ঘানা জাতীয় ফুটবল দল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হালনাগাদ করা হল
সম্প্রসারণ
৬১ নং লাইন:
| 2ndRegional cup best = রানার-আপ [[২০০৯ আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপ|২০০৯]], [[২০১৪ আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপ|২০১৪]]
}}
'''ঘানা জাতীয় ফুটবল দল''' ({{lang-en|Ghana national football team}}) হচ্ছে আন্তর্জাতিক [[ফুটবল|ফুটবলে]] [[ঘানা|ঘানার]] প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ঘানার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা [[ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন]] দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৫৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা [[ফিফা]]র এবং ১৯৬০ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা [[আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন|আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের]] সদস্য হিসেবে রয়েছে।<ref name="GFA">CAF and FIFA, ''50 years of African football – the DVD'', 2009, Ghana Correspondence 18 June 1963. ''"MEMBERSHIP OF AFRICAN FOOTBALL CONFEDERATION: I refer to your letter No.RC/Vr of 22 March 1963, and inform you that my Association has been a member of the African Football Confederation since December 1960."''</ref> ১৯৫০ সালের ২৮শে মে তারিখে, ঘানা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; [[গোল্ড কোস্ট (ব্রিটিশ উপনিবেশ)|ব্রিটিশ গোল্ড কোস্টের]] [[আক্রা|আক্রায়]] অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ঘানা [[নাইজেরিয়া জাতীয় ফুটবল দল|নাইজেরিয়াকে]] ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
'''ঘানা জাতীয় ফুটবল দল''' হচ্ছে [[ফিফা|আন্তর্জাতিক]] [[ফুটবল|ফুটবলে]] ঘানার প্রতিনিধি। দলটি ডাকনাম ''ব্ল্যাক স্টারস'' বা ‘কালো তারা’ নামেও পরিচিত। দলটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা [[ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন]]। ১৯৫৭ সালে [[গ্রেট ব্রিটেন|গ্রেট ব্রিটেনের]] কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে দেশটি [[গোল্ড কোস্ট (ইংরেজ উপনিবেশ)|গোল্ড কোস্ট]] নামে খেলায় অংশ নিতো।
 
''কালো তারা'' নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ঘানার রাজধানী [[আক্রা|আক্রায়]] অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন [[চার্লস আকোনোর]] এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন [[সোয়ানসি সিটি অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল ক্লাব|সোয়ানসি সিটির]] [[মধ্যমাঠের খেলোয়াড়]] [[অ্যান্ড্রু আইয়ু]]।
[[২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ|২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের]] আগে দলটি কোনো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি, কিন্তু দলটি পাঁচবার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের মূল পর্বে অংশ নিয়েছে। সেখানেও জাতীয় দলগুলোর মাঝে প্রতিযোগিতা করেই দলটি অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেছে। দলটি চারবার আফ্রিকান নেশন্স কাপ জয় করেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | তারিখ=2004-01-16 | ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/africa/3396199.stm | শিরোনাম=African Football: The early years | প্রকাশক=[[bbc.co.uk]] | সংগ্রহের-তারিখ=2004-01-16}}</ref> (১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৭৮, ও ১৯৮২)। এই প্রতিযোগীতার আসরে ঘানাই দ্বিতীয় সফলতম দল। আফ্রিকান নেশন্স কাপের সর্বাধিক শিরোপাধারী দলটি হচ্ছে [[মিশর জাতীয় ফুটবল দল|মিশর]]। ঘানা জাতীয় দলের অলিম্পিক দল ১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পদক ব্রোঞ্জ পদক জয় করে।<ref name="Olympics 1992-">Since 1992, squads for [[Football at the Summer Olympics]] have been restricted to three players over the age of 23. The achievements of such teams are not usually included in the statistics of the international team.</ref> এটি কোনো আফ্রিকান দলের সর্বপ্রথম অলিম্পিকে কোনো পদক জয়ের ঘটনা।
 
ঘানা এপর্যন্ত ৩ বার [[ফিফা বিশ্বকাপ|ফিফা বিশ্বকাপে]] অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে [[২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ|২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের]] কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা [[উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল|উরুগুয়ের]] সাথে ১–১ গোলে ড্র করার পর [[পেনাল্টি শুট-আউট (ফুটবল)|পেনাল্টি শুট-আউটে]] ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, [[আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স|আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে]] ঘানা অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৪টি ([[১৯৬৩ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স|১৯৬৩]], [[১৯৬৫ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স|১৯৬৫]], [[১৯৭৮ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স|১৯৭৮]], [[১৯৮২ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স|১৯৮২]]) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, [[আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপ|আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপে]] এপর্যন্ত ৩ বার অংশগ্রহণ করেছে; যেখানে তারা ২ বার রানার-আপ হয়েছে।
২০০৫ সালে কোনো ম্যাচে না হারায়, ঘানা ফিফা কর্তৃক ঐ বছরের সবচেয়ে উন্নতি করা ফুটবল দলের স্বীকৃতি পায়।<ref>[http://www.fifa.com/en/mens/statistics/index/0,2548,112618,00.html?articleid=112618 Unbeaten Ghana]</ref> দলটি ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের অংশ নেয়, এবং ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপেও তারা খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
 
[[আসামোয়াহ জান]], [[অ্যান্ড্রু আইয়ু]], [[রিচার্ড কিংসন]], [[সুলে মুন্তারি]] এবং [[জর্ডান আইয়ু|জর্ডান আইয়ুর]] মতো খেলোয়াড়গণ ঘানার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
 
== তথ্যসূত্র ==