হরেকৃষ্ণ কোঙার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Indrajit675 (আলোচনা | অবদান) →রাজনৈতিক জীবন: New page redirect ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
IqbalHossain (আলোচনা | অবদান) পরিষ্কারকরণ |
||
১ নং লাইন:
{{Infobox Indian politician
| name = হরেকৃষ্ণ কোঙার
| birth_date = ৫ই আগস্ট, ১৯১৫{{
| birth_place = কমড়গড়িয়া গ্রাম, [[রায়না]],[[বর্ধমান জেলা]], [[বাংলা প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
| residence = [[মেমারি]]
| death_date = {{
| constituency = [[কালনা বিধানসভা কেন্দ্র]]
| office = [[বিধায়ক]]
২৪ নং লাইন:
==রাজনৈতিক জীবন==
১৯৩০ সালেই হরেকৃষ্ণ কোঙার আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন এবং তাঁর জন্য ৬ মাস কারাবন্দীও ছিলেন। ১৯৩২ সালে [[বঙ্গবাসী কলেজে]] পড়াকালীন তিনি বিভিন্ন বিপ্লবী কর্মকান্ডে যুক্ত হন। ১৯৩৩ সালেমাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ৬ বছরের জন্য আন্দামানের সেলুলোর জেলে পাঠিয়ে দেয়।<ref name="sansad" /><ref name=":0">{{
গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই হরেকৃষ্ণ কোঙারের সাথে [[ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত]], [[বঙ্কিম মুখার্জী]], আবদুল হালিমদের মতো কমিউনিস্ট নেতাদের যোগাযোগ ছিল।<ref name="sansad" /><ref name=":0" /> জেলে তার সাথে নারায়ণ রায়, সতীশ পাকড়াশী, [[নিরঞ্জন সেনগুপ্ত]] এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের সাথে পরিচয় হয়। সেখানেই অন্যান্য জেলবন্দিদের সাথে [[কমিউনিস্ট সংহতি]] গড়ে তোলেন।
জেল থেকে মুক্তি পাবার পর তার সাথে কমিউনিস্ট নেতা [[মুজাফফর আহমেদ]]এর সাথে পরিচয় হয়। তখনই তিনি [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]]র সদস্য হন।<ref name="sansad">Sansad Bangla Charitbhidhan, p. 622, {{ISBN|81-85626-65-0}}</ref><ref name=":0" />
৩৫ নং লাইন:
১৯৪৪ সালে বিনয় কোঙার পুনরায় গ্রেফতার হন। এবং এবারে তার বর্ধমান জেলা ছেড়ে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। দ্বিতীয় ক্যানেল ট্যাক্স আন্দোলন ১৯৪৬-৪৭ এবং অজয় নদ দম আন্দোলন ১৯৪৩-৪৪ এ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
==স্বাধীন ভারতে কর্মকাণ্ড==
১৯৪৮ সালে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]] যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন বিনয় কোঙারকে আবার গ্রেফতার করা হয়। ছাড়া পাবার পর তিনি আবার আত্মগোপন করেন এবং ১৯৫২ পর্যন্ত আত্মগোপন করেই কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫৩ এর খাদ্য আন্দোলন এবং ১৯৫৭এর আইন অমান্য আন্দোলনেও বিনয় কোঙারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং দুবারই তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৬২ সালে [[ভারত-চীন যুদ্ধ]] চলাকালীন ভারতীয় সুরক্ষা আইনে বিনয় কোঙারকে আবার গ্রেফতার করা হয় এবং ঐ আইনে তাকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তাঁকে জেলে রাখা হয়।<ref name=":2">{{
==নতুন দল গঠন==
১৯৬৪ সালে মতপার্থক্যের জেরে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]] ভেঙে নতুন দল [[সিপিআই(এম)]] তৈরি হয়। বিনয় কোঙার এই নতুন তৈরি [[সিপিআই(এম)]] দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
১৯৫৭ থেকেই তিনি [[সিপিআই]] পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৪ থেকে আমৃত্যু হরেকৃষ্ণ কোঙার নতুন তৈরি হওয়া [[সিপিআই(এম)]] দলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।<ref name=":2" /><ref name=":1">{{
==কৃষক আন্দোলনে ভূমিকা==
স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই হরেকৃষ্ণ কোঙার কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত বিনয় কোঙার [[সারাভারত কৃষক সভা]]র পশ্চিমবঙ্গ শাখা [[বাংলা প্রাদেশিক কৃষক সভা]]র সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ থেকে আমৃত্যু হরেকৃষ্ণ কোঙার [[সারাভারত কৃষকসভা]]র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।<ref name=":1" /><ref name=":3">{{
==আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে==
[[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]]র প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৬০ সালে হরেকৃষ্ণ কোঙার [[ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি]]র পার্টি কংগ্রেসে যোগ দেন। এই বছরেই তিনি কমিউনিস্ট শাসিত দেশ,[[চীন]] যান।
কৃষি, বন্য এবং প্ল্যানটেশন ওয়ার্কারদের আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিতে বিনয় কোঙার ১৯৭০ সালে [[সাইপ্রাস]]এর [[নিকোসিয়া]]তে
==পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কারে ভূমিকা==
পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কারে হরেকৃষ্ণ কোঙারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বর্গদারদের দখলে থাকা বেনামি জমি ভূমিহীন
গোটা প্রক্রিয়া সাফল্যের সাথে সম্পাদন করার ক্ষেত্রে হরেকৃষ্ণ কোঙার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।<ref name=":3" />
==নির্বাচন==
|