কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎জীবনী: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
মৃন্ময় হালদার-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 2409:4061:2E9E:222F:D168:C74C:9433:2313-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৩৩ নং লাইন:
 
== জীবনী ==
ব্রাহ্ম সংস্কারক ব্রজকিশোর বসুর কন্যা কাদম্বিনীর জন্ম হয় ১৮ই জুলাই ১৮৬১ তে বিহারের ভাগলপুরে। তাঁর মূল বাড়ি ছিলো বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বরিশালের চাঁদশীতে। তাঁর বাবা ভাগলপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ব্রজকিশোর বসু অভয়চরণ মল্লিকের সাথে ভাগলপুরে মহিলাদের অধিকারের আন্দোলন করেছিলেন। তাঁরা মহিলাদের সংগঠন ভাগলপুর মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে। এই ঘটনা ছিল ভারতে প্রথম। দ্বারকানাথ ও তার বন্ধু কাদম্বিনীর পিসতুতো দাদা মনমোহনের হাত ধরে কাদম্বিনী তার পড়াশোনা আরম্ভ করেন হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়ে। তৎকালীনএক বিখ্যাতকালে ডাক্তারদ্বারকানাথের মহেন্দ্রলালপোলিও সরকারেরআক্রান্ত স্বপ্নছেলে ছিলসতীশের কোনোজ্বরের মহিলাসময়ে ডাক্তারতার হোক।মাথা তিনিধুইয়ে বুঝেছিলেনতার সমাজেপ্রাণরক্ষা স্ত্রীকরেছিলেন ডাক্তারেরকাদম্বিনী। প্রয়োজনীয়তা।এর তিনিজন্য কাদম্বিনীতার দেবীকেবুদ্ধিমত্তার অত‍্যন্তপ্রশংসাও স্নেহকরেছিলেন করতেনতৎকালীন এবংবিখ্যাত পরবর্তীতে তাঁর স্বপ্ন কাদম্বিনীর হাতডাক্তার ধরেইমহেন্দ্র বাস্তবেলাল রূপসরকার। নেয়।স্কুলজীবনে পড়াশোনাপড়াশুনা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল কাদম্বিনীর। স্কুলে পড়ার সময়ে তিনি ১৮৭৮ সালে প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেন। তার দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে বেথুন কলেজ প্রথম এফ.এ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেণি আরম্ভ করে। কাদম্বিনী এবং [[চন্দ্রমুখী বসু]] বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। তারা বি.এ পাস করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
| ইউআরএল = http://www.hist.umn.edu/faculty/kopf.html| শিরোনাম = David Kopf| সংগ্রহের-তারিখ = 2013-11-28| কর্ম = History at Minnesota| প্রকাশক = Regents of the University of Minnesota}}</ref> তারা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট।<ref>Female students were admitted into [[Oxford University]] in 1879, one year after the admission of female students for undergraduate studies at the [[University of Calcutta]] [http://www.ox.ac.uk/aboutoxford/women.shtml] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20061018054149/http://www.ox.ac.uk/aboutoxford/women.shtml |তারিখ=১৮ অক্টোবর ২০০৬ }}. The [[tripos]] was opened to women at Cambridge only in 1881 [http://www-groups.dcs.st-and.ac.uk/~history/Davis/Indexes/yCambridge.html].</ref>
 
৪০ নং লাইন:
তিনি পাঁচ বছর মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করার পর<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Akādemī patrikā|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=M6qtgeBu-r8C|তারিখ=May 1994|প্রকাশক=Paścimabaṅga Bāṃlā Ākādemi, Tathya o Saṃskr̥ti Bibhāga, Paścimabaṅga Sarakāra}}</ref> বিলেত যাবার আগে ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কিছুদিন লেডি ডাফরিন মহিলা হাসপাতালে মাসিক ৩০০ টাকা বেতনে কাজ করেছিলেন।
১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে রাজমাতার চিকিৎসার্থে নেপাল যান।
 
পেশার দিক থেকে কাদম্বিনী ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান।
স্বামী দ্বারকানাথ যেদিন মারা যান, সেদিনও তার কাছে কলকাতার এক জমিদার বাড়ি থেকে বাচ্চা প্রসব করানোর জন্য ‘কল’ আসে। স্বভাবতই যে কোনো শোকগ্রস্ত ডাক্তারের ক্ষেত্রে ‘কল’ টি প্রত্যাখ্যান করার কথা। কিন্তু তিনি তা করেন নি। সকালের স্বামীহারা কাদম্বিনী বিকালে ব্যাগপত্র গুছিয়ে সেখানে রওনা দেন। তাঁর এরূপ কর্মকাণ্ড দেখে আত্মীয়রা যথেষ্ট অবাক ও অসন্তুষ্ট হন। কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “যে গেছে ,সে তো আর ফিরে আসবে না। যে নতুন প্রাণ পৃথিবীতে আসছে, তাকে তো আনতে হবে।” এটি ছিল কাদম্বিনীর কর্মনিষ্ঠার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
 
১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে বোম্বে শহরে কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে প্রথম যে ছয় জন নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাদম্বিনী ছিলেন তাদের অন্যতম একজন। পরের বছর তিনি কলকাতার কংগ্রেসের ষষ্ঠ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। কাদম্বিনী ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম মহিলা বক্তা। কাদম্বিনী গান্ধীজীর সহকর্মী হেনরি পোলক প্রতিষ্ঠিত ট্রানসভাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় অনুষ্ঠিত মহিলা সম্মেলনের সদস্য ছিলেন।
১৯১৪ সালে তিনি কলকাতায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই অধিবেশন মহাত্মা গান্ধীর সম্মানের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।<ref>Mukherjee S. [http://bn.banglapedia.org/index.php?title=গাঙ্গুলি,_কাদম্বিনী Kadambini Ganguly]. ''Banglapedia''. Asiatic Society of Bangladesh.</ref> কাদম্বিনী চা বাগানের শ্রমিকদের শোষণের বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং তিনি তার স্বামীর দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন যিনি আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পদ্ধতির নিন্দা করেছিলেন। কবি কামিনী রায়ের সাথে কাদম্বিনী দেবী ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে বিহার এবং ওড়িশার নারীশ্রমিকদের অবস্থা তদন্তের জন্য সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন।