স্বামী স্বরূপানন্দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্বরূপানন্দ তাঁর যৌবনের প্রথম দিকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হনহলেও, তবে তিনি কলকাতায় তাঁর পিতামাতার বাড়িতে ব্রহ্মচারী বা ব্রহ্মচারী হিসাবে বসবাস করতে থাকেন। বেলুড় মঠে তিন-চারটি সফর শেষে, তিনি বাড়ি ছেড়ে বিবেকানন্দের একজন পূর্ণকালীন শিষ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং মঠে অবস্থানের কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে২৯ সন্ন্যাসীরমার্চ আদেশে১৮৯৮ সন্ন্যাসসালে দেওয়াবিবেকানন্দ হয়,বিবেকানন্দেরতাঁকে দ্বারাসন্ন্যাসীর ২৯আদেশে মার্চসন্ন্যাস ১৮৯৮.প্রদান করেন।

এদিকে, বিবেকানন্দের লন্ডন সফরকালে [[জন হেনরি সেভিয়ার যিনি এর আগে লন্ডন সফরকালে]] বিবেকানন্দের সংস্পর্শে এসেছিলেনআসেন এবং তাঁর শিষ্য হয়েছিলেনহন, তিনি স্ত্রী শার্লোটেরশার্লোটকে সাথেনিয়ে বিবেকানন্দের সাথে ভারতে ভ্রমণ করেছিলেন।করেন। স্বরূপানন্দের সহায়তায়, সেভিয়ার ১৮৯৮ সালের জুলাই মাসে স্বরূপানন্দের সহায়তায় সেলোয়ার, আলমোরার নিকটেকাছে মায়াবতীতে আশ্রমের জন্য উপযুক্ত একটি পুরানোপুরনো চা এস্টেট পেয়েছিলেন।খুঁজে শীঘ্রইপান। দ্রুতই সে জমিটি ক্রয় করা হয়েছিলহয় এবং নির্মাণকাজনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।করা অদ্বৈতহয়। আশ্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৯৯১৮৯৯ সালের ১৯ মার্চ, যাঅদ্বৈত ঘটেছিলআশ্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়, সেইদিনটি বছরছিল রামকৃষ্ণরামকৃষ্ণের (হিন্দু ক্যালেন্ডারপঞ্জিকায়) -এরজন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকী,স্বরূপানন্দ স্বরূপানন্দেরঅদ্বৈত আশ্রমের প্রথম উদ্বোধনের সাথেই এটি শুরুসভাপতি হয়েছিল।হন।

১৮৯৮ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে, বেলুড়েরবেলুড়ে স্বরূপানন্দের সন্ন্যাস গ্রহণের চার দিন আগে, সন্ন্যাস গ্রহণের সময় বোনভগিনী নিবেদিতা বিবেকানন্দের সন্ন্যাসকাছ শিষ্যথেকে হয়েসন্ন্যাস উঠেছিলেন।নেন। স্বরূপানন্দ প্রতিদিন তাঁরতাঁকে বাংলা ও হিন্দু ধর্মীয় সাহিত্য পড়াতেন। পরে আলমোরাতে, তাঁর নির্দেশনায়, তিনিভগিনী নিবেদিতা [[ভগবদ গীতা]] পড়া শুরু করেন।

রামকৃষ্ণ১৮৯৮ আদেশেরসালের অফিশিয়াল১৩ জার্নালমে প্রবুদ্ধচেন্নাইয়ে, মাত্র চব্বিশ ভারতারবছর প্রকাশনাটিবয়সে সম্পাদক বি. আর. এররাজাম আইয়ারের মৃত্যুর কারণে আকস্মিকভাবেরামকৃষ্ণ থামানোআদেশের হয়েছিলপ্রাতিষ্ঠানিক ১৮৯৮সাময়িকী সালেরপ্রবুদ্ধ ১৩ভারতের মেপ্রকাশনা চেন্নাইতেআকস্মিকভাবে রাজমবন্ধ আয়ারেরহয়ে বয়স চব্বিশ বছর।যায়। বিবেকানন্দ, যিনি তখন আলমোরায়আলমোড়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেনছিলেন, তিনি সেভিয়ার এবংও তাঁরতার স্ত্রীকে পত্রিকাটি পুনরুদ্ধারপুনরুজ্জীবিত করতে বলেছিলেন।বলেন। পত্রিকার১৮৯৮ পরবর্তীসালের সংখ্যাটিআগস্ট ১৮৯৮মাসে, সালেরস্বরূপানন্দের আগস্টেসম্পাদনায় আলমোরা শহরের থম্পসনের বাড়ি থেকে স্বরূপানন্দেরপত্রিকার সম্পাদকপরবর্তী হিসাবেসংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল,হয়। তারপরেএরপর ১৮৯৯ সালে এটি আলমোরার নিকটেকাছে মায়াবতীরমায়াবতীতে একএকটি নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে আশ্রম খোলার সাথে সাথে বেসেপত্রিকাটির স্থানান্তরিতঅফিসও হয়।সেখানে স্থানান্তর করা হয়।

তাঁরস্বরূপানন্দ সম্পাদনার সময়সময়কালে, প্রবুদ্ধ ভারত রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের আদর্শ প্রচারের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে ওঠেনওঠে এবং বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।করে। বিবেকানন্দ তাঁর একটি চিঠিতে স্বরূপানন্দের কাজের প্রশংসাও করেছিলেন।

পরে স্বরূপানন্দ মায়াবতী আশ্রমের সভাপতি হন। তিনি ক্যাপ্টেন এবং মিসেস সেভিয়ারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর আমলে সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাটি ছিল ১৯০১ সালের জানুয়ারিতে, বিবেকানন্দের মায়াবতীর পশ্চিমের দ্বিতীয় সফর থেকে ফিরে আসার পর। তিনি স্বরূপানন্দের সাথে আশ্রম থেকে করাবিভিন্ন কাজ সম্পর্কেকরার তাঁরজন্য ধারণাসেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন।

স্বরূপানন্দ এই অঞ্চলের উপজাতি এবং দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি তীব্রঅতি দারিদ্র্য ও খাদ্যের ঘাটতি মেটাতে পার্বত্য মানুষেরমানুষকে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষেরচাষ শিক্ষারকরার শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি স্থানীয় শিশুদের জন্য দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, একটি মায়াবতীতে এবং অন্যটি শোর গ্রামে। তিনি একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ও চালু করেছিলেন যা আজও এই অঞ্চলের মানুষের সেবা করে চলেছে। তিনি আশ্রমের আদিবাসী কর্মীদের হিন্দি এবং ইংরেজি শেখানোর ব্যবস্থাও করেছিলেন। তিনি স্থানীয় লোকদের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান উভয় প্রসারের জন্য নৈনিতাল, আলমোড়া এবং অন্যান্য জায়গায় ভ্রমণসফর করতেন।

১৮৯৯ সালে তিনি জয়পুরের নিকটবর্তী কিশানগড় এলাকায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত স্থানীয় লোকদেরলোকদেরকে ত্রাণ সরবরাহ করার কাজ করেছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর ভাই শিষ্য [[স্বামী কল্যানানন্দ|স্বামী কল্যানানন্দের]] সাথে কাজ করেছিলেন। তিনি স্বামী কল্যানানন্দের কাছে হরিদ্বার ও ishষিকেশেরঋষিকেশের বৃদ্ধ ও অসুস্থ ভিক্ষু এবং দরিদ্র মানুষের সেবা করতে সক্ষম করার জন্য নৈনিতালে ঘরে ঘরে ঘরে ভিক্ষা করেছিলেন। ১৯০২ সালে তিনি বেদনাতে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য এলাহাবাদ গিয়েছিলেন এবং স্থানীয় জনগণকে সেখানে একটি স্থায়ী কেন্দ্র চালু করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।১৯০৫করেছিলেন। ১৯০৫ সালে ধর্মশালা অঞ্চল যখন ভয়াবহ ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়েছিলহলে, স্বরূপানন্দ ত্রাণ কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন এবং কাজটি পরিচালনা করেছিলেন।

তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক অনুশীলনচর্চা এবংও কৃপণতাগুলিতেতপস্যায় নিয়মিত ছিলেন,ছিলেন। বিভিন্ননির্জনে ধর্মনিরপেক্ষধ্যান ক্রিয়াকলাপগুলিকরার যে তাঁকে ব্যস্ত রাখে।উদ্দেশ্যে তিনি আশ্রমের কাছে একটি কুঁড়িঘর নির্মান করেছিলেন যা নির্জনতা ধ্যানের উদ্দেশ্যে স্বরূপানন্দ কুটিরকুঁড়েঘর নামে পরিচিত ছিল।একটি তিনিকুঁড়েঘর যুবকনির্মাণ ওকরেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যেতিনি বিবেকানন্দের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ারদিতে জন্যতরুণ কাজও করেছিলেন।ছাত্রদের তাঁকেমধ্যে কাজ করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দের সাথে একত্রেসঙ্গে বেদবেদান্ত প্রচারের জন্য হাইজ্যেন্সিবরোদার অফসম্রাট বরোদারতাঁকেও আমন্ত্রণ জানানোজানিয়েছিলেন। হয়েছিল। তবে বিবেকানন্দ তাঁরকিন্তু অসুস্থতার কারণে বিবেকানন্দ আসতে পারেননি। স্বরুপানন্দস্বরূপানন্দের আরও একটিআরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যাছিল স্বামী বিবেকানন্দের রচনা সংগ্রহ ও প্রকাশ করেছিলেনপ্রকাশনা, কিন্তু তাঁরস্বল্প জীবনকালীনসময়ের কারণেজন্য তিনি এটিতা শেষ করতে পারেননি। একজন বিশিষ্ট আলেমপণ্ডিত হিসাবেহিসেবে তিনি প্রবুদ্ধ ভারততেভারতে বেশ কয়েকটিকিছু নিবন্ধপ্রবন্ধ লিখেছিলেনলেখেন এবং ''হিন্দুস্তান রিভিউ'' ম্যাগাজিনে বিবেকানন্দেরবিবেকানন্দকে উপরনিয়ে নির্দিষ্ট প্রফেসরঅধ্যাপক ফ্রেজারের সমালোচনার তীব্র সমালোচনানিন্দা করেছিলেন।করেন। তিনি ভগবদইংরেজিতে গীতারভগবদ্গীতার ইংরেজিঅনুবাদ অনুবাদরচনা করেছিলেন।