শেখ মুজিবুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→চিত্রশালা: সংশোধন |
সংশোধন |
||
৫৪ নং লাইন:
[[চিত্র:Residence of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman front view.jpg|থাম্ব|220 px|বাম|টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের পৈতৃক ভিটা]]
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ (৩রা চৈত্র, ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) রাত ৮টায়<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1733901 |শিরোনাম=
“শেখ মুজিবুর রহমান” নামকরণটি করেন তার নানা শেখ আবদুল মজিদ। শেখ মুজিবুরের ছোটবেলার ডাকনাম ছিল “খোকা”।<ref name="ভোকা১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/17/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE/ |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা |তারিখ=১৭ মার্চ ২০২০ |প্রকাশক=ভোরের কাগজ |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref><ref name="হ">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=শেখ মুজিব আমার পিতা |শেষাংশ=হাসিনা |প্রথমাংশ=শেখ |লেখক-সংযোগ=শেখ হাসিনা |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |প্রকাশক=আগামী প্রকাশনী |আইএসবিএন=978-984-04-1730-8 |আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref> ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের প্রতি সহমর্মী স্বভাবের ছিলেন। দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলা থেকে ধান বিতরণ করতেন। সমিতি করে অন্যদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করে গরিব ছাত্রদের মধ্যে বিলি করতেন।<ref name="ভোকা১" />
৬৬ নং লাইন:
[[চিত্র:Gandhi Suhrawardy and Mujib.jpg|থাম্ব|220 px|১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে [[মহাত্মা গান্ধী]] ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিব (দণ্ডায়মান)]]
শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকে। ঐ বছরই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন তদানীন্তন [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]]র মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা [[এ কে ফজলুল হক]] এবং খাদ্যমন্ত্রী ও পরবর্তীকালে বাংলা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী [[হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী]]। ঐ সময় বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের দাবি নিয়ে একটি দল তাদের কাছে যায়। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিব স্বয়ং।<ref name="পিতা" /> ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার করা হয়। ৭ দিন হাজতবাস করার পর তিনি ছাড়া পান। একই বছর তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত
▲একই বছর তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন৷<ref name="ই">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন |শেষাংশ=মোস্তফা কামাল |প্রথমাংশ=আবু হেনা |তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৭ |প্রকাশক=ইসলামিক ফাউন্ডেশন |পাতা=১৪ |আইএসবিএন=978-984-06-1607-2 |আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref> ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। এ সময়ে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কাউন্সিলর জন্য নির্বাচিত হন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ফ্রম মার্শাল ল টু মার্শাল ল: পলিটিক্স ইন দ্য পাঞ্জাব, ১৯১৯–১৯৫৮ |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=সৈয়েদ নুর |বছর=১৯৮৫ |সম্পাদক-শেষাংশ=বাক্সটার |সম্পাদক-প্রথমাংশ=ক্রেইগ |প্রকাশক=ওয়েস্টভিউ প্রেস |অবস্থান=বুলডার, কলোরাডো |পাতা=৩৩৮ |ভাষা=ইংরেজি |অনুবাদক-শেষাংশ=আলী |অনুবাদক-প্রথমাংশ=মাহমুদ |অনূদিত-শিরোনাম=মার্শাল ল থেকে মার্শাল ল: পাঞ্জাবের রাজনীতি, ১৯১৯–১৯৫৮ |আইএসবিএন=978-0-86531-845-8 |orig-year=১৯৬৫ সালে উর্দুতে প্রথম প্রকাশ |quote=Sheikh Mujibur Rahman ... entered politics in 1940 in the A11-India Muslim Students Federation and later was a student at Islamia Co1lege, Calcutta.}}</ref> ১৯৪১ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে [[কাজী নজরুল ইসলাম]], [[হুমায়ুন কবির]], প্রিন্সিপাল [[ইব্রাহিম খাঁ]] প্রমুখ যোগদান করেন। শেখ মুজিব এই সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন (''এনট্র্যান্স'') পাশ করার পর ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং এখানে পড়াশোনাকালীন তিনি বাংলার অগ্রণী মুসলিম নেতা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর সংস্পর্শে আসেন। এম. ভাস্কর তাকে সোহ্রাওয়ার্দীর ছত্রতলে রাজনীতির উদীয়মান বরপুত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।<ref name="Nair1990">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=mB9N4oxuSY8C&pg=PA99 |শিরোনাম=পলিটিক্স ইন বাংলাদেশ: অ্যা স্টাডি অব আওয়ামী লীগ, ১৯৪৯–৫৮ |শেষাংশ=নায়ার |প্রথমাংশ=এম ভাস্করণ |তারিখ=১৯৯০ |প্রকাশক=নর্দার্ন বুক সেন্টার |পাতা=৯৯– |আইএসবিএন=978-81-85119-79-3}}</ref> একই বছর কলকাতায় ছাত্রনেতা আবদুল ওয়াসেক প্রমুখের নেতৃত্বে ''হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ'' আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।<ref name="হ" /> ঐ সময় থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।<ref name="ই" /> ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন। এখানে তার ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|বঙ্গীয় মুসলিম লীগের]] কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।<ref name="Us">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bdembassyusa.org/?page=father-of-the-nation |শিরোনাম=The Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman |প্রকাশক=বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসি |ভাষা=ইংরেজি |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে শেখ মুজিব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে তৈরি “ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের” সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন।<ref name="Us" />
=== পাকিস্তান আন্দোলন, যুক্তবঙ্গ ও দেশভাগ ===
[[চিত্র:Mujib with Suhrawardy1949.jpg|থাম্ব|ডান|200px|১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিবুর রহমান]]
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে [[লাহোর প্রস্তাব]] উত্থাপনের পর মুসলিম লীগ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে নেমে পড়ে। মুসলিম লীগের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এ সময় [[পাকিস্তান আন্দোলন|পাকিস্তান আন্দোলনে]] নিজেকে যুক্ত করেছিলেন।<ref name="মুনতাসীর" /><ref name="দাঙ্গা" /> “পাকিস্তান দাবির পক্ষে গণভোট” খ্যাত ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে শেখ মুজিব বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে লীগের ''ওয়ার্কার ইনচার্জ'' হিসেবে একনিষ্ঠভাবে কাজ
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই আগস্ট [[প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস]] পালনের সময় কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এসময় মুজিব মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন।<ref name="BAL">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.albd.org/bangabandhu/bangabandhu.htm |শিরোনাম=Political Profile of Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman |প্রকাশক=বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |ভাষা=ইংরেজি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060426174108/http://www.albd.org/bangabandhu/bangabandhu.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ এপ্রিল ২০০৬ |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জুলাই ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড ক্যারিশম্যাট: শেখ মুজিব অ্যান্ড দ্য স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম |শেষাংশ=খান |প্রথমাংশ=জিল্লুর রহমান |তারিখ=১৯৯৬ |প্রকাশক=ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড |অবস্থান=ঢাকা |পাতা=৩২ |আইএসবিএন=978-984-05-1353-6}}</ref> সেই সময় সোহ্রাওয়ার্দী, [[আবুল হাশিম]], [[শরৎচন্দ্র বসু]] প্রমুখের নেতৃত্বে ভারত ও পাকিস্তান কর্তৃত্বের বাইরে [[অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা]] গঠনের যে “যুক্তবঙ্গ আন্দোলন” সংগঠিত হয়, শেখ মুজিব তাতেও যুক্ত হন।<ref name="মুনতাসীর">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলেন |শেষাংশ=মামুন |প্রথমাংশ=মুনতাসীর |লেখক-সংযোগ=মুনতাসীর মামুন |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |প্রকাশক=মাওলা ব্রাদার্স}}</ref> পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি নিশ্চিত হয়ে গেলে আসাম প্রদেশের বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত সিলেট জেলার ভাগ্য নির্ধারণে গণভোট হয়। শেখ মুজিব [[সিলেট গণভোট|সিলেট গণভোটে]] পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সংগঠক ও প্রচারক হিসেবে কাজ করেন। তিনি এসময় প্রায় ৫০০ জন কর্মী নিয়ে কলকাতা থেকে সিলেট গিয়েছিলেন। গণভোটে জয়লাভ সত্ত্বেও করিমগঞ্জ পাকিস্তানে না আসায় এবং দেশভাগের সীমানা নির্ধারণের সময় পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন ভৌগোলিক অপ্রাপ্তির বিষয়ে তিনি তার আত্মজীবনীতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।<ref group="টীকা">শেখ মুজিবুর রহমান তার ''"অসমাপ্ত আত্মজীবনী"'' বইতে লিখেছেন- “আমরা আশা করেছিলাম আমাদের কাছাড় জেলা ও সিলেট জেলা পাকিস্তানের ভাগে না দিয়ে পারবে না। আমার বেশি দুঃখ হয়েছিল করিমগঞ্জ নিয়ে, কারণ করিমগঞ্জে আমি কাজ করেছিলাম গণভোটের সময়, নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করেন জনগণকে খেসারত দিতে হয়। যে কলকাতা পূর্ববাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল, সেই কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম।”</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-40963034.amp |শিরোনাম=সাতচল্লিশে সিলেট কীভাবে পাকিস্তানের অংশ হল? |তারিখ=১৭ আগস্ট ২০২০ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বিবিসি বাংলা}}</ref>
১৪২ ⟶ ১৪১ নং লাইন:
[[চিত্র:Sheikh Mujibur Rahman Announcing 6 Points At Lahore.jpg|থাম্ব|220 px|শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করছেন]]
জনসংখ্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের মোট রপ্তানি আয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (যেমন [[পাট]]) পূর্ব পাকিস্তান থেকে হবার পরও এতদাঞ্চলের জনগণের প্রতি সর্বস্তরে বৈষম্য করা হতো।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=পাকিস্তান: ফেইলিউর ইন ন্যাশনাল ইনটিগ্রেশন |শেষাংশ=জাহান |প্রথমাংশ=রওনক |লেখক-সংযোগ=রওনক জাহান |বছর=১৯৭২ |প্রকাশক=কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস |পাতা=১৬৬-১৬৭ |আইএসবিএন=978-0-231-03625-2}}</ref> এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক সুবিধা আনুপাতিক হারে ছিল না। বছরের পর বছর পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিকভিত্তিতে ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে ও প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এরফলে, অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা বৈষম্য সম্পর্কে প্রশ্ন বাড়াতে শুরু করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.defencejournal.com/2002/dec/demons.htm |শিরোনাম=Demons of December – Road from East Pakistan to Bangladesh |প্রকাশক=ডিফেন্স জার্নাল |ভাষা=ইংরেজি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110609122558/http://www.defencejournal.com/2002/dec/demons.htm |আর্কাইভের-তারিখ=৯ জুন ২০১১ |ইউআরএল-অবস্থা=live |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ জুন ২০১১}}</ref> বৈষম্য নিরসনে শেখ মুজিব ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন, যা ছয় দফা দাবি হিসেবে পরিচিত। বাঙালির বহু আকাঙ্ক্ষিত এই দাবি পরবর্তীকালে বাঙালির “প্রাণের দাবি” ও “বাঁচা মরার দাবি” হিসেবে পরিচিতি পায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/news-detail-40021 |শিরোনাম=The historic six-point movement and its impact on the struggle for independence |শেষাংশ=মানিক |প্রথমাংশ=এম ওয়াহিদুজ্জামান |তারিখ=৭ জুন ২০০৮ |কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=৩ আগস্ট ২০১৭ |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে এর ভূমিকা}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড স্ট্রাগল
<blockquote>
#যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার হবে।
#কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দুইটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে - দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
#সমগ্র দেশের জন্যে দুইটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা, না হয় বিশেষ শর্তসাপেক্ষে একই ধরনের মুদ্রা প্রচলন।
২৪৫ ⟶ ২৪৪ নং লাইন:
=== সংবিধান প্রণয়ন ===
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরপরই শেখ মুজিবুর রহমান তার অন্তর্বর্তী সংসদকে একটি নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে শেখ মুজিব স্বাক্ষর করেন। ১৫ই ডিসেম্বর শেখ মুজিব সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের ঘোষণা দেন। ১৬ই ডিসেম্বর থেকে নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী [[রওনক জাহান|রওনক জাহানের]] মতে, শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক চিন্তাধারার চারটি বৈশিষ্ট্য হলো বাঙালি জাতিসত্তা, সমাজতন্ত্র, জনসম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়িকতা । সংবিধানের চারটি মূলনীতি - [[বাঙালি জাতীয়তাবাদ|জাতীয়তাবাদ]], [[সমাজতন্ত্র]], [[গণতন্ত্র]] ও [[ধর্মনিরপেক্ষতা|ধর্মনিরপেক্ষতার]] মাধ্যমে চারটি বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই চারটি মূলনীতিকে একসাথে
[[প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৩|৭ই মার্চ, ১৯৭৩]] খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম [[জাতীয় সংসদ নির্বাচন]] অনুষ্ঠিত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/news/341007/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AD%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%80 |শিরোনাম=একনজরে সংবিধানের ১৭টি সংশোধনী |শেষাংশ=শেখ |প্রথমাংশ=এমরান হোসাইন |তারিখ=৮ জুলাই ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বাংলা ট্রিবিউন}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/special-kalerkantho/2018/12/30/720441 |শিরোনাম=ফিরে দেখা ১০টি সংসদ নির্বাচন |তারিখ=৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=কালের কণ্ঠ}}</ref> ঐ নির্বাচনে শেখ মুজিব ও তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শেখ মুজিব [[ঢাকা-১২]] আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সরকার গঠন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/1st.pdf |শিরোনাম=১ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা |ওয়েবসাইট=জাতীয় সংসদ |বিন্যাস=পিডিএফ |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref>
৩১৮ ⟶ ৩১৭ নং লাইন:
| footer = শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই সন্তান}}
শেখ মুজিবের প্রায় পুরো পরিবারই ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট রাতে সেনা অভিযানে নিহত হন। কেবলমাত্র দুই কন্যা -
শেখ রেহানার কন্যা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ [[টিউলিপ সিদ্দিক]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.aljazeera.com/indepth/features/2014/01/uk-vote-could-create-cross-border-dynasty-2014113112342206325.html |শিরোনাম=UK vote could create cross-border dynasty |শেষাংশ=নিল্ড |প্রথমাংশ=ব্যারি |তারিখ=১৫ জানুয়ারি ২০১৪ |প্রকাশক=আলজাজিরা |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=যুক্তরাজ্যের ভোট আন্তঃসীমান্ত সাম্রাজ্য তৈরি করতে পারত |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে [[যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্স]] এর সদস্য ([[লন্ডন|গ্রেটার লন্ডনের]] হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.camdennewjournal.com/tulipsiddiq-owensmith |শিরোনাম=Hampstead and Kilburn MP Tulip Siddiq set to back Owen Smith in Labour leadership contest |ওয়েবসাইট=ক্যামডেন নিউ জার্নাল |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160904145159/http://www.camdennewjournal.com/tulipsiddiq-owensmith |আর্কাইভের-তারিখ=৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ জানুয়ারি ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> শেখ মুজিবের ভগ্নিপতি [[আবদুর রব সেরনিয়াবাত]] শ্রমিকনেতা ও তার মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।<ref name="আবুল হাসনাত">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/120824/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9 |শিরোনাম=মন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ |তারিখ=১০ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক ইনকিলাব}}</ref><ref name="শাহান আরা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/%E0%A7%A7%E0%A7%AB-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-155373 |শিরোনাম=১৫ আগস্টের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে ছিলেন শাহান আরা আবদুল্লাহ! |শেষাংশ=ঘোষ |প্রথমাংশ=সুশান্ত |তারিখ=৯ জুন ২০২০ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দ্য ডেইলি স্টার |শেষাংশ২=হাবিব |প্রথমাংশ২=ওয়াসিম বিন}}</ref> ভাগ্নে [[শেখ ফজলুল হক মনি]] ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে [[মুজিব বাহিনী|মুজিব বাহিনীর]] প্রধান নেতা ছিলেন ও ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে [[যুবলীগ]] প্রতিষ্ঠা করেন (দুজনই ১৫ আগস্ট নিহত হন)।<ref name="শাহান আরা" /><ref name="শেখ মনি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.ittefaq.com.bd/politics/118314/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0 |শিরোনাম=রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়ছে শেখ মনি পরিবারের |তারিখ=৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক ইত্তেফাক}}</ref> বর্তমানে শেখ মুজিবের ভাগ্নে [[শেখ ফজলুল করিম সেলিম]], [[আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ]]<ref name="আবুল হাসনাত" /> এবং ভ্রাতৃষ্পুত্র [[শেখ হেলাল উদ্দিন]] ও [[শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল]] বাংলাদেশের সাংসদ।<ref name="বঙ্গবন্ধু পরিবার" /> [[শেখ ফজলে নূর তাপস]],<ref name="শেখ মনি" /> [[মজিবুর রহমান চৌধুরী]], [[নূর-ই-আলম চৌধুরী]], [[আন্দালিব রহমান]], [[শেখ তন্ময়]], [[সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ]], শেখ ফজলে শামস পরশ,<ref name="শেখ মনি" /> এবং [[শেখ ফজলে ফাহিম]], যারা বাংলাদেশের প্রথমসারির রাজনীতিবিদ, সম্পর্কে তার নাতি হন।<ref name="বঙ্গবন্ধু পরিবার">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2018/12/31/6089/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80 |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু পরিবারের ৯ সদস্যই নির্বাচনে জয়ী |তারিখ=৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=ঢাকা ট্রিবিউন |এজেন্সি=ইউএনবি}}</ref>
৩৫৬ ⟶ ৩৫৫ নং লাইন:
== রাজনৈতিক মতাদর্শ ==
ব্রিটিশ আমলে ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন। এই সময় থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। মুসলিম লীগে তিনি ছিলেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এবং আবুল হাশিমের নেতৃত্বাধীন উপদলে, যারা প্রগতিশীল বলে পরিচিত ছিলেন।<ref name="রওনক"/> তবে মুসলিম লীগের প্রতি দলীয় আনুগত্যের তুলনায় সোহ্রাওয়ার্দীর প্রতি তার ব্যক্তিগত আনুগত্য প্রবল ছিল।<!-- সত্যতা --> আবদুল গাফফার চৌধুরীর মতে, শেখ মুজিব শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে পরিচিত হলেও তার রাজনৈতিক চরিত্র গড়ে উঠেছিল শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আবুল হাশিম, সুভাষ বসু ও মাওলানা ভাসানীর রাজনীতির প্রভাব বলয়ে থেকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/406361/ভাষা-আন্দোলনের-হক-সাহেব-ও-শেখ-সাহেব-দুই/|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনের হক সাহেব ও শেখ সাহেব ॥ দুই॥ {{!}}{{!}} চতুরঙ্গ {{!}}|ওয়েবসাইট=জনকন্ঠ|ভাষা=ইংরেজি|সংগ্রহের-তারিখ=৪ জুন ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190522092342/http://web.dailyjanakantha.com/details/article/406361/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87/|আর্কাইভের-তারিখ=২২ মে ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন; আবার তিনি যুক্তবঙ্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগেও সামিল হন।<ref group="টীকা">অন্নদাশঙ্কর রায় লেখেন: ‘‘শেখ সাহেবকে আমরা প্রশ্ন করি, ‘বাংলাদেশের আইডিয়াটি প্রথম কবে আপনার মাথায় এল?’ ‘শুনবেন?’ তিনি (বঙ্গবন্ধু) মুচকি হেসে বললেন, ‘সেই ১৯৪৭ সালে। আমি সুহরবর্দী (সোহ্রাওয়ার্দী) সাহেবের দলে। তিনি ও শরৎচন্দ্র বসু চান যুক্তবঙ্গ। আমিও চাই সব বাঙালীর এক দেশ।... দিল্লী থেকে খালি হাতে ফিরে এলেন সুহরাবর্দী ও শরৎ বোস। কংগ্রেস বা মুসলিমলীগ কেউ রাজী নয় তাঁদের প্রস্তাবে।... তখনকার মতো পাকিস্তান মেনে নিই। কিন্তু আমার স্বপ্ন সোনার বাংলা।... হঠাৎ একদিন রব উঠল, আমরা চাই বাংলাভাষা। আমিও ভিড়ে যাই ভাষা আন্দোলনে। ভাষাভিত্তিক আন্দোলনকেই একটু একটু করে রূপ দিই দেশভিত্তিক আন্দোলনে। পরে এমন এমন একদিন আসে যেদিন আমি আমার দলের লোকদের জিজ্ঞেস করি, আমাদের দেশের নাম কী হবে? কেউ বলে, পাক বাংলা। কেউ বলে, পূর্ব বাংলা। আমি বলি, না বাংলাদেশ। তারপর আমি শ্লোগান দিই, ‘জয়বাংলা’।... ‘জয় বাংলা’ বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছিলুম বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির জয় বা সাম্প্রদায়িতকার উর্ধ্বে।’’ [বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলেন, মাওলা ব্রাদার্স]</ref><ref name="রওনক" /> অনেক ঐতিহাসিক শেখ মুজিবের তৎকালীন জাতীয়তাবাদী অবস্থানকে প্রকৃতপক্ষে ''বাঙালি মুসলমান জাতীয়তাবাদ'' হিসেবে বর্ণনা করেন। তার নিজের ভাষ্য অনুযায়ী তারা, অর্থাৎ শিক্ষিত বাঙালি মুসলমান সমাজ [[লাহোর প্রস্তাব]] অনুযায়ী বাংলা ও আসাম নিয়ে ভারতের বাইরে পৃথক রাষ্ট্রের ধারণার সমর্থক
[[চিত্র:Mujib Suhrawardy Zhou Enlai.jpg|থাম্ব|200 px|১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে চীনের প্রধানমন্ত্রী [[চৌ এন-লাই]] (পেছনে) ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর (বামে) সাথে শেখ মুজিব]]
পাকিস্তান সৃষ্টির পর শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যকলাপ পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, ভাষাকেন্দ্রিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ঘিরে আবর্তিত হয়।<ref name= "গোলাম">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন|শেষাংশ=দস্তগীর|প্রথমাংশ=কে.এম গোলাম|বছর=২০১২|প্রকাশক=আদর্শ|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১০|আইএসবিএন=978-984-8875-31-5}}</ref> মুসলিম লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আরো অনেকের সাথে শেখ মুজিব এই দল থেকে সরে দাঁড়ান। ২৪ বছরের পাকিস্তান আমলের অর্ধেকটা সময় কারাগারে এবং দু-এক বছর ছাড়া পুরোটা সময় জুড়ে বিরোধীদলে অবস্থান করেই তিনি কাটিয়ে দেন।<ref name="মুনতাসীর"/> ''একক পাকিস্তান'' ধারণার ভঙ্গুরতার বিষয়টি তার লেখা ডায়েরি ও অসংখ্য বক্তৃতায় উঠে এসেছে। পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন<!-- কারা --> এমন অভিযোগ তুলে তাকে প্রায়ই ''পাকিস্তানের দুশমন'', ''ভারতের দালাল'' ইত্যাদি আখ্যা দেওয়া হয়েছে।<ref name="গোলাম"/><ref name="মুনতাসীর"/>
রাজনৈতিক গুরু সোহ্রাওয়ার্দীর মতোই শেখ মুজিব ছিলেন পশ্চিমা ধাঁচের সংসদীয় গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ সমর্থক।<!-- সত্যতা --> পাকিস্তান আমলের পুরোটা সময় জুড়ে তজ্জন্যে আন্দোলন সংগ্রাম করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রথমদিকে [[সংসদীয় গণতন্ত্র]] প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="মানবাধিকার">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর মানবাধিকার-দর্শন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=২০১৩|সম্পাদক-শেষাংশ=হোসেন|সম্পাদক-প্রথমাংশ=আবু মোঃ দেলোয়ার|সম্পাদক-শেষাংশ২=উল্লাহ|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=মোঃ রহমত|প্রকাশক=জাতীয় মানবাধিকার কমিশন|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১–১৯}}</ref> পাকিস্তান সৃষ্টির পর তিনি ক্রমাগত সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হতে
১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের এক জনসভায় শেখ মুজিব বলেন:
{{quote|text=“কোনো ‘ভুঁড়িওয়ালা’ এ দেশে সম্পদ লুটতে পারবে না। গরিব হবে এই রাষ্ট্র ও সম্পদের মালিক, শোষকরা হবে না। এই রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ থাকবে না। এই রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।” <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও জাতীয় পুনর্গঠন|ইউআরএল=https://uttarannews.net/site2/?article=%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b6%e0%a6%a8|প্রকাশক= উত্তরণ (সপ্তম বর্ষ, নবম সংখ্যা)|তারিখ=আগস্ট ২০১৭|সংগ্রহের-তারিখ= ১ অক্টোবর ২০২০ }}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আগস্ট হোক মুজিবাদর্শে দীক্ষিত হওয়ার মাস : শেখ ফয়সল আমীন|ইউআরএল=http://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2016/08/15/102493.php|প্রকাশক=দৈনিক ভোরের কাগজ |তারিখ=১৫ আগস্ট ২০১৬|সংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০২০}}</ref>}}
মুসলিম লীগের মাধ্যমে রাজনীতির হাতেখড়ি হলেও শেখ মুজিব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পরবর্তী জীবনে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতামুক্ত রাজনীতি
== মূল্যায়ন ==
৪৩৪ ⟶ ৪৩৩ নং লাইন:
[[চিত্র:মুজিব বর্ষ.jpg|থাম্ব|150px|মুজিব বর্ষের লোগো]]
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের সামসময়িক প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিবের কন্যা
=== স্থাপনা ===
{{মূল নিবন্ধ|শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণের তালিকা}}
বাংলাদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে; যার প্রায় সবই শেখ
[[চিত্র:Bangabandhu Square Monument.A.M.R.jpg|থাম্ব|ডান|150px|[[ঢাকা]]র গুলিস্তানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার ভাস্কর্য]]
|