জুবাইর ইবনুল আওয়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SuryaNarayanMishra (আলোচনা | অবদান)
Dubomanab যুবাইর ইবনুল আওয়াম কে জুবাইর ইবনুল আওয়াম শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
৪ নং লাইন:
 
== জন্ম ও বংশপরিচয় ==
জুবাইর ইবনুল আওয়ামের মূল নাম '''জুবাইর''' এবং ডাক নাম '''আবু আবদিল্লাহ'''। তারতা্ইউআইআঋইআঋউ উপাধি ছিল '''হাওয়ারিয়্যু রাসূলিল্লাহ'''। যুবাইর হিজরতের ২৮ বছর পুর্বে ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/30324140|শিরোনাম=Kitab al-tabaqat al-kabir|শেষাংশ=ইবনে সাদ|প্রথমাংশ=মুহাম্মাদ|তারিখ=1993|বছর=|প্রকাশক=Kitab Bhavan|অবস্থান=New Delhi|পাতাসমূহ=|অন্যান্য=Haq, S. Moinul (Syed Moinul), 1901-, Ghazanfar, H. K.|আইএসবিএন=81-7151-127-9|oclc=30324140|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> তার পিতার নাম ''আওয়াম'' এবং মাতার নাম [[সাফিয়াহ বিনতে আবদুল মুত্তালিব|সাফিয়্যা বিনতে আবদুল মুত্তালিব]]। তার মা ছিলেন মুহাম্মদের আপন ফুফু। সেই সুত্রে যুবাইর হলেন নবী মুহাম্মদের ফুফাতো ভাই। অন্যদিকে [[আবু বকর|আবু বকর সিদ্দিকের]] মেয়ে [[আসমা বিনতে আবি বকর|আসমাকে]] বিয়ে করার জন্যজন্যইউঋআইউঋকত মুহাম্মাদ ছিলেন তার ভায়রা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আসহাবে রাসূলের জীবনকথা|শেষাংশ=মাবুদ|প্রথমাংশ=মুহাম্মদ আবদুল|বছর=|প্রকাশক=বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার|অবস্থান=কাঁটাবন, ঢাকা|পাতাসমূহ=৫৭|লিপির-অধ্যায়=হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.)|আইএসবিএন=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> অর্থাৎ আসমা হলেন [[আয়িশা]] -এর বোন। শৈশব থেকেই তিনি কঠোর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। যুবাইরের মা চাইতেন তার সন্তান যেন ছোট থেকেই দুঃসাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছোটবেলায় যুবাইর কুস্তি খেলতেন।
 
==ইসলাম গ্রহণ==
মাত্র ১৬ বছর বয়সে যুবাইর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণেরগ্রআতিকুদতাকদ;তাদুতৃহণের পর গুজব ছড়ালো যে অমুসলিমরা নবী মুহাম্মদকে বন্দী অথবা হত্যা করে ফেলেছে। এটা শুনে উন্মুক্ত তরবারি নিয়ে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য যুবাইর সাথে সাথেই মুহাম্মদের বাড়িতে যান। রাসুরের জীবনী লেখকদের মতে এটিই হলো প্রথম তলোয়ারতলোয়ােউইআতকির, যা নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য একজন বালক উন্মুক্ত করেছিলো।
==হাবশায় হিজরত==
মক্কার অন্যান্য নও মুসলিমদের মত যুবাইর অনেক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। তার চাচা সকল রকম চেষ্টা করেও তাকে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করাতে না পেরে দৈহিক নির্যাতন শুরু করেন। তাকে উত্তপ্ত পাথরের উপর চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে মারধর করা হতো। তাদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে তিনি একটা মুসলিম দলের সাথে [[হাবশা|হাবশায়]] চলে যান। কিছুদিন সেখানে অবস্থানের পর পুনরায় মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। ঐ সময় নবী মুহাম্মদ মদীনায় [[হিজরত]] করলে তিনিও [[মদীনা|মদীনায়]] গমন করেন।
 
==যুদ্ধে অংশগ্রহণ==
যুবাইর একজন সাহসী ও শক্তিমান যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কাফেরদের আক্রমণেরআক্রমণেএউইআকতদিউআর মুখে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনন্য। প্রতিটি যুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
===বদর যুদ্ধে অবদান===
বদর যুদ্ধ ২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম প্রধান যুদ্ধ। এতে জয়ের ফলে মুসলিমদের প্রতিপত্তি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি লাভ করে। বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর তুলনায় অমুসলিম বাহিনীর সেনা সংখ্যা ছিলো বহুগুণ বেশি। বদর যুদ্ধে একজন অমুসলিম সৈন্য পাহাড়ের টিলায় দাঁড়িয়ে তাকে দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহবান জানালে তিনি সাথে সাথে তাকে জাপ্টে ধরেন এবং গড়িয়ে নিচে পড়তে থাকেন। নবী মুহাম্মদ বলেন, তাদের মধ্যে যে আগে ভূমিতে পড়বে সে নিহত হবে। সত্যিই তাই হলো। যুবাইর তাকে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করেন। এরপর তিনি উবাইদা ইবনে সাইদের মুখোমুখি হলেন। তার আপাদ-মস্তক শক্ত বর্ম দ্বারা আবৃত ছিলো। যুবাইর তার চোখ বরাবর তীর নিক্ষেপ করলেন এবং অমুসলিম সৈন্যকে হত্যা করলেন। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তীরটি মুহাম্মদ নিজের কাছে রেখে দিলেন। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তীরটি বিভিন্ন খলিফার কাছে সংরক্ষিত ছিলো। তৃতীয় খলিফা উসমানের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহআআইউতাকিব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর তীরটি গ্রহণ করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার কাছেই তীরটি ছিলো।
 
বদর যুদ্ধে যুবাইর এত সাংঘাতিকভাবে যুদ্ধ করেছিলেন যে তার তলোয়ার ভোঁতা হয়ে গিয়েছিলো। আঘাতে আঘাতে তার পুরো শরীর বিক্ষত হয়ে গিয়েছিলো। একটি ক্ষত এতই বড় হয়েছিলো যে তা সারাজীবন গর্তের মত হয়েছিলো। যুবাইরের পুত্র উরওয়া বলেন, “আমরা সেই গর্তে আংগুলি ঢুকিয়ে খেলা করতাম।” বদর যুদ্ধে যুবাইর হলুদ রঙের [[পাগড়ী পরেছিলেন। এটা দেখে মুহাম্মাদ বলেন যে আজ [[ফেরশতা|ফেরশতারা]] এই পোশাকে এসে যুদ্ধ করেছে।
২৪ নং লাইন:
খাইবারের যুদ্ধ ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন আরবের মদিনা নগরী থেকে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দুরে অবস্থিত খায়বার নামক মরুভূমিতে বসবাসরত ইহুদিগণের সাথে মুসলিমগণের সঙ্ঘটিত একটি যুদ্ধ। যুদ্ধে ইহুদি নেতা মুরাহহিব নিহত হলে তার ভাই অসীম বলবান ইয়াসির যুদ্ধের ময়দানে আসে এবং দ্বন্দযুদ্ধের আহবান জানায়। ইয়াসি বিশালাকার দেহের অধিকারী ছিলেন। যুবাইর তার দ্বন্দযুদ্ধের আহবান স্বীকার করলেন এবং যুদ্ধ শুরু করলেন। এতে যুবাইরের মা ভয় পেয়ে গেলেন এবং মুহাম্মদকে বললেন আজই কি তার সন্তানের মৃত্যু হবে। মুহাম্মদ তাকে অভয় দিয়ে বললেন আজ যুবাইর বিজয়ী হবে। অবশেষে তুমুল যুদ্ধের পর যুবাইর ইয়াসিরকে হত্যা করলেন।
===মক্কা বিজয়ে অবদান===
নবী মুহাম্মাদ খ্রিস্টীয় ৬৩০ অব্দে বিনা রক্তপাতে মক্কা নগরী দখল করেন। ইতিহাসে এই ঘটনা [[মক্কা বিজয়|মক্কা এইকাদতিবিজয়]] নামে খ্যাত। [[খাইবার বিজয়|খাইবার বিজয়ের]] পর মক্কা বিজয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। এইসময় হাতিম বিন আবী বালতায়া মুসলিমদের সব খবর চিঠি লিখে শত্রুবাহিনীকে জানাতে মক্কায় একজন মহিলাকে প্রেরণ করলেন। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে উক্ত মহিলাকে আটক করতে যে দলটি পাঠানো হয়েছিলো যুবাইর ছিলেন সেই দলের একজন সদস্য।
 
মক্কা বিজয়ের দিন মুহাম্মদ মুসলিম বাহিনীকে ছোট ছোট অনেক দলে ভাগ করেন। সর্বশেষ ও ক্ষুদ্র দলে ছিলেন মুহাম্মদ নিজে। সেই দলের পতাকাবাহী ছিলেন যুবাই। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ নিজ হাতে যুবাইরের মুখের ধুলোবালি ঝেড়ে দিয়েছিলেন।
৪৪ নং লাইন:
 
==মৃত্যু==
যুবাইর ৬৪ বছরের বিশাল এক কর্মময় জীবন লাভ করেছিলেন। চতুর্থ খলিফাখআইউআইদতাকলিফা আলী -এর শাসনামলে মক্কায় চলে যান এবং আয়িশার -এর সাথে যোগ দেন। ৩৬ হিজরী সালে আলী ও আয়িশা নেতৃত্বে মুসলিমদের দুইটি দলের মধ্যে [[উটের যুদ্ধ]] শুরুর উপক্রমউআতদিকুআদতিপক্রম হলে যুবাইর আয়িশা -এর দলে যোগ দেন। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে তার চিন্তায় আমূল পরিবর্তন আসে। তিনি মুসলিমদের অন্তদ্বর্ন্দ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যুদ্ধ পরিত্যাগ করেন। এই সময় আহনাফ বিন কায়েসের আদেশে আমর ইবন জারমুয তাকে অনুসরণ করেন এবং পথিমধ্যে [[যোহরের নামাজে]] সিজদা রত অবস্থায় যুবাইরকে [[শহীদ]] করে।
 
== আরও দেখুন ==
* [[সাহাবীদের তালিকা|সাহাবীদের তাআতদিকাদতিউকাদতুলিকা]]
 
{{সাহাবা}}
৫৫ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:৭ম শতাব্দীর মুসলিম ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:৭ম শতাব্দীর আরব ব্যক্তি]]
<references />িআইকতুবাইউ