রবার্ট ক্লাইভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬৮ নং লাইন:
পলাশীর পট পরিবর্তন কোম্পানিকে ঘটনার পূর্বে ক্লাইভ কর্তৃক অনুমিত বিপুল পরিমাণ আয় দেখাতে পারে নি। বরং কোম্পানি বাংলায় ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর মুনাফা অর্জন করলেও, পলাশীর যুদ্ধের পর ব্যবসায়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে থাকে। প্রতি বছর কোম্পানির দেনা বাড়তে থাকে। কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স দেখতে পায় যে, কোম্পানির কর্মকর্তাগণ বাংলাকে তাঁদের ব্যক্তিগত ধনভান্ডারে পরিণত করেছে। কোম্পানির ব্যবসা-বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার না দিয়ে তারা সবাই ব্যক্তিগত ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করেছে। ক্লাইভকে বাংলায় কোম্পানির বিনিয়োগকে লাভজনক করার সর্বাপেক্ষা কঠিন এক দায়িত্ব দিয়ে পুনরায় বাংলায় পাঠান হয়।
 
ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে [[কলকাতা]] পৌঁছেন। তিনি সমুদ্রপথে বাংলা অভিমুখে যাত্রাকালেই তাঁর অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মপদ্ধতির পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল গভর্নর হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় শাসনকালকে যতখানি সম্ভব তাঁর জাতির জন্য অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করে তোলা। এ কাজে তিনি প্রত্যাশার অতিরিক্ত সাফল্য অর্জন করেন। তিনি এলাহাবাদ যান এবং খেতাবসার সম্রাটের নিকট থেকে বার্ষিক নিয়মিত ২৬ লক্ষ সিক্কা টাকার বিনিময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|বাংলা]], [[বিহার]] ও [[উড়িষ্যা]]র দীউয়ানি লাভ করেন। কোম্পানির নামে দীউয়ান এর পদ গ্রহণের সময় তিনি সম্পূর্ণরূপে এর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
 
তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, রাজকীয় ফরমান বলে এদেশে বাণিজ্যরত অন্যান্য সমুদ্রোপকূলীয় কোম্পানি স্বভাবতই [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র দীউয়ানি এখতিয়ার মেনে নিতে অস্বীকার করবে; এর পরিণাম হবে যুদ্ধ এবং অবশ্যই তা পরিহার করতে হবে। ক্লাইভ এও বুঝতে পেরেছিলেন যে, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোম্পানির কোনো অভিজ্ঞতা নেই এবং বাস্তবিকপক্ষে বাংলার গ্রামগঞ্জ থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করার জন্য জনবলও কোম্পানির নেই। এ পরিস্থিতিতে দেশটি সরাসরি শাসন করা থেকে বিরত থেকে ক্লাইভ সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দূরদর্শিতা প্রদর্শন করেছেন। তিনি কোম্পানির পক্ষে রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য সৈয়দ মুহম্মদ রেজা খান নামে একজন পারসিক ভাগ্যান্বেষীকে নায়েব দীউয়ান (ডেপুটি দীউয়ান) পদে নিয়োগ করেন। অন্য কথায়, সাধারণভাবে [[দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা|দ্বৈতশাসন]] (১৭৬৫) ব্যবস্থা নামে পরিচিত ক্লাইভ প্রবর্তিত শাসনব্যবস্থায় অর্থ বা জনবলে কোনো বিনিয়োগ ব্যতিরেকে এবং কোনো প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ না করে কোম্পানি দেশের রাজস্ব ভোগ করবে। এটি হচ্ছে বিনিয়োগ ছাড়া আয়ের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।