হুররাম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Great Hero32 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩০ নং লাইন:
১৬শ-শতাব্দীর পরবর্তী এবং ১৭শ- শতাব্দীর শুরুর দিকে তুর্কি বিষয়ে গবেষক পোলিশ কবি [[সামুয়েল ত্বারদভস্কি]]র দেয়া তথ্য অনুসারে, হুররেম সম্ভবত কোন ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স ধর্মযাজক পিতার ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন।<ref name=speech>''The Speech of Ibrahim at the Coronation of Maximilian II'', Thomas Conley, ''Rhetorica: A Journal of the History of Rhetoric'', Vol. 20, No. 3 (Summer 2002), 266.</ref><ref>Kemal H. Karpat, ''Studies on Ottoman Social and Political History: Selected Articles and Essays'', (Brill, 2002), 756.</ref><ref name=Abbot>Elizabeth Abbott, ''Mistresses: A History of the Other Woman'', (Overlook Press, 2010), [http://books.google.com/books?id=_BXNakNnZ7AC&pg=PT39&dq=Mistresses:+A+History+of+the+Other+Woman+Roxelana+Orthodox+priest&hl=en&sa=X&ei=nX7gULnrFcy_2QXIu4D4CA&ved=0CDoQ6AEwAA].</ref> তিনি পোল্যান্ড রাজ্যের রুথেনীয় ভয়ভডেশিপের প্রধান শহর [[ল্বও]]-এর ৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রুহাটাইন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমান পশ্চিম [[ইউক্রেন]])।<ref name=Abbot/> ১৫২০-এর দশকে [[ক্রিমিয়ার তাতার]]রা ওই এলাকার একটি তড়িৎ অভিযানের সময় তাকে বন্দী করে একজন দাসী হিসেবে নিয়ে আসে (সম্ভবত প্রথমে ক্রিমিয়ার নগরী [[ফিওদসিয়া|কাফফায়]], যা দাস ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র, এরপর কনস্টান্টিনোপলে) এবং তাকে প্রথম সুলাইমানের হারেমের জন্য বাছাই করে।<ref name=speech/><ref name=Abbot/>
 
==সুলতানেরসুলেমানের সঙ্গে সম্পর্ক==
অল্প সময়ের মধ্যেই রোক্সেলেনা তার মুনিব সুলায়মানের সুনজরে চলে আসেন এবং সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঈর্ষার পাত্রীতে পরিণত হন। শীঘ্রই তিনি সুলায়মানের প্রিয়তম সঙ্গিনী বা [[হাসেকি সুলতান]] হয়ে ওঠেন। সুলতানের উপর হুররামের প্রভাবের কথা দ্রুত আশেপাশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তিনিই সুলতানের সর্বাধিক সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেন, এবং আশ্চর্যজনকভাবে চিরায়ত প্রথা ভঙ্গ করে - তিনি দাসত্ব হতেও মুক্তি লাভ করেন। দুইশত বছরের অটোম্যান ঐতিহ্যকে ভঙ্গ করে,<ref name="Kinross236">Kinross, Patrick (1979). The Ottoman centuries: The Rise and Fall of the Turkish Empire. New York: Morrow. {{আইএসবিএন|978-0-688-08093-8}}. p, 236.</ref> একজন প্রাক্তন উপপত্নী এভাবে অবশেষে সুলতানের বৈধ পত্নী হয়ে ওঠে, যা প্রাসাদ ও নগরীর প্রত্যক্ষদর্শীদের জন্য অত্যন্ত হতবাককারী একটি বিষয় ছিল।<ref>Mansel, Phillip (1998). Constantinople : City of the World's Desire, 1453–1924. New York: St. Martin's Griffin. {{আইএসবিএন|978-0-312-18708-8}}. p, 86.</ref> এই ঘটনা সুলাইমানকে [[ওরহান গাজি]]র (১৩২৬- ১৩৬২) পর প্রথম কানিজ বিবাহকারী সুলতানের পরিচয় এনে দেয় এবং প্রাসাদে হুররামের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে, যার ফলশ্রুতিতে তার অন্যতম পুত্র [[দ্বিতীয় সেলিম]] ১৫৬৬ সালে সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার লাভ করেন।
 
[[File:Letter of Roxelane to Sigismond Auguste complementing him for his accession to the throne 1549.jpg|thumb|left|222px| ১৫৪৯ সালে [[সিগিস্মন্ড দ্বিতীয় অগাস্টাস]]কে পোল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করায় অভিনন্দন জানিয়ে লেখা হুররেম সুলতানের পত্র।]]
ইস্তাম্বুলের হেরেমে হুররেম সুলতান সুলায়মানের প্রথম খাসবাদীর(উপপত্নী) , [[মাহিদেভরান সুলতান|মাহিদেভরান সুলতানের]] একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। ১৫২১ সালে হুররাম তার প্রথম পুত্র মেহমেদের জন্ম দেন এবং এরপর আরও চার পুত্র, যা সুলতানের একমাত্র পুত্রের মাতা হিসেবে অর্জিত মাহিদেভরানের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে দেয়।<ref name="encycloapedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Encyclopedia of the Ottoman Empire |ইউআরএল=http://www.practicalturkish.com/encyclopedia-h.html |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০১৫ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080601083526/http://www.practicalturkish.com/encyclopedia-h.html |আর্কাইভের-তারিখ=১ জুন ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> সুলায়মানের মাতা, [[আয়শে হাফসা সুলতান]], হারেমের শৃঙখলা বজায় রাখতে এই দুই মহিলার শত্রুতাকে একপাক্ষিকভাবেঅংশত গোপন রাখতেন,আর মাহিদেভেরানকে সুলতানের ক্ষোভের হাত থেকে অন্যায় ভাবে বাঁচাতেনরাখতেন। কিন্তু ১৫৩৪ সালে তার মৃত্যুর পর, একটি তুমুল লড়াই সঙ্ঘটিত হয়, যেখানে মাহিদেভরান হুররেমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় সুলাইমান ক্ষুব্ধ হয়ে পরবর্তীতে মাহিদেভ্রান সুলতানকে পুত্র [[শাহজাদা মুস্তফামুস্তাফা]] সহ প্রাদেশিক রাজধানী মানিসায় পাঠিয়ে দেন। অপরপক্ষে তুর্কি ইতিহাসবিদ নেচদেত সাকাওলুর মত অনুসারে, এই অভিযোগগুলি মোটেও সত্য ছিল না। উসমানীয় প্রথানুযায়ী রাজনৈতিকভাবে সাম্রাজ্য পরিচালনার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য [[মানিসাশাহজাদা মুস্তাফা]]য় পাঠিয়েমানিসা দেন।প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার কারণে মাহিদেবরান তার পুত্র মুস্তাফাসহ ইস্তাম্বুল ছেড়ে মানিসা গিয়েছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=9mItAQAAIAAJ|শিরোনাম=Famous Ottoman women |শেষাংশ=Sakaoğlu |প্রথমাংশ=Necdet |তারিখ=2007|প্রকাশক=Avea|পাতা=89|ভাষা=en}}</ref>
 
হুররেমহুররাম এবং মাহিদেভরান মিলে সুলাইমানের ছয় পুত্রসন্তানের জন্ম দেন, যাদের মধ্যে ৪ জন ১৫৫০ সালের মধ্যে জীবিত ছিল: মুস্তফা, সেলিম, [[Şehzade Bayezid|বায়েজিদ]], ও [[Şehzade Cihangir|জাহাঙ্গীর]]। এদের মাঝে, মাহীদেভ্রানের পুত্র মুস্তাফা বয়োজ্যেষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসেবে হুররেমের সন্তানদের অগ্রবর্তী ছিলেন। হুররেম মনে যে নিয়মানুসারে মুস্তাফাই সুলতান হবে, এবং প্রথা অনুযায়ী মুস্তাফা হুররেমের নিজ সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে, যদিও শাহজাদা মুস্তাফা তার ভাই-বোনদের যথেষ্ট পরিমাণে ভালোবাসতেন। তথাপি মুস্তফাও সকল ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে অনেকেই তাকে প্রাধান্য দিত এবং [[পারগালি ইব্রাহীম পাশা]]ও তাকে সমর্থন করতেন, যিনি ১৫২৩ সালে সুলতানের প্রধান উজির হন। অনেক তথ্যসূত্রে {{which|date=December 2014}} ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইব্রাহিম পাশা হুররেম সুলতানের চক্রান্ত ও প্রাসাদে তার উঠতি প্রভাবের একজন ভুক্তভোগী ছিলেন, বিশেষ করে অতীতে শাহজাদা মুস্তফাকে সমর্থন করার কারণে। প্রথম আহমেদের শাসনামলের আগপর্যন্ত সাম্রাজ্যে সুলতানের মৃত্যু হলে, উত্তরসূরি নির্বচনের কর্মকাণ্ডে বেসামরিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহ প্রতিহত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজপুত্রদের গোপনে বা প্রকাশ্যে হত্যা করা হতো। নিজ পুত্রদের প্রাণদণ্ডকে এড়াতে, হুররেম মুস্তাফার রাজ্যাভিষেকের সমর্থকদের নির্মূল করতে নিজ প্রভাবকে কাজে লাগাতে শুরু করলো।<ref name="Mansel">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ= Mansel |প্রথমাংশ= Phillip |শিরোনাম= Constantinople : City of the World's Desire, 1453–1924|বছর= 1998|প্রকাশক= St. Martin's Griffin |অবস্থান= New York |আইএসবিএন= 978-0-312-18708-8 |পাতাসমূহ= 84}}</ref>
বহু বছর পর, সুলায়মানের দীর্ঘ শাসনামলের শেষের দিকে, তার পুত্রদের শত্রুতা আরও স্পষ্ট ও প্রকট আকার ধারণ করে।ঐতিহাসিক সূত্র দ্বারা জানা যায় ১৫৫৩ সালে সফভীয় ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানকালে রুস্তম পাশা সুলেমানকে অবহিত করেন মুস্তাফা বিদ্রোহ করেছেন এবং সুলেমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিশাল সৈনাবাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসছেন। বিপরীতে মুস্তাফাকে বলা হয় ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় সুলতান সুলেমান বিপদে পরেছেন এবং শাহজাদা মুস্তাফার সহায়তা চেয়েছেন। যার পরিণতিতে মুস্তাফা তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে সুলতানকে সাহায্য করার জন্য রওনা হন।