তৎসম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
আলবি রেজা (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
'''তৎসম''' ({{IPA-sa|tɐtsɐmɐ}}; অর্থ: "''তার সমান''") আধুনিক [[বাংলা ভাষা|বাংলা]], [[মারাঠি ভাষা|মারাঠি]], [[ওড়িয়া ভাষা|ওড়িয়া]], [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]], [[গুজরাটি ভাষা|গুজরাটি]] ও [[সিংহলি ভাষা|সিংহলীর]] মতো [[ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ|ইন্দো-আর্য ভাষায়]] এবং [[মালয়ালম ভাষা|মালায়ালম]], [[কন্নড় ভাষা|কন্নড]], [[তেলুগু ভাষা|তেলুগু]] ও [[তামিল ভাষায় ইন্দো-আর্য ধারকৃত শব্দ|তামিলের]] মতো [[দ্রাবিড় ভাষাসমূহ|দ্রাবিড় ভাষাসমূহে]] [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] ভাষা থেকে [[তৎভব|ঋণকৃত শব্দসমূহকে]] বোঝায়। এসব সাধারণত প্রচলিত [[শব্দ (ব্যাকরণ)|শব্দের]] চেয়ে উচ্চতর এবং অধিকতর [[পাণ্ডিত্য|চলনসই]] [[নিবন্ধ (সমাজবিজ্ঞান)|স্বরভঙ্গির]] অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে অনেকগুলিই (আধুনিক [[ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ|ইন্দো-আর্য]] ভাষায়) পুরানো ইন্দো-আর্য ([[তদ্ভব শব্দ|তদ্ভব]]) থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তৎসমের শব্দভাণ্ডারকে ইংরেজিতে গ্রীক[[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]] বা [[লাতিন ভাষা|লাতিন]] উৎস থেকে ধারকৃত শব্দের ব্যবহারের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
 
== বাংলা ও অন্যান্য উত্তরভারতীয় ভাষা ==
বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের উৎস খুঁজতে গেলে দশম শতাব্দীর [[ব্রাহ্মণ]] [[কবি]]<nowiki/>গণকেকবিগণকে পাওয়া যায় যারা ভাবতেন যে কথ্য ভাষা তাদের চাহিদা প্রকাশের জন্য উপযুক্ত নয়। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেপ্রারম্ভকালে [[কলকাতা]]<nowiki/>র [[ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে]] সংস্কৃত পন্ডিতগণেরপণ্ডিতগণের মাধ্যমে পরবর্তীতে আবার তৎকালীন বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের অনুপ্রবেশ করতে থাকে। এসব পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্যবইসমূহেপাঠ্যপুস্তকসমূহে অধিক পরিমাণে তৎসম শব্দ ব্যবহারের কারণে তৎসম শব্দ সাধারণ ব্যবহারে প্রবেশ করে।
 
বাঙালির অভিধান প্রায় ৪০% তৎসম (প্রায় ৫৮% [[তদ্ভব শব্দ|তদ্ভব]] শব্দভাণ্ডার পুরানো ইন্দো-আর্য থেকে অপভ্রংশ এবং [[অবহট্‌ঠ|অবহট্‌ঠের]] মতো প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত)।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Rk_zCQAAQBAJ&pg=PA255&lpg=PA255&dq=tatsama+bengali+percent&source=bl&ots=oOlygTBeQf&sig=kdVUNpCiO8QZpryxfIUpqPK1oj8&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwiy3Y657s_JAhUH7B4KHZ8VB5cQ6AEIGzAB#v=onepage&q=tatsama%20bengali%20percent&f=false|শিরোনাম=A Descriptive Study of Bengali Words|শেষাংশ=Dash|প্রথমাংশ=Niladri S.|তারিখ=2015|প্রকাশক=Foreign Language Study|পাতা=255|সংগ্রহের-তারিখ=9 December 2015}}</ref> [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত]], [[রামরাম বসু]], [[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]] এবং [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের]] মতো লেখকরা প্রচুর পরিমাণে তৎসমের বাংলা ভাষায় পরিচয় করিয়েছিলেন। বলা হয় বাংলায় বিশ্ববিশ্রুত কবি-সাহিত্যিকদের সাধারণ লেখায় ব্যবহৃত শব্দের শতকরা ২৫ টি ছিল তৎসম ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ব্যবহারিক বাংলা অভিধান|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=বাংলা একাডেমি|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১৩( ভূমিকাংশে)|আইএসবিএন=}}</ref>
 
বাংলায় তৎসম শব্দগুলো সাধারণত [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত ভাষার]] অনুরূপ বানানে লেখা হয়। কিন্তু অধিকাংশ উচ্চারণ সংস্কৃত ভাষার মতো না হয়ে অনেক শব্দই [[পালি ভাষা|পালি ভাষার]] অনুরূপ হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=অকারণ ব্যাকরণ|শেষাংশ=সরকার|প্রথমাংশ=স্বরোচিষ|বছর=|প্রকাশক=কথাপ্রকাশ|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৬০|আইএসবিএন=}}</ref> যেমন: তৎসম শব্দ "অক্ষয়" এর বানান [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃতের]] অনুরূপ অথচ উচ্চারণ "অক্খয়"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ব্যবহারিক বাংলা অভিধান|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=বাংলা একাডেমি|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=৬|আইএসবিএন=}}</ref> যা [[পালি ভাষা|পালি]] শব্দের সঙ্গে উচ্চারণ ও বানান উভয়দিক দিয়েই সাদৃশ্যপূর্ণ।
 
বাংলা ভাষার মতো উত্তরভারতীয় অন্যান্য ভাষাগুলো যেমন [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]], [[মারাঠি ভাষা|মারাঠি]], [[গুজরাটি ভাষা|গুজরাটি]] ইত্যাদিতে বহু সংস্কৃত শব্দ অবিকৃত রয়েছে। এগুলো সংস্কৃতের অনুরূপ বানানে লেখা হয়। বাংলা ভাষার চেয়ে উত্তরভারতীয় এই ভাষাগুলোর উচ্চারণ [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত ভাষার]] অনেক কাছাকাছি।
 
[[হিন্দি ভাষা|হিন্দিতে]] তৎসম শব্দগুলো শেষে স্বরধ্বনি ব্যতীত উচ্চারিত হয়ে থাকে যেখানে অধিকাংশ [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] শব্দ একটি স্বরধ্বনির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।{{sfn|Masica|p.66}} যেমন:"ধর্ম" শব্দের সংস্কৃত উচ্চারণ "[dʱɐrmɐ]" কিন্তু হিন্দিতে শেষে কোনো হ্রস্ব-অ উচ্চারিত হয় না।
 
আবার এই ভাষাগুলোতে তৎসম শব্দগুলো প্রায় একই অর্থ বহন করে কিন্তু নতুন পরিভাষা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই ভাষাগুলো নিজস্ব স্বকীয়তা প্রদর্শন করে। তেমন: ইংরেজি "gravity" শব্দের বাংলা পরিভাষা "মহাকর্ষ" কিন্তু হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটিতে প্রতিশব্দ "গুরুত্বাকর্ষণ"। এক্ষেত্রে উভয়ই সংস্কৃত শব্দের সমন্বয়ে শব্দ সৃষ্টি করেছে কিন্তু নিজস্বতা প্রদর্শন করেছে।
 
বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম শব্দ মূল সংস্কৃত উচ্চারণ বজায় রেখেছে তাদেরকে বলা হয় ''সমোচ্চারিত শব্দ'' আর যাদের উচ্চারণ বাংলায় এসে কিছুটা বিকৃত হয়ে গেছে তাদেরকে বলা হয় ''অসমোচ্চারিত শব্দ''।
 
== ওড়িয়া ==
১৪ ⟶ ২১ নং লাইন:
 
== সিংহলী ==
যেভাবে [[সিংহলি ভাষা|সিংহলি]] ভাষায় তৎসম শব্দ প্রবেশ করেছে তা বাংলা ভাষায় প্রবেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় তারা পণ্ডিতগণ কর্তৃক [[পালি ভাষা|পালি]] অথবা সংস্কৃত থেকে আনীত শব্দ। সিংহলি ভাষায় তৎসম শব্দ সমূহকে তাদের শেষে ''-ায়া'' বা ''-ভা প্রত্যয়'' দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে, যেখানে দেশীয় সিংহল শব্দগুলির শেষের একটি বৃহত্তর অ্যারে দেখায়। অনেক [[বিজ্ঞান|বৈজ্ঞানিক]] ধারণাপরিভাষায় ''তৎসম'' ব্যবহার করে থাকে, যেমন ''[[গ্রহণ (জ্যোতির্বিজ্ঞান)|গ্রহণ]]'' তবে এগুলি প্রতিদিনের ব্যবহারে এবং কথোপকথনের জন্যও পাওয়া যায়।
 
== তেলুগুতেলেগু ==
সংস্কৃত ভাষা প্রায় ৫০০ বছর ধরে [[তেলুগু ভাষা|তেলেগু ভাষাকে]] প্রভাবিত করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১০০০-১০০ অব্দে [[মহাভারত|মহাভারতে]] নান্নয়ের তেলুগুতেলেগু, বেশউল্লেখযোগ্য কয়েকটি শিলালিপিতেশিলালিপির তেলেগু, কবিতায় শিলালিপিতে তেলেগু পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং রাজকীয় ভাষা সংস্কৃতের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তেলেগু সংস্কৃত থেকে তৎসম শব্দসমূহ গ্রহণ করেছিল।<ref>{{উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Telugu bhasha charitra|বছর=1980}}</ref>
 
তেলুগুতেতেলেগুতে [[মাত্রাবৃত্ত ছন্দ|মাত্রিক কবিতা]] ('চান্দাসুচান্দাস্সু') উৎপলমালা ,চম্পকমালা, মত্তেভম, সরদোলাশার্দূল, শ্রগ্ধারাস্রগ্ধরা, ভূজঙ্গপ্রায়তভুজঙ্গপ্রয়াত ইত্যাদি [[মাত্রা]] ব্যবহার করে যা খাঁটি সংস্কৃত মাত্রা।
 
তেলেগুতে অনেক তৎসম শব্দ রয়েছে। এদেরকে ''প্রকৃতি'' বলা হয় যা সংস্কৃত শব্দের সমতুল্য। সমতুল্য কথ্যশব্দগুলিকে বিকৃতি বলে।বলে যা সংস্কৃত থেকে আংশিক পরিবর্তিত হয়েছে। তবে প্রকৃতি কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিসকার্যালয় ইত্যাদিতে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবেরূপে ব্যবহৃত হয়। আজ,বর্তমানে কথ্য তেলেগুতে দু'বছরের মধ্যেইউভয়ধরণের শব্দই প্রকৃতি এবং বিকৃতবিকৃতি শব্দ রয়েছে পরবর্তীতে প্রকৃতি শব্দগুলো বিকৃতির শব্দ প্রতিস্থাপন করে।
 
উদাহরণস্বরূপ:
'https://bn.wikipedia.org/wiki/তৎসম' থেকে আনীত