শেখ মুজিবুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৫৪ নং লাইন:
[[চিত্র:Residence of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman front view.jpg|থাম্ব|220 px|বাম|টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের পৈতৃক ভিটা]]
 
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ (৩রা চৈত্র, ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) রাত ৮টায়<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1733901 |শিরোনাম=মুজিববর্ষেরমুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে |তারিখ=১২ মার্চ ২০২০ |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম}}</ref> তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির]] অন্তর্ভুক্ত [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর জেলার]] [[গোপালগঞ্জ জেলা|গোপালগঞ্জ]] মহকুমার [[পাটগাতি ইউনিয়ন|পাটগাতি ইউনিয়নের]] বাইগার নদীর তীরবর্তী [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা|টুঙ্গিপাড়া]] গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="REF">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8,_%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81_%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96_%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B0 |শিরোনাম=রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর |শেষাংশ=রশীদ |প্রথমাংশ=হারুন-অর |ওয়েবসাইট=বাংলাপিডিয়া |প্রকাশক=বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জুলাই ২০০৬}}</ref> শেখ মুজিবুর রহমান [[শেখ-ওয়াজেদ পরিবার|শেখ বংশে]] জন্মগ্রহণ করেন। শেখ বোরহানউদ্দিন এই বংশের গোড়াপত্তন করেন। শেখ মুজিবের বাবা [[শেখ লুৎফুর রহমান]], যিনি গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন, এবং মায়ের নাম [[সায়েরা খাতুন]]। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের নাম ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী এবং তার ছোট ভাইয়ের নাম [[শেখ আবু নাসের]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://songramernotebook.com/archives/55845 |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর স্বলিখিত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক তথ্য (১৯৪৯ সাল পর্যন্ত) {{!}} শেখ মুজিবের কয় ভাই বোন? |ওয়েবসাইট=সংগ্রামের নোটবুক |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref>
 
“শেখ মুজিবুর রহমান” নামকরণটি করেন তার নানা শেখ আবদুল মজিদ। শেখ মুজিবুরের ছোটবেলার ডাকনাম ছিল “খোকা”।<ref name="ভোকা১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/17/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE/ |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা |তারিখ=১৭ মার্চ ২০২০ |প্রকাশক=ভোরের কাগজ |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref><ref name="হ">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=শেখ মুজিব আমার পিতা |শেষাংশ=হাসিনা |প্রথমাংশ=শেখ |লেখক-সংযোগ=শেখ হাসিনা |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |প্রকাশক=আগামী প্রকাশনী |আইএসবিএন=978-984-04-1730-8 |আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref> ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের প্রতি সহমর্মী স্বভাবের ছিলেন। দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলা থেকে ধান বিতরণ করতেন। সমিতি করে অন্যদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করে গরিব ছাত্রদের মধ্যে বিলি করতেন।<ref name="ভোকা১" />
৬৬ নং লাইন:
[[চিত্র:Gandhi Suhrawardy and Mujib.jpg|থাম্ব|220 px|১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে [[মহাত্মা গান্ধী]] ও হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিব (দণ্ডায়মান)]]
 
শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকে। ঐ বছরই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন তদানীন্তন [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]]র মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা [[এ কে ফজলুল হক]] এবং খাদ্যমন্ত্রী ও পরবর্তীকালে বাংলা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী [[হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী]]। ঐ সময় বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের দাবি নিয়ে একটি দল তাদের কাছে যায়। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিব স্বয়ং।<ref name="পিতা" /> ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার করা হয়। ৭ দিন হাজতবাস করার পর তিনি ছাড়া পান। একই বছর তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন৷হন।<ref name="ই">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন |শেষাংশ=মোস্তফা কামাল |প্রথমাংশ=আবু হেনা |তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৭ |প্রকাশক=ইসলামিক ফাউন্ডেশন |পাতা=১৪ |আইএসবিএন=978-984-06-1607-2 |আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref> ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। এ সময়ে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কাউন্সিলর জন্য নির্বাচিত হন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ফ্রম মার্শাল ল টু মার্শাল ল: পলিটিক্স ইন দ্য পাঞ্জাব, ১৯১৯–১৯৫৮ |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=সৈয়েদ নুর |বছর=১৯৮৫ |সম্পাদক-শেষাংশ=বাক্সটার |সম্পাদক-প্রথমাংশ=ক্রেইগ |প্রকাশক=ওয়েস্টভিউ প্রেস |অবস্থান=বুলডার, কলোরাডো |পাতা=৩৩৮ |ভাষা=ইংরেজি |অনুবাদক-শেষাংশ=আলী |অনুবাদক-প্রথমাংশ=মাহমুদ |অনূদিত-শিরোনাম=মার্শাল ল থেকে মার্শাল ল: পাঞ্জাবের রাজনীতি, ১৯১৯–১৯৫৮ |আইএসবিএন=978-0-86531-845-8 |orig-year=১৯৬৫ সালে উর্দুতে প্রথম প্রকাশ |quote=Sheikh Mujibur Rahman ... entered politics in 1940 in the A11-India Muslim Students Federation and later was a student at Islamia Co1lege, Calcutta.}}</ref> ১৯৪১ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে [[কাজী নজরুল ইসলাম]], [[হুমায়ুন কবির]], প্রিন্সিপাল [[ইব্রাহিম খাঁ]] প্রমুখ যোগদান করেন। শেখ মুজিব এই সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন (''এনট্র্যান্স'') পাশ করার পর ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং এখানে পড়াশোনাকালীন তিনি বাংলার অগ্রণী মুসলিম নেতা হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর সংস্পর্শে আসেন। এম. ভাস্কর তাকে সোহ্‌রাওয়ার্দীর ছত্রতলে রাজনীতির উদীয়মান বরপুত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।<ref name="Nair1990">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=mB9N4oxuSY8C&pg=PA99 |শিরোনাম=পলিটিক্স ইন বাংলাদেশ: অ্যা স্টাডি অব আওয়ামী লীগ, ১৯৪৯–৫৮ |শেষাংশ=নায়ার |প্রথমাংশ=এম ভাস্করণ |তারিখ=১৯৯০ |প্রকাশক=নর্দার্ন বুক সেন্টার |পাতা=৯৯– |আইএসবিএন=978-81-85119-79-3}}</ref> একই বছর কলকাতায় ছাত্রনেতা আবদুল ওয়াসেক প্রমুখের নেতৃত্বে ''হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ'' আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।<ref name="হ" /> ঐ সময় থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।<ref name="ই" /> ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন। এখানে তার ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|বঙ্গীয় মুসলিম লীগের]] কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।<ref name="Us">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bdembassyusa.org/?page=father-of-the-nation |শিরোনাম=The Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman |প্রকাশক=বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসি |ভাষা=ইংরেজি |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে শেখ মুজিব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে তৈরি “ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের” সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন।<ref name="Us" />
শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকে। ঐ বছরই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন তদানীন্তন [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]]র মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা [[এ কে ফজলুল হক]] এবং খাদ্যমন্ত্রী ও পরবর্তীকালে বাংলা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী [[হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী]]। ঐ সময় বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের দাবি নিয়ে একটি দল তাদের কাছে যায়। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিব স্বয়ং।<ref name="পিতা" /> ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার করা হয়। ৭ দিন হাজতবাস করার পর তিনি ছাড়া পান।
একই বছর তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন৷<ref name="ই">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন |শেষাংশ=মোস্তফা কামাল |প্রথমাংশ=আবু হেনা |তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৭ |প্রকাশক=ইসলামিক ফাউন্ডেশন |পাতা=১৪ |আইএসবিএন=978-984-06-1607-2 |আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref> ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। এ সময়ে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কাউন্সিলর জন্য নির্বাচিত হন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ফ্রম মার্শাল ল টু মার্শাল ল: পলিটিক্স ইন দ্য পাঞ্জাব, ১৯১৯–১৯৫৮ |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=সৈয়েদ নুর |বছর=১৯৮৫ |সম্পাদক-শেষাংশ=বাক্সটার |সম্পাদক-প্রথমাংশ=ক্রেইগ |প্রকাশক=ওয়েস্টভিউ প্রেস |অবস্থান=বুলডার, কলোরাডো |পাতা=৩৩৮ |ভাষা=ইংরেজি |অনুবাদক-শেষাংশ=আলী |অনুবাদক-প্রথমাংশ=মাহমুদ |অনূদিত-শিরোনাম=মার্শাল ল থেকে মার্শাল ল: পাঞ্জাবের রাজনীতি, ১৯১৯–১৯৫৮ |আইএসবিএন=978-0-86531-845-8 |orig-year=১৯৬৫ সালে উর্দুতে প্রথম প্রকাশ |quote=Sheikh Mujibur Rahman ... entered politics in 1940 in the A11-India Muslim Students Federation and later was a student at Islamia Co1lege, Calcutta.}}</ref> ১৯৪১ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে [[কাজী নজরুল ইসলাম]], [[হুমায়ুন কবির]], প্রিন্সিপাল [[ইব্রাহিম খাঁ]] প্রমুখ যোগদান করেন। শেখ মুজিব এই সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন (''এনট্র্যান্স'') পাশ করার পর ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং এখানে পড়াশোনাকালীন তিনি বাংলার অগ্রণী মুসলিম নেতা হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর সংস্পর্শে আসেন। এম. ভাস্কর তাকে সোহ্‌রাওয়ার্দীর ছত্রতলে রাজনীতির উদীয়মান বরপুত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।<ref name="Nair1990">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=mB9N4oxuSY8C&pg=PA99 |শিরোনাম=পলিটিক্স ইন বাংলাদেশ: অ্যা স্টাডি অব আওয়ামী লীগ, ১৯৪৯–৫৮ |শেষাংশ=নায়ার |প্রথমাংশ=এম ভাস্করণ |তারিখ=১৯৯০ |প্রকাশক=নর্দার্ন বুক সেন্টার |পাতা=৯৯– |আইএসবিএন=978-81-85119-79-3}}</ref> একই বছর কলকাতায় ছাত্রনেতা আবদুল ওয়াসেক প্রমুখের নেতৃত্বে ''হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ'' আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।<ref name="হ" /> ঐ সময় থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।<ref name="ই" /> ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন। এখানে তার ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|বঙ্গীয় মুসলিম লীগের]] কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।<ref name="Us">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bdembassyusa.org/?page=father-of-the-nation |শিরোনাম=The Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman |প্রকাশক=বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসি |ভাষা=ইংরেজি |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে শেখ মুজিব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে তৈরি “ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের” সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন।<ref name="Us" />
 
=== পাকিস্তান আন্দোলন, যুক্তবঙ্গ ও দেশভাগ ===
[[চিত্র:Mujib with Suhrawardy1949.jpg|থাম্ব|ডান|200px|১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিবুর রহমান]]
 
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে [[লাহোর প্রস্তাব]] উত্থাপনের পর মুসলিম লীগ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে নেমে পড়ে। মুসলিম লীগের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এ সময় [[পাকিস্তান আন্দোলন|পাকিস্তান আন্দোলনে]] নিজেকে যুক্ত করেছিলেন।<ref name="মুনতাসীর" /><ref name="দাঙ্গা" /> “পাকিস্তান দাবির পক্ষে গণভোট” খ্যাত ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে শেখ মুজিব বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে লীগের ''ওয়ার্কার ইনচার্জ'' হিসেবে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেন৷করেন। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে, সাধারণ কৃষক সমাজের কাছে গিয়ে তিনি পাকিস্তান দাবির ন্যায্যতা প্রচার করে ভোট চান। এই নির্বাচনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে মুসলিম লীগ বিজয় লাভ করে। তবে একমাত্র বাংলায় তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং সোহ্‌রাওয়ার্দীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।<ref name="দাঙ্গা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/muktadhara/2019/08/26/807109 |শিরোনাম=পাকিস্তান আন্দোলন, দাঙ্গা ও শেখ মুজিব |তারিখ=২৬ আগস্ট ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক কালের কণ্ঠ}}</ref>
 
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই আগস্ট [[প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস]] পালনের সময় কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এসময় মুজিব মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন।<ref name="BAL">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.albd.org/bangabandhu/bangabandhu.htm |শিরোনাম=Political Profile of Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman |প্রকাশক=বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |ভাষা=ইংরেজি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060426174108/http://www.albd.org/bangabandhu/bangabandhu.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ এপ্রিল ২০০৬ |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জুলাই ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড ক্যারিশম্যাট: শেখ মুজিব অ্যান্ড দ্য স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম |শেষাংশ=খান |প্রথমাংশ=জিল্লুর রহমান |তারিখ=১৯৯৬ |প্রকাশক=ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড |অবস্থান=ঢাকা |পাতা=৩২ |আইএসবিএন=978-984-05-1353-6}}</ref> সেই সময় সোহ্‌রাওয়ার্দী, [[আবুল হাশিম]], [[শরৎচন্দ্র বসু]] প্রমুখের নেতৃত্বে ভারত ও পাকিস্তান কর্তৃত্বের বাইরে [[অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা]] গঠনের যে “যুক্তবঙ্গ আন্দোলন” সংগঠিত হয়, শেখ মুজিব তাতেও যুক্ত হন।<ref name="মুনতাসীর">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলেন |শেষাংশ=মামুন |প্রথমাংশ=মুনতাসীর |লেখক-সংযোগ=মুনতাসীর মামুন |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |প্রকাশক=মাওলা ব্রাদার্স}}</ref> পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি নিশ্চিত হয়ে গেলে আসাম প্রদেশের বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত সিলেট জেলার ভাগ্য নির্ধারণে গণভোট হয়। শেখ মুজিব [[সিলেট গণভোট|সিলেট গণভোটে]] পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সংগঠক ও প্রচারক হিসেবে কাজ করেন। তিনি এসময় প্রায় ৫০০ জন কর্মী নিয়ে কলকাতা থেকে সিলেট গিয়েছিলেন। গণভোটে জয়লাভ সত্ত্বেও করিমগঞ্জ পাকিস্তানে না আসায় এবং দেশভাগের সীমানা নির্ধারণের সময় পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন ভৌগোলিক অপ্রাপ্তির বিষয়ে তিনি তার আত্মজীবনীতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।<ref group="টীকা">শেখ মুজিবুর রহমান তার ''"অসমাপ্ত আত্মজীবনী"'' বইতে লিখেছেন- “আমরা আশা করেছিলাম আমাদের কাছাড় জেলা ও সিলেট জেলা পাকিস্তানের ভাগে না দিয়ে পারবে না। আমার বেশি দুঃখ হয়েছিল করিমগঞ্জ নিয়ে, কারণ করিমগঞ্জে আমি কাজ করেছিলাম গণভোটের সময়, নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করেন জনগণকে খেসারত দিতে হয়। যে কলকাতা পূর্ববাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল, সেই কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম।”</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-40963034.amp |শিরোনাম=সাতচল্লিশে সিলেট কীভাবে পাকিস্তানের অংশ হল? |তারিখ=১৭ আগস্ট ২০২০ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বিবিসি বাংলা}}</ref>
১৪২ ⟶ ১৪১ নং লাইন:
[[চিত্র:Sheikh Mujibur Rahman Announcing 6 Points At Lahore.jpg|থাম্ব|220 px|শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করছেন]]
 
জনসংখ্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের মোট রপ্তানি আয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (যেমন [[পাট]]) পূর্ব পাকিস্তান থেকে হবার পরও এতদাঞ্চলের জনগণের প্রতি সর্বস্তরে বৈষম্য করা হতো।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=পাকিস্তান: ফেইলিউর ইন ন্যাশনাল ইনটিগ্রেশন |শেষাংশ=জাহান |প্রথমাংশ=রওনক |লেখক-সংযোগ=রওনক জাহান |বছর=১৯৭২ |প্রকাশক=কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস |পাতা=১৬৬-১৬৭ |আইএসবিএন=978-0-231-03625-2}}</ref> এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক সুবিধা আনুপাতিক হারে ছিল না। বছরের পর বছর পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিকভিত্তিতে ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে ও প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এরফলে, অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা বৈষম্য সম্পর্কে প্রশ্ন বাড়াতে শুরু করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.defencejournal.com/2002/dec/demons.htm |শিরোনাম=Demons of December – Road from East Pakistan to Bangladesh |প্রকাশক=ডিফেন্স জার্নাল |ভাষা=ইংরেজি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110609122558/http://www.defencejournal.com/2002/dec/demons.htm |আর্কাইভের-তারিখ=৯ জুন ২০১১ |ইউআরএল-অবস্থা=live |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ জুন ২০১১}}</ref> বৈষম্য নিরসনে শেখ মুজিব ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন, যা ছয় দফা দাবি হিসেবে পরিচিত। বাঙালির বহু আকাঙ্ক্ষিত এই দাবি পরবর্তীকালে বাঙালির “প্রাণের দাবি” ও “বাঁচা মরার দাবি” হিসেবে পরিচিতি পায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/news-detail-40021 |শিরোনাম=The historic six-point movement and its impact on the struggle for independence |শেষাংশ=মানিক |প্রথমাংশ=এম ওয়াহিদুজ্জামান |তারিখ=৭ জুন ২০০৮ |কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=৩ আগস্ট ২০১৭ |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে এর ভূমিকা}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড স্ট্রাগল ফররফর ইন্ডিপেন্ডেন্স: ইউকে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস, ডি-ক্ল্যাসিফাইড ডকুমেন্টস, ১৯৬২-১৯৭১ |বছর=২০১৩ |সম্পাদক-শেষাংশ=রহিম |সম্পাদক-প্রথমাংশ=এনায়েতুর |সম্পাদক-শেষাংশ২=রহিম |সম্পাদক-প্রথমাংশ২=জয়েস এল |প্রকাশক=হাক্কানী পাবলিশার্স |পাতা=২৮ |আইএসবিএন=978-7-02-140067-5}}</ref> ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।<ref name="REF" /> এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন, যা ছিল কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা। ছয় দফার দাবিগুলো ছিল নিম্নরূপ -
 
<blockquote>
#যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার হবে। সসর্বজনীনসার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
#কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দুইটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে - দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
#সমগ্র দেশের জন্যে দুইটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা, না হয় বিশেষ শর্তসাপেক্ষে একই ধরনের মুদ্রা প্রচলন।
২৪৫ ⟶ ২৪৪ নং লাইন:
 
=== সংবিধান প্রণয়ন ===
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরপরই শেখ মুজিবুর রহমান তার অন্তর্বর্তী সংসদকে একটি নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে শেখ মুজিব স্বাক্ষর করেন। ১৫ই ডিসেম্বর শেখ মুজিব সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের ঘোষণা দেন। ১৬ই ডিসেম্বর থেকে নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী [[রওনক জাহান|রওনক জাহানের]] মতে, শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক চিন্তাধারার চারটি বৈশিষ্ট্য হলো বাঙালি জাতিসত্তা, সমাজতন্ত্র, জনসম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়িকতা । সংবিধানের চারটি মূলনীতি - [[বাঙালি জাতীয়তাবাদ|জাতীয়তাবাদ]], [[সমাজতন্ত্র]], [[গণতন্ত্র]] ও [[ধর্মনিরপেক্ষতা|ধর্মনিরপেক্ষতার]] মাধ্যমে চারটি বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই চারটি মূলনীতিকে একসাথে [[মুজিববাদ]] হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।<ref name="রওনক">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/opinion/column/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তাধারা |তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক প্রথম আলো}}</ref><ref name="KF" />
 
[[প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৩|৭ই মার্চ, ১৯৭৩]] খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম [[জাতীয় সংসদ নির্বাচন]] অনুষ্ঠিত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/news/341007/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AD%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%80 |শিরোনাম=একনজরে সংবিধানের ১৭টি সংশোধনী |শেষাংশ=শেখ |প্রথমাংশ=এমরান হোসাইন |তারিখ=৮ জুলাই ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বাংলা ট্রিবিউন}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/special-kalerkantho/2018/12/30/720441 |শিরোনাম=ফিরে দেখা ১০টি সংসদ নির্বাচন |তারিখ=৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=কালের কণ্ঠ}}</ref> ঐ নির্বাচনে শেখ মুজিব ও তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শেখ মুজিব [[ঢাকা-১২]] আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সরকার গঠন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/1st.pdf |শিরোনাম=১ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা |ওয়েবসাইট=জাতীয় সংসদ |বিন্যাস=পিডিএফ |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref>
৩১৮ ⟶ ৩১৭ নং লাইন:
| footer = শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই সন্তান}}
 
শেখ মুজিবের প্রায় পুরো পরিবারই ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট রাতে সেনা অভিযানে নিহত হন। কেবলমাত্র দুই কন্যা - [[শেখ হাসিনা]][[শেখ রেহানা]] ঐসময় [[পশ্চিম জার্মানি]]তে অবস্থানের কারণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করে পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তিনি বর্তমানে [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী]] হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে এবং ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷করছেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-44097060 |শিরোনাম=শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হলেন |শেষাংশ=রুখসানা |প্রথমাংশ=শায়লা |তারিখ=২৩ জুন ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বিবিসি বাংলা |এজেন্সি=বিবিসি |অবস্থান=ঢাকা}}</ref> তিনি [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদে]] [[বিরোধীদলীয় নেতা (বাংলাদেশ)|বিরোধী দলীয় নেত্রী]] হিসেবেও তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bd-pratidin.com/first-page/2019/01/08/390267 |শিরোনাম=চারবারের রেকর্ড গড়লেন শেখ হাসিনা |শেষাংশ=রনি |প্রথমাংশ=রফিকুল ইসলাম |তারিখ=৮ জানুয়ারি ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বাংলাদেশ প্রতিদিন}}</ref>
 
শেখ রেহানার কন্যা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ [[টিউলিপ সিদ্দিক]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.aljazeera.com/indepth/features/2014/01/uk-vote-could-create-cross-border-dynasty-2014113112342206325.html |শিরোনাম=UK vote could create cross-border dynasty |শেষাংশ=নিল্ড |প্রথমাংশ=ব্যারি |তারিখ=১৫ জানুয়ারি ২০১৪ |প্রকাশক=আলজাজিরা |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=যুক্তরাজ্যের ভোট আন্তঃসীমান্ত সাম্রাজ্য তৈরি করতে পারত |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে [[যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্স]] এর সদস্য ([[লন্ডন|গ্রেটার লন্ডনের]] হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.camdennewjournal.com/tulipsiddiq-owensmith |শিরোনাম=Hampstead and Kilburn MP Tulip Siddiq set to back Owen Smith in Labour leadership contest |ওয়েবসাইট=ক্যামডেন নিউ জার্নাল |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160904145159/http://www.camdennewjournal.com/tulipsiddiq-owensmith |আর্কাইভের-তারিখ=৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ জানুয়ারি ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> শেখ মুজিবের ভগ্নিপতি [[আবদুর রব সেরনিয়াবাত]] শ্রমিকনেতা ও তার মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।<ref name="আবুল হাসনাত">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/120824/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9 |শিরোনাম=মন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ |তারিখ=১০ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক ইনকিলাব}}</ref><ref name="শাহান আরা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/%E0%A7%A7%E0%A7%AB-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-155373 |শিরোনাম=১৫ আগস্টের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে ছিলেন শাহান আরা আবদুল্লাহ! |শেষাংশ=ঘোষ |প্রথমাংশ=সুশান্ত |তারিখ=৯ জুন ২০২০ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দ্য ডেইলি স্টার |শেষাংশ২=হাবিব |প্রথমাংশ২=ওয়াসিম বিন}}</ref> ভাগ্নে [[শেখ ফজলুল হক মনি]] ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে [[মুজিব বাহিনী|মুজিব বাহিনীর]] প্রধান নেতা ছিলেন ও ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে [[যুবলীগ]] প্রতিষ্ঠা করেন (দুজনই ১৫ আগস্ট নিহত হন)।<ref name="শাহান আরা" /><ref name="শেখ মনি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.ittefaq.com.bd/politics/118314/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0 |শিরোনাম=রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়ছে শেখ মনি পরিবারের |তারিখ=৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক ইত্তেফাক}}</ref> বর্তমানে শেখ মুজিবের ভাগ্নে [[শেখ ফজলুল করিম সেলিম]], [[আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ]]<ref name="আবুল হাসনাত" /> এবং ভ্রাতৃষ্পুত্র [[শেখ হেলাল উদ্দিন]] ও [[শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল]] বাংলাদেশের সাংসদ।<ref name="বঙ্গবন্ধু পরিবার" /> [[শেখ ফজলে নূর তাপস]],<ref name="শেখ মনি" /> [[মজিবুর রহমান চৌধুরী]], [[নূর-ই-আলম চৌধুরী]], [[আন্দালিব রহমান]], [[শেখ তন্ময়]], [[সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ]], শেখ ফজলে শামস পরশ,<ref name="শেখ মনি" /> এবং [[শেখ ফজলে ফাহিম]], যারা বাংলাদেশের প্রথমসারির রাজনীতিবিদ, সম্পর্কে তার নাতি হন।<ref name="বঙ্গবন্ধু পরিবার">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2018/12/31/6089/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80 |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু পরিবারের ৯ সদস্যই নির্বাচনে জয়ী |তারিখ=৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=ঢাকা ট্রিবিউন |এজেন্সি=ইউএনবি}}</ref>
৩৫৬ ⟶ ৩৫৫ নং লাইন:
 
== রাজনৈতিক মতাদর্শ ==
ব্রিটিশ আমলে ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন। এই সময় থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। মুসলিম লীগে তিনি ছিলেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী এবং আবুল হাশিমের নেতৃত্বাধীন উপদলে, যারা প্রগতিশীল বলে পরিচিত ছিলেন।<ref name="রওনক"/> তবে মুসলিম লীগের প্রতি দলীয় আনুগত্যের তুলনায় সোহ্‌রাওয়ার্দীর প্রতি তার ব্যক্তিগত আনুগত্য প্রবল ছিল।<!-- সত্যতা --> আবদুল গাফফার চৌধুরীর মতে, শেখ মুজিব শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে পরিচিত হলেও তার রাজনৈতিক চরিত্র গড়ে উঠেছিল শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আবুল হাশিম, সুভাষ বসু ও মাওলানা ভাসানীর রাজনীতির প্রভাব বলয়ে থেকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/406361/ভাষা-আন্দোলনের-হক-সাহেব-ও-শেখ-সাহেব-দুই/|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনের হক সাহেব ও শেখ সাহেব ॥ দুই॥ {{!}}{{!}} চতুরঙ্গ {{!}}|ওয়েবসাইট=জনকন্ঠ|ভাষা=ইংরেজি|সংগ্রহের-তারিখ=৪ জুন ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190522092342/http://web.dailyjanakantha.com/details/article/406361/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87/|আর্কাইভের-তারিখ=২২ মে ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন; আবার তিনি যুক্তবঙ্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগেও সামিল হন।<ref group="টীকা">অন্নদাশঙ্কর রায় লেখেন: ‘‘শেখ সাহেবকে আমরা প্রশ্ন করি, ‘বাংলাদেশের আইডিয়াটি প্রথম কবে আপনার মাথায় এল?’ ‘শুনবেন?’ তিনি (বঙ্গবন্ধু) মুচকি হেসে বললেন, ‘সেই ১৯৪৭ সালে। আমি সুহরবর্দী (সোহ্‌রাওয়ার্দী) সাহেবের দলে। তিনি ও শরৎচন্দ্র বসু চান যুক্তবঙ্গ। আমিও চাই সব বাঙালীর এক দেশ।... দিল্লী থেকে খালি হাতে ফিরে এলেন সুহরাবর্দী ও শরৎ বোস। কংগ্রেস বা মুসলিমলীগ কেউ রাজী নয় তাঁদের প্রস্তাবে।... তখনকার মতো পাকিস্তান মেনে নিই। কিন্তু আমার স্বপ্ন সোনার বাংলা।... হঠাৎ একদিন রব উঠল, আমরা চাই বাংলাভাষা। আমিও ভিড়ে যাই ভাষা আন্দোলনে। ভাষাভিত্তিক আন্দোলনকেই একটু একটু করে রূপ দিই দেশভিত্তিক আন্দোলনে। পরে এমন এমন একদিন আসে যেদিন আমি আমার দলের লোকদের জিজ্ঞেস করি, আমাদের দেশের নাম কী হবে? কেউ বলে, পাক বাংলা। কেউ বলে, পূর্ব বাংলা। আমি বলি, না বাংলাদেশ। তারপর আমি শ্লোগান দিই, ‘জয়বাংলা’।... ‘জয় বাংলা’ বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছিলুম বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির জয় বা সাম্প্রদায়িতকার উর্ধ্বে।’’ [বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলেন, মাওলা ব্রাদার্স]</ref><ref name="রওনক" /> অনেক ঐতিহাসিক শেখ মুজিবের তৎকালীন জাতীয়তাবাদী অবস্থানকে প্রকৃতপক্ষে ''বাঙালি মুসলমান জাতীয়তাবাদ'' হিসেবে বর্ণনা করেন। তার নিজের ভাষ্য অনুযায়ী তারা, অর্থাৎ শিক্ষিত বাঙালি মুসলমান সমাজ [[লাহোর প্রস্তাব]] অনুযায়ী বাংলা ও আসাম নিয়ে ভারতের বাইরে পৃথক রাষ্ট্রের ধারণার সমর্থক ছিলেন৷ছিলেন। কিন্তু তৎকালীন বাস্তবতায় মুসলিম লীগের নেতৃত্বে সৃষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে বাঙালি মুসলমানের ভবিষ্যৎ গড়তে বাধ্য হন।<ref name="রওনক"/><ref name= "গোলাম"/>
 
[[চিত্র:Mujib Suhrawardy Zhou Enlai.jpg|থাম্ব|200 px|১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে চীনের প্রধানমন্ত্রী [[চৌ এন-লাই]] (পেছনে) ও হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর (বামে) সাথে শেখ মুজিব]]
পাকিস্তান সৃষ্টির পর শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যকলাপ পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, ভাষাকেন্দ্রিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ঘিরে আবর্তিত হয়।<ref name= "গোলাম">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন|শেষাংশ=দস্তগীর|প্রথমাংশ=কে.এম গোলাম|বছর=২০১২|প্রকাশক=আদর্শ|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১০|আইএসবিএন=978-984-8875-31-5}}</ref> মুসলিম লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আরো অনেকের সাথে শেখ মুজিব এই দল থেকে সরে দাঁড়ান। ২৪ বছরের পাকিস্তান আমলের অর্ধেকটা সময় কারাগারে এবং দু-এক বছর ছাড়া পুরোটা সময় জুড়ে বিরোধীদলে অবস্থান করেই তিনি কাটিয়ে দেন।<ref name="মুনতাসীর"/> ''একক পাকিস্তান'' ধারণার ভঙ্গুরতার বিষয়টি তার লেখা ডায়েরি ও অসংখ্য বক্তৃতায় উঠে এসেছে। পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন<!-- কারা --> এমন অভিযোগ তুলে তাকে প্রায়ই ''পাকিস্তানের দুশমন'', ''ভারতের দালাল'' ইত্যাদি আখ্যা দেওয়া হয়েছে।<ref name="গোলাম"/><ref name="মুনতাসীর"/>
 
রাজনৈতিক গুরু সোহ্‌রাওয়ার্দীর মতোই শেখ মুজিব ছিলেন পশ্চিমা ধাঁচের সংসদীয় গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ সমর্থক।<!-- সত্যতা --> পাকিস্তান আমলের পুরোটা সময় জুড়ে তজ্জন্যে আন্দোলন সংগ্রাম করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রথমদিকে [[সংসদীয় গণতন্ত্র]] প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="মানবাধিকার">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর মানবাধিকার-দর্শন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=২০১৩|সম্পাদক-শেষাংশ=হোসেন|সম্পাদক-প্রথমাংশ=আবু মোঃ দেলোয়ার|সম্পাদক-শেষাংশ২=উল্লাহ|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=মোঃ রহমত|প্রকাশক=জাতীয় মানবাধিকার কমিশন|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১–১৯}}</ref> পাকিস্তান সৃষ্টির পর তিনি ক্রমাগত সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকেন৷থাকেন। বিশেষ করে পঞ্চাশের দশকে দুইবার ''গণচীন'' ও একবার ''সোভিয়েত ইউনিয়ন'' সফরে জনগণের জীবনমান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের প্রদর্শিত সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রতি শেখ মুজিবের আগ্রহ বাড়তে থাকে।<ref name="মানবাধিকার"/> তিনি আওয়ামী লীগকে ব্রিটিশ লেবার পার্টির মতো সামাজিক গণতন্ত্রী দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাইতেন। তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের একটি মূলনীতি হিসেবে সমাজতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করেন।<ref name="মুনতাসীর"/> তবে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের দমন-নিপীড়ন ও ''বাকশাল'' প্রবর্তন করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেন; সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য জেল-জুলুম সহ্য করে শেষে নিজেই তা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ায় অনেকে একে আদর্শচ্যুতি হিসেবে অভিহিত করেন।<ref name="JSTOR3" />
 
১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের এক জনসভায় শেখ মুজিব বলেন:
{{quote|text=“কোনো ‘ভুঁড়িওয়ালা’ এ দেশে সম্পদ লুটতে পারবে না। গরিব হবে এই রাষ্ট্র ও সম্পদের মালিক, শোষকরা হবে না। এই রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ থাকবে না। এই রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।” <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও জাতীয় পুনর্গঠন|ইউআরএল=https://uttarannews.net/site2/?article=%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b6%e0%a6%a8|প্রকাশক= উত্তরণ (সপ্তম বর্ষ, নবম সংখ্যা)|তারিখ=আগস্ট ২০১৭|সংগ্রহের-তারিখ= ১ অক্টোবর ২০২০ }}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আগস্ট হোক মুজিবাদর্শে দীক্ষিত হওয়ার মাস : শেখ ফয়সল আমীন|ইউআরএল=http://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2016/08/15/102493.php|প্রকাশক=দৈনিক ভোরের কাগজ |তারিখ=১৫ আগস্ট ২০১৬|সংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০২০}}</ref>}}
 
মুসলিম লীগের মাধ্যমে রাজনীতির হাতেখড়ি হলেও শেখ মুজিব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পরবর্তী জীবনে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতামুক্ত রাজনীতি করেন৷করেন। তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক বৈষম্যমূলক নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করতেন। তার দল আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলার সকল ধর্মের বাঙালির সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই দল ও পরবর্তীকালে মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে।<ref name="রওনক" /> ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও মুজিব ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ইসলামি অনুশাসনের পথে অগ্রসর হন।<ref name="SAAGI" /> জনসাধারণের সামনে উপস্থিতি এবং ভাষণের সময় শেখ মুজিব ইসলামিক সম্ভাষণ ও শ্লোগান ব্যবহার বাড়িয়ে দেন এবং ইসলামিক আদর্শের কথা উল্লেখ করতে থাকেন। জীবনের শেষ বছরগুলোতে মুজিব তার স্বভাবসুলভ “জয় বাংলা” অভিবাদনের বদলে ধার্মিক মুসলিমদের পছন্দনীয় “খোদা হাফেজ” বলতেন।<ref name="SAAGI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.saag.org/papers3/paper232.html |শিরোনাম=মুজিব অ্যান্ড ইসলাম |শেষাংশ=রমন |প্রথমাংশ=বি |তারিখ=২৯ আগস্ট ২০০৬ |ভাষা=ইংরেজি |বিন্যাস=পিএইচপি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070611031127/http://www.saag.org/papers3/paper232.html |আর্কাইভের-তারিখ=১১ জুন ২০০৭ |সংগ্রহের-তারিখ=২৯ আগস্ট ২০০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> শেখ মুজিবুর রহমান মনে করতেন, মানুষ ভুল থেকেই শেখে। তার মতাদর্শ নিজের ভুল স্বীকার ও সংশোধনের পক্ষে ছিল।<ref group="টীকা">“আজকে এই যে নতুন এবং পুরান যে সমস্ত সিস্টেমে আমাদের দেশ চলছে, আমাদের আত্মসমালোচনা প্রয়োজন আছে। আত্মসমালোচনা না করলে আত্মশুদ্ধি করা যায় না। আমরা ভুল করেছিলাম, আমাদের বলতে হয় যে, ভুল করেছি। আমি যদি ভুল করে না শিখি, ভুল করে শিখব না, সে জন্য আমি সবই ভুল করলে আর সকলেই খারাপ কাজ করবে, তা হতে পারে না। আমি ভুল নিশ্চয়ই করব, আমি ফেরেশতা নই, শয়তানও নই, আমি মানুষ, আমি ভুল করবই। আমি ভুল করলে আমার মনে থাকতে হবে, আই ক্যান রেকটিফাই মাইসেলফ। আমি যদি রেকটিফাই করতে পারি, সেখানেই আমার বাহাদুরি। আর যদি গোঁ ধরে বসে থাকি যে, না আমি যেটা করেছি, সেটাই ভালো। দ্যাট ক্যান নট বি হিউম্যান বিইং।”</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/বঙ্গবন্ধুর-অমর-বাণী |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর অমর বাণী |তারিখ=১৮ আগস্ট ২০১৮ |কর্ম=প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref>
 
== মূল্যায়ন ==
৪৩৪ ⟶ ৪৩৩ নং লাইন:
[[চিত্র:মুজিব বর্ষ.jpg|থাম্ব|150px|মুজিব বর্ষের লোগো]]
 
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের সামসময়িক প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিবের কন্যা [[শেখ হাসিনা]] আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে ২০২০-২১ খ্রিষ্টাব্দকে [[বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশ সরকারের]] পক্ষ থেকে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য [[মুজিব বর্ষ]] হিসেবে ঘোষণা করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.somoynews.tv/pages/details/119490 |শিরোনাম=২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষমুজিব বর্ষ ঘোষণা |তারিখ=৬ জুলাই ২০১৮ |কর্ম=মহানগর সময় {{!}} সময় নিউজ}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/67201/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7--%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80 |শিরোনাম=২০২০-২১ সাল হবে মুজিববর্ষমুজিব বর্ষ : প্রধানমন্ত্রী |তারিখ=৭ জুলাই ২০১৮ |কর্ম=যুগান্তর |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জানুয়ারি ২০২০}}</ref> ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ পর্যন্ত এ বর্ষ উদযাপন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1710470.bdnews |শিরোনাম=মুজিববর্ষেমুজিব বর্ষে যত আয়োজন |তারিখ=১০ জানুয়ারী ২০২০ |ওয়েবসাইট=বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |সংগ্রহের-তারিখ=১২ জানুয়ারী ২০২০}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://bonikbarta.net/home/news_description/216942/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A7%87 |শিরোনাম=মুজিব বর্ষে বছরব্যাপী আয়োজনে যা থাকছে |তারিখ=১০ জানুয়ারী ২০২০ |ওয়েবসাইট=বণিক বার্তা অনলাইন |সংগ্রহের-তারিখ=১২ জানুয়ারী ২০২০}}</ref> ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য দেশে এই মুজিব বর্ষ পালন করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.ittefaq.com.bd/national/109367/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%80 |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন হবে বিশ্বব্যাপী |তারিখ=২৮ নভেম্বর ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক ইত্তেফাক}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2019/11/28/17417/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A5%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E2%80%99-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B |শিরোনাম=বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ‘মুজিববর্ষ’‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করবে ইউনেস্কো |শেষাংশ=[[বাসস]] |তারিখ=২৮ নভেম্বর ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=ঢাকা ট্রিবিউন}}</ref>
 
=== স্থাপনা ===
{{মূল নিবন্ধ|শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণের তালিকা}}
 
বাংলাদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে; যার প্রায় সবই শেখ হাসিনারহাসিনা’র নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা। মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম উৎক্ষেপিত [[কৃত্রিম উপগ্রহ]] “[[বঙ্গবন্ধু-১]]” এর নামকরণ শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে রাখা হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/information-technology/news/bd/594556.details |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: নবযুগের নবসূচনা |তারিখ=১২ আগস্ট ২০১৭ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বাংলানিউজ২৪ {{!}} তথ্যপ্রযুক্তি}}</ref> বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু [[বঙ্গবন্ধু সেতু|যমুনা বহুমুখী সেতুর]] নাম পরিবর্তন করে “বঙ্গবন্ধু সেতু” করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/national/news/bd/221459.details |শিরোনাম=যমুনা ব্রিজ এখন বঙ্গবন্ধু সেতু! |শেষাংশ=হোসেন |প্রথমাংশ=ইসমাইল |তারিখ=৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বাংলানিউজ২৪}}</ref> এছাড়াও ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে গুলিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়াম “ঢাকা স্টেডিয়ামের” নাম পরিবর্তন করে “[[বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম]]” রাখা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.channel24bd.tv/sports24/article/132181/%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE |শিরোনাম=বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম |তারিখ=২৩ আগস্ট ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=চ্যানেল২৪}}</ref> ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার [[শেরে বাংলা নগর|শেরে বাংলা নগরের]] [[আগারগাঁও]]য়ে অবস্থিত চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে “[[বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র]]” নামে পুনর্বহাল করা হয়।<ref group="টীকা">১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ন্যাম সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত এই কেন্দ্রের নাম “বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র” দেওয়া হয়েছিল। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে “বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র” রাখা হয়।</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/439646 |শিরোনাম='বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র' নাম পুনর্বহাল |তারিখ=২০ জুলাই ২০০৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=বিডিনিউজ২৪}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81_%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8_%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0 |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র |শেষাংশ=হক |প্রথমাংশ=এনামুল |ওয়েবসাইট=বাংলাপিডিয়া |প্রকাশক=বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে “ভাসানী নভোথিয়েটারের” নাম পরিবর্তন করে “[[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার]]” রাখা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.dailysangram.com/post/367071-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0 |শিরোনাম=বিনোদনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’ |শেষাংশ=আখতারুজ্জামান |প্রথমাংশ=মুহাম্মাদ |তারিখ=৩ মার্চ ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দৈনিক সংগ্রাম আর্কাইভ}}</ref>
 
[[চিত্র:Bangabandhu Square Monument.A.M.R.jpg|থাম্ব|ডান|150px|[[ঢাকা]]র গুলিস্তানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার ভাস্কর্য]]