বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন:
 
{{multiple issues|
{{dead end|date=জুন ২০১৪}}
{{orphan|date=জুন ২০১৪}}
{{উৎসহীন|date=জুন ২০১৪}}
}}
{{POV|date=জুন ২০১৪}}
{{Infobox University
|name = বাকড়ি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
১৬ ⟶ ১১ নং লাইন:
|type = [[Public university|পাবলিক]], [[Coeducational]]
}}
'''বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়''' [[যশোর]] জেলার [[বাঘেরপাড়া উপজেলা|বাঘেরপাড়া উপজেলার]] [[এগারখান|এগারোখান]] অঞ্চলের বাকড়ী গ্রামে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=বাঘারপাড়া উপজেলা - বাংলাপিডিয়া|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-24}}</ref>
'''বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়''' [[যশোর]] জেলার [[বাঘারপাড়া]] থানার বৃহত্তর [[এগারখান|এগারোখান]] অঞ্চলের বাকড়ী গ্রামে অবস্থিত। ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের সাথে ৭৮ বছর অতিবাহিত করেছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে মাধ্যমিক ও কারিগরি শাখায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাসহ দেশে বিদেশে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।
 
== ইতিহাস ==
১৯৩৫ সালে নব প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়কে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত করার উদ্দেশ্যে বাকড়ী গ্রামের মোহন লাল বিশ্বাস জমি দান করেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://egarokhan.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%81-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be/|শিরোনাম=প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে “বাবু গোকুলচন্দ্র বিশ্বাস” কে সম্মাননা প্রদান । – এগারোখান ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ( ই ডি এফ )|শেষাংশ=EDF|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-24}}</ref> ১৯৪৫-১৯৪৬ সালে যথাক্রমে ৯ম ও ১০ম শ্রেণী খোলা হয়। ১৯৪৭ সালে বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মঞ্জুরি লাভ করে এবং ঐ সালে প্রথম ব্যাচ পরীক্ষা দেয়।
১৯২২ সালে দোগাছি গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ গোলদার বাকড়ীর বটতলে প্রথম পাঠশালা খোলেন এবং গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় একখানি ছনের ঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বাকড়ী গ্রাম ছেড়ে নিজের গ্রামে গিয়ে পাঠশালা খোলেন। পরবর্তিতে এই পাঠশালায় হৃদয় নাথ মল্লিক, অবিনাশ চন্দ্র গোলদার, ভরত চন্দ্র ভৌমিক, অখিল চন্দ্র পাল, নিমচাঁদ ঘোষ এবং হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস শিক্ষকতা করেন।
১৯৩০ সালের এপ্রিল মাসে মালিয়াট বালক বিদ্যালয়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে কতিপয় শিক্ষক বাকড়ী গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে চলে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জীবন গোপাল গুপ্ত, ভরত চন্দ্র পাঠক, রাজেন্দ্র নাথ শিকদার, সন্তোষ কুমার পাঠক এবং রাজেন্দ্র নাথ পাল। তাদের উদ্যোগে পাঠশালা অল্প দিনের মধ্যেই মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয় এবং সরকারী অনুমোদন লাভ করে। ১৯৩৫ সাল নাগাত আরো দুটি শ্রেণী খোলা হয়। নব প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়কে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত করার উদ্দেশ্যে বাকড়ী গ্রামের মোহন লাল বিশ্বাস জমি দান করেন। ১৯৪৫-১৯৪৬ সালে যথাক্রমে ৯ম ও ১০ম শ্রেণী খোলা হয়। ১৯৪৭ সালে বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মঞ্জুরি লাভ করে এবং ঐ সালে প্রথম ব্যাচ পরীক্ষা দেয়। ১৯৫২ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পাকিস্তান সরকারের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীদের উপর দমন পীড়ন এবং স্থানীয় দলাদলির কারণে অনেক শিক্ষক বিদ্যালয় ত্যাগ করে। এই সময় বাকড়ী গ্রামের মনীন্দ্র নাথ হালদার এবং গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস তার দু’এক জন সহকর্মীকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাদান চালিয়ে যান। ১৯৫৭ সালে সুশীল কুমার পাঠক বিদ্যালয়কে পুনর্জীবিত করেন এবং পরবর্তী ছয় বছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেন। এরপর ধর্মদাস অধিকারী দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ঐ পদে বহাল থাকেন। বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম তার দায়িত্ব পালন কালে শীর্ষে ওঠে।
 
== বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ==
[[File:Science Building of bakri High School.jpg|thumb|বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন]]
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের আকর্ষণীয় এবং সব থেকে পুরোনো হচ্ছে দুটি বটগাছ। এছাড়া একটি মনোরম পুকুরও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যমান। এর দক্ষিণ দিক রয়েছে একটি স্থায়ী মার্কেট। সপ্তাহে দুদিন এইখানে হাট বসে। দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রয়েছে মন্দির এবং তার নিকটেই বিপ্লবী নেতা এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক কমরেড অমল সেনের সমাধিস্থল এবং নির্মাণাধীন অমল সেন স্মৃতি কমপ্লেক্স। বিদ্যালয়ের বর্তমানে ছয়টি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি দোতলা, একটি একতলা এবং বাকিগুলো টিনের ছাউনি। দোতলা ভবনটি মূল একাডেমী ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একতলা ভবনটি বিজ্ঞান ভবন এবং উত্তর দিকের টিনের ঘরটি কারিগরি বিভাগ ব্যবহার করে। বাকি টিনের ঘরগুলো হরিপদ সংগীত একাডেমী, ১১খান এডাস স্কুল এবং গ্রামীণ উন্নয়ন সমিতিকে ভাড়া দেওয়া। ২০০৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত দোতলা বিল্ডিংটি একতলা ছিল। ২০০২ কারিগরি বিভাগের উত্তর দিকের ভবনটির উন্নয়ন সাধন এবং ২০০৩ সালে পশ্চিম দিকের একতলা ভবনটি দোতলায় উন্নিত করা হয়। বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য একটি উন্নতমানের কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
 
== খেলাধুলা ==
বিদ্যালয়ে প্রতিবছর নিয়মিত ভাবে ক্রিকেট এবং ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়ে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে শিক্ষক - কর্মচারীদের সাথে বিজয়ী দলের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং বিজয়ী দল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চড়ুইভাতির আয়োজন করে। সমগ্র টুর্নামেন্টের এটি একটি অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচগুলো বাকড়ী গ্রামের গোচর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অ্যাথলেটিক্সের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের ক্রিকেট, ফুটবল এবং ভলিবল টিম বিভিন্ন আন্তঃবিদ্যালয় টুর্নামেন্টে ক্রীড়া নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া কিছু অ্যাথলেট বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার গৌরব অর্জন করেছে।
 
== সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ==
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এতোদঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অন্যতম পীঠস্থান। স্বাধীনতা দিবসে প্রতিযোগিতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়ে থাকে। অতীতে বৃহত্তর এগারোখান অঞ্চলে একমাত্র বৈশাখ বরণ অনুষ্ঠান বাকড়ী বিদ্যালয়েই অনুষ্ঠিত হতো এবং এখনো হয়ে থাকে। অতীতে দুর্গা পূজা এবং স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষক – কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যাত্রা পালায় অভিনয় করত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকা হরিপদ সংগীত একাডেমী এবং অন্যান্য সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বদৌলতে ছাত্রছাত্রীরা নাচ – গানে মানসম্মত শিক্ষা লাভ করছে যার ফলে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।
 
== ফলাফল ==