কোষ বিভাজন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan-এর করা 4666667 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
নিবন্ধ সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
{{Genetics sidebar}}
 
'''কোষ বিভাজন''' একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যার দ্বারামাধ্যমে জীবের দৈহিকবৃদ্ধি ও বংশ বৃদ্ধি ঘটে । যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভক্তির মাধ্যমে একটি থেকে দুটি বা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে । কোষ বিভাজন সাধারণত বৃহত্তর [[কোষ চক্র|কোষ চক্রের]] অংশ হিসাবে ঘটে। বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষকে অপত্য কোষ (Daughter cell) এবং যে কোষটি বিভাজিত হয় তাকে মাতৃ কোষ (Mother cell) বলেবলে। [[সুকেন্দ্রিক]] জীবে দুইরকম কোষ বিভাজন দেখা যায়; একটি হলো বর্ধনশীল কোষ বিভাজন, যেখানে বংশানুগতভাবে অপত্য কোষগুলো এবং মাতৃকোষ অভিন্ন ([[মাইটোসিস]]), অন্যটি হলো প্রজনন সংক্রান্ত কোষ বিভাজন, যেখানে অপত্য কোষগুলিতে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পেয়ে হ্যাপ্লয়েড [[গ্যামেট]] উৎপন্ন করে ([[মিয়োসিস]])<ref name=":0">{{Cite book|title=Introduction to genetic analysis|vauthors=Griffiths AJ|date=2012|publisher=W.H. Freeman and Co|isbn=9781429229432|oclc=698085201|edition=10th|location=New York}}</ref> [[কোষবিদ্যা|কোষবিদ্যায়]] '''মাইটোসিস''' হলো [[কোষ চক্র|কোষ চক্রের]] একটি অংশ, যেখানে প্রতিলিপি করা [[ক্রোমোজোম|ক্রোমোজোমগুলি]] দুটি নতুন নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয়। এই কোষ বিভাজন জিনগতভাবে অভিন্ন কোষের জন্ম হয় যাদের ক্রোমোজোমের মোট সংখ্যা বজায় থাকে। সাধারণত মাইটোসিস (নিউক্লিয়াসের বিভাজন) এর পূর্বে [[ইন্টারফেজ|ইন্টারফেজের]] এস পর্যায় (যখন ডিএনএ প্রতিলিপি হয়) হয় এবং এটির পরে [[টেলোফেজ]] এবং [[সাইটোকাইনেসিস]] সম্পন্ন হয়; যখন একটি কোষের [[সাইটোপ্লাজম]], [[অঙ্গাণু]] এবং [[কোষ ঝিল্লি]] বিভাজিত হয়ে নতুন সৃষ্ট কোষ দুটির মধ্যে প্রায় সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। মাইটোসিসের বিভিন্ন ধাপগুলি একসাথে একটি প্রাণীর কোষ চক্রের '''মাইটোটিক (এম) পর্বকে''' সংজ্ঞায়িত করে। Walter[[ওয়াল্টার flemmingফ্লেমিং]] ১৮৮২ সালে সামুদ্রিক সালামান্ডার (''<u>Triturus maculosa</u>'') কোষে ১মপ্রথমবারের মতো কোষ বিভাজন লক্ষ্য করেন।
মানবদেহ একটি মাত্র কোষ থেকেই তৈরি হয় । জাইগোট থেকে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ দেহ তৈরি হয় ।হয়।
[[চিত্র:Three cell growth types.svg|thumb|তিন ধরনের কোষ বিভাজন]]
 
কোষ বিভাজন ৩ প্রকার ।
[[চিত্র:Three cell growth types.svg|thumb|তিন ধরনের কোষ বিভাজন]]
যথাঃ-
* [[অ্যামাইটোসিস]] কোষ বিভাজন
* [[মাইটোসিস]] কোষ বিভাজন
৪৩ ⟶ ৪১ নং লাইন:
* মিয়োসিস-১
* মিয়োসিস-২
*'''মিয়োসিস কেন হয়?'''
 
 
*মিয়োসিস কেন হয়?
 
হ্যাপ্লয়েড (n) পুংজননকোষ ও স্ত্রী জননকোষের মিলনের ফলে সৃষ্ট জাইগােটটি ডিপ্লয়েড (2n)। এই জাইগােট মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে প্রথমে ভ্রুণ এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ জীবে পরিণত হয়। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ জীবের প্রতিটি কোষেই ডিপ্লয়েড (2n) সংখ্যক ক্রোমােজোম থাকে। নিষেকের আগেই যদি জননকোষগুলােতে ক্রোমােজোমের সংখ্যা অর্ধেক না হয়ে যায় তবে নতুন সৃষ্ট জাইগােটে ক্রোমােজোম সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। যেহেতু ক্রোমােজোমই জীবের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী জিন বহন করে তাই ক্রোমােজোম সংখ্যা দ্বিগুণ হলে বংশধরদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে। মিয়ােসিস হয় বলেই প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় টিকে থাকতে পারে।
 
*'''মিয়ােসিস কোথায় হয়?'''
 
নিম্নশ্রেণির জীব অর্থাৎ হ্যাপ্লয়েড (n) জীবের গ্যামেটও হ্যাপ্লয়েড। দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটের মিলনে ডিপ্লয়েড (2n) জাইগােট-এর জন্ম হয়। কাজেই হ্যাপ্লয়েড জীবের ক্ষেত্রে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য রক্ষার তাগিদে নিষেকের পর জাইগােটে মিয়ােসিস হয়।
৫৫ ⟶ ৫১ নং লাইন:
উচ্চ শ্রেণির প্রাণী ও উদ্ভিদ সাধারণত ডিপ্লয়েড (2n)। ডিপ্লয়েড জীব থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট সৃষ্টি হলেই নিষেকের পর পুনরায় ডিপ্লয়েড অবথার পুনরাবৃত্তি ঘটা সম্ভব। এজন্য ডিপ্লয়েড জীবের ক্ষেত্রে যৌন একক বা গ্যামেট সৃষ্টির পূর্বে জনন মাতৃকোষে মিয়ােসিস সংঘটিত হয়।
 
*'''মিয়ােসিসকে হ্রাস বিভাজন বলে কেন?'''
 
মিয়ােসিস বিভাজনে নিউক্লিয়াসের দুবার কিন্তু ক্রোমােজোমের একবার বিভাজন ঘটে, তাই ক্রোমােজোমের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে অর্ধেকে পরিণত হয়।
 
*'''মিয়ােসিসের বৈশিষ্ট্য'''
 
উত্তরঃ মিয়ােসিসের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ
৬৮ ⟶ ৬৪ নং লাইন:
৫। অপত্য নিউক্লিয়াসের ক্রোমােজোম সংখ্যা মাতৃ-নিউক্লিয়াসের ক্রোমােজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।
৬। কায়াজমা সৃষ্টি ও ক্রসিং ওভাড়ের ফলে নন-সিস্টার ক্রোমাটিডগুলোর মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে।
৭। মিয়ােসিসের ফলে নিউক্লিয়াসে নতুন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটে।<ref>ড মোহাম্মাদ আবুল হাসান, ''উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র'' , হাসান বুক হাউস, ঢাকা, জুন ২০১১, পৃষ্ঠা ১৬৬-১৮২।</ref>
 
== ব্যাকটিরিয়ায় কোষ বিভাজন ==
<ref>ড মোহাম্মাদ আবুল হাসান, ''উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র'' , হাসান বুক হাউস, ঢাকা, জুন ২০১১, পৃষ্ঠা ১৬৬-১৮২।</ref>
ব্যাকটেরিয়া কোষ বিভাজন বাইনারি ফিশনের মাধ্যমে ঘটে। [[ডিভিসোম]] ব্যাকটিরিয়ার একটি প্রোটিন কমপ্লেক্স যা কোষ বিভাজন, বিভাজনের সময় অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের ঝিল্লি সংকোচন এবং বিভাগে পেপটাইডোগ্লাইক্যান (পিজি) সংশ্লেষণের জন্য দায়ী। প্রোটিনের মতো একটি টিউবুলিন, FtsZ কোষ বিভাজনের জন্য একটি সংকোচনের রিং গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
== আরও দেখুন ==
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
* [[বাইনারি ফিশন]]
* [[কোষবিদ্যা]]
* [[কোষ ফিউশন]]
** [[গেম্যাটিক ফিউশন]]
* [[কোষ বৃদ্ধি]]
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}{{কোষচক্র প্রোটিন}}
[[বিষয়শ্রেণী:কোষ]]
[[বিষয়শ্রেণী:কোষ জীববিজ্ঞান]]