সাবস্ট্রেট (রসায়ন): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সর্বাধিক প্রচলিত তিনটি ন্যানো-স্কেল [[মাইক্রোস্কোপি]] কৌশল [[পারমাণবিক শক্তি অনুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার|অ্যাটমিক ফোর্স মাইক্রোস্কোপি]] (এএফএম), [[টানেলিং মাইক্রোস্কোপ স্ক্যান করা হচ্ছে|স্ক্যানিং টানেলিং মাইক্রোস্কোপি]] (এসটিএম), এবং [[সংক্রমণ ইলেক্ট্রন অনুবীক্ষণ|ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপিতে]] (টিএম) নমুনা মাউন্ট করার জন্য একটি সাবস্ট্রেটের প্রয়োজন হয়। সাবস্ট্রেটগুলি প্রায়শই পাতলা এবং এদের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য অপেক্ষাকৃত কম এবং ত্রুটিমুক্ত থাকে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=TEM, STM and AFM as tools to study clusters and colloids|শেষাংশ=Hornyak|প্রথমাংশ=G. L.|শেষাংশ২=Peschel|প্রথমাংশ২=St.|তারিখ=1998-04-01|পাতাসমূহ=183–190|doiডিওআই=10.1016/S0968-4328(97)00058-9|issn=0968-4328}}</ref> উৎপাদনে সহজ এবং মাইক্রোস্কোপি ডেটাতে হস্তক্ষেপ না থাকার কারনে সাধারণত রৌপ্য, সোনা বা সিলিকনের ওয়েফার ব্যবহার করা হয়। নমুনাগুলি সাবস্ট্রেটের সূক্ষ্ম স্তরগুলিতে জমা হয় যেখানে এটি নির্ভরযোগ্য বেধ এবং দৃঢ়তার অবলম্বন হিসাবে কাজ করতে পারে <ref name=":02">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.emsdiasum.com/microscopy/products/afm/substrates.aspx|শিরোনাম=Substrates for AFM, STM|ওয়েবসাইট=www.emsdiasum.com|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-01}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.emsdiasum.com/microscopy/products/afm/silicon_wafers.aspx|শিরোনাম=Silicon Wafers for AFM, STM|ওয়েবসাইট=www.emsdiasum.com|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-01}}</ref> । এই ধরণের মাইক্রোস্কোপিগুলোর জন্য সাবস্ট্রেটের মসৃণতা বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা নমুনা উচ্চতায় খুব ছোট পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও সংবেদনশীল।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত নমুনা সমন্বয়ের জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রবিশেষে অন্যান্য বিভিন্ন সাবস্ট্রেট ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ গ্রাফাইট ফ্লেকের এএফএমের জন্য তাপীয়ভাবে অন্তরক সাবস্ট্রেটের প্রয়োজন হয় <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Atomic force microscopy for two-dimensional materials: A tutorial review|শেষাংশ=Zhang|প্রথমাংশ=Hang|শেষাংশ২=Huang|প্রথমাংশ২=Junxiang|তারিখ=2018-01-01|ধারাবাহিক=Optoelectronics and Photonics Based on Two-dimensional Materials|পাতাসমূহ=3–17|doiডিওআই=10.1016/j.optcom.2017.05.015|issn=0030-4018}}</ref> এবং টিইএমের জন্য পরিবাহী সাবস্ট্রেট আবশ্যক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাবস্ট্রেট শব্দটি নমুনাটিকে রাখার দৃঢ় অবলম্বনকে না বুঝিয়ে মূলত নমুনাটিকেই বোঝাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

[[পারমাণবিক স্তর জমা|পারমাণবিক স্তর বিন্যাসে]] সাবস্ট্রেট একটি প্রাথমিক পৃষ্ঠ হিসাবে কাজ করে যার উপর বিকারকগুলো সঠিকভাবে রাসায়নিক কাঠামো তৈরি করতে পারে <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Tailoring nanoporous materials by atomic layer deposition|শেষাংশ=Detavernier|প্রথমাংশ=Christophe|শেষাংশ২=Dendooven|প্রথমাংশ২=Jolien|তারিখ=2011-10-17|পাতাসমূহ=5242–5253|ভাষা=en|doiডিওআই=10.1039/C1CS15091J|issn=1460-4744|pmid=21695333}}</ref> <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Germanium surface passivation and atomic layer deposition of high-kdielectrics—a tutorial review on Ge-based MOS capacitors|শেষাংশ=Xie|প্রথমাংশ=Qi|শেষাংশ২=Deng|প্রথমাংশ২=Shaoren|তারিখ=2012-06-22|পাতাসমূহ=074012|doiডিওআই=10.1088/0268-1242/27/7/074012|issn=0268-1242}}</ref> । আশানুরূপ বিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সাবস্ট্রেট ব্যবহার করা হয় তবে তারা বিকারককে সাবস্ট্রেটের সাথে আটকে থাকার জন্য আকর্ষণের মাধ্যমে বেধে রাখে।

[[প্রাণরসায়ন|জৈব রসায়নে]] সাবস্ট্রেট এমন [[অণু]] যার উপর [[উৎসেচক]] কাজ করে। উৎসেচকগুলি সাবস্ট্রেটের সাথে জড়িত [[রাসায়নিক বিক্রিয়া|রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলির]] [[অনুঘটন|অনুঘটন করে]] । একক সাবস্ট্রেটের ক্ষেত্রে উৎসেচকের [[সক্রিয় সাইট|সক্রিয় সাইটের]] সাথে সাবস্ট্রেট বন্ধন গঠন করে এবং একটি [[উৎসেচক|এনজাইম-সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স]] গঠিত হয়। সাবস্ট্রেটটি এক বা একাধিক [[পণ্য (জীববিজ্ঞান)|উৎপাদে]] রূপান্তরিত হয়, যা সক্রিয় সাইট থেকে বেরিয়ে আসে। সক্রিয় সাইটটি তখন অবাধে অন্য একটি সাবস্ট্রেট অণু গ্রহণ করতে পারে। একাধিক সাবস্ট্রেটের ক্ষেত্রে, উৎপাদ তৈরি করতে একত্রে বিক্রিয়া করার আগে এগুলি সক্রিয় সাইটে কোনও একটি নির্দিষ্ট ক্রমে আবদ্ধ হয়। উৎসেচকের মাধ্যমে কাজ করার সময় এটি কোনও রঙিন উৎপাদ উৎপন্ন করলে সাবস্ট্রেটটিকে 'ক্রোমোজেনিক' বলে। হিস্টোলজিকাল উৎসেচক স্থানীয়করণ অধ্যয়নে জৈবিক টিস্যুর পাতলা বিভাগগুলিতে উৎসেচকের ক্রিয়ায় উৎপন্ন রঙিন উৎপাদটি মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে দেখা যায়। একইভাবে, কোনও উৎসেচক দ্বারা কাজ করার সময় কোনও প্রতিপ্রভা সৃষ্টিকারী উৎপাদ উৎপন্ন হলে সাবস্ট্রেটটিকে 'ফ্লোরোজেনিক' বলা হয়।