তৌসিফ আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি! |
শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি! |
||
৮৮ নং লাইন:
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌত্রিশটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও সত্তরটি [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] অংশগ্রহণ করেছেন তৌসিফ আহমেদ। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে করাচীতে সফরকারী [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে একই মাঠে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচী টেস্টে নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে বোলিং করার সুযোগ পান। [[জহির আব্বাস]] ও নবনিযুক্ত পাকিস্তানী অধিনায়ক [[জাভেদ মিয়াঁদাদ|জাভেদ মিয়াঁদাদসহ]] ব্যবস্থাপক [[মুশতাক মোহাম্মদ|মুশতাক মুহাম্মদকে]] তার বোলিংয়ে বিমোহিত করেন। অনুশীলনীকালে [[ইমরান খান]] ও [[সরফরাজ নওয়াজ|সরফরাজ নওয়াজের]] সুপারিশক্রমে তৌসিফ আহমেদকে টেস্টে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। বেশ পরিশ্রমী খেলোয়াড় ইলিয়াস খানের<!-- Ilyas Khan --> পরিবর্তে খেলেন ও তাকে আর পাকিস্তানের পক্ষে খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি।<ref>{{cite web|first=Imran|last=Yusuf|title=Natural selection|url=http://blog.dawn.com/2009/06/24/natural-selection/|publisher=Dawn|date=24 June 2009|accessdate=10 May 2011}}</ref>
অভিষেক খেলায় ১২৬ রান খরচায় সাত উইকেট পান তিনি। তন্মধ্যে, [[কিম হিউজ|কিম হিউজকে]] দুইবার ও [[গ্রেগ চ্যাপেল|গ্রেগ চ্যাপেলকে]] একবার আউট করেন। ইকবাল কাশিমের সাথে ১৮ উইকেট পান। বাদ-বাকী দুই উইকেট ইমরান খান লাভ করেছিলেন। অভিষেককালীন তিনি প্রতিপক্ষীয় অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়দের কারো নাম জানতেন না।<ref>{{cite news|first=Chaudhry|last=Ijaz|title=The ability to spin is more important than line and length|url=http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/525835.html|publisher=[[Cricinfo]]|date=21 August 2011|accessdate=26 August 2011}}</ref> তিনি তার প্রথম সিরিজে ২৯ গড়ে ১২ উইকেট লাভ করেছিলেন।
== শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি ==
এরপর তাকে আরও দুই বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিভক্তি হয়ে পড়া পাকিস্তান দলের পক্ষে খেলেন। আবারও তিনি তার দক্ষতা প্রদর্শনে সচেষ্ট হন। এ সময়ে তিনি ইকবাল কাশিমের সাথে কার্যকর বোলিং জুটি গড়েন। ১৯৮২ সালে ইমরান খানের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্তির ফলে তাকে আরও কঠিন সময় অতিক্রান্ত করতে হয়। রিস্ট স্পিনারদের প্রতি নমনীয় থাকায় ইমরান খান আব্দুল কাদিরের উত্থানে বিশাল ভূমিকা রাখেন ও তাকে পাকিস্তানের প্রধান স্পিনার হিসেবে দলে রাখতেন। অবশেষে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে দলে স্বীয় স্থান পাকাপোক্ত করেন।
১৯৮৫ সালে করাচী টেস্টে ৫/৫৪ পান ও দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। পরবর্তীতে, ১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কায় ফিরতি সফরে ক্যান্ডি টেস্টে ৭৭ রান খরচায় ৯ উইকেট পান। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৬/৪৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। পাকিস্তানের ২৩০ রানের জবাবে স্বাগতিকরা ১০১ ও ১০৯ রানে গুটিয়ে গেলে তার দল ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয়। কয়েক সপ্তাহ পর শারজায় একদিনের খেলায় ব্যতিক্রমী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ এক রান নিয়ে জাভেদ মিয়াঁদাদকে শেষ বলে বিশাল ছক্কা হাঁকাতে সহায়তা করেছিলেন তিনি।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় ১৬ রানের জয়ে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন। ঐ টেস্টে [[সুনীল গাভাস্কার]] মহাকাব্যিক ৯৬ রান তুলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছিলেন। দুই বছর পর করাচীতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলায় ৪৭.৪-২৮-৪৪-৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। তার বোলিং গড়ে আবদুল কাদিরের চেয়ে ভালো ছিল।
|