মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎কর্মজীবন: ভাষার লিংক সংযোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Iamtasin (আলোচনা | অবদান)
→‎কর্মজীবন: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
২৮ নং লাইন:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষক (১৯০৮-০৯) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন; তারপর সীতাকুণ্ড হাইস্কুলে কিছুদিন প্রধান শিক্ষকের (১৯১৪-১৯১৫) দায়িত্ব পালন করার পর তিনি ১৯১৫ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে আইন ব্যবসা করেন। ১৯১০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে বেদ পঠনের অনুমতি দেননি পন্ডিত [[সত্যব্রত সামশ্রমী]]। স্যার আশুতোষের চেষ্টায় ও [[কলকাতা উচ্চ আদালত|কলিকাতা উচ্চ আদালতের]] নির্দেশে তিনি বেদপাঠের সুযোগ পান কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-50492208|শিরোনাম=সংস্কৃত পড়াতে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগের পর বিক্ষোভ|শেষাংশ=ঘোষ|প্রথমাংশ=শুভজ্যোতি|তারিখ=2019-11-20|কর্ম=BBC News বাংলা|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-05|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/editorial/ভ-ঙত-হল-জ-নত-হয়-1.36646|শিরোনাম=ভাঙতে হলে জানতে হয় - Anandabazar|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-05}}</ref>। ১৯১৯ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত [[শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন|ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের]] সহকর্মী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯২১ সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[সংস্কৃত]] ও [[বাংলা]] বিভাগে [[প্রভাষক]] হিসেবে যোগ দেন। পাশাপাশি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সালে পর্যন্ত আইন বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৮ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিডার হিসেবে নিযুক্ত হন। সেখান থেকে ১৯৪৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর তিনি বগুড়ার [[সরকারি আজিজুল হক কলেজ|সরকারি আজিজুল হক কলেজে]] অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ahcollege.gov.bd/?page_id=93|শিরোনাম=এক নজরে কলেজ|কর্ম=ahcollege.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=১৩ জুন ২০১৫}}</ref> ১৯৫৩ - ১৯৫৫ সালে তিনি পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে [[ফরাসি ভাষা]]র খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়|রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সংস্কৃত ও [[পালি]] বিভাগে যোগদান করে ১৯৫৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
 
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রায় ২৪টি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন।<ref name="কৃতিত্ব">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কৃতিত্ব ভোলার মতো নয়|প্রথমাংশ=মো.|শেষাংশ=জাফরআলী|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%A1.-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC|প্রকাশক=প্রথম আলো|তারিখ=১০ জুলাই ২০২০|সংগ্রহের-তারিখ=১ জানুয়ারি ২০২১}}</ref> এর মধ্যে ১৮টি ভাষার ওপর তার উল্লেখযোগ্য পাণ্ডিত্য ছিল।<ref name="কৃতিত্ব"/> এরউল্লেখযোগ্য মধ্যে কিছু ভাষাভাষাসমূহ হলো- [[বাংলা ভাষা|বাংলা]], [[উর্দু ভাষা|উর্দু]], [[ফারসি ভাষা|ফারসি]], [[আরবি ভাষা|আরবি]], [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]], [[অসমিয়া ভাষা|অসমিয়া]], [[ওড়িয়া ভাষা|ওড়িয়া]], [[মৈথিলী ভাষা|মৈথিলী]], [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]], [[পাঞ্জাবি ভাষা|পাঞ্জাবি]], [[গুজরাতি ভাষা|গুজরাতি]], [[মারাঠি ভাষা|মারাঠি]], [[কাশ্মীরি ভাষা|কাশ্মীরি]], [[নেপালি ভাষা|নেপালি]], [[সিংহলি ভাষা|সিংহলি]], [[তিব্বতি ভাষা|তিব্বতি]], [[সিন্ধি ভাষা|সিন্ধি]], [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]], [[পালি ভাষা|পালি]] ইত্যাদি।
 
[[উর্দু]] ভাষার অভিধান প্রকল্পেও তিনি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। পরে পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৬১ - ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত [[বাংলা একাডেমি]]র ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী [[সম্পাদক]] পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গঠিত বাংলা একাডেমির পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে বাংলা পঞ্জিকা একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত রূপ পায়।