কাশীরাম দাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১৭ নং লাইন:
 
== জীবনী ==
কাশীরাম দাস বর্ধমানের ইন্দ্রাণী পরগণার<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', শ্রীমন্ত কুমার জানা, ওরিয়েন্টাল বুক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, পৃ. ১৮৫</ref> (অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[বর্ধমান জেলা]]র [[কাটোয়া]] মহকুমা) অন্তর্গত সিঙ্গি (মতান্তরে সিদ্ধি) গ্রামে এক বৈষ্ণব কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="Orn">''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> তারএ গ্রাম এখনও আছে এবং এই গ্রামে কাশিরামের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলি আজও বর্তমান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্তান্ত খ্রীষ্টীয় চতুর্থ সপ্তদশ শতাব্দী প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগ|শেষাংশ=ডঃ অমিও বন্ধু সিংহ|প্রকাশক=একুশ শতক|তারিখ=২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০}}</ref> তাঁর পিতার নাম ছিল কমলাকান্ত।<ref name="Orn" /> কবিরা ছিলেন তিন ভাই — এবং তারা প্রত্যেকেই ছিলেন কবি।<ref name="sbc">''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', সম্পাদনাঃ অঞ্জলি বসু, ৪র্থ সংস্করণ, ১ম খণ্ড, ২০০২, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, পৃ. ৯৫</ref> অগ্রজ 'কৃষ্ণদাস' ''শ্রীকৃষ্ণবিজয়'' ও ''শ্রীকৃষ্ণবিলাস'' নামে এক কাব্য লেখেন। অনুজ 'গদাধর' লিখেছিলেন ''জগন্নাথ মঙ্গল'' বা ''জগৎমঙ্গল'' কাব্য। কাশীরাম [[বেদব্যাস]] বিরচিত সংস্কৃত মহাকাব্য ''[[মহাভারত]]'' অবলম্বনে লেখেন ''ভারত-পাঁচালী''।<ref name="Orn" /> কাশীরাম দাস সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন।<ref name="Orn" /> তিনি অধুনা [[পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা|পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার]] আবাসগড় বা আসিগড় বা আওসগড়ের জমিদার বাড়ির আশ্রয়ে থেকে শিক্ষকতা করতেন।<ref name="Orn" /><ref name="sbc" /> কথিত আছে, উক্ত জমিদার বাড়িতে কথক ও সংস্কৃত পণ্ডিতদের মুখে মহাভারতের কাহিনী শুনে তিনি বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদে উদ্বুদ্ধ হন।<ref name="Orn" /> গবেষকদের অনুমান, ''ভারত-পাঁচালী'' রচনা সমাপ্ত হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। তাদের আরও অনুমান, কাশীরাম দাস সম্পূর্ণ মহাভারত অনুবাদ করে যেতে পারেননি। আদি, সভা, বন ও বিরাট - এই চার পর্ব অনুবাদের পর তার মৃত্যু হলে তার জামাই অবশিষ্টাংশ অনুবাদ করেন।<ref name="Orn" /> অন্যমতে, তার ভাইপো নন্দরাম ও অন্যান্য আত্মীয়রা মিলে অনুবাদকর্ম সমাপ্ত করেন।<ref name="Or" /> শান্তিপর্ব কৃষ্ণানন্দ বসু ও স্বর্গারোহণ পর্ব জয়ন্ত দাস (কোনো কোনো মতে ইনি কবির পুত্র) লিখেছিলেন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস'', ক্ষেত্র গুপ্ত, গ্রন্থনিলয়, কলকাতা, পৃ. ১৫১-৫২</ref>
 
== কাশীদাসী মহাভারত ==