রয় ট্যাটারসল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

| caption =

| birth_place = [[Bolton|বোল্টন]], ল্যাঙ্কাশায়ার, [[ইংল্যান্ড]]

| death_place = [[Kidderminster|কিডারমিনস্টার]], ওরচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড

'''রয় ট্যাটারসল''' ({{lang-en|Roy Tattersall}}; জন্ম: ১৭ আগস্ট, ১৯২২ - মৃত্যু: ৯ ডিসেম্বর, ২০১১) ল্যাঙ্কাশায়ারের বোল্টনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/england/content/current/story/544525.html|শিরোনাম=Roy Tattersall dies aged 89|তারিখ=9 December 2011|প্রকাশক=ESPNcricinfo|সংগ্রহের-তারিখ=9 December 2011}}</ref><ref name="Cap">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=If The Cap Fits |শেষাংশ=Bateman |প্রথমাংশ=Colin |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=1993 |প্রকাশক=Tony Williams Publications |অবস্থান= |আইএসবিএন=1-869833-21-X |পাতা= 166 |ইউআরএল= }}</ref> [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। করেছেন

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে [[ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ল্যাঙ্কাশায়ার দলের]] প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অফস্পিনে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ ডানহাতি বোলার হিসেবে খেলতেন তিনি। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন।

বিশিষ্ট ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট লেখক জন কে ট্যাটারসলকে ওল্ড ট্রাফোর্ডের অস্থিতিশীল নীতি-নির্ধারণের শিকার হিসেবে উল্লেখ করেন।<ref>Cricketer Spring Annual 1959</ref> ১৯৫৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দলের বাইরে চলে যান। এরফলে কাউন্টি দলটিকে চ্যাম্পিয়নশীপে চড়া মাশুল গুণতে হয়েছিল।<ref>Cricketer Winter Annual 1956</ref> এছাড়াও, ১৯৫৯ সালের শুরুতে ট্যাটারসল ও [[Malcolmম্যালকম Hiltonহিল্টন|ম্যালকম হিল্টনকে]] বাদ দেয়া হয় ওএবং লেগ স্পিনার [[Tommyটমি Greenhoughগ্রীনহফ|টমি গ্রীনহোকেগ্রীনহফকে]] দলে নিয়ে আসা হয়। ১৯৬০ সালের শুরুরদিকে ট্যাটারসলকে ফিরিয়ে আনা হলেও তেমন ভালো খেলেননি ও মে মাসের পর স্থানচ্যূত হন।

১৯৫১ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে নিজের স্থান ধরে রাখতে সমর্থ ছিলেন রয় ট্যাটারসল। ঐ বছর সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজ এলাকার মাঠে ১০১ রানের বিনিময়ে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে সফরকারীদের বিপক্ষে ৮/৫১ পেয়েছিলেন। ঐ মৌসুমের শীতকালে ভারত গমন করেন। কানপুরের ব্যাটিং উপযোগী ১২৫ রান খরচায় ৮ উইকেট দখল করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ঐ সিরিজের একমাত্র [[ফলাফল (ক্রিকেট)|জয়ের]] সন্ধান পায় ইংল্যান্ড দল। তবে, উপমহাদেশে তিনি বিকল্প বোলার হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিলেন। আট ইনিংসে ২৪৬ ওভার বোলিং করেন। এরফলে তার ক্রীড়াশৈলী স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি ও নিজেকে আর একইমানের বোলার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি।<ref name="Cap"/>

দেশে ফিরে তাকে জিম লেকার, [[জনি ওয়ারডল]] ও [[Rolyরলি Jenkinsজেনকিন্স|রলি জেনকিন্সের]] ন্যায় বোলারের মুখোমুখি হতে হয়। দল নির্বাচকমণ্ডলী তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তাসত্ত্বেও, ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই শতাধিক উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন। এরপর তিনি আরও দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯৫৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন তিনি।

১৯৬১ সালে পেশাদার ক্রিকেটার রয় ট্যাটারসল বার্মিংহাম লীগে তেমন ভালো খেলতে পারেননি।<ref>Cricketer 1961</ref> ১৯৬২ সালে [[ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ওরচেস্টারশায়ারের]] পক্ষে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে তিনি তাদের দ্বিতীয় একাদশে মাঝারীমানের সফলতা পেয়েছিলেন।<ref>Preston, Norman (editor); ''[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]]'', 1963; p. 776</ref> ১৯৬৩ সালে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন তিনি।

রয় ট্যাটারসল অস্বাভাবিক ভঙ্গীমায় অর্থোডক্স বোলার [[জিম লেকার|জিম লেকারের]] সাথে অল্প পার্থক্য নিয়ে বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ে জিম লেকার খেলায় প্রভাববিস্তার করে ট্যাটারসলকে টেস্ট দলের বাইরে রাখেন। বলে সিম আনয়ণকল্পে <!-- [[index finger| -->তর্জনী]] ব্যবহার করতেন তিনি। ফলে ক্ষুরধার অফব্রেকঅফ-ব্রেক বোলিং সতর্কতা অবলম্বন করতেন। লেকারের তুলনায় তার বোলিং কিছুটা দ্রুততর হতো। নিজ কাউন্টির ভেজা পিচে এ ধরনের বোলিংয়ে বেশ সফলতা পান।