বদরুল আলম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
Asif810 (আলোচনা | অবদান)
কালেক্টেটঃ- বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম চৌধুরীর জীবনী, বদরুল আলম চৌধুরীর ব্যক্তিগত ডায়রী, বদরুল আলম চৌধুরীর স্বজন এবং প্রতিবেশী।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Other uses|নামঃ-বদরুল আলম চৌধুরী(দ্ব্যর্থতাবীর নিরসনমুক্তিযোদ্ধা)}}
ঠিকানাঃ- গ্রামঃ-পশ্চিম বাইনজুরী,৫নং বরমা ইউনিয়ন, পোস্টঃ- ইসলামাবাদ, থানাঃ- চন্দনাইশ,জেলাঃ-চট্টগ্রাম।
{{তথ্যছক সামরিক ব্যক্তি
শিক্ষাজীবনঃ-শিক্ষাজীবনে তিনি বিএ ডিগ্রী অর্জন করেন।
| honorific_prefix = [[বীর উত্তম]]<br>
কর্মজীবনঃ- কর্মজীবনে তিনি সর্বশেষ জনতা ব্যাংকের একজন ম্যানোর হিসেবে দ্বায়িত্ব শেষ করেন। তিনি জনতা ব্যাংকে ১৪ বছর চাকরি করেন। কর্মজীবনে তিনি অত্যান্ত মেধাবী অফিসার ছিলেন। কিন্তু ১৯৮৫ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে,বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৮৭ সালের পর তিনি আর চাকরি করতে পারেননি।
[[স্কোয়ার্ডন লিডার]] (অবসর)
| name = বদরুল আলম
| native_name = বদরুল আলম
| native_name_lang = bn
| image =
| caption =
| birth_date =
| death_date =
| birth_place = [[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ]], [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
| death_place =
| placeofburial =
| placeofburial_label =
| nickname =
| allegiance = {{পতাকা আইকন|Pakistan}}[[পাকিস্তান]]<br>
{{পতাকা আইকন|Bangladesh}}[[বাংলাদেশ]]
| branch = {{air force|Pakistan}}<br>[[File:Flag of the Mukti Bahini-DeFacto.svg|25px]]
[[মুক্তি বাহিনী]]<br>{{air force|Bangladesh}}
| serviceyears =
| rank = স্কোয়ার্ডন লিডার
| unit =
| battles = গোদানাইল হামলা, [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]]
| awards = [[File:Bir Uttom ribbon.svg|29px|link=]] [[বীর উত্তম]] (১৯৭১)<br>
[[File:Swadhinata_Padak_(Medal).jpg|29px|link=]][[স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার]] (2016)
| spouse = নাদেরা আলম
| laterwork = [[বাংলাদেশ বিমান]]
| width =
}}
 
রাজনৈতিক জীবনঃ- রাজনৈতিক জীবনে তিনি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে একসাথে রাজনীতি করে যান। তার এক লিখনিতে জানা যায়, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ভিপি ছিলেন তখন তিনি ছিলেন জিএস। এছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে বিভিন্ন দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৫ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে একসাথে রাজনীতি করে যান। ১৯৭৫ সালের পর বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করলে, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বদরুল আলম চৌধুরী প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেন। এক সময় মামলায় ও জড়াতে হয় তাদের। এভাবে দেশের রাজনৈতি দিন দিন খারাপ হয়ে গেলে এবং মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ভারতে চলে গেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে ব্যাংকে যোগদান করেন।
'''বদরুল আলম''' (জন্ম: অজানা) [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] একজন বীর [[মুক্তিযোদ্ধা]]। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে [[বীর উত্তম]] খেতাব প্রদান করে।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-10/news/169186 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১০-০৭-২০১১]</ref> ২০১৬ সালে তিনি [[স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১০–১৯)#২০১৬|স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৬]] লাভ করেন।<ref name="জনকণ্ঠ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন ১৫ ব্যক্তি ও নৌ-বাহিনী|ইউআরএল=https://www.dailyjanakantha.com/details/article/180998/স্বাধীনতা-পুরস্কার-পেলেন-১৫-ব্যক্তি-ও-নৌ-বাহিনী|ওয়েবসাইট=[[দৈনিক জনকণ্ঠ]]|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ মার্চ ২০১৬|তারিখ=২৪ মার্চ ২০১৬}}</ref>
 
মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণঃ- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পুরো সময় তিনি মক্তিযোদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। মুলত মুক্তিযোদ্ধে বদরুল আলম চৌধুরী এবং তার বড় ভাই শহীদ মাহফুজুল আলম চৌধুরী একসাথে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম চৌধুরী ফিরে আসলেও ফিরে আসতে পারেনি তার বড় ভাই শহীদ মাহফুজুল আলম চৌধুরী।
 
ব্যাক্তিগত জীবনঃ- ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি অনেক কিছু অর্জন করে গেলেও তার শেষ সময়টা মুটেও সুখকর ছিলেন না। ছাত্রজীবনে তিনি মেধার সাথে বিএ ডিগ্রী অর্জন করেন,রাজনৈতিক জীবনেও ছিলেন অনেক সফল, এছাড়া কর্মজীবনেও তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখে যান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে একই সাথে খারাপ হতে থাকে বদরুল আলম চৌধুরীর ব্যাক্তিগত জীবন ও। তিনি ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ বছর মেধার সাথে চাকরি করে গেলেও ষড়যন্ত্রে ফাঁসিয়ে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এবং ছুটি শেষে থাকে যোগদানে বাধাও প্রদান করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি যোগদানে ব্যর্থ হন এবং তাকে পাগল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
১৯৮৯ সালে তিনি বিবাহে আবদ্ধ হন।৷ এবং ১৯৯২ সালে তিনি প্রথম কন্য সন্তানের বাবা হন। ১৯৯৪ সালে তিনি আরেকটি পুত্রসন্তানের বাবা হন।
২০০২ সালে তিনি আরো একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তার আপন ছোট ভাই নুরুল আলম চৌধুরী তাকে নিজের বসত বাড়ি-ভিটে থেকে মারধর করে বের করে দেন এবং সমস্ত সম্পত্তি নিজে দখল করে নেয়। বদরুল আলম চৌধুরীর বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেয়। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান তথা গ্রামবাসী সকলে চেষ্টা করেও তাকে সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে ব্যার্থ হন। তৎকালীন সময় আইনের শাসন তেমন ভালো ছিলোনা বিদায় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাও সম্ভব হয়নি। ওই সময় বদরুল আলম চৌধুরী একটি ছোট দোকান ছিলো। বাধ্য হয়ে বদরুল আলম চৌধুরী ওই দোকানেই থাকতেন এবং স্ত্রী-সন্তানদের তার শশুর বাড়ি অর্থাৎ স্ত্রীর বাপের বাড়িতে রাখতে বাধ্য হয়। ছোট ভাইয়ে এসব অত্যাচার অতিষ্ঠ হয়ে,অসোহায়, অনিদ্রায়, বদরুল আলম চৌধুরী ২০০৫ সালে পরলোক গমন করেন। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী এবং এক কন্যাসন্তান এবং এক পুত্রসন্তান রেখে যান।
 
মৃত্যুঃ- বদরুল আলম চৌধুরী ১৯জানুয়ারী২০০৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==