আবু হুরাইরাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইসলাম গ্রহণ: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
103.147.162.62-এর করা 4414388 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন:
'''আবদুর রহমান ইবনে সখর আদ-দৌসি'''<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/newencyclopediao0000glas|শিরোনাম=The new encyclopedia of Islam|শেষাংশ=Glassé|প্রথমাংশ=Cyril|তারিখ=2001|প্রকাশক=Walnut Creek, CA : AltaMira Press|অন্যান্য=Internet Archive}}</ref> বা '''আবু হুরায়রা'''<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=3YhpAgAAQBAJ&pg=PA141|শিরোনাম=Women in the Qur'an, Traditions, and Interpretation|শেষাংশ=Stowasser|প্রথমাংশ=Barbara Freyer|তারিখ=1996-08-22|প্রকাশক=Oxford University Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-19-976183-8}}</ref>(আরবি : أبىْ هريْرة رضى الله عنْه) নবী [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদের]] (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন সাহাবা ও সেবক ছিলেন যার প্রকৃত নাম আবদুর রহমান ইবনে সাখর অথবা উমায়র ইবনে আমির।<ref>El-Esabah Fi Tamyyz El Sahabah. P.7 p. 436.</ref> তিনি আসহাবুস সুফফার একজন সদস্য ছিলেন এবং একনিষ্ঠ জ্ঞান পিপাসু ছিলেন। তিনি তিন বছর নবী মুহাম্মাদ মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসা.) এর সান্নিধ্যে ছিলেন এবং বহুসংখ্যক হাদিস আত্মস্থ করেন এবং বর্ণনা করেন। হিসাব অনুযায়ী, ৫,৩৭৫ টি হাদিস তার কাছ থেকে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বলা হত যে, উর্বর মস্তিষ্ক ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি। তার কাছ থেকে আটশত তাবেঈ হাদিস শিক্ষা লাভ করেছিলেন।
 
== নাম পরিবর্তনের ইতিহাস ==
[[আবু হুরাইরাহ]]<nowiki/>র ইসলাম গ্রহণের আগে নাম ছিলো আবদু শামস।ইসলাম গ্রহণের পরে [[মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)]] তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন আবদুর রহমান। ছোট বেলায় তিনি একটি বিড়াল শাবকের সাথে তিনি সবসময় খেলতেন। তা দেখে তার বন্ধুরা তার নাম দেন আবু হুরাইরা (বিড়াল শাবকওয়ালা)। আস্তে আস্তে এ নামেই তিনি সকলের মাঝে পরিচিত হন এবং তার আসল নামটি অপ্রচলিত হয়ে পড়ে। মুহাম্মাদ তাকে মাঝে মধ্যে আবু হিররিন বলে ডাকতেন। আরবি ভাষায় হুরাইরাহ স্ত্রী লিঙ্গ আর হিররিন পুং লিঙ্গ। হুরাইরাহ শব্দের অর্থ বিড়ালছানা। আবু হুরাইরাহ শব্দের অর্থ বিড়ালছানার পিতা।
 
==প্রাথমিক জীবন==
৮ নং লাইন:
 
==ইসলাম গ্রহণ==
আবু হুরাইরা ইসলামে দীক্ষিত হন প্রখ্যাত সাহাবী [[তুফাইল ইবনে আমর আদ-দাওসি|তুফায়িল ইবন আমর আদ-দাওসীর]] হাতে। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি স্বীয় দাওস গোত্রের সাথেই অবস্থান করতে থাকেন। ষষ্ঠ হিজরী সনে তার গোত্রের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে তিনি মদীনায় এসে [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদের]] (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। তবে আমর ইবনুর গালাস বলেন, তিনি বছর ৭ম হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
 
মদিনা আসার পর তিনি দিন রাত ২৪ ঘন্টা মুহাম্মাদের সাহচার্যে থাকতেন, এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এরমুহাম্মাদের জীবদ্দশায়, তখনো আবু হুরাইরাহ বিবাহ করেননি। বাড়িতে শুধু তার বৃদ্ধা মা ছিলো। এই বৃদ্ধা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এরমুহাম্মাদের দোয়ার কারণে ইসলাম কবুল করেন।
 
== হাদিস বর্ণনাকারী হিসাবে ==
আবু হুরাইরাহ নিজে জ্ঞান অর্জন করতে ও জ্ঞান বিতরণ করতে ভালোবাসতেন। এইজন্য তিনি সবসময় [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদের]] (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে তার মুখ নিসৃত কথা হাদিস শুনতেন। [[মুহাম্মাদ]] (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে এত বেশী হাদীস বর্ণনার ব্যাপারটি অনেকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতো। তাই তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা হয়তো মনে করছো আমি খুব বেশি হাদিস বর্ণনা করি। কিন্তু আমি ছিলাম রিক্তহস্ত, দরিদ্র, পেটে পাথর বেঁধে সর্বদা মুহাম্মাদের সাহচর্যে কাটাতাম। আর মুহাজিররা ব্যস্ত থাকতো তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে এবং আনসাররা তাদের ধন-সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=25979|শিরোনাম=সহীহ বুখারী (তাওহীদ) {{!}} হাদিস নংঃ ২০৪৭ [2047]|ওয়েবসাইট=www.hadithbd.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-17}}</ref>
 
তিনি আরও বলেন, ‘‘একদিন আমি বললামঃ ‘ইয়া মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আমি আপনার অনেক কথাই শুনি, কিন্তু তার অনেক কিছুই ভুলে যাই।’ একথা শুনে মুহাম্মাদ বললেন, ‘তোমার চাদরটি মেলে ধরে বুকের সাথে লেপ্টে ধর। এরপর থেকে আর কোন কথাই আমি ভুলে যাইনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=22908|শিরোনাম=সহীহ বুখারী (তাওহীদ) {{!}} হাদিস নংঃ ১১৯ [119]|ওয়েবসাইট=www.hadithbd.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-17}}</ref>
 
=== আবু হুরাইরাহ থেকে যারা হাদিস বর্ণনা করেছেন ===
৪৩ নং লাইন:
 
=== জ্ঞান চর্চা ===
আবু হুরাইরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার নিসৃত কথার প্রতি প্রচণ্ড নিবেদিত ছিলেন। জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞানচর্চা তার অভ্যাস ও প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল। <blockquote>[[জায়েদ ইবনে সাবিত|যায়িদ বিন সাবিত]] বলেন, একদিন আবু হুরাইরাহ,আমাদের এক বন্ধু ও আমি মসজিদে আল্লাহর কাছে দু’আ করছিলাম। ইতিমধ্যে মুহাম্মাদ আমাদের মধ্যে উপস্থিত হলে, আবু হুরাইরাহ সেই দিন দোয়া করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে চাই, আমার দুই বন্ধু যা দোয়া করেছে। আর সেইসাথে চাই এমন জ্ঞান যা কখনও ভুলে যাবোনা।</blockquote>
 
=== দানশীলতা ===
আবু হুরাইরাহ দানশীলতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন, তার মেয়ে তার নিকট সোনার গহনা বানাতেবানিয়ে চাইলে, তিনি এটি দিতে চাননি, বরং বলেছেন, আমার সম্পদ আমি আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করতে পছন্দ করি।
 
একদিন [[প্রথম মারওয়ান|মারওয়ান ইবনুল হাকাম]] ১০০ দিনার আবু হুরাইরার কাছে পাঠালেন। কিন্তু পরের দিনই মারওয়ান আবার লোক পাঠিয়ে জানালেন, ‘আমার চাকরটি ভুলক্রমে দিনারগুলি আপনাকে দিয়ে এসেছে, ওগুলি আমি আপনাকে দিতে চাইনি, বরং অন্য এক ব্যক্তিকে দিতে চেয়েছিলাম।’ একথা শুনে আবু হুরাইরা লজ্জা ও বিস্ময়ের সাথে বললেন, ‘আমি তো সেগুলি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে ফেলেছি। আগামীতে বাইতুল মাল থেকে যখন আমার ভাতা দেওয়া হবে, সেখান থেকে নিয়ে নেবেন।
 
== মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইন্তিকালের পর ==
দ্বিতীয় খলীফা [[উমর ইবনুল খাত্তাব|উমর]] আবু হুরাইরাকে বাহরাইনের শাসক নিযুক্ত করেছিলেন। পরে তাকে অপসারণ করেন। তারপর আবার নিযুক্ত করতে চাইলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং মদীনা ত্যাগ করে আকীক নামক স্থানে গিয়ে বসবাস করতে থাকেন।