সীরাতুল মুস্তফা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান (গণ-প্রতিস্থাপন)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১৯ নং লাইন:
| ধরন = [[ইসলাম|ইসলামি]]
| পটভূমি =
| প্রকাশিত = ১৯৪৭ (প্রথম ৩ খণ্ড) </br />১৯৬৬ (শেষ খণ্ড)
| প্রকাশক = *মদীনা পাবলিকেশন্স (বাংলা)
*[[ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]] (বাংলা)
৪৩ নং লাইন:
}}
 
'''''সীরাতুল মুস্তফা''''' ({{lang-ur|{{Nastaliq|سیرت المصطفیٰ}}}} ) হল [[পাকিস্তানি]] ইসলামি পন্ডিত [[মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি]] (১৯০১ — ১৯৭৪) রচিত ৪ খণ্ডে সমাপ্ত একটি [[সীরাহ|সীরাত]] বা শেষ নবীর জীবনী বিষয়ক গ্রন্থ। মূলত [[উর্দু ভাষা|উর্দুতে]] লেখা এ গ্রন্থটি আধুনিককালে রচিত অন্যতম জনপ্রিয় [[সীরাহ|সীরাত]] গ্রন্থ।<ref name="জাহান">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://shodhganga.inflibnet.ac.in:8080/jspui/handle/10603/176381|শিরোনাম=Contribution of Darul Uloom Deoband to Seerah literature|শেষাংশ=জাহান|প্রথমাংশ=ইব্রাত|তারিখ=২০১৩|প্রকাশক=আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়|পাতাসমূহ=|ভাষা=en |অন্যান্য=অধ্যায় ৩, পারা ১.৪, পৃষ্ঠা ১৯-২১ ও ১২৩|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.academia.edu/34921071/An_Overview_of_the_Sirah_Literature|শিরোনাম=An Overview of the Sirah Literature|শেষাংশ=ডক্টর|প্রথমাংশ=আশরাফ|তারিখ=২০১৭|সাময়িকী=[[জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া]]|পাতাসমূহ=১০ ও ২১,২২ পৃষ্ঠা|ভাষা=en|viaমাধ্যম=Sirah Convention-Cordoba-Linbro Park|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref><ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/255135/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%9F|শিরোনাম=সীরাত চর্চার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট|শেষাংশ=শাহ|প্রথমাংশ=হাফেজ ফজলুল হক|তারিখ=১৯ ডিসেম্বর ২০১৯|ওয়েবসাইট=দৈনিক ইনকিলাব|ভাষা=bn|অন্যান্য=১১ অনুচ্ছেদ|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-19}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.amadershomoy.com/bn/2017/12/10/397713.htm|শিরোনাম=বাংলা ভাষায় কালজয়ী ৯ সীরাতগ্রন্থ|শেষাংশ=মারুফ|প্রথমাংশ=আবদুল্লাহ|তারিখ=১০ ডিসেম্বর ২০১৭|ওয়েবসাইট=দৈনিক আমাদের সময়|অন্যান্য=অনুচ্ছেদ ৩|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-23}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2019/09/21/816966|শিরোনাম=মহানবী (সা.)-এর জীবনীমূলক কোন গ্রন্থ পড়ব|শেষাংশ=রাশেদ|প্রথমাংশ=রায়হান|তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯|ওয়েবসাইট=[[দৈনিক কালের কণ্ঠ]]|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-19}}</ref>
 
==বৈশিষ্ট্য==
৫২ নং লাইন:
==গঠন==
 
মূল [[উর্দু ভাষা|উর্দুতে]] ''সীরাতুল মুস্তফা'' ৪ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে কোনও কোনও সংস্করণে একে ৩ খণ্ডে অথবা পরিপূর্ণ ১ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি কি ইলমি খিদমাত আওর আহওয়াল ওয়া আছর|শেষাংশ=জাহিরুদ্দীন|প্রথমাংশ=মুহাম্মদ|তারিখ=১৯৭৪|সাময়িকী=পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, লাহোর|পাতা=পৃ. ১৭৯|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.meccabooks.com/1198-seerat-mustafa-abridged-9789695832417.html|শিরোনাম=সীরাতুল মুস্তফার সংক্ষেপিত সংস্করণ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=www.meccabooks.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-25}}</ref>
 
সীরাতে মুস্তফার ১ম খণ্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠার সমন্বয়ে গঠিত, এর শুরতে [[সীরাহ|সীরাতের]] প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করা হয়েছে। বাকী অংশে নবী মুহাম্মদের বংশ তালিকা, নবীর জন্মের পূর্বের ঘটনাবলী, নবীর শৈশবকাল এবং কৈশোর কাল থেকে [[মদিনা|মদিনায়]] [[হিজরত]] ও [[ইহুদি|ইহুদিদের]] সাথে চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।<ref name="জাহান২০১৩">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://shodhganga.inflibnet.ac.in:8080/jspui/handle/10603/176381|শিরোনাম=Contribution of Darul Uloom Deoband to Seerah literature|শেষাংশ=জাহান|প্রথমাংশ=ইব্রাত|তারিখ=২০১৩|প্রকাশক=আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়|পাতাসমূহ=|ভাষা=en |অন্যান্য=অধ্যায় ১, পারা ১.৪, পৃষ্ঠা ১৯-২০|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
দ্বিতীয় খণ্ড ২৫৫ পৃষ্ঠার সমন্বয়ে গঠিত, যা [[জিহাদ|জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ]] (আল্লাহর পথে যুদ্ধ) এবং [[দাস প্রথা|দাস প্রথার]] সমস্যাগুলি দিয়ে শুরু হয়। লেখক [[জিহাদ|জিহাদের]] অর্থ, পরিস্থিতি এবং উদ্দেশ্য, গুণাবলী, ধরণ এবং অন্যান্য প্রভাবকগুলির সাথে উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তারপরে তিনি [[দাসত্ব|দাসত্বের]] বিষয়টি গ্রহণ করেছেন এবং বিশদ বিবরণ বর্ণনা করেছেন। তিনি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় [[শিবলী নোমানী|শিবলী নোমানীর]] ভুল অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বইয়ের বেশিরভাগ অংশে [[বদরের যুদ্ধ|বদর]] ও [[উহুদের যুদ্ধ]] নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।<ref name="জাহান২০১৩" />
৬০ নং লাইন:
বইটির তৃতীয় খণ্ডটি যুদ্ধসমূহের সাথে সম্পর্কিত এবং এতে ৫১৪ পৃষ্ঠা রয়েছে। এই খণ্ডটি ৫ম হিজরিতে সংঘটিত যুদ্ধ দিয়ে শুরু হয় এবং এরপরে [[খন্দকের যুদ্ধ]], [[বনু কুরাইজা]], [[বাইয়াতে রিদওয়ান]] এবং [[হুদাইবিয়ার সন্ধি]], নবী পত্রে বর্ণিত বিভিন্ন দেশের রাজাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত, [[খায়বারের যুদ্ধ]], [[ফাদাক বিজয়]], [[মুতার যুদ্ধ]], [[মক্কা বিজয়]], [[হুনাইনের যুদ্ধ|হুনাইন]] ও [[তাবূকের যুদ্ধ]], প্রতিনিধি দলের বছর এবং [[বিদায় হজ্জ]] ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ণনার পরে তিনি [[রাসূল|রাসূলের]] দেহের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন এবং রাসূলের জীবন, [[খিলাফত|খিলাফতের]] বিষয়, উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। নবীর পোশাকের প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমা পোশাকের নিন্দা করেছেন। একটি দুই পৃষ্ঠার পরিশিষ্ট রয়েছে যাতে বহুভর্তৃকত্ব সংক্রান্ত আইনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।<ref name="জাহান২০১৩" />
 
চতুর্থ খণ্ডটি ১৩৪ পৃষ্ঠার এবং এটি পূর্ববর্তী তিনটি খণ্ডের একটি উপসংহার এবং [[নবী|নবীর]] সাথে সম্পর্কিত অলৌকিক বিষয়গুলির একটি আলোচনাও বহন করে। এর মধ্যে অন্যান্য নবী দ্বারা প্রদত্ত [[মুহাম্মদ|নবী মুহাম্মদ]] সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী এবং নবীর [[অলৌকিক ঘটনা|অলৌকিক ঘটনার]] বিবরণ রয়েছে। লেখক যুক্তি দিয়েছেন যে এই [[অলৌকিক ঘটনা|অলৌকিক ঘটনাগুলি]] তাঁর [[নবুয়াত|নবুওয়াতকে]] প্রমাণিত করে এবং প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি অলৌকিক ঘটনার ধরন ও সংখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে [[কুরআন]] ও [[হাদিস|হাদিস]] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা বহু লোক অনুসরণ করে। সর্বশেষ নবী আগমনের বিষয়ে তিনি অন্যান্য ঐশ্বরিক গ্রন্থ থেকে পূর্ববর্তী নবীগণের ভবিষ্যৎবাণী উদ্ধৃত করেছেন। তারপরে নবীর বিশেষ গুণাবলী নিয়ে বইটি শেষ করেছেন।<ref name="জাহান২০১৩" />
 
গ্রন্থের শুরুতে [[আশরাফ আলী থানভী]] লিখেছেন,
৬৬ নং লাইন:
 
== উৎস ==
এ সূত্রধর্মী গ্রন্থটি রচনায় লেখক [[কুরআন]] ও [[হাদিস|হাদিস]] গ্রন্থ সমূহকে মূল হিসেবে নিয়েছেন। হাদিস সমূহের মধ্যে বিশুদ্ধ হাদিসগুলোই সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। অন্যান্য সূত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে:
* [[তাফসির ইবনে কাসির|তাফসিরে ইবনে কাসির]] — আল্লামা [[ইবনে কাসির]] রচিত
* [[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া]] — আল্লামা [[ইবনে কাসির]] রচিত
৯৫ নং লাইন:
* ইংরেজি [https://kitaabun.com/shopping3/seeratul-mustafa-idrees-kaandhelwi-abridged-english-edition-p-5725.html ''সীরাতুল মুস্তফা'']
 
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:ইসলামী বই]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:সীরাত]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:ইসলাম বিষয়ক বই]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:ইসলামের ইতিহাস]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:১৯৪৭-এর বই]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:১৯৬৬-এর বই]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:ইসলামী সাহিত্য]]
[[বিষয়শ্রেণিবিষয়শ্রেণী:উর্দু ভাষার বই]]