[[কুরআন|আল কুরআনে]] অন্যান্য [[নবী]]দের মতো ঈসাকেও "আল্লাহ্র (একেশ্বরের) বাণী", "আল্লাহ্র ভৃত্য", "আল্লাহ্র বার্তাবাহক", ইত্যাদি নামে ডাকা হয়েছে। কিন্তু যে কারণে ঈসা ব্যতিক্রম, তা হলহলো তার অলৌকিক জন্মগ্রহণ। হজরত ঈসা (আ:) আল্লাহর হুকুমে পিতা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেন। কুরআনে ঈসার জন্মকে ইতিহাসের [[প্রথম মানুষ|প্রথম মানব]] আদমের সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে ঈসার প্রতিকৃতি ছিল [[আদম|আদমের]] প্রতিকৃতির মতো। আদমের মতোই ঈসাও আল্লাহর "হও" আদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ইসলামে বর্ণিত ঈসার জন্মকাহিনী [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিস্টধর্মে]] বর্ণিত [[যিশু]]র জন্মকাহিনী থেকে ভিন্ন। [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনের]] 'বায়তে লাহাম' ([[বাইবেল|বাইবেলে]] [[বেথেলহাম]]) নামক স্থানে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম মরিয়ম বিনতে হান্না বিনতে ফখুজ। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, [[মরিয়ম|বিবি মরিয়ম]] মরুভূমিতে গিয়ে একটি পামবৃক্ষের ছায়ায় অনেক কষ্টস্বীকার করে ঈসার জন্ম দেন।