ইমরুল কায়েস (কবি): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১১ নং লাইন:
তার পিতার সাথে বৈসাদৃশ্যের আরেকটি কারণ হলো ইমরুল কায়েস অতিরিক্ত মদ্যপায়ী ও মহিলার প্রতি আকর্ষণ। একটি কাহিনী থেকে জানা যায় ইমরুল কায়েস তার চাচাতো বোন উনাইযা কে ভালোবাসতো, তাকে বিয়ে করার চেষ্টা ব্যর্থ হলে তার সাথে গোপনে সম্পর্ক রাখতে চায়, যা তার পরিবারের জন্য লজ্জাজনক, এ কারণে তাকে তার পিতা বর্জন করে। আরেকটি কাহিনী থেকে জানা যায় ইমরুল কায়েস তার পিতার স্ত্রীদের ও দাসীদের নিয়ে বাজে কবিতা চয়ন করেন, একারণে তাকে বর্জন করা হয়।<ref name="Makki 2005, pg 215">Makki 2005, pg 215</ref> কারণ যাই হোক না কেন অধিকাংশ কাহিনী একমত যে, হূযর তার পুত্রের আচরণে ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন।
 
==বাবার মৃত্যুবরনমৃত্যুবরণ==
কিছু কাহিনী থেকে জানা যায়, যখন ইমরুল কায়েসের পিতা নিহত হন তখন তিনি তার বাবার সৈন্যবাহিণীরসৈন্যবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন, কিন্ত এই ব্যাপারে সবাই একমত নয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাহিনী ইবনে আল-কালবি থেকে জানা যায়, ইবনে আল-কালবির মতে, যখন তার পিতা মারা যান তখন তিনি নির্বাসনে ছিলেন। পিতার মৃত্যুসংবাদ যখন তার কাছে পৌছায়পৌঁছায় তখন তিনি তার বন্ধুদের সাথে আনন্দ ফুর্তিতে লিপ্ত ছিলেন। মৃত্যু সংবাদ শোনার পর তিনি বলেন, আল্লাহ আমার পিতার প্রতি দয়াবান হোক। যখন আমি ছোটো ছিলাম তিনি আমাকে বিপথে ঠেলে দিয়েছেন, এখন আমি পুর্নবয়স্কপূর্ণবয়স্ক আর তার মৃত্যুতে ভারাক্রান্ত। আজ কোনো সতর্কতা থাকবেনা এবং কাল থাকবেনা কোনো উন্মত্ততা। তার বিখ্যাত উদ্ধৃতি: "আজকের দিন শুরা পানের আর কালকের দিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের।" (আরবিতেঃ "اليوم خمر وغداً أمر") <ref name="almoallaqat1"/>
 
বলা হয় যে ইমরুল কায়েসের ভাইদের মধ্যে তিনিই ছিলেন পিতার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার মতো একমাত্র দায়িত্ববান।<ref name="Makki 2005, pg 220">Makki 2005, pg 220</ref> একটি কাহিনী থেকে জানা যায় যে, আসাদ গোত্র তার কাছে একজন গোয়েন্দা প্রেরণ করে এবং তাকে তিনটি উপায়ন্তর প্রদান করে, তিনি তার পিতার হত্যার বদলে তাদের কোনো উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে হত্যা করবেন অথবা তিনি সহস্র ভেড়া ও উটের সমপরিমাণ অর্থমূল্য গ্রহণ করবেন অথবা তিনি তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন সেক্ষেত্রে তাদের প্রস্তুতির জন্য একমাস সময় দিতে হবে। ইমরুল কায়েস তৃতীয় উপায় পছন্দ করলেন। বকর ও তাগলিব গোত্র তাকে সমর্থন জানালো এবং আসাদ গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে অসংখ্য লোককে হত্যা করলো। বকর ও তাগলিব গোত্র যখন বুঝলো যে, হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য যথেষ্ট লোককে হত্যা করা হয়েছে তখন তারা তাদের সমর্থন তুলে নিলো।<ref name="almoallaqat1"/>