কাশ্মীর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Nieuwsgierige Gebruiker (আলোচনা | অবদান)
103.25.250.232 (আলাপ)-এর করা সম্পাদনাগুলি বাতিল করে কুউ পুলক-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত পুনর্বহালকৃত এসডাব্লিউভিউয়ার [১.৪]
৩৯ নং লাইন:
=== সরাসরি খুনঃ ===
গাজা উপত্যকায় সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২০ জানুয়ারি এক ব্যাপক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করতে মিছিল করে নিরস্ত্র মুক্তিকামী কাশ্মিরি জনগণ। কিন্তু ইনডিয়ার সেনা সহ রাজ্য সরকারে নিরাপত্তা বাহিনী মিছিলটিতে নির্বিচারে বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করে কমসে কম একশ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। গোয়াকাডাল ব্রিজে সংঘটিত সেই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বীভৎস স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় কাশ্মিরের জনগণকে। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতা এখন পর্যন্ত চলছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এসব অবিচার এবং খুনের ঘটনার জন্য এ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক নেতা কিংবা সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয় নাই। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিটা খুনই জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে। যেখানে একদিকে ইনডিয়ান সেনাদের জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, ধর্র্ষণ আরেক দিকে কাশ্মির রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর দমন পীড়ন, রাজ্যের বেআইনি হত্যাকান্ড ও অন্যায় নিপীড়ন সমান তালে চলছে কাশ্মিরে। মোটকথা এসব ঘটনা কাশ্মিরিদের বিক্ষোভ, প্রতিরোধ ও স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা আরো শক্তিশালী করে তুলছে।
=== হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও বুক বরাবর গুলি বর্ষণঃ ===
ইন্ডিয়ারইনডিয়ার সরকার বলছে, তারা মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পায়ের নিচে গুলি করছে। কিন্তু হাসপাতালের রেকর্ড বুকগুলায় পায়ের নিচে গুলির আলামতের কোন কথাই নাই।undefinedকারণ বেশিরভাগ গুলি ও টিয়ারগ্যসের সেল ছোঁড়া হয় মাথা ও বুক বরাবর। কাশ্মিরের শীর্ষস্থানীয় ট্রমা সেন্টার এসএমএইচএস হসপিটালে বিশ দিনের একটা অনুসন্ধান করা হয়। তাতে দেখা যায়, নানা বিক্ষোভ ও আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চৌদ্দ জনের মধ্যে ছয় জনের বুকেই গুলি পাওয়া যায়। একজনের গলায়, একজনের বাম কাঁধে এবং একজনের বাহুতে গুলি করা হয়েছে।হাসপাতালের অপারেশন কক্ষের রেকর্ডবুকে গুলি লাগা বা গুরুতর আহত রোগীদের যে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় সেখান থেকেই এ তথ্যগুলা পাওয়া গেছে। তিন সপ্তাহে তারা মাত্র একজনকে পেয়েছে, যে গুলিতে না টিয়ার সেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে। এবং এটাও ছিল মাথায় আঘাত। হাসপাতালের দুর্ঘটনা বিভাগের একজন সিনিয়র ডাক্তার কাশ্মির টাইমসকে জানান, শরীরের নিচের অংশে গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন একটা ঘটনাও তারা গত তিন মাসে পান নাই। গুলি লেগে, টিয়ার সেলে বা বন্দুকের বাঁটের আঘাতে আহত--সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে দেহের ওপরের অংশেই আঘাতের দাগ। তিনি বলেন, এই কয়দিনে আমরা গুলি লাগা কাউকেই পাই নাই, যাকে দেখে মনে হয়েছে লক্ষ্যবস্তু ছিল দেহের নিচের অংশে। এমনকি আমরা অনেকের সম্পর্কে কোন তথ্যই নিতে পারি নাই। কারণ সেসব আহত রোগীদের ভয় ছিল এখানে তথ্য প্রকাশ করলে যেকোন সময় গ্রেফতার হতে পারে তারা। যেহেতু হাসপাতালের সব তথ্যই সিআইডি সদস্যরা প্রতিদিন নিয়ে যায়। এসব কারণে হাসপাতালে আসা সব আঘাত প্রাপ্তদের সংখ্যা জানা যায় না।
 
=== বিশ বছরে লাখো মানুষ হত্যাঃ ===
কাশ্মিরে এ পর্যন্ত ঠিক কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, কত নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, কি পরিমাণ বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কত সংখ্যক মানুষকে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে ফেরত দেয় নাই তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। This image has been resized. Click this bar to view the full image. The original image is sized 720x504.undefinedনানা পক্ষ থেকে নানা পরিসংখ্যান দাবি করা হয়েছে। কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রচারণা সংগঠন কাশ্মির আমেরিকান কাউন্সিলও (কেএসি) একটা পরিসংখ্যান করেছে। তাতে তারা দাবি করেছে, স্বাধীনতা আন্দোলনের গত বিশ বছরে নারী, শিশু ও যুবক মিলিয়ে এক লাখ নিরীহ কাশ্মিরি ইনডিয়ান সেনা এবং রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খুন হয়। স্থানীয় এনজিও আইপিটিকের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৮৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাশ্মির উপত্যকায় ইনডিয়ান সৈন্যদের হাতে নিহতের সংখ্যা সত্তর হাজারেরও বেশি।