লালবাগের কেল্লা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salman saif Boy (আলোচনা | অবদান)
→‎লালবাগের কেল্লা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Salman saif Boy (আলোচনা | অবদান)
→‎লালবাগের কেল্লা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১ নং লাইন:
লালবাগের কেল্লা
সংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiatic
মুঘল স্থাপত্য
 
সংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiaticসংস্করণ=Second|প্রকাশক=[[Asiatic |
 
ইতিহাস
সম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য় পুত্র, মুঘল রাজপুত্র আজম শাহ বাংলার সুবাদার থাকাকালীন ১৬৭৮ সালে এটার নির্মাণকাজ শুরু করেন। তিনি বাংলায় ১৫ মাস ছিলেন। দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য পিতা সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। এসময় একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়। সুবাদার শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে পুনরায় বাংলার সুবাদার হিসেবে ঢাকায় এসে দুর্গের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন। ১৬৮৪ সালে এখানে শায়েস্তা খাঁর কন্যা ইরান দুখত রাহমাত বানুর (পরী বিবি) মৃত্যু ঘটে। কন্যার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খাঁ এ দুর্গটিকে অপয়া মনে করেন এবং ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে অসমাপ্ত অবস্থায় এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। লালবাগের কেল্লার তিনটি প্রধান স্থাপনার একটি হল পরী বিবির সমাধি। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ত্যাগ করার পর এটি এর জনপ্রিয়তা হারায়। ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছিল; এটিই ছিল প্রধান কারণ। রাজকীয় মুঘল আমল সমাপ্ত হওয়ার পর দুর্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়ে যায়। ১৮৪৪ সালে এলাকাটি "আওরঙ্গবাদ" নাম বদলে "লালবাগ" নাম পায় এবং দুর্গটি পরিণত হয় লালবাগ দুর্গে ।
 
 
লালবাগ কেল্লার দরবার হলের মধ্যকার জাদুঘরের প্রদর্শিত শিলালিপি।
অবকাঠামো
দীর্ঘ সময় যাবত এটি ধারনা করা হত যে, দুর্গটি হচ্ছে তিনটি ভবন স্থাপনার সমন্বয় (মসজিদ, পরী বিবির সমাধি ও দেওয়ান-ই-আম), সাথে দুটি বিশাল তোরণ ও আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত মজবুত দুর্গ প্রাচীর। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক উৎখননে অন্যান্য অবকাঠামোর অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
 
দক্ষিণস্থ দুর্গ প্রাচীরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি বিরাট বুরূজ ছিল। দক্ষিণস্থ দুর্গ প্রাচীরের উত্তরে ছিল কয়েকটি ভবন, আস্তাবল, প্রশাসনিক ভবন, এবং পশ্চিম অংশে জলাধার ও ফোয়ারা সহ একটি সুন্দর ছাদ-বাগানের ব্যবস্থা ছিল।
 
আবাসিক অংশটি ছিল দুর্গ প্রাচীরের পশ্চিম-পূর্বে, প্রধানত মসজিদটির দক্ষিণ-পশ্চিমে।
 
দক্ষিণের দুর্গ প্রাচীরে নির্দিষ্ট ব্যবধানে ৫ টি বুরুজ ছিল উচ্চতায় দুই তালার সমান, এবং পশ্চিমের দুর্গ প্রাচীরে ছিল ২ টি বুরুজ যার সবচেয়ে বড়টি ছিল দক্ষিণস্থ প্রধান প্রবেশদ্বারে।
 
বুরুজ গুলোর ছিল একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ। কেল্লাটির কেন্দ্রীয় এলাকা দখল করে ছিল তিনটি প্রধান ভবন। পূর্বে দেওয়ান-ই-আম ও হাম্মাম খানা, পশ্চিমে মসজিদটি এবং পরী বিবির সমাধি দুটোর মাঝখানে এক লাইনে, কিন্তু সমান দূরত্বে নয়। নির্দিষ্ট ব্যবধানে কয়েকটি ফোয়ারা সহ একটি পানির নালা তিনটি ভবনকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ও উত্তর থেকে দক্ষিণে সংযুক্ত করেছে।
 
দেওয়ান-ই-আম
 
হাম্মাম খানা মূলত সুবেদারদের বাস ভবন হিসেবে ব্যবহার হত । লালবাগ কেল্লার এই দালান কে দুটি কাজে ব্যবহার করা হত এক. হাম্মাম খানা( বাস ভবন হিসেবে) ২. দি ওয়ানে আমি ( বিচারালয় হিসেবে)। এই দালানের নিচ তালা ছিল বাস ভবন তথা হাম্মাম খানা আর উপরের তলা ছিল কোর্ট তথা দি ওয়ানে আম। শায়েস্তা খাঁ এই ভবনে বাস করতেন এবং এটাই ছিল তার কোর্ট। এখান থেকে তিনি সমস্ত বিচার কার্য পরিচালনা করতেন ।
 
পরি বিবির সমাধি
মূল নিবন্ধ: পরিবিবির মাজার
লালবাগ কেল্লার তিনটি স্থাপনার মধ্যে অন্যতম এটি। এখানে পরি বিবি সমাহিত আছেন। শায়েস্তা খান তার কন্যার স্মরণে এই মনমুগ্ধকর মাজারটি নির্মাণ করেন। লালবাগ কেল্লার তিনটি বিশাল দরজার মধ্যে বর্তমানে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে ঢুকলে বরাবর সোজা চোখে পড়ে পরি বিবির সমাধি। আসলে "লালবাগ কেল্লা" বলতে যেই ছবিটি বেশি পরিচিত সেটি মূলত পরি বিবির সমাধির ছবি। পরি বিবি যার অন্য নাম ইরান দুখত রহমত বানু ছিলেন সুবাহ বাংলার মুঘল সুবাহদার শায়েস্তা খানের কন্যা। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মুহাম্মদ আজমের সাথে ১৬৬৮ সালের ৩ মে পরি বিবির বিয়ে হয়। ১৬৮৪ সালে পরী বিবির অকালমৃত্যুর পর তাকে নির্মাণাধীন লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে সমাহিত করা হয়। তার সমাধীস্থলকে চিহ্নিত করে পরী বিবির মাজার নির্মিত হয়। পরি বিবির মাজারের স্থাপনাটি চতুষ্কোণ। মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। মাঝের একটি ঘরে পরি বিবির সমাধিস্থল এবং এই ঘরটি ঘিরে আটটি ঘর আছে। স্থাপনাটির ছাদ করবেল পদ্ধতিতে কষ্টি পাথরে তৈরি এবং চারকোণে চারটি অষ্টকোণ মিনার ও মাঝে একটি অষ্টকোণ গম্বুজ আছে। মূল সমাধিসৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের এই গম্বুজটি একসময়ে স্বর্ণখচিত ছিল, পরবর্তীতে পিতলের/তামার পাত দিয়ে পুরো গম্বুজটিকে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থাপনাটির অভ্যন্তর ভাগ সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে আচ্ছাদিত। ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে নির্মিত। তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত বর্তমানে এখানে পরি বিবির মরদেহ নেই বলে।
 
তিন গম্বুজওয়ালা দুর্গ মসজিদ (শাহী মসজিদ)
সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা আজম বাংলার সুবাদার থাকাকালীন এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ১৬৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে। আয়তাকারে (১৯.১৯ মি: × ৯.৮৪ মি) নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এদেশের প্রচলিত মুঘল মসজিদের একটি আদর্শ উদাহরণ। বর্তমানেও মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
 
দক্ষিণ পূর্ব তোরণ
পানির ট্যাংক
একটি বর্গাকৃতির পানির ট্যাংক (প্রতি পাশে ৪৫ মি) দেওয়ান-ই-আমের পূর্বদিকে স্থাপন করা হয়। সেখানে ট্যাংকে নামার জন্য চার কোণার সিঁড়ি আছে।
 
দুর্গের কিছু দৃশ্য
লালবাগ কেল্লা মসজিদ
কেল্লা জাদুঘর
শায়েস্তা খাঁর বাসভবন ও দরবার হল বর্তমানে লালবাগ কেল্লা জাদুঘর হিসেবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
 
উপাখ্যান
বর্তমান অবস্থা
গ্যালারি
লালবাগের কেল্লা, পুরো এলাকা, পাখির চোখে
লালবাগ কেল্লার অন্তরীক্ষ চিত্র
পরিবিবির মাজারের পেছনের দৃশ্য
লালবাগ দুর্গের ভিতর
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগের কেল্লা
লালবাগ দুর্গ
পরী বিবির মাজার
লালবাগ দুর্গের সুউচ্চ দেয়াল
লালবাগ কেল্লা জাদুঘর
লালবাগ কেল্লা জাদুঘর
লালবাগ কেল্লা জাদুঘর
লালবাগ কেল্লা দরবার হল
লালবাগ দুর্গের সুউচ্চ দেয়াল
উইকিমিডিয়া কমন্সে লালবাগের কেল্লা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
আরও দেখুন
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা
তথ্যসূত্র
এই নিবন্ধ সম্পর্কে
সম্পূর্ণ সম্পাদনা ইতিহাস
0 দিন আগে সম্পাদিত
আলাপ পাতা দেখুন
এই নিবন্ধের উন্নতি আলোচনা করুন
আরো পড়ুন
বিবি চম্পার সমাধি
এটি চম্পা বিবির মাজার নামেই বেশি পরিচিত । পুরনো ঢাকার চকবাজার থানার সোয়ারীঘাটের চম্পাতলী এলাকার নামকরণ করা হয় চম্পা বিবির নামানুসারে ।তার পরিচয় সমন্ধে সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় নি ।তিনি ছিলেন শায়েস্তা খাঁর উপপত্নী বা পালিত কন্যা। মুনশী রহমান আলী তায়েশ তার উর্দু ভাষায় রচিত ‘তাওয়ারিখে ঢাকা’, ডক্টর আ ম ম শরফুদ্দীন কতৃক অনুবাদকৃত বইয়ে সমাধিসৌধটির ধ্বংস সমন্ধে লিখেছেন, "পাদ্রী শেফার্ড ওটা ধ্বংস করে দিয়েছেন। শেফার্ড বোধহয় কবরটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন। " এটি ঘটেছিল ১৮১৬ সালে মিশনারি লিওনারদ কতৃক ছোট কাটরায় ইংরাজি স্কুল খোলার পর ।
জঙ্গলবাড়ি দূর্গ
জঙ্গলবাড়ি দুর্গ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ঈশা খাঁর স্মৃতিবাহী একটি স্থাপনা। মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁ ছিলেন বাংলার বার ভূঁইয়াদের প্রধান। ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি প্রকৃতপক্ষে ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে নরসুন্দা নদীর তীরে দুর্গটির অবস্থান।
সুবাহ বাংলা
মুঘল সাম্রাজ্যের মহকুমা
বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৩.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে।
ব্রাউজারে নিবন্ধ দেখুন
|