সোনালী চাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
FuadTanvir025 (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন:
 
== ভূমিকা ==
গোল্ডেন রাইস [[:en:Oryza_sativaOryza sativa|এশিয়ান ধানের]] একটি জাত। [[:en:Genetic_engineeringGenetic engineering|জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং]] প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ধানে বিটা ক্যারোটিন যুক্ত করা হয়। [[:en:Beta-carotene|বিটা ক্যারোটিন]] থেকে মানুষের শরীরে [[:en:Retinol|ভিটামিন এ]] তৈরি হয়।<ref name="ui.adsabs.harvard.edu">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://ui.adsabs.harvard.edu/abs/2000Sci...287..303Y/abstract|শিরোনাম=Engineering the Provitamin A (β-Carotene) Biosynthetic Pathway into (Carotenoid-Free) Rice Endosperm|শেষাংশ=Ye|প্রথমাংশ=Xudong|শেষাংশ২=Al-Babili|প্রথমাংশ২=Salim|শেষাংশ৩=Klöti|প্রথমাংশ৩=Andreas|শেষাংশ৪=Zhang|প্রথমাংশ৪=Jing|শেষাংশ৫=Lucca|প্রথমাংশ৫=Paola|শেষাংশ৬=Beyer|প্রথমাংশ৬=Peter|শেষাংশ৭=Potrykus|প্রথমাংশ৭=Ingo|তারিখ=2000-01|সাময়িকী=Science|খণ্ড=287|সংখ্যা নং=5451|পাতাসমূহ=303–305|ভাষা=en|doiডিওআই=10.1126/science.287.5451.303|issn=0036-8075}}</ref> <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=Maternal and child undernutrition: global and regional exposures and health consequences|শেষাংশ=Black RE et al|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=The Lancet, 2008|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> প্রতিবছর [[:en:Vitamin_A_deficiencyVitamin A deficiency|ভিটামিন এ-র অভাবে]] সারাবিশ্বে প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার শিশু মারা যায়, যাদের বয়স পাঁচ বছরেরও কম।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://whqlibdoc.who.int/bulletin/1992/Vol70-No2/bulletin_1992_70(2)_225-232.pdf|শিরোনাম=Vitamin A deficiency and attributable mortality
among under-5-year-olds|শেষাংশ=Humphrey, J.H.; West, K.P. Jr; Sommer, A.|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=Bulletin of the World Health Organization|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> এছাড়াও, একই কারণে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু অন্ধ হয়ে যায়।<ref name=":0">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4061092/|শিরোনাম=Genetic Stability Developed for β-Carotene Synthesis in BR29 Rice Line Using Dihaploid Homozygosity|শেষাংশ=Datta|প্রথমাংশ=Karabi|শেষাংশ২=Sahoo|প্রথমাংশ২=Gayetri|শেষাংশ৩=Krishnan|প্রথমাংশ৩=Sellappan|শেষাংশ৪=Ganguly|প্রথমাংশ৪=Moumita|শেষাংশ৫=Datta|প্রথমাংশ৫=Swapan K.|তারিখ=2014-06-17|সাময়িকী=PLoS ONE|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=6|doiডিওআই=10.1371/journal.pone.0100212|issn=1932-6203|pmc=4061092|pmid=24937154}}</ref> এই শিশুদের একটা বড় অংশ এমন সব দেশে বাস করে যেখানকার মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। ভিটামিন এ-র অভাব দূর করতে অন্যান্য কার্যক্রম যেমন শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো বা উন্নত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি অন্যতম কার্যকর উপায় হিসেবে উদ্ভাবিত হয়েছে গোল্ডেন রাইস।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://whqlibdoc.who.int/publications/2009/9789241598019_eng.pdf|শিরোনাম=Global Prevalence Of Vitamin A Deficiency in Populations At Risk 1995–2005|শেষাংশ=Staff (2009|প্রথমাংশ=|তারিখ=10 October 2011|সাময়িকী=WHO Global Database on Vitamin A Deficiency. Geneva, World Health Organization|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। এশিয়ার অনেক দেশেই মানুষের শরীরের ৩০ থেকে ৭২ ভাগ শক্তির যোগান দেয় ভাত। সাধারণত, ভাতের রং হয় সাদা। তবে গোল্ডেন রাইসে বিটা ক্যারোটিন থাকায় এর রং হয় উজ্জ্বল হলুদ বা সোনালী।
[[চিত্র:Golden Rice-2.jpg|থাম্ব|ফিলিপাইনের উৎপাদিত গোল্ডেন রাইসের ধান, IRRI]]
== ভিটামিন এ-র অভাব: বৈশ্বিক চিত্র ==
যে গবেষণাটি বিজ্ঞানীদেরকে গোল্ডেন রাইস উদ্ভাবনের দিকে নিয়ে যায়, সেটি পরিচালিত হয়েছিল [[:en:Vitamin_A_deficiencyVitamin A deficiency|ভিটামিন এ-র অভাবে]] ভুগতে থাকা শিশুদেরকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে। ২০০৫ সালের একটি আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, ১২২টি দেশের ১৯ কোটি শিশু ও ১ কোটি ৯০ লাখ গর্ভবতী নারী ভিটামিন এ-র অভাবজনিত সমস্যয় ভুগছেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://whqlibdoc.who.int/publications/2009/9789241598019_eng.pdf|শিরোনাম=Global Prevalence Of Vitamin A Deficiency in Populations At Risk 1995–2005|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=Geneva, World Health Organization|সংগ্রহের-তারিখ=10 October 2011}}</ref> প্রতি বছর ১০ থেকে ২০ লাখ মৃত্যু, প্রায় ৫ লাখ স্থায়ী [[:en:Blindness|অন্ধত্ব]] এবং আরো কয়েক মিলিয়ন [[:en:Xerophthalmia|জেরোফথালমিয়া]] রোগের (চক্ষু শুষ্কতাজনিত রোগ) জন্য দায়ী ভিটামিন এ-র ঘাটতি।<ref name=":0" />
 
বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রায় ৩০ শতাংশ ভিটামিন এ-র অভাবে ভুগছে। এই শিশুদের শতকরা দুইজনের মৃত্যুর কারণ ভিটামিন এ-র অভাব।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thelancet.com/action/showPdf?pii=S2214-109X%2815%2900039-X|শিরোনাম=Trends and mortality eff ects of vitamin A defi ciency in children
২৪ ⟶ ২৫ নং লাইন:
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার হলো মাছ, মাংস, ফলমূল ও শাকসবজি। এসব খাবার দরিদ্র মানুষেরা সবসময় কিনে খেতে পারেন না। [https://pksf-bd.org/web/ পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)]-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। পরিবার হিসেবে ধরলে সংখ্যাটা প্রায় ৫০ লাখ। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ পরিবারেরই মাসিক আয় ২ হাজার টাকার কম। ফলে, এসব পরিবারের মানুষদের মধ্যে ভিটামিন এ-র অভাব থেকে যাওয়ার একটা বড় ঝুঁকি থাকে। এসব কিছু বিবেচনা করেই দরিদ্র মানুষদের ভাতের মাধ্যমে ভিটামিন এ সরবরাহ করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন করা হয় গোল্ডেন রাইস।
== গোল্ডেন রাইস নিয়ে গবেষণা ==
১৯৮২ সালে গোল্ডেন রাইস উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেয় [[:en:Rockefeller_FoundationRockefeller Foundation|রকফেলার ফাউন্ডেশন]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.goldenrice.org/Content3-Why/why3_FAQ.php#Inventors|শিরোনাম=Frequently asked questions (1)|শেষাংশ=Courtesy www.openwebdesign.org / Modified: Jorge Mayer|ওয়েবসাইট=www.goldenrice.org|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> তবে, মূল গবেষণা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। ওই বছর [[:en:ETH_ZürichETH Zürich|সুইস ফেডারাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির]] গবেষক [[:en:Ingo_PotrykusIngo Potrykus|ইঙ্গো পোট্রিকাস]] এবং [[:en:Peter_BeyerPeter Beyer|ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধ্যাপক [[:en:Peter_BeyerPeter Beyer|পিটার বায়ার]] গোল্ডেন রাইস উদ্ভাবনের জন্য কাজ শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তাদের গবেষণা শেষ হয়। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের [[:en:Science_Science (journal)|সায়েন্স ম্যাগাজিনে]] এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএলname=https://"ui.adsabs.harvard.edu"/abs/2000Sci...287..303Y/abstract|শিরোনাম=Engineering the Provitamin A (β-Carotene) Biosynthetic Pathway into (Carotenoid-Free) Rice Endosperm|শেষাংশ=Ye|প্রথমাংশ=Xudong|শেষাংশ২=Al-Babili|প্রথমাংশ২=Salim|শেষাংশ৩=Klöti|প্রথমাংশ৩=Andreas|শেষাংশ৪=Zhang|প্রথমাংশ৪=Jing|শেষাংশ৫=Lucca|প্রথমাংশ৫=Paola|শেষাংশ৬=Beyer|প্রথমাংশ৬=Peter|শেষাংশ৭=Potrykus|প্রথমাংশ৭=Ingo|তারিখ=2000-01|সাময়িকী=Science|খণ্ড=287|সংখ্যা নং=5451|পাতাসমূহ=303–305|ভাষা=en|doi=10.1126/science.287.5451.303|issn=0036-8075}}</ref> গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হলে [[:en:Biotechnology|জীবপ্রযুক্তি]] ক্ষেত্রে বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। কারণ, এই ধান উদ্ভাবন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা পূর্ণাঙ্গ একটি [[:en:Biosynthesis|জৈব-সংশ্লেষণ]] ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
 
== উদ্ভাবন পরবর্তী পরীক্ষা নিরীক্ষা ==
গোল্ডেন রাইসের ওপর সর্বপ্রথম বড় পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিলো ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের [[:en:Louisiana_State_UniversityLouisiana State University|লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে]]।<ref name="web.archive.org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070928171832/http:/www.lsuagcenter.com/news_archive/2004/October/Headline+News/Golden+Rice+Could+Help+Malnutrition.htm|শিরোনাম=LSU AgCenter . 'Golden Rice' Could Help Malnutrition|তারিখ=2007-09-28|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> এরপর [[:en:Philippines|ফিলিপাইন]] ও [[:en:Taiwan|তাইওয়ানে]]<nowiki/>ও ধানটির পরীক্ষামূলক চাষাবাদ হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/frontpage/worlds-first-golden-rice-ready-trial-153676|শিরোনাম=World's first 'Golden Rice' ready for trial|তারিখ=2015-10-08|ওয়েবসাইট=The Daily Star|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.goldenrice.org/Content2-How/how8_tests.php|শিরোনাম=Testing the performance of Golden Rice|ওয়েবসাইট=www.goldenrice.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> এসব পরীক্ষামূলক চাষাবাদ থেকে ধানটির পুষ্টিগুণের ব্যাপারে যথাযথ ধারণা পাওয়া যায়। প্রাথমিক এসব পরীক্ষায় দেখা যায়, মাঠে উৎপাদিত গোল্ডেন রাইস গ্রিনহাউসে উৎপাদিত গোল্ডেন রাইসের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি বিটা-ক্যারোটিন তৈরি করে।<ref name="web.archive.org"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://investvine.com/gm-rice-field-destroyed-by-activists-in-the-philippines/|শিরোনাম=GM rice field destroyed by activists in the Philippines|শেষাংশ=Maierbrugger|প্রথমাংশ=Arno|তারিখ=2013-08-10|ওয়েবসাইট=Investvine|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070928171832/http:/www.lsuagcenter.com/news_archive/2004/October/Headline+News/Golden+Rice+Could+Help+Malnutrition.htm|শিরোনাম=LSU AgCenter . 'Golden Rice' Could Help Malnutrition|তারিখ=2007-09-28|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref>
 
== গোল্ডেন রাইস-২ ==
৩৪ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
 
== খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিবিষয়ক গবেষণা ==
২০০৬ সালে [[:en:University_of_NebraskaUniversity of Nebraska|নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] এক গবেষণায় দেখা যায়, গোল্ডেন রাইস-২ খেলে এলার্জির সমস্যা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ajcn.nutrition.org/content/89/6/1776.full.pdf|শিরোনাম=Golden Rice is an effective source of vitamin A|শেষাংশ=Guangwen Tang, Jian Qin, Gregory G Dolnikowski, Robert M Russell, Michael A Grusak|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=American Journal of Clinical Nutrition, 2009|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> ২০০৯ সালে [[:en:American_Journal_of_Clinical_NutritionAmerican Journal of Clinical Nutrition|আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন]] এর একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, গোল্ডেন রাইসের বিটা-ক্যারোটিন মানুষের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। [[:en:American_Society_for_NutritionAmerican Society for Nutrition|আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রশন]] এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এক কাপ গোল্ডেন রাইস থেকেই একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক ভিটামিন এ পাওয়া সম্ভব।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://asn-cdn-remembers.s3.amazonaws.com/1247eb83af3c2c77fb8cf75d5e158f1f.pdf|শিরোনাম=Researchers Determine That Golden Rice Is an Effective Source of Vitamin A|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=American Society of Nutrition|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.goldenrice.org/PDFs/GR_bioavailability_AJCN2012.pdf|শিরোনাম=β-Carotene in Golden Rice is as good as β-Carotene in oil at providing vitamin A to children|শেষাংশ=Guangwen Tang, Yuming Hu, Shi-an Yin, Yin Wang, Gerard E Dallal, Michael A Grusak, and Robert M Russell|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=Am J Clin Nutr 2012|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
২০১২ সালের আগস্টে, আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ গবেষণায় যুক্ত ছিল [[:en:Tufts_UniversityTufts University|টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়]]<nowiki/>সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। গবেষণাটিতে দেখা যায়, গোল্ডেন রাইস থেকে পাওয়া ভিটামিন এ বিভিন্ন ভোজ্য তেল থেকে পাওয়া ভিটামিন এ-র মতোই কার্যকর।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.newscientist.com/article/mg23831802-500-gm-golden-rice-gets-approval-from-food-regulators-in-the-us/|শিরোনাম=GM golden rice gets approval from food regulators in the US|শেষাংশ=Coghlan|প্রথমাংশ=Andy|ওয়েবসাইট=New Scientist|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref>
 
২০১৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর গোল্ডেন রাইসকে মানব খাদ্য ও পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাত করার অনুমোদন দেয় ফিলিপাইনের জীবপ্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক কর্তপক্ষ ।কর্তপক্ষ। এর আগে একই বছরের অক্টোবর মাসে পরিবেশের ওপর গোল্ডেন রাইসের প্রভাব পরীক্ষার জন্য ফিল্ড ট্রায়ালের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার।
 
গবেষকরা দেখেছেন, গোল্ডেন রাইসের বিটা ক্যারোটিন মাত্র ৩-৫ গ্রাম চর্বিতেই দ্রবীভূত হতে পারে। ফলে, এই চালের ভাতের সাথে খুব বেশি পরিমাণে তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া, মানুষের শরীরে থাকা চর্বিও বিটা ক্যারোটিনকে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে।
 
== জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর গোল্ডেন রাইসের প্রভাব ==
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের [[:en:Food_and_Drug_AdministrationFood and Drug Administration|ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেসশন]] (এফডিএ) পরিবেশের জন্য এই ধানকে নিরাপদ ঘোষণা করে। একই বছর, [[:en:Health_CanadaHealth Canada|হেলথ কানাডা]] এবং [[:en:Food_Standards_Australia_New_ZealandFood Standards Australia New Zealand|ফুড স্ট্যান্ডার্ডস অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড]] এর মত প্রতিষ্ঠানও গোল্ডেন রাইসের জৈব নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ফিলিপাইন সরকার মানব খাদ্য ও পশু খাদ্য হিসেবে গোল্ডেন রাইসকে নিরাপদ ঘোষণা করে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় বোরো ধান ব্রি-২৯-এ ভুট্টা থেকে বিশেষ জিনটি এনে যোগ করে উদ্ভাবন করা হয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ গোল্ডেন রাইস। ব্রি-২৯ এবং গোল্ডেন রাইসের মধ্যে ভিটামিন এ-র উপস্থিতি এবং সোনালী রঙ ছাড়া আর কোনও পার্থক্য নেই। বহু বছর ধরে [[:en:Bangladesh_Rice_Research_InstituteBangladesh Rice Research Institute|বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)]]-এর গবেষকরা এই ধান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি মানব শরীর, পশুপাখি ও পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
 
== গোল্ডেন রাইস উদ্ভাবন ও বিস্তারে ইরির ভূমিকা ==
গোল্ডেন রাইসকে একটি স্বাভাবিক খাদ্য হিসেবে চালু করতে এবং এর গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে [[:en:International_Rice_Research_InstituteInternational Rice Research Institute|আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট]] (ইরি) ও এর বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। [[:en:Department_of_Agriculture_Department of Agriculture (Philippines)|ফিলিপাইন ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার]], [[:en:Philippine_Rice_Research_InstitutePhilippine Rice Research Institute|ফিলিপাইন রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট]], বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং ইন্দোনেশিয়ান সেন্টার ফর রাইস রিসার্চ একইসাথে গোল্ডেন রাইসের ভিন্ন ভিন্ন জাত তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। একটি দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেওয়ার পর এই ধান থেকে তৈরি চাল ও ভাত সরাসরি খাওয়া নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে ইরি। পর্যাপ্ত ভিটামিন এ সরবরাহ করার পাশাপাশি এসব ধান যেন মানুষ, পশু-পাখি ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ হয়, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্বও ইরির। একই সাথে, কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে গোল্ডেন রাইস পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করছে ইরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর সাশ্রয়ী ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে গোল্ডেন রাইস পৌঁছে দেয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
== অনুমোদন ==
২০১৮ সালে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ হেলথ কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের [[:en:Food_and_Drug_AdministrationFood and Drug Administration|ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন]] (এফডিএ) গোল্ডেন রাইসকে খাদ্য হিসেবে নিরাপদ ঘোষণা করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.canada.ca/errors/403.html|শিরোনাম=Forbidden|শেষাংশ=Canada|প্রথমাংশ=Service|তারিখ=2015-10-23|ওয়েবসাইট=aem|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> এছাড়াও, হেলথ কানাডা জানায়, গোল্ডেন রাইস খেলে [[:en:Allergy|অ্যালার্জির]] সমস্যা হয় না। সংস্থাটির মতে, গোল্ডেন রাইসের পুষ্টিগুণ অন্যান্য ধানের মতই স্বাভাবিক।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.irri.org/news-and-events/news/philippines-approves-golden-rice-direct-use-food-and-feed-or-processing|শিরোনাম=Philippines approves Golden Rice for direct use as food and feed, or for processing|তারিখ=2019-12-18|ওয়েবসাইট=International Rice Research Institute|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> ২০১৯ সালে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির স্বাভাবিক খাদ্য হিসেবে গোল্ডেন রাইসের ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অনুমোদন দেয় [[:en:Philippines|ফিলিপাইন]]।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nature.com/articles/nbt1082|শিরোনাম=Improving the nutritional value of Golden Rice through increased pro-vitamin A content|শেষাংশ=Paine|প্রথমাংশ=Jacqueline A.|শেষাংশ২=Shipton|প্রথমাংশ২=Catherine A.|শেষাংশ৩=Chaggar|প্রথমাংশ৩=Sunandha|শেষাংশ৪=Howells|প্রথমাংশ৪=Rhian M.|শেষাংশ৫=Kennedy|প্রথমাংশ৫=Mike J.|শেষাংশ৬=Vernon|প্রথমাংশ৬=Gareth|শেষাংশ৭=Wright|প্রথমাংশ৭=Susan Y.|শেষাংশ৮=Hinchliffe|প্রথমাংশ৮=Edward|শেষাংশ৯=Adams|প্রথমাংশ৯=Jessica L.|তারিখ=2005-04|সাময়িকী=Nature Biotechnology|খণ্ড=23|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=482–487|ভাষা=en|doiডিওআই=10.1038/nbt1082|issn=1546-1696}}</ref> তবে, ফিলিপাইনে বাণিজ্যকভাবে উৎপাদনের অনুমোদন পেতে হলে গোল্ডেন রাইসকে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
 
== বিতর্ক ==
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসলের সমালোচকেরা গোল্ডেন রাইসের ব্যাপারে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে থাকেন। যেমন, প্রথমে বলা হয়েছিল, এই ধানে আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন নেই। এ অভিযোগটি যখন করা হয়, তখন গোল্ডেন রাইস ছিল একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। ২০০৫ সালে গোল্ডেন রাইস-২ উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হয়। প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয় গোল্ডেন রাইসে ২৩% পর্যন্ত বেশি বিটা ক্যারোটিন পাওয়া গেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.gmwatch.org/files/golden-rice-10yrs-on.pdf|শিরোনাম=The campaign for genetically modified rice is at the crossroads: A critical look at Golden Rice after nearly 10 years of development|শেষাংশ=Then, C|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=Foodwatch in Germany|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
এছাড়া, দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করলে কিংবা রান্না করলে গোল্ডেন রাইসে কতটা বিটা ক্যারোটিন বজায় থাকে, তা নিয়েও বিতর্ক হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2682994/|শিরোনাম=Golden Rice is an effective source of vitamin A1234|শেষাংশ=Tang|প্রথমাংশ=Guangwen|শেষাংশ২=Qin|প্রথমাংশ২=Jian|শেষাংশ৩=Dolnikowski|প্রথমাংশ৩=Gregory G|শেষাংশ৪=Russell|প্রথমাংশ৪=Robert M|শেষাংশ৫=Grusak|প্রথমাংশ৫=Michael A|তারিখ=2009-6|সাময়িকী=The American Journal of Clinical Nutrition|খণ্ড=89|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=1776–1783|doiডিওআই=10.3945/ajcn.2008.27119|issn=0002-9165|pmc=2682994|pmid=19369372}}</ref> বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর গবেষণায় দেখা গেছে, রান্নার সময় মাত্র ২৫% বিটা ক্যারোটিন নষ্ট হয়, অর্থাৎ বাকি ৭৫% বিটা ক্যারোটিন অক্ষুন্ন থাকে। এছাড়াও, ব্রি-এর গবেষণায় আরো দেখা গেছে যে, দীর্ঘদিন মজুদ করে রাখলে গোল্ডেন রাইসের বিটা ক্যারোটিন কমতে কমতে একটা পর্যায়ে এসে স্থির হয়, এরপর আর কমে না। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় [[:en:Half-life|হাফ লাইফ]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://p3-raw.greenpeace.org/international/en/news/features/failures-of-golden-rice/|শিরোনাম='Golden' rice: All glitter, no gold|ওয়েবসাইট=Greenpeace International|ভাষা=en-GB|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref>
 
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনপিস গোল্ডেন রাইসের সমালোচনা করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.greenpeace.org/international/Global/international/planet-2/report/2005/5/all-that-glitters-is-not-gold.pdf|শিরোনাম=All that Glitters is not Gold: The False Hope of Golden Rice Archived|শেষাংশ=Greenpeace|প্রথমাংশ=|তারিখ=2013-08-01|সাময়িকী=Wayback Machine|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> সংস্থাটির মতে, এই ধান বাজারজাত করলে কৃষিখাতে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম (জিএমও) এর ব্যবহার বেড়ে যাবে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://irri.org/golden-rice/faqs/are-private-companies-involved-in-the-golden-rice-project|শিরোনাম=Are private companies involved in the Golden Rice project?|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=IRRI. 2014. FAQ|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> তবে ইরি সবসময়ই বলে আসছে যে, তাদের এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ অলাভজনক। কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানই তাদের গবেষণার রয়্যালটি হিসেবে ইরি অথবা জাতীয় ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোনো টাকা পাবে না। পাশাপাশি, ইরি উদ্ভাবিত গোল্ডেন রাইসের প্রচারণা অথবা বিক্রি থেকেও এসব প্রতিষ্ঠানের কেউ কোনো টাকা পাবে না।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160203145910/http:/www.gatesfoundation.org/What-We-Do/Global-Development/Agricultural-Development/Golden-Rice|শিরোনাম=Golden Rice - Bill & Melinda Gates Foundation|তারিখ=2016-02-03|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> গোল্ডেন রাইস মূলত দরিদ্র মানুষদের, যারা ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার কিনে খেতে পারেন না, তাদের কথা মাথায় রেখে উদ্ভাবিত হয়েছে। অর্থাৎ, তাদের জন্য সহজলভ্য পুষ্টির একটি উৎস হলো গোল্ডেন রাইস। এ কারণে গোল্ডেন রাইসের দাম হবে দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে।
৫৯ ⟶ ৬০ নং লাইন:
 
== আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সমর্থন ==
বিশ্বব্যাপী কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে গোল্ডেন রাইসসহ [[:en:Genetically_modified_organismGenetically modified organism|জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসলের]] প্রতি সর্বদাই সমর্থন ব্যক্ত করে আসছে [[:en:Bill_and_Melinda_Gates_FoundationBill and Melinda Gates Foundation|বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন]]। সংস্থাটি গোল্ডেন রাইস উৎপাদনে ইরিকে সহযোগিতা করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.supportprecisionagriculture.org/nobel-laureate-gmo-letter_rjr.html|শিরোনাম=Laureates Letter Supporting Precision Agriculture (GMOs) {{!}} Support Precision Agriculture|ওয়েবসাইট=www.supportprecisionagriculture.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref>
 
২০১৬ সালের জুন মাসে   ১০৭ জন [[:en:Nobel_laureatesNobel laureates|নোবেলজয়ী]] বিজ্ঞানী একটি চিঠির মাধ্যমে গোল্ডেন রাইস আবিষ্কারের বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিয়ে এর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.washingtonpost.com/news/speaking-of-science/wp/2016/06/29/more-than-100-nobel-laureates-take-on-greenpeace-over-gmo-stance/|শিরোনাম=107 Nobel laureates sign letter blasting Greenpeace over GMOs|শেষাংশ=Achenbach|প্রথমাংশ=Joel|কর্ম=Washington Post|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12|ভাষা=en-US|issn=0190-8286}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.supportprecisionagriculture.org/Good_news_from_the_Philippines.html|শিরোনাম=Good news from the Philippines {{!}} Support Precision Agriculture|ওয়েবসাইট=www.supportprecisionagriculture.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> এছাড়াও, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৫১ জন নোবেলজয়ীসহ মোট ১৩,৪৪৩ জন মানুষ ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইসের অনুমোদনকে স্বাগত জানান।[36]
 
== পুরষ্কার ও সম্মাননা ==
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের [[:en:United_States_Patent_and_Trademark_OfficeUnited States Patent and Trademark Office|পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস]] এর [[:en:Patents_for_HumanityPatents for Humanity|পেটেন্টস ফর হিউম্যানিটি]] পুরষ্কার পায় গোল্ডেন রাইস।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ipwatchdog.com/2015/04/20/patents-for-humanity-awards-ceremony-at-the-white-house/id=57015/|শিরোনাম=Patents for Humanity Awards Ceremony at the White House|তারিখ=2015-04-20|ওয়েবসাইট=IPWatchdog.com {{!}} Patents & Patent Law|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1539367/|শিরোনাম=Golden Rice and Beyond|শেষাংশ=Potrykus|প্রথমাংশ=I.|তারিখ=2001-3|সাময়িকী=Plant Physiology|খণ্ড=125|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=1157–1161|issn=0032-0889|pmc=1539367|pmid=11244094}}</ref>
 
== বিতরণ ==
২০০০ সালে [[:en:Time_Time (magazine)|টাইম ম্যাগাজিনে]] গোল্ডেন রাইস নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই সময়ে আরো বিভিন্ন দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গোল্ডেন রাইসের [[:en:Humanitarian_use_licensesHumanitarian use licenses|লাইসেন্স উন্মুক্ত]] করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://content.time.com/time/magazine/article/0,9171,997586,00.html|শিরোনাম=This Rice Could Save a Million Kids a Year|শেষাংশ=Nash|প্রথমাংশ=J. Madeleine|তারিখ=2000-07-31|কর্ম=Time|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12|ভাষা=en-US|issn=0040-781X}}</ref> [[:en:Monsanto_CompanyMonsanto Company|মনস্যান্টো কোম্পানি]]<nowiki/>সহ বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয় পেটেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://en.wikipedia.org/w/index.php?title=PubMed_Central&oldid=995800215|শিরোনাম=PubMed Central|তারিখ=2020-12-22|সাময়িকী=Wikipedia|ভাষা=en}}</ref>
 
মানবিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের মধ্যে ১০,০০০ [[:en:US$|ডলারের]] একটি সীমা ধার্য করে দেয়া হয়। ফলে, কোনো কৃষক যদি বছরে এ পরিমাণ অর্থ উপার্জন না করেন, তাহলে তাকে ওই ধানের পেটেন্টের জন্য কোনো মূল্য শোধ করতে হবে না। এছাড়া, গোল্ডেন রাইসের বীজ সংরক্ষণ ও পুণরায় ব্যবহারের অনুমতিও দেয়া হয়েছে কৃষকদেরকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.goldenrice.org/Content3-Why/why3_FAQ.php#Licence|শিরোনাম=Frequently asked questions (1)|শেষাংশ=Courtesy www.openwebdesign.org / Modified: Jorge Mayer|ওয়েবসাইট=www.goldenrice.org|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-01-12}}</ref> অর্থাৎ, বাংলাদেশের কৃষকরা যেভাবে সম্পূর্ণ নিজেদের মতো করে ব্রি২৯ ধানের বীজ সংরক্ষণ করে থাকেন এবং তা দিয়ে প্রতি বছর চাষ করে থাকেন, সেই একই প্রক্রিয়াতেই তারা গোল্ডেন রাইসের বীজও সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং তা দিয়ে গোল্ডেন রাইস উৎপাদন করতে পারবেন।
৭৪ ⟶ ৭৫ নং লাইন:
বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। এদেশের দরিদ্র মানুষেরা মাছ, মাংস ও ফলমূল নিয়মিত খেতে না পারলেও দু-বেলা ভাত খাওয়ার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। সুতরাং, শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য তারা ভাতের ওপরই নির্ভরশীল। অথচ বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ধান শুধু শর্করা এবং আমিষের অভাবই পূরণ করে। ফলে, এই দরিদ্র মানুষেরা ভিটামিন-এ-র মত অন্যান্য পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হন।
 
গত তিন দশকে ভিটামিন এ-র ঘাটতি দূর করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ০-৫ বছর বয়সী শিশুদের রাতকানা রোগের হার কমেছে। তবে দেশের মানুষের মধ্যে ভিটামিন এ-র ঘাটতি এখনো আছে। [[:en:International_Centre_for_Diarrhoeal_Disease_ResearchInternational Centre for Diarrhoeal Disease Research,_Bangladesh Bangladesh|আইসিডিডিআরবি]]-র তথ্য অনুসারে, এখনো বাংলাদেশের ২০ ভাগ শিশু, ২৬ শতাংশ গর্ভবতী নারী এবং ৫.৫ শতাংশ সাধারণ নারী ভিটামিন এ-র ঘাটতিতে ভুগছে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরে বাস করা নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে ভিটামিন এ-র ঘাটতি প্রায় দ্বিগুণ।
 
== ভিটামিন এ-র অভাব দূরীকরণে প্রচলিত ব্যবস্থা ==
ভিটামিন এ-র অভাব দূর করতে   বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব কর্মসূচী চালু রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান হলো ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন। এ কর্মসূচীর আওতায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদেরকে বাধ্যতামূলক ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ তেল খাওয়ার ব্যাপারে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার।
 
প্রচলিত এসব ব্যবস্থার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দুর্গম চর, হাওর এবং পাহাড়ী অঞ্চলে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম সীমিত। ফলে, ওখানকার অনেক শিশুই ভিটামিন এ-র অভাব নিয়েই বেড়ে উঠছে। তাছাড়া, এই ক্যাম্পেইনে শুধু ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদেরকেই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ফলে, এর চেয়ে বেশি বয়সের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ভিটামিন এ-র চাহিদা পূরণে আলাদা করে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
 
বাংলাদেশে শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেলেই বাধ্যতামূলকভাবে ভিটামিন এ যুক্ত করার সরকারি বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব তেলের দাম বেশি হওয়ায় গরীবগরিব মানুষ সাধারণত খোলা তেল ব্যবহার করেন। ২০১৯ সালে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানায়, বাংলাদেশের শতকরা ১৩ ভাগ মানুষ এখনো পুষ্টিকর খাবার কিনে খেতে পারেন না।
 
ইউনিসেফসহ ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের সাথে যুক্ত [[:en:Non-governmental_organizationgovernmental organization|এনজিও]]<nowiki/>গুলোর মতে, বছরে দুইবার উচ্চমাত্রার পরিবর্তে নিয়মিত স্বল্পমাত্রার ভিটামিন এ গ্রহণ বেশি কার্যকর।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20041014220445/http:/www.unicef.org/immunization/files/Vit_A_strategy.pdf|শিরোনাম=A Strategy for Acceleration of Progress in Combating Vitamin A Deficiency|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=Vitamin A Global Initiative. 1997|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> বাংলাদেশসহ ভিটামিন এ-র অভাবপীড়িত যেসব দেশে [[:en:Staple_foodStaple food|প্রধান খাদ্য]] ভাত, সেসব দেশে ভাতের মাধ্যমে ভিটামিন এ সরবরাহ করলে তা বর্তমান ব্যবস্থার তুলনায় সাশ্রয়ী ও কার্যকর হতে পারে   বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
 
[[:en:United_States_Secretary_of_AgricultureUnited States Secretary of Agriculture|যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য বিভাগের]] (ইউএসডিএ) পরামর্শ হলো, একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ১৪৪ গ্রাম ভাত, রুটি, গম বা ভুট্টা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ। একজন বাংলাদেশী দৈনিক গড়ে প্রায় ৩৬৭ গ্রাম চালের ভাত খান। এই পরিমাণ গোল্ডেন রাইসে ০.৫৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ থাকে। একজন বাংলাদেশীর প্রতিদিন অন্তত ১.৩ মি.গ্রা. ভিটামিন এ প্রয়োজন। সে হিসেবে, একজন বাংলাদেশী তার দৈনিক চাহিদার ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ভিটামিন এ পেতে পারেন গোল্ডেন রাইস থেকে।
[[চিত্র:Golden Rice-6.jpg|বাম|থাম্ব|বাংলাদেশে উপাদিত গোল্ডেন রাইসের চাল, BRRI|সংযোগ=Special:FilePath/Golden_Rice-6.jpg]]
 
১০০ ⟶ ১০১ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
<references />
__নির্ঘণ্ট__
 
[[বিষয়শ্রেণী:গোল্ডেন রাইস]]
[[বিষয়শ্রেণী:IRRI]]