[[হে নূতন দেখা দিক আর বার]]’। ১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় তার শেষ জন্মদিনে এটি পরিবেশিত হয়েছিল।<ref>''রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ'', সুরেন মুখোপাধ্যায়, সাহিত্য প্রকাশ, কলকাতা, ১৪১৬ সং, পৃ. ৩৫০</ref>
 
রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সংগীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন। সংগীতকে তিনি বিদ্যালয়-শিক্ষার পরিপূরক এক বিদ্যা মনে করতেন।<ref>''রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাদর্শে সঙ্গীত ও নৃত্য'', শান্তিদেব ঘোষ, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ১৯৮৭, পৃ. ৯</ref> রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তার রচিত গানগুলি বাঙালি সমাজে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।