বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Al Riaz Uddin Ripon-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত পুনর্বহাল
১ নং লাইন:
== বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম ==
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( রাজচন্দ্র ) একজন জমিদার ও নয়নচন্দ্র বাবুমসাই ।
২য় চরিত্র ( রেখাচন্দ্র ) জমিদারে বড়ো মেয়ে ।
৩য় চরিত্র ( নয়নচন্দ্র ) মুল চরিত্র , আর জমিদারে ছোট ছেলে ।
৪র্থ চরিত্র ( মাধবিলতা দাস ) মুল চরিত্র, আর পরোহিত এর একমাএ মেয়ে ।
৫ম চরিত্র (নারায়ণ দাস ) একজন পরোহিত যিনি পুজা করে থাকে ।
ষষ্ঠ চরিত্র ( দেবযামিনী দাস ) একজন পরোহিত এর স্ত্রী ।
৭ম চরিত্র ( রাগিণী মুখার্জি) ) একজন জমিদার এর মেয়ে ।
৮ম চরিত্র ( ভুবন মুখার্জি ) একজন জমিদার।
৯ম চরিত্র ( মিতালি মুখার্জি ) ) জমিদারে স্ত্রী ও রাগিণী মা ।
১০ম চরিত্র ( রামলাল ) জমিদারে বাড়ির পুরানো চাকর ।
১১ তম চরিত্র (হরিদাস পাল ) একজন (পন্ডিতমশাই ) যিনি বাচ্চাদের শিক্ষা দান করে ।
১২তম চরিত্র (বিজয়চন্দ্র ) রাজচন্দ্র এর ছোট ভাই ।
১৩ তম (রাধাচন্দ্র) বিজয়চন্দ্র এর স্ত্রী ।
১৪ তম চরিত্র (সীতাচন্দ্র )বিজয়চন্দ্র এর মেয়ে ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন
আমার নিজের লিখা ষষ্ঠ উপন্যাস এটি নাম হল ( নয়নদা ) । গ্রামের নাম চন্দ্রপুর ।
এটি মূলত একটি সামাজিক পট ভুমি নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনী লিখা । কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় যে, জমিদার রাজচন্দ্র একটি হূল চেয়ারে বসে হুক্কা তানিতে থাকে , হুক্কা তানিতে তানিতে জমিদার রাজচন্দ্র তাহার বাড়ির চাকর রামলালকে ডাকিয়া কহে , রামলাল কোথায় আমার মেয়ে রেখা আর ছেলে ? তাহাকে ডাকিয়া আনো আমার সামনে ? রামলাল কহে জী হুজুর আমি এখনি রেখা দিদি মনি আর নয়ন বাবাজী কে ডাকিয়া আনছি ? এই কথা বলিয়া রামলাল গৃহ প্রবেশ করিয়া রেখা দিদি মনিকে ডাকিয়া নিয়া আসিলো জমিদারে সামনে । এবার জমিদার রাজচন্দ্র তাহার চাকর রামলালকে বলে আমি কি মেয়েকে শুধু ডাকিতে বলিছি আর নয়নকে ডাকতে বলি নাই তোমাই রামলাল ? রামলাল বলে , হুজুর নয়ন বাবাজী গৃহ ভিতর নাই ? এই কথা শুনিয়া রাজচন্দ্র বলে নয়ন কোথায় গেয়েছে ? তখনি তাহার মেয়ে রেখাচন্দ্র বলে , বাবুমশাই নয়ন মাধবিলতার সাথে খেলিতে গেছে ? রাজচন্দ্র এই কথা শুনিয়া ওকে আমি কতবার বলিসে যে ছোটলোকদের সাথে মিশবি নে
বা খেলতে যাবি নে , কিন্তু কে সুনে কার কথা ? রামলাল তার কাজে মনে যোগ দেয় , সে হাড়ি পাতিল মাঝে । আর রেখা তার গৃহ প্রবেশ করে , আর রাজচন্দ্র তাহার হুক্কা বসে বসে তানিতে থাকে । ( এই দিকে নয়নচন্দ্র আর মাধবিলতা কাগজ আর বাঁশসের চুটি দিয়ে ঘুড়ি বানাচ্চে । তারা তা আকাশে উড়াবে) মাধবিলতা নয়নচন্দ্রকে বলে , নয়নদা তুমি খুব সুন্দর করিয়া সুতো তে মানজা দিবে নইলে টা ছিরিয়া যাইবে ? তখনি নয়নচন্দ্র বলে চুপ কর পাকনা বুড়ি তুই এই নয়নচন্দ্রকে জ্ঞান দেস আমি নয়নচন্দ্র জানি সুতো কি করে মুজবুজ করতে হয় আমি এমন করিয়া মানজা দিব যে আমার সুতো কাটিবে না বরং অন্যের ঘুড়ির সুতো কাটিবে ? তাহাদের ঘুড়ি বানানো শেষ হইয়াছে । তাহারা তাদের ঘুড়ি উড়ায় তাদের পাঠশালার মাঠে , সেখানে আরো ছেলেপেলে ছিল , তাহারা ঘুড়ি উড়ায় । ( নয়নচন্দ্র তিনজনের ঘুড়ির সুতো কাটিয়া ফেলে ? মাধবিলতা আর নয়নচন্দ্র খুব হাসে ) । তার কিছুক্ষণ পর মাধবিলতা বলে , নয়নদা আমায় একটু দাও আমি ঘুড়ি দিয়ে ওদের সুতো কাটিব দাও না ? নয়নচন্দ্র বলে , তুই পারবি না পাকনা বুড়ি ? মাধবিলতা মন খারাপ করে থাকে , তখনি নয়নচন্দ্র বলে, নে খুব সাবধানে উরাবে দেখিস আমার ঘুরি আবার সুতো কাটিস না যেন ? মাধবিলতা হাসি মুখে তা নিয়ে উড়াতে থাকে , এক সময় সে নয়নের ঘুড়ির সুতো কাট খাই , তা দেখে নয়নচন্দ্র বলে এই জন্য আমি তোকে দিতে চাই নে ? এই কথা বলে নয়নচন্দ্র মন খারাপ করে চলে যায় তার বাড়িতে , আর মাধবিলতা তার বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে আসলে মাধবিলতার বাবা নারায়ণ দাস বলে , মা মাধবিলতা তুমি কোথায় গেয়ে ছিল বোলো মা ? তখন মাধবিলতা বলিলো বাবা আমি নয়নদা সাথে ঘুড়ি উড়ানো খেলতে ছিলাম ? দেবযামিনী দাস বলে শুন মা তুই ওই নয়নচন্দ্র সাথে আর খেলবি না আর মিশবি নে ? তখন মাধবিলতা তার মায়ের কাছে কারন জানতে চাইলে তার মা বলে , ওরা হচ্ছে জমিদার বাড়ির লোক , ওদের সাথে আমাদের মিশ খাই না আমি তোকে সাফ করিয়া বলে দেয় তুই নয়নের সাথের খেলবি না ? তখন তার বাবা বলে বাদ দে তোর মায়ের কথা যা ঘরে গেয়ে হাত মুখ জল দিয়ে ধুয়ে খাবার খেতে বস? মাধবিলতা হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসে যায় । ওই দিকে নয়নচন্দ্র গৃহ ভিতর প্রবেশ করিলে তাহার বাবুমশাই একটু রাগ করিয়া বলেন কি ওই পরোহিত এর মেয়ের সাথে খেলতে গেছিল তোকে কতবার বলবো যে ওই ছোটলোকদের সাথে মিসবি না ? নয়নচন্দ্র ভয়ে চুপ করিয়া থাকে । রাজচন্দ্র বলিলো যাও ভিতরে যায় জল দিয়ে স্রান করিয়া তার পরে খাবে ? নয়নচন্দ্র স্রান করিয়া তার পরে খাবার খাই । ( পরের দিন সকাল বেলা নয়নচন্দ্র তার দিদিকে বলে , রেখা দি আমি পাঠশালাই যায় ,তার বাবু মশাইকে বলে বাবুমশাই আমি গেলাম পাঠশালা ? তখনি রাজচন্দ্র বলিলো যাও তবে এবার যেন তোমার নামে কোন নালিশ না আসে আর নালিশ আসলে তোমার খুব খারাপ হবে ? এই বলে নয়নচন্দ্র পাঠশালার যায় ) পাঠশালায় গিয়ে নয়নচন্দ্র দেখ যে ,মাধবিলতা তার আগে পাঠশালায় এসে হাজির , সে মাধবিলকে বলল কিরে পাকনা বুড়ি তুই আমার ঘুড়ি ছিরসোস , আর আজকে আমায় ডাক দিলি না ? তখন ,মাধবিলতা বলে নয়নদা আমি মনে করেছি যে কালকে ওই ঘটনার জন্য আমার উপর রাগ করসো ? নয়নচন্দ্র বলে দূর আমি কেন তোর উপর রাগ করিব তুই তো আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ? এই কখা সুনে মাধবিলতা মুখে হাসি পাই । পাঠশালায় পন্ডিতমশাই এসে হাজির হইলো , তাহারা সবাই পন্ডিতমশাইকে নমস্কার করে সবাই উঠে দাঁড়ায় , তখন পন্ডিতমশাই বলে , তোমরা সবাই বসে আসন গ্রহন করো ? তাহারা বসে আসন গ্রহন করে । পাঠশালায় পন্ডিতমশাই যখন বলিল যে তোমরা কে কে পড়া পড়ে এসেসো , আর যারা না পারিবে তাহাকে আমার এই ব্যাড দিয়ে পিটাবো ? নয়নচন্দ্র মনে মনে বলে , ইস আজকে পড়া পড়ে আনি নাই নিশ্চয় পন্ডিতমশাই আজকে আমাকে ব্যাড দিয়ে মারবে , না আজকে আমি একটা কিছু করবো যাতে পন্ডিতমশাই পড়া না নিতে পারে আর মারেতে না পারে ? এই কথা বলিয়া নয়নচন্দ্র মাধবিলতাকে নিয়ে চুপি চুপি পাঠশালা থেকে বেড় হয়ে পাঠশালা ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে বলে চলে যায় । ( আর তখন সবাই ছুটি মনে করে চলে যায় , পন্ডিতমশাই বলে, এই নিশ্চয় নয়নচন্দ্রদের কাজ , দাড়া আজ জমিদার মশাইকে বলবো ) দুই জন মিলে পাঠশালায় থেকে পালিয়ে আমবাগানে গেয়ে আম পেড়ে খাই আর মজা করে সারাদিন তার পরে তারা দুইজন যে যার বাড়ি পথে যায় ।( ওই দিকে নয়নচন্দ্রদের কাকা আর কাকি ও তাদের মেয়েকে নিয়ে চলিয়া আসে , আর তারপরে জমিদারের কাছে নালিশ নিয়ে আসে পন্ডিতমশাই আর সব কখা খুলিয়া বলে তা শুনিয়া রাজচন্দ্র বলে আমি ওর বিচার করিব আপনি এখন যান ) নয়নচন্দ্র এলে তার বাবুমশাই বলে অনেক বার বেড়েছিস তোকে আমি কলিকাতায় পাঠিয়ে দিবো ওইখানে তুই পড়ালেখা করবি ? তখন বিজয়চন্দ্র বলে এখন না পাঠিয়ে বরং রেখার বিয়ে পর না হয় পাঠিয়ে দিও ? ঠিক আসে কাল ঠাকুর ভাসানের পরে তো রেখাকে দেখতে আসবে ছেলের পক্ষে , এরপর ওকে আমি পাঠিয়ে দিবো কলিকাতায় ? এই কখা শুনে নয়নচন্দ্রদের মন খারাপ হয় । পরের দিন ঠাকুর ভাসানো সময় মাধবীলতা আসে লুকিয়ে আর নয়নচন্দ্র সব কথা খুলে বল , তা শুনিয়া মাধবিবলতা বলে তুমি যেও না আমাকে ছেরে কলিকাতায় ? ( আর একটা কখা জমিদার রাজচন্দ্রদের বাড়ি সব পুজা করে থাকে মাধবীলতার বাবা ) । তার পরেরদিন ছেলের পক্ষে এসে রেখাকে পছন্দ করে ফেলে । ( তার দুই সপ্তাই পরে মহাধুম ধামে রেখার বিয়ে সম্পন্ন হয় , এই বিয়ের পরোহিত থাকে মাধবিলতার বাবা , আর বাবা রাজচন্দ্র মনে মনে কাদে আর চোখের জল মূষে তার মেয়েকে বিদায় দেয় ) । তার পরে নয়নচন্দ্র তার কাকিমাকে বলে কাকিমা আমি কলিকাতায় যাবো না আমার এইখানে ভালো লাগে ? তার কাকিমা বলে তুই এইখানে থাকবি কোথায় যাবি নে ? তখন সীতা বলে নয়নদা তুমি আমাদের এই খানে থাকবে ? তার কাকিমা নয়নচন্দ্রদের বাবাকে বললে বলে আমি যা বলিছি তা জেন নড়চড় না হয় ওকে কলিকাতায় কালিকে পাঠিয়ে দিবো ? পরের দিন সব কাপর ভালো করে তার কাকিমা ব্যাগে ভরে দিয়েছে আর ঘোড়া গাড়ির এসে তাকে নিয়ে যায় যায় কলিকাতায় । ( কলিকাতায় যাওয়ার পথে মাধবীলতা শেষ বারের মতন তাকে দেখে ঘোড়া গাড়িতে করে যেতে ) নয়নচন্দ্র চলে যায় কলিকাতায় আর মাধবিলতা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাদতে থাকে । ( এই ভাবে ১২ বছর কেটে যায় )। জমিদার রাজচন্দ্র বলল , বিজয় আজ প্রায় ১২ বছর হয়েছে আমার ছেলে নয়নচন্দ্রকে কলিকাতায় পাঠিয়েছে আর এই দিকে আমার মেয়ে বিধবা হয়ে এসেছে আমার ‍‍গৃহে , আর তোমার মেয়ে সীতার বিয়ে ঠিক হয়েছে ? দাদা তাহলে নয়নকে আসতে বলবো এই চন্দ্রপুরে ? আচ্ছা তাকে একখানা চিঠি লিখিয়া আসিতে বলো ? ( বিজয়চন্দ্র একখানা চিঠি লিখিয়া তাহা কলিকাতায় নয়নচন্দ্রকে পাঠিয়ে দেয় , আর চিঠি পাওয়া মাত্র নয়নচন্দ্র বলিলো আমি আগামীকাল আসিব বাবুমশাইকে আমার প্রনাম জানাবেন ) আগামীকাল জমিদার তার ছেলের জন্য ঘর আর তার প্রিয় খাবার রান্না বান্না করা আদেশ দিলেন বাড়ির চাকর রামলালকে ‍।
ঠিক পরের দিন মানে আজ নয়নচন্দ্র তার নিজ গ্রামের বাড়িতে আসবে তাই চাকর রামলাল সব ঠিকথাক করছে , ওই দিকে নয়নচন্দ্র ঘোড়া গাড়ি করে তার বাড়িতে আসতে ঠিক ১২ বছর পর । আর এই দিকে রাজচন্দ্র , বিজয়চন্দ্র ও তার বউ আর মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাকে বরং করার জন্য , আর একটু দূরে পিলার এর সামনে দারিয়ে আছে । ( হিন্ধুদের রীতি মতে বিধবা মেয়েকে কোন শুভ কাজে থাকতে নেই থাকলে কোন না কোন ক্ষতি হয় ) ।
আর তাদের রয়েছে বাড়ির চাকর ? আর এমন সময় নয়নচন্দ্র চলে আসে আর তার বাবুমশাইকে পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করে , আর তার কাকা আর কাকিমাকে প্রনাম করে । ( হঠাই নয়নচন্দ্রর চোখ পড়ে দূরে থাকা সাদা শাড়ি পড়া তার রেখার দিদির দিকে , সে বলে বাবুমশাই আপনিরা সবাই এইখানে আর রেখা দি দূরে কেন আর সাদা শাড়ি পড়া কেন ? তখন তাহার কাকিমা বলিলো তোমার দিদির স্বামী সাতদিনের জ্বরে মারা যায় ।আর তার স্বামীর বাড়ির লোক ওকে তাড়িয়ে দেয় , আর তুমি আসবে বলে আমরা ওকে তোমার সামনে আসতে দিতে চাই নে কারন বিধবা মেয়ে কোন শুভ কাজে আসতে নে নইলে ক্ষতি হবে তাই । নয়নের বাবুমশাই বলে রামলাল তুমি ওর ব্যাগ নিয়ে যাও , আর এই খানে না দারিয়ে চলে সবাই বাড়ির ভিতর ঢুকি ? আর সবাই ভিতরে যায় । আর রাতের বেলা নয়নচন্দ্রকে তার প্রিয় খাবার দেয় , তা দেখে নয়নচন্দ্র বলে, রামু কাকা তোমার মনে আসে আমার প্রিয় খাবারের কখা ? তখন রামলাল বলে নয়ন বাবাজি আমি না জানলে বলে কে জানবে বলে গিন্নী মা মারা যাওয়ার পর আমি তো তোমায় নিজ হাতে লালন পালন করেছি এই সব বাদ দিয়ে এখন তুমি খাও ? নয়নচন্দ্র খাবার খাই । সে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে কারন সে কলিকাতা থেকে এই চন্দ্রপুরে আসতে অনেক দকল যায় এই জন্য সে ঘুমিয়ে পড়ে । পরের দিন সকাল বেলা নয়নচন্দ্র ঘুম থেকে উঠে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা খেতে চলে আসে , আর খেতে খেতে সে বলে ,রেখা দি কোথায় তাকে তোমরা ডাকো আমি তার সাথে বসে খাবার খাবো ? তার কাকিমা আবারো সে কথা বলে তাকে কিন্তু সে কিছু না সুনে তার দিদি কে নিয়ে আসে কিন্তু তার দিদি আস্তে চাই নে সে জোর করে আনে আর বলে, দিদি আজ তোর গায়ে সাদা সাড়ি পরে আসিস তাই তুই তর আদরের ভাইকে ভাত খাওয়াবি না ? তার দিদি বলে আমি অপয়া আমি তোর সামনে এলে তোর ক্ষতি হবে? কই তুমি তো আমার সামনে এলে কই কোন ক্ষতি হলে না আমায় এই সব রীতি আমি মানি না তুমি আমাকে ভাত খাওয়া বে আর সীতার বিয়ের সব কাজ করবে এতা আমার সাফ কখা ? এই বলে সে বাইরে বের হই , আর সে পথমে হরিদাস পাল (পন্ডিতমশাই ) এর কাছে যায় আর বলে , নমস্কার পন্ডিতমশাই কেমন আসেন ? হরিদাস পাল , আমি ভালো আছি কিন্তু তুমি কে বাবা ? নয়নচন্দ্র বলে আমি নয়নচন্দ্র ? হরিদাস পাল বলে, জমিদার রাজচন্দ্রদের ছেলে তুমি ? তাদের দুইজনের আলাপ আলোচনার শেষে নয়ন চলে যায় তার সেই ছোট বেলার খেলার সাথি মাধবিলতার বাড়িতে । ( সেইখানে গেয়ে মাধবিলতার বাবা সাথে তার সাক্ষাৎ হই , বলে কাকু পাকনা বুড়ি আসে ? নারায়ণ দাস বলে কে পাকনা বুড়ি ? মনে মনে ইস আমি যে ওকে পাকনা বুড়ি বলি তারা জানে না , না মানে মাধবী ঘরে আছে কাকু ওকে একটু ডাকেন না ওর সাথে কথা বলবো ? ও মাধবিলতা ও তো জল আনতে পুকুর পারে আনতে গেছে ? নয়নচন্দ্র বলে তা হলে আমি আসি কাকু ? এই বলিয়া সে পুকুর পারে যায় কিন্তু তাদের দুইজনের দেখা হইছে কিন্তু ঝগড়ায়) । মাধবিলতা বলে এই যে , আপনিকে আপনার চোখের মাথা খাইসেন পথ চলতে পারেন না দিলেন তো আমার সব জল ফিলিয়া আবার জল ভরিতে হইবে? তখন নয়নচন্দ্র বলে দেন আমি জল ভড়ে দেই ? না থাক আমার জল আমি ভরবো ? আচ্ছা আপনিকে আমার উপর রেখে আসেন ? মাধবিলতা বলে হ্যাঁ ? এই কথা বলে মাধবিলতা জল কলসিতে ভরে নিয়ে জায় বাড়ি আর নয়নচন্দ্র পকুর পারে খুজতে থাকে তার মাধবিলকে । ( কিন্তু মাধবিলতা অনেক আগে তার বাড়ি চলিয়া গেছে নয়ন বলে, আজ ওর সাথে আমার হল না দেখা যায় কাল বরং সে আমবাগানে আসবো হইত সেখানে হবে দেখা ওর সাথে যায় ? এই বলে সে তার বাড়ি পথে রওয়ানা হয় ) । আর মাধবিলতার বাড়ির যাওয়ার কিছুক্ষন আগে তার মা দেবযামিনী দাস বলিলো ওগো তুমি কার সঙ্গে কথা বলতে ছিল গো আর তিনি কে ? নারায়ণ বলিল, আরে এইত জমিদার এর ছেলে নয়নচন্দ্র আমার কাছে এসে পায়ে ধরে নমস্কার করে বলে আমি নয়নচন্দ্র আর রাজচন্দ্র আমার বাবূমশাই ? দেবযামিনী দাস জানতে চাই যে নয়নচন্দ্র তার বাড়িতে কেন এসেসে তখন নারায়ণ দাস বলে যে , তাহাদের মেয়েকে খুঁজতে এসেসে ওর সাথে দেখা করতে , মনে হয় অনেকদিন হয়েছে দেখা হয়নি তাই দেখা করতে এসেছে ? এমন সময় আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে আর তারা বাবাকে বলে , নয়নদা এসেছে বাবা কোথায় ? তার বাবা বলে,তোকে না পেয়ে পুকুর পারে গেছে মনে হয় বাড়ি চলে আসে ? তার বাবা বলে,তোকে না পেয়ে পুকুর পারে গেছে মনে হয় ? এই কখা সুনে সে পুকুর পারে যায় কিন্তু তার আগে সে চলে গেছে আর মন খারাপ করে বাড়ি চলে আসে আর বলে , নয়নদা আজ তুমি ১২ বছর পর এলে কিন্তু আমাদের হল না দেখা কালিকে আমি সেই আমবাগানে যাবো আমার মনে হয় আমাদের সেইখানে হবে দেখা ? নয়নচন্দ্র বাড়ি গিয়ে দেখে তার কাকাই আর তার বাবুমশাই কখা বলছে , শুন বিজয় সবাইকে তো নেমন্ত করা হলে শুধু নারায়ণ দাস পরোহিত ছাড়া কাল তুই লোক পাঠিয়ে নারায়ণকে বলবি তর মেয়ের বিয়ের সে থাকবে পরোহিত আর তাদের নেমন্ত গ্রহন করতে বলবি ? বিজয়চন্দ্র বলে আমি তাই করবো দাদা আপনি চিন্তায় করিবেন না ? এই কথা শুনে নয়নচন্দ্র তার কাকাই এর পায়ের হাতে ধরিয়া বলে তাকে যেন এই কাজ দেয় নারায়ন এর বাড়ি গেয়ে নেমন্ত দিতে তার কাকাই বলে, ঠিক আছে তুই জাবি নয়ন ওদের বাড়িতে তুই এবার ঘরে যা ? তার কাকাই বুঝে যায় কেন ও এমন পাগলামি করসে । আর বিজয়চন্দ্র তার ঘরে গিয়ে খাবার খাই । ( পরেরদিন সকালবেলা নয়নচন্দ্র সেই আমবাগানে এসে অপেক্ষা করে তার মাধবীলতার জন্য অনেকক্ষন পাইচারি করার পর দেখে যে কেউ লালশারী পরে আসছে তার সামনে ) সে বলে এই কি আপনি এই খানে আপনি সে না যার সাথে আমার ধাক্কা লাগে আর আপনার সব জল পরে যায় ? মাধবীলতা বলে হ্যাঁ আমি সেই কিন্তু আপনি এই খানে কি করসেন বলেন ? নয়নচন্দ্র বলে একজনের জন্য অপেক্ষা করছি সেই এই খানে আসবে আর আপনি এই খানে আসলেন কেন ? মাধবিলতা বলে , আপনি যে কারনে এইখানে আসছেন আমিও সেই কাজে আসলাম বুঝলেন ? নয়নচন্দ্র বলে ও আচ্ছা , শুনি কে সে ভাগ্যবান লোক যার জন্য আপনি অপেক্ষা করসেন এই আমবাগানে ? তখন মাধবিলতা বলল , আপনি বলে্‌ন , শুনি কে সে ভাগ্যবান লোক যার জন্য আপনি অপেক্ষা করসেন এই আমবাগানে ? তখন নয়নচন্দ্র বলল , আপনি আগে বলেন মেয়েদের আগে বলা উচিৎ তাই না এবার বলেন কে সে ভাগ্যবান লোক ? আর এবার মাধবীলতা বলে এবার সত্যি সত্যি বলে যে সে তার নয়নদা সাথে দেখা করতে এইখানে এসেছে ? এবার আপনি বুলুন কে সে ? নয়নচন্দ্র বলে বলবো তার নাম ? মাধবীলতা বলে, হ্যাঁ বলেন তার নাম আমি তো বলছি এবার আপনি বুলুন ? নয়নচন্দ্র বলে তার নাম পাকনা বুড়ি ? এই নাম শুনে মাধবীলতা বলল, তার মানে আপনি হচ্ছেন নয়নদা ? অবশেষে তাদের পরিচয় হয় আর অনেক কখা । ( হঠাই নয়নচন্দ্র বলে পাকনা বুড়ি ,ও মাধবিলতা এখন তো অনেক বড় হইসস তাই তকে আর পাকনা বুরি না বলে আমি আমি মাধবী বলে ডাকিব ? মাধবী বলে , কি নয়নদা কিছু বলবে ? তখন নয়নচন্দ্র বলে কাকাই বলেছে তোর বাবাকে আমার ছোট বোন সীতার বিয়ে দিবেন তিনি আর তদের নেমন্ত দিয়েসে কি আসবে আমি আজ যাই ওই দিকে সব কাজ পরে আছে শোন তরা কিন্তু আসবি ? এই বলে নয়নচন্দ্র তার বারিতে যায় ) আর মাধবিলতা তার বাড়িতে গেয়ে তার বাবাকে বলে ওই কখা । অবশেষে বিয়ের হলুদ সন্ধা এসে গেছে সুরু হয়ে গেছে হলুদ সন্ধা। সেই খানে আছে মাধবিলতা আর তার মা আর তার বাবা পরে আসবেন । হলুদ সবাই দেয় আর মাধবিলতা আর নয়নচন্দ্র এক সাথে হলুদ দেই শেষে । এমন সময় নয়নচন্দ্র দেখে তার দিদি লুকিয়ে দেখছে এবং নয়নচন্দ্র সেইখানে গেয়ে তার দিদিকে নিয়ে আসে আর বলে তুমি হলুদ দেলে না যে দিদি চলে সীতাকে হলুদ মাখাই ? তখন তার কাকিমা বলে নয়ন তোমাকে বলেছিলাম বিধবা মেয়েদের এই সব শুভ কাজে আসতে নেই ? তখন নয়নচন্দ্র বলে কাকি মা আজ তোমার বিয়ে মেয়ের বিয়ে দিবে কাল যদি দিদি মতন এই একি দশা হই তখন কি তোমার মেয়ের কালায় এমন করতে বলে ? তার কাকিমা কিছু বলে না চুপ করে থাকে এই কথা সুনে ।
তার বাবুমসাই বলে ,নয়ন তোমাকে এই সব করতে কে বলেছে বল আমায় ? তখন তার কাকিমা বলে , দাদা নয়ন ঠিক বলেছে আমরা অন্যায় করেছি রেখার উপর অকে আমাদেরে থাকার অনুমতি দেন না ? অবসেষে জমিদার বলল ঠিক আছে ও আজ থেকে সব শুভ কাজে থাকবে ? ( এর পর সবাই মুখে হাসি ফুটে আর রেখা মন আনন্দদে কান্না চলে আসে ) আর নয়নচন্দ্র মাধবিলতাকে নিয়ে আড়ালে গিয়ে তারা দুইজন একে অপরকে হলদ্দ মাখাই আর তার পরে মাধবিলতা সেইখান থেকে এক ছুটে আবার হলুদ সন্ধ্যায় অনুস্তানে চলে আসে আর নয়নচন্দ্রও চলে আসে এই জায়গায় । ( এই ভাবে হলুদ সন্ধ্যা শেষ হয়ে যায় , আর বিয়ের দিন চলে আসে নয়নচন্দ্র আর তার সাথে কয়েকজন মিলে সীতাকে নিয়ে আসে আর সাত টা গোল পাক দিয়ে পরে সীতাকে নিচে বরের সামনে ) এরপর বিয়ের সব রীতি শেষ হয় আর সীতার বিয়ে সম্পন্ন হয় । তারপরে সীতা আর তার স্বামীকে রাজচন্দ্র অ বিজয়চন্দ্র আশীর্বাদ করে আর বিদায় জানায় সীতাকে , সীতা তার স্বামীর বাড়ি চলে যায় । ( তার
কিছুদিন পর জমিদারের বাড়িতে ইংরেজ এসে জমিদার রাজচন্দ্র তুমি তো আজ প্রায় ৪ মাস খাজনা দিসসো না আমাদের তাই আমরা তোমার এই বাড়ি আমি নিলামে তুলবো ? এই সুনে জমিদার রাজচন্দ্র বলে আমি যে ভাবে পারি আপনাদের খাজনা দিবো পরিশোধ করে ? ইংরেজ বলে ১০হাজার টাকা দিতে পারবে আমি তোমাকে ১ মাসে সময় দিলাম না পারলে আমরা এই বাড়ি নিলামে তুলে তোমাকে পথে ফকির করে ছাড়বো ? এই বলে তারা চলে যায় ) আর রাজচন্দ্র হতাশ হয়ে পরে সে কি করবে এখন , এমন সময় তার ছোট ভাই বিজয়চন্দ্র বলে দাদা আপনি চিন্তা করবেন না টাকা যোগার হবে । রাজচন্দ্র বলে কি ভাবে ? তখন বিজয়চন্দ্র বলে দাদা ওই উওর পাড়া জমিদার ভুবন মুখার্জি আছে চলে তার কাছে যায় সে আমদের এই বিপদের কথা সুনে সে নিশ্চয় সাহায্য করবে চলে ? তারা দুইভাই সেইখানে চলে যাই । আর গিয়ে সব খুলে বলে , আর তা শুনে ভুবন মুখার্জি বলে সাহায্য করতে পারি কিন্তু একটা কথা ? রাজচন্দ্র বলুন কি কথা ? ভুবন মুখাজি বলে আপনাকে আমি টাকা দিব আপনার ছেলের সাথে আমার একমাএ কন্যার বিবাহ দিতে হবে কি রাজি তো ? ( রাজচন্দ্র কোনোদিন ভাবে নে যে টাকার বিনিময়ের তার ছেলের বিয়ে দিতে হবে ) তার ভাই বলে দাদা রাজি হয়ে যাও এই বিয়েতে তুমি রাজি হলে জমিদার মশাই টাকা দিবে না আর তাকে পেলে তোমার জমিদারি নিলামের উঠবে ? কিছুক্ষন ভেবে অবশেষে বিবাহে রাজি হয়ে যায় । জমিদার ভুবন মুখার্জি তার কন্যাকে ডাক দিয়ে বলে মা রাগিণী এই হচ্চে দক্ষিণ পারার জামিদার রাজচন্দ্র আর তার ভাই বিজয়চন্দ্র ? রাগিণী মুখার্জি তাদের কে প্রনাম করে আর তার পরে তার বাবা তাকে বাড়ির ভিতর জেতে বলে আর এইখানে বিয়ের সব কখা পাকা হয় এই সামনে সপ্তাই বিবাহ তারিখ ঠিক করে । আর মিতালি মুখার্জি তাদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসে এবং তা খাই আর তারা দুই ভাই চলে যায় টাকা নিয়ে। আর এইদিকে রাগিণী তার বিবাহের কথা শুনে লজ্জা হলে লাল । ( তারা এসে বলে নয়নের বিবাহ ঠিক করে এসেছি ) রাধাচন্দ্র বলে দাদা বিবাহ ঠিক করসো ভালো কখা মেয়েটা কে শুনি ? তখন বিজয়চন্দ্র বলল উওর পাড়ার জমিদার ভুবন মুখার্জি এর কন্যা রাগিণী মুখার্জি সঙ্গে বিবাহ থিক করেছি এই সপ্তাই ? রাধাচন্দ্র বলে তাহলে তো হাতে সময় নেই আমাদের ? তখন রাজচন্দ্র বলে তুমি তোমার মেয়ে আর জামাইকে ডাকো ? এই বলিয়া বরং রাজচন্দ্র তার ঘরে চলে যায় । বিজয়চন্দ্র বলে আমার মনে হয় না যে নয়ন এই বিয়েতে রাজি হবে ? রাধাচন্দ্র কারন জানতে চাইলে বলে কারন হল যে মাধবিলকে ভালোবাসে আমাদের নয়ন ? রাধাচন্দ্র তা সুনে বলে শেষ মেষ ওই পরোহিতের মেয়েকে ভালবাসে ছিঃ ? তারপর তার তারা দুইজন ঘরে যায় আর তাদের মেয়েকে জামাই নিয়ে আসার জন্য চিঠি লিখে তা পাঠায় । আর ওই দিকে নয়নচন্দ্র আর মাধবিলতা মেলায় যায় মেলা দেখতে ,আর নয়নচন্দ্র মেলা থেকে মাধবিলতাকে চুড়ি কিনে দেয় আর তা নিয়ে আমবাগানে গেয়ে মাধবীলতার হাতে চুড়ি পড়িয়ে দেয় আর নয়নচন্দ্র বলে । তোকে এই লাল রঙে চুড়িতে বেশ মানিয়েছে ? এই কখা শুনে মাধবিলতা হাসে আর তারপর তারা কিছুক্ষন কথা বলে তার যে যার বাড়িতে যায় । আর নয়নচন্দ্র তার বাড়িতে আসিলে তার বাবুমশাই তাকে সব কথা বলে তা সুনে সে বলে, আমি পারিব না এই বিবাহ করিতে বাবুমশাই আমায় ক্ষমা করিবেন আপনি ? রাজচন্দ্র বলিল, কেন তুমি এই বিবাহ করিতে পারিবে না বল ? এবার নয়নচন্দ্র বলে বাবুমশাই আমি একজনকে ভালোবাসি আর তাকে ছাড়া আমি কাউকে বিবাহ করিতে পারিব না ? এবার রাজচন্দ্র সান্ত গলায় বললেন কে সে ? নয়নচন্দ্র বলে , তার নাম মাধবিলতা ? এই কখা বলার পর রাজচন্দ্র তাকে রেগে বলে তোমার এতো বড় সাহস তুমি কিনা শেষে একটা পরোহিতের মেয়েকে এই বাড়ির বউ করতে চাও আমি বেচে থাকতে কোনোদিন ওই মেয়েকে এই বাড়ির বউ বলে মেনে নিব না ? বাবুমশাই মাধবীলতা পরহিতের মেয়ে বলে মেনে নিবেন না আপনার মানা না কিছু আসে যায় না আমি ওকে বিবাহ করিব আমি গেলাম ? হঠাই রাজচন্দ্র সিঁড়ি থেকে পরে যায় আর নয়নচন্দ্র ছুতে এসে তার বাবুমসাইকে ঘরে নিয়ে যায় আর ডাক্তার বাবুকে ডেকে নিয়ে আছে তার কাকাই । ডাক্তার বাবু তাকে দেখ তারপর বলে জমিদার মশাই আপনি বিশ্রাম নেন ? নয়নচন্দ্রকে ডাক্তারবাবু বলে বাবা নয়ন তোমার বাবুমশাইয়ের হ্যাট অ্যাটাক হয়েছে । আর দেখবেন যে ওঁনী কোন কারনের কষ্ট না পায় আর যদি কোন করনের কষ্ট পাইয় তাকে আর বাঁচানো যাবে না আমি আসি বরং আজ ?
( এই কথা বলে ডাক্তারবাবু চলে যায় ) দিদি তুমি সবাইকে নিয়ে একটু
ঘরের বাহিরের যাবে ? আর তারা সবাই ঘরের বাইরে চলে যাই ।
নয়নচন্দ্র কেদে তার বাবুমসাইয়েকে বলে, আমি রাজি এই বিবাহে আপনি যা বলবেন আমি তা করবো ? রাজচন্দ্র বলে তুই ওকে ভুলে যা ? এই কথা সুনে নয়নচন্দ্র কেদে বলল আমি ওকে ভুলে যাবো সারাজিবনের মতন ? আর তার পর নয়নচন্দ্র বাবুমশাই মুখে হাসি ফুটে । তারপরে রাজচন্দ্র সবাইকে ডাকিতে বলে ভিতরে আর নয়নচন্দ্র সবাইকে ভিতরে আসতে বলে আরা তারা এলে এরপর রাজচন্দ্র তার ভাই আর ভাইয়ের বউকে বলে, জমিদার ভুবন মুখাজি বলে ছেলেকে নিয়ে আমাদের সবাইকে তার বাড়িতে গেয়ে মেয়েকে আশীবাদ করে আসতে বললেন কাল তাহলে আমরা কাল সবাই যাবো ? তার ভাই বিজয়চন্দ্র বলে ,দাদা তাহলে আমরা কাল না হয় যাবো ? তার পরে একদিন বিকেল বেলা নয়নচন্দ্র আমবাগানে গেয়ে মাধবিলতা জন্য অপেক্ষা করে আর মাধবিলতা সে সব বলে যে , সে ওকে বিয়ে করতে পারবে না মাধবিলতা কারন জানতে চাইলে বলে তার বাবুমসাইকে বাচাতে সে রাগিণী নামে ,মেয়েকে বিয়ে করবে আর আজ আশীবাদ করতে যাবে ভুবন মুখাজি বাড়িতে । তার পর সব শেষ , সেখান থেকে নয়নচন্দ্র তার বাড়িতে চলে আসে । ( আর মাধবিলতা বসে বসে কাদতে থাকে )। আর তারপরে সবাই মিলে হাসি মুখে যাই
ভুবন মুখাজি বাড়িতে কিন্তু নয়নচন্দ্র মুখে হাসির ছাপ নেই সুধু কিন্তু তারপরও সে হাসি মুখে থাকতে চাই । আর ওই দিকে আশীবাদ শুরু হয়ে গেছে , জমিদার রাজচন্দ্র তার ছেলে আর ছেলের হবু বউকে আশীবাদ করে বলে, তোমরা দুইজন সুখি হও? একে একে আশীবাদ করা শেষে জমিদার ভুবন মুখাজি তার মেয়ে আর মেয়ের হবু জামাই আশীবাদ করে বলে , মা তুই সুখি হও আর বাবা আমার মেয়েকে নিয়ে তুমি সুখি হও এই আশীবাদ করি আমি ? এই দিকে রাজচন্দ্র তার ছেলের বিয়ের হবে তার বাড়িতে এই কথা বলে জমিদার রাজচন্দ্র আর তা সুনে ভুবন মুখাজি বলে, ঠিক আছে আপনার বারিতে হবে বিয়ে ? তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে আর ওই দিকে নয়নচন্দ্র আর রাগিণী মুখাজি একটা ঘরে তারা কথা বলে আর এমন সময় তার কাকাই বিজয়চন্দ্র এসে বলে, আমি কি একটু নয়ন তোমার সাথে কথা বলতে পারি? নয়নচন্দ্র বলে তুমি আমার সাথে কথা বলবে তাতে অনুমতি নিয়া কি আসে তুমি যখন ইচ্চা আমার সাথে কথা বলতে পারো ? বিজয়চন্দ্র বলে, মা রাগিণী একটু বাইরে যাবে আমি ওর সাথে একলা কথা বলবো ? এরপর রাগিণী বলে, আপনি ওনার সঙ্গে কথা বলুন আমি বাইরে গেলাম ? এই বলে সে বাইরে চলে যায় । নয়নচন্দ্র বলে, কাকাই কি বলবে বলো ? তার কাকাই বিজয়চন্দ্র বলে, আমি জানি তোর এই বিয়েতে মত নেই ? নয়নচন্দ্র বলে , কে বলেছে তোমায় যে আমার এই বিয়েতে মত নেই কাকাই ? তখন বিজয় বলে ,আমি জানি যে তুই মাধবিলতাকে ভালোবাসিস কি এমন হয়ে গেল যে তুই তাকে ছেড়ে এই রাগিণীকে বিয়ে করতে যাচ্ছিস তুই ? তখন নয়নচন্দ্র বলে , কাকাই আমাদের বাড়িতে কেউ কোনোদিন প্রেম ভালোবেসে বিয়ে করে নি আর বাবুমশাই তা পছন্দ করে না আর আমি আমার বাবুমশাই এর পছন্দ মেয়েকে বিয়ে করব না হলে আমার বাবুমশাই বাচবে না কাকাই ? এবার বিজয়চন্দ্র মনে মনে বলে, এটা নিশ্চয় দাদার কাজ এর পর নয়নচন্দ্রকে বলে তুই থাক আমি যায় ? আর সে চলে যায় আর নয়নচন্দ্র তার চোখের জল মুছে ফেলে আর তারপর রাগিণী ভিতরে এসে তারা আবার আলাপ করে । এরপরে তারা সবাই তাদের বাসাই চলে আসে । ( আর তার পরে বিজয়চন্দ্র মনে মনে একলা বলে, আমার জন্য আমার একমাএ ভাইপো জিবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার জন্য আমি দায় আমাকে ক্ষমা করিস নয়ন ? এইদিকে মাধবিলতাকে কাদতে
দেখে তার বাবা নারায়ণ দাস তার মেয়েকে বলে, মা তুই কাদিস কেন মা বল আমায় তুই তোর কি হয়েছে ? মাধবিলতা তার বাবকে নয়নচন্দ্রের বিবাহের কথা বলে যে অর বাবুমসাই তার মেয়ে ঠিক করেছে আমায় নাকি নয়নদা বিয়ে করতে পারবে না কিন্তু আমি তাকে ছাড়া বাচব না বাবা ? এই বলে কাদে মাধবিলতা তার এই কথা সুনে মাধবীলতার মা বলে, আমি তোকে আগে বলেছিলাম ওরা বড় ঘরে লোক ওরা আমদের দেখতে পারে না শুধু তর বাবা পরহিত বলে ওই বাড়িতে পুজা করতে পারে না জানি কবে ওই জমিদার তার ওইখানে পুজা করা বন্ধ করে দেয় ? তখন নারায়ন বলে তুমি অইসব অলক্ষ্মী কথা বলসো কেন মা কাল আমি তর বিবাহ পস্তাব নিয়ে যাবো জমিদার বাড়িতে এবার মুখে হাসি আন মা তোর এই মন খারাপ আমার ভালো লাগে না ? এবার মুখে হাসি এনে মাধবিলতা তার বাবাকে জরিয়ে ধরে বলে বাবা তুমি খুব ভালো ? এই কথা সুনে নারায়ন এর বউ বলে , ঠিক আছে যাও কাল ? এই বলে সে বাইরে তুলসি গাছের সামনে এসে প্রদীপ এর আগুন ধরিয়ে সঙ বাজিয়ে অলু দিয়ে সে বলে, মা দুগগা দেখো লোকটা কালকে গেয়ে অপমানিত না হয় মা দুগগা ? পরের দিন জমিদার রাজচন্দ্রদের কাছে নারায়ন তার মেয়ের বিবাহ পস্তাব নিয়ে আসলে তাকে অপমান করে তারিয়ে দেয় আর বলে তোমার মেয়ের সাথে আমার ছেলে বিয়ে দিবো না এই কথা ভাবলে কেমন করে আর আজ থেকে তোমাকে আমার বাড়িতে কোন পুজা বা বিবাহের কাজ করতে হবে না যাও এইখান থেকে ? এই বলে তাকে তারিয়ে দেয় রাজচন্দ্র )। সে তার বাড়িতে গেয়ে তার মেয়ে আর বউকে সব খুলে বলে তা সুনে দেবযামিনী দাস বলে, কি হয়েছে তোমাদের দুইজনের এই সব তোর জন্য হয়েছে মুখ পড়া তুই বেরিয়ে যা আমার ঘর থেকে ? মাধবীলতা বলে কোথায় যাবো মা আমি ? তার মা বলে কেন তুই জাহান্নামে যাবি ? তারপরে মাধবীলতার বাবা বলে ছিঃ কি বলসো তুমি যা মা তুই তোর ঘরে ? আর মাধবীলতা তার ঘরে যায় । আর বাবা বলে আমি ওর বিয়ে দিবো আর জমিদার মশাইকে দেখিয়ে দিবো আমি তবে বিয়ে অন্য কারো সাথে ওই জমিদার ছেলের সঙ্গে নয় ? আর এই সব কথা মাধবিলতা শুনে ফেলে আর কাদে। বিয়েদিন চলে আসে অবশেষে জমিদার রাজচন্দ্রদের বাড়িতে । আর আজ নয়নচন্দ্রর মন খারাপ তার দিদি এসে বলে কি মাধবিলতার জন্য মন খারাপ করছিস করিস না এখন যার সাথে তোর বিয়ে হবে তার কথা ভাব ভাই তুই ? এই বলে তাকে নিয়ে বিয়ের আসরে যাবে আর যায় আর বিয়ে সম্পন্ন হয় । আর এই দিকে মাধবীলতার রাজচন্দ্রদের বাড়ির গেটের সামনে এলে পাহারাদার তাকে ঢুকতে দেয় না সে অনেক হাত জোর করে এর পরেও ঢুকতে দেয় না । আর একজন পাহারাদার বাড়ির ভিতরে গেয়ে জমিদার রাজচন্দ্রকে বলে যে মাধবীলতা তাদের গেটের সামনে এসে ভিতরে ঢুকতে চাইছে তখন জমিদার রাজচন্দ্র নিজে ওই গেটের এসে বলে, তুই এইখান থেকে চলে যা আর কোনোদিন আসবি না আর শোন কিছক্ষন আগে আমার ছেলের সাথে রাগিণীর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে আর ওর জীবনের তোর কোন স্থান নেই যা এইখান থেকে তুই যাবি না আমার পাহারাদার দিয়ে ঘাড় ধরে বের করে দিবো ? মাধবীলতা বলে, তার আর দরকার হবে না আমি নিজে চলে যাবো ?এই বলে সে চলে যাই আর পথে পথে হাঁটতে হাঁটতে বলে, আমি সরাজীবন চেয়েছিলাম তোমার সাথে থাকতে তা আর হলে না তুমি ভালো থেকো রাগিণীকে নিয়ে নয়নদা ? ( এই ভাবে এই উপন্যাসের কাহিনী সমাপ্ত হয় )।
 
{| class="plainlinks" style="width: 100%; padding: 10px; border: 2px solid #909999; background: #F6FFFF; margin-bottom: 3px; color: #000; border-radius: 5px; -moz-border-radius: 5px; -webkit-border-radius: 5px; box-shadow: 0 0 0.25em #829595; -moz-box-shadow: 0 0 0.25em #829595; -webkit-box-shadow: 0 0 0.25em #829595;"
|-
| সুপ্রিয় সাকিল আহাম্মেদ নয়ন! <br />
 
[[উইকিপিডিয়া:বৃত্তান্ত|উইকিপিডিয়ায়]] আপনাকে [[উইকিপিডিয়া:স্বাগতম, নবাগত|স্বাগত]] জানাচ্ছি। [[চিত্র:Face-smile.svg|23px|link=]] আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
* [[চিত্র:Crystal Clear app kedit.svg|20px|link=]] &nbsp; [[সাহায্য:নতুন নিবন্ধ শুরু করণ|কিভাবে একটি নতুন নিবন্ধ সৃষ্টি করবেন]] — নতুন নিবন্ধ শুরু করার প্রস্তুতি ও ফর্ম।
* [[চিত্র:Gnome-devel.svg|20px|link=]] &nbsp; [[উইকিপিডিয়া:কীভাবে একটি পৃষ্ঠা সম্পাদনা করবেন|কিভাবে একটি পৃষ্ঠা সম্পাদনা করবেন]] — প্রয়োজনীয় উইকি মার্কআপগুলোর বিস্তারিত তালিকা।
* [[চিত্র:Crystal Clear app ktip.svg|21px|link=]] &nbsp; [[উইকিপিডিয়া:ত্বরিত সহায়িকা|এক নজরে সম্পাদনা সহায়িকা]] — অতি প্রয়োজনীয় উইকি মার্কআপগুলোর তালিকা পাবেন এখানে।
* [[চিত্র:Gnome-help.svg|20px|link=]] &nbsp; [[উইকিপিডিয়া:টিউটোরিয়াল|টিউটোরিয়াল]] — উইকিপিডিয়ায় অবদান রাখার জন্য ধারাবাহিক প্রশিক্ষণমূলক প্রস্তুতি নিতে এটি দেখুন।
* [[চিত্র:Stop hand.svg|20px|link=]] &nbsp; [[উইকিপিডিয়া:উইকিপিডিয়া কী নয়|উইকিপিডিয়া কী নয়]] — উইকিপিডিয়ায় সংকলনযোগ্য নিবন্ধের মাপকাঠি জানতে এটি পড়ুন।<br /><br />
 
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
* উইকিপিডিয়ার বর্তমান লক্ষ্যগুলোর অন্যতম হলো [[চিত্র:Crystal Clear app ksokoban.svg|20px|link=]] [[উইকিপিডিয়া:আবশ্যকীয় নিবন্ধ|আবশ্যকীয় নিবন্ধগুলোকে]] সৃষ্টি ও পূর্ণতা দান করা। [[উইকিপিডিয়া:আবশ্যকীয় নিবন্ধ|তালিকাটি]] থেকে পছন্দের যে-কোনো একটি নিবন্ধ কাজের জন্য বেছে নিন।
* কি-বোর্ডের Alt + Shift + X চাপুন, বা ‘[[বিশেষ:অজানা পাতা|অজানা যে-কোনো পৃষ্ঠা]]’ লিঙ্কে ক্লিক করুন। যে-কোনো একটি নিবন্ধ আসবে, আপনি সেটাকে পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করতে পারেন।
* [[:বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ|অসম্পূর্ণ নিবন্ধের তালিকা]] দেখুন, ও সেখান থেকে কোন নিবন্ধকে পরিবর্ধনের জন্য বেছে নিন।
* নিবন্ধ পরিবর্ধনের জন্য তথ্যের প্রয়োজন হলে উইকিপিডিয়ার ইংরেজি সংস্করণের সাহায্য নিতে পারেন। এজন্য বাংলা নিবন্ধটির বাঁয়ে ‘অন্যান্য ভাষাসমূহ’-এর তালিকা থেকে English-এ ক্লিক করুন।
* আপনার প্রথম নিবন্ধটি শুরু করার পূর্বে অনুগ্রহ করে [[উইকিপিডিয়া:আপনার প্রথম নিবন্ধ|আপনার প্রথম নিবন্ধ]] সম্পর্কিত দিকনির্দেশনাগুলো পড়ে নিন।
* উইকিপিডিয়ানদের সাথে আলাপ করতে তাঁদের [[উইকিপিডিয়া:আলাপ পাতা|আলাপ পাতা]] ব্যবহার করুন অথবা [[উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সরাসরি পরামর্শ|সরাসরি চ্যাটের সুবিধা]] নিতে পারেন।
* এছাড়া নিজের সম্পর্কে তথ্য আপনি আপনার [[ব্যবহারকারী:সাকিল আহাম্মেদ নয়ন|ব্যবহারকারী পাতায়]] রাখতে পারেন। এর মাধ্যমে অন্য উইকিপিডিয়ানরা আপনার সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাহায্য চাইতে এবং মতামত রাখতে অনুগ্রহপূর্বক সম্পর্কিত পাতার আলাপ পাতা ব্যবহার করুন। <br /><br />
 
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের [[চিত্র:OOjs UI icon signature-ltr.svg|22px|link=|alt=স্বাক্ষর আইকন]] চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা (<code><nowiki>~~~~</nowiki></code>) চিহ্ন দিয়ে নাম স্বাক্ষর করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম এবং তারিখ যোগ করবে। যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে [[উইকিপিডিয়া:অভ্যর্থনা কমিটি|অভ্যর্থনা কমিটির]] যে-কোনো সদস্যকে প্রশ্নটি করুন, বা আপনার আলাপের পাতায় '''<nowiki>{{সাহায্য করুন}}</nowiki>''' লিখুন এবং নিচে আপনার প্রশ্নটি লিখুন। একজন সাহায্যকারী কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবেন। <br />
 
আশা করি আপনি [[উইকিপিডিয়া:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের]] একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা!<br /><br />
 
[[উইকিপিডিয়া:অভ্যর্থনা কমিটি|বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি]], ১০:৫৯, ১২ অক্টোবর ২০২০ (ইউটিসি)
চরিত্রসমূহ
|} --[[ব্যবহারকারী:অভ্যর্থনা কমিটি বট|অভ্যর্থনা কমিটি বট]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:অভ্যর্থনা কমিটি বট|আলাপ]]) ১০:৫৯, ১২ অক্টোবর ২০২০ (ইউটিসি)
১ম চরিত্র ( মোঃ ফারুক হোসেন ) গল্পের নায়ক ।
২য় চরিত্র ( রুপা ) গল্পের নায়কা ।
৩য় চরিত্র ( সাকিল ) গল্পের সাইড নায়ক ।
৪র্থ চরিত্র ( কেয়া ) রুপার বান্ধুবি ।
এই গল্পের নাম দিয়েছে আমার এক প্রিয় বন্ধু তার সে নাম দেওয়া এই গল্পের নাম ব্যাবহার আমি করেছি ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ২য় ৭ম ছোটগল্প এটি । নাম হলো ( অবুঝ ভালোবাসা ) ।
এটি মূলত একটি SAD LOVE STORY ।
গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে ,
ফারুক তার গার্লফ্রেন্ড রুপার সাথে দেখা করবে বলে সে পার্কে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে তার জন্য আর রুপা আসলে ফারুক বলে , তোমার এতো লেট হল কেন আমি সে ১ ঘণ্টা ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি এইখানে ?
রুপা বলে , সরি , আর লেট হবে না আমার এই আমি কান ধরলাম ?
ফারুক বলে , ঠিক আছে , চলো আমরা ওই দিকে গেয়ে বসে কথা বলি ?
রুপা বলে , চলো ?
( এই বলে ওরা ওইখানে বসে কথা বলে আর কথা বলতে বলতে তাদের সময় কেটে যায় আর তারপর তারা যে যার বাড়ি চলে যায় ) ।
পরের দিন রুপা তার ঘর থেকে বের হয়ে কলেজে যাওয়ার পথে সাকিল ওর পথ আটকায় আর বলে , তোকে আমার ভালো লেগেছে সুন্দরি তোকে আমি বিয়ে করে আমার রানি করে রাখবো ?
রুপা বলে , তোর স্বপ কোনোদিন পুরন হবে না আর আমি মরে গেলে তোকে বিয়ে করবো না তোকে একদিন বলেছি যে আমার সামনে আসবি না ?
সাকিল বলে , তুমি না আসলে বললে আমি আসবো তোমার সামনে কারন আমি তোমায় ভালোবাসি ? আর তখন রুপা ওকে চড় মারে ।
রুপা বলে , এই চড়ে কথা মনে থাকলে আর তুই আমার সামনে আসবি না আর শোন আমি ফারুক নামে একজনকে ভালোবাসি ?
এই বলে রুপা তার কলেজে চলে যায় ।
আর গালে হাত দিয়ে সাকিল বলে , ঠিক আছে , আমি দেখে নিবো তুমি আমায় ছাড়া অন্য কাউকে কি ভাবে ভালোবাসো ?
এই বলে সাকিল চলে যায় ।
বিকেল বেলা রুপা আর ফারুক ঘুরতে আছে আর কথা বলে আর ফারুকে রুপা সব খুলে বলে । এবং ফারুক আর রুপা কথা বলার শেষে তারা বাড়ির পথে আসার সময় তাদের সাথে দেখা হয় কেয়ার ।
কেয়া বলে , আরে রুপা এতদিন পর তোর সাথে দেখা আর এ কে তোর সাথে ?
রুপা বলে , আরে এটা হচ্ছে আমার বয়ফ্রেন্ড ওর নাম ফারুক আর ফারুক এই হচ্ছে আমার ছোটবেলার বন্ধু কেয়া ?
ফারুক বলে , আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগল আচ্ছা আপনি এইখানে কি করতে আসলেন ?
কেয়া বলে , আমিও , আর এইখানে একটা কাজের জন্য এসেছি আর আপনারা ?
ফারুক বলে , এইতো একটু ঘুরতে আসলাম ?
কেয়া বলে , তাহলে আসি রুপা আমি ?
কেয়া বলে , ঠিক আছে ,
এই বলে কেয়া তার কাজে যায় আর ফারুক ও রুপা ওরা চলে যায় যে যার বাড়ি ।
পরেরদিন দুপুরে ফারুক আর রুপা পার্কে ঘুরতে যায় আর তখন সাকিল ওর সাথে দুই তিনজন নিয়ে এসে বলে, এই কি রুপা তুমি এইখানে আর এই ছেলে কে ?
রুপা বলে , আর তোমাকে বলতে যাবো কেন আর যদি শুনতে তাও তাহলে সুনে ও হচ্ছে ফারুক যার কথা আমি তোমাকে সেদিন বলেছি ?
এই কথা সুনে সাকিল রেগে ফারুকে চড় মারার জন্য হাত উঠায় আর তখনি রুপা উলটো ওকে চড় মারে আর রুপা বলে , তোর এতো বড় সাহস আমার সামনে আমার বয়ফ্রেন্ডকে চড় মারতে চাস যা এইখান থেকে তুই ?
আর সাকিল বলে , আমি আজ যাচ্ছি কিন্তু কাল ওকে আমি এমন মার দিবো না ও বাপের জম্মে ভুলবে না এই তোরা চল ?
আর সে চলে যায় সেইখান থেকে আর তারপর রুপা বলে , তুমি সাবধানে থেকো নইলে ও তোমার ক্ষতি করতে পারে ?
ফারুক বলে , দেখা যাবে তখন এখন তুমি চলে বাড়ি ?
রুপা বলে , ঠিক আছে চলে ?
আর এই বলে তারা চলে যায় বাড়িতে ।
( পরের দিন সকালে ফারুক তার কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছে তখন সাকিল তার লোক জন নিয়ে আসে আর ফারুকে একা পেয়ে সাকিল বলে , সেদিন তুই আমার হাত থেকে বেচে গেছিস কিন্তু আজ পারবি না তুই তোর এতো বড় সাহস আমার ভালোবাসা মানুষ রুপার সাথে প্রেম করিস আজ তোর এমন হাল করবো যে তুই কোনোদিন হাঁটতে পারবি না এই তোরা ওকে মার ?
আর ওকে মারে আর ফারুক বলে , ভাই আমায় মারিস না আমায় ছেরে দে ?
সাকিল বলে , তোকে ছাড়ার কোন প্রশ্ন আসে না ওই তোরা ওকে মার ?
আর ওকে মেরে যাওয়ার সময় সাকিল বলে , যা তোকে ছেড়ে দিলাম কিন্তু পরে ওর সাথে দেখলে সেইদিন তোকে শেষ করে ফেলবো ?
এই বলে সাকিল ওর লোকজন নিয়ে চলে যায় আর পরে ফারুক ওর বাড়ি চলে যায় )
পরের দিন রুপা দেখে যে ফারুক এর হাত পায়ে বেন্দিস লাগানো সে ফারুকের কাছে জানতে চাইলে ফারুক সব খুলে বলে রুপাকে ।
এরপর রুপা সাকিলের বাড়িতে গেয়ে ওকে চড় মেরে বলে , ছিঃ সাকিল ছিঃ তুমি ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে গেছে আর ফারুকের তুমি মারতে চেয়েছিল আমায় পাওয়ার জন্য আর একটা কথা শুনে রাখো তুমি আমি শুধু ফারুকের ভালোবাসি আর কাউকে না ?
সাকিল কিছু বলে না শুধু চুপ করে কথা শুনে সোনালির ।
রুপা বলে , এখনো সময় আছে তুমি আমাকে ভুলে যাও ?
এবার্সাকিল বলে , কি করে তোমায় ভুলবো তুমি বলো আমি পারবো না তোমায় ছেড়ে থাকতে ?
রুপা বলে , চেষ্টা করলে তুমি নিশ্চয় পারবে আমি আসি ?
এই বলে সে চলে যায় আর্সাকিল কিছুক্ষন মন দিয়ে ভাবে ।
পরের দিন দুপুরে রুপা আর ফারুক পার্কে ঘুরতে আসে আর সেইখানে সাকিল এসে আর বলে , ভয় পেয়েও না আমি কিছু করতে আসি নাই ?
রুপা বলে , তাহলে কিসের জন্য এসেসো শুনি ?
সাকিল বলে , আমি কাল সারারাত অনেক ভেবে দেখলাম যে জোর করে ভালোবাসা হয় না , আর আমি তোমায় পাবো না কোনোদিন ভাই ফারুক আমি তোমার ভালোবাসা কেড়ে নিতে চাইছিলাম আর তোমার ওপর অন্যায় করেছি আমায় মাফ করে দিও ?
ফারুক বলে , তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছেো যাও তোমাকে আমি মাফ করে দিলাম ?
সাকিল বলে , আমি না হয় আমার এই হৃদয় ভাঙ্গা মন নিয়ে বেচে থাকবো আজীবন ,
তোমরা দুইজন ভালো থেকো ? এই কথা বলে সাকিল সেইখান থেকে হেটে চলে যায় ।
ফারুক বলে। রুপা আর আমাদের কোন বাঁধা রইল না চলে এবার আমরা বিয়ে করে ফেলি চলে কাজী অফিসে গেয়ে ?
রুপা হেসে বলে , চলে তাহলে ?
আর তারপর ফারুক আর রুপা দুইজন একের অপর হাত ধরে তারা হেটে চলে যায় কাজি অফিসে আর তারা বিয়ে করে ফেলে ।
( এই ছোটগল্প কাহিনী এখানে সমাপ্ত হল ) ।
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র (সাগর ) আর তাকে ঘিরে এই গল্প সেই একজন রিক্কসাচালক ।
২য় চরিত্র (নদী বেগম ) সাগরের বউ ।
৩য় চরিত্র ( কুলসুম বেগম ) সাগরের মা ।
৪র্থ চরিত্র ( নয়ন ) । একজন ছিন্তায়কারি ।
৫ম চরিত্র ( রফিক ) একজন পুলিশ ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ষষ্ঠ ছোটগল্প এটি ।নাম হল ( সাগর ) ।
এটি মুলত একটি সত্য কাহিনীর ওপর নিভর করে লিখা ।
গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে , সাগর হচ্ছে একটা গরিব ঘরের সন্তান । তার বাবা মারা যায় যখন তার ৫ বছর আর সে তার মায়ের কাছে থাকে আর সে রিক্কাসাচালিয়ে তাদের সে সংসারের হাল ধরে , আর সাগর নদী নামে একটা মেয়েকে ভালোবাসে ।
সাগররে মা কুলসুম বেগম, বলে , বলে বাবা সাগর তোর বাবা মারা যাওয়ার পর তুই রিক্কাসাচালিয়ে সংসারে হাল ধরশোষ বাবা সাগর আমি বলি তুই এবার একটা বিয়ে করে বউ করে নিয়ে আয় ?
সাগর বলে , মা এখন আমি বিয়ে করবো আর বিয়ে নিয়ে আমার মাথা ঘামানো সময় নেই ?
কুলসুম বেগম বলে , শোন বাবা আমি এতো কিছু বুঝিনি তোকে বিয়ে করতে হবে আর এই ঘরে বউ আনবি তুই নইলে আমি আর তোর কামাই খাবো দরকার না খেয়ে মরে যাবো ?
সাগর বলে , ছিঃ মা তুই এমন কথা আর কবি না আমার খারাপ লাগে বাবা মারা যাওয়ার পর আমি তো তোমাকে নিয়ে বেচে আছি ঠিক আছে আমি বিয়ে করবো ?
কলসুম বেগম বলে , বাবা তাহলে আমি ঘটকে খবর দেই ?
সাগর বলে , মা আমি না একজনকে ভালোবাসি ?
কুলসুম হেসে বলে , নাম কি মেয়ে আর কার মেয়ে আমি বিয়ের পস্তাব নিয়ে যাবো বল
?
সাগর বলে , মা ওর নাম নদী আমাদের পাশের গ্রামের থাকে ?
কুলসুম বেগম বলে , থিক আছে কালকে আমি ওইখানে যাবো ?
পরের দিন কুলসুম ওইখানে গিয়ে বিয়ে থিক করে সে আর তারপরের দিন সাগর আর নদী একসাথে কথা বলে ।
সাগর বলে , অবশেষে তোমার সাথে আমার বিয়ে হচ্চে ?
নদী বলে , যা আমার লজ্জা করে আমি গেলাম বাড়িতে ?
এই বলে নদী একছুটে চলে যায় আর তার কয়েকদিন পর ওদের বিয়ে হয় ।
পরের দিন সাগর তার বউ নদীকে বলে , নদী আমি গেলাম কাজে তুমি মার দিকে খেয়াল রেখো ?
নদী বলে , যাও তুমি সাবধানে ? আর সাগর চলে যায় আর নদী তার ঘরের কাজে মন দেয় ।
কুলসুম বেগম , বউমা সাগর কাজে গেছে ?
নদী বলে , হ্যাঁ মা এখন গেছে ?
কুলসুম বেগম বলে , ঠিক আছে বউমা তুমি ঘরে কাজ করো আর আমি রান্না বান্না করি ছেলে আমার কাজে থেকে এসে খাবে ?
নদী বলে , ঠিক আছে মা ?
রাতের বেলা সাগর রিক্কাচালিয়ে বাসাই আসে আর তার ইঙ্কামের টাকা এনে তার মায়ের কাছে দেয় আর সে হাত মুখ ধুয়ে ভাত খাই খাওয়া শেষে সাগর ঘরে যায় আর তার বউ নদীর সাথে কথা বলে তারপর তারা ঘুমিয়েও পড়ে ।
এই ভাবে কয়েক মাস কেটে যায় একদিন সাগর তার বউ নদীকে বলে , নদী আমি কবে বাবা হবো বলতে পারো ?
নদী বলে ,আমি কি বলতে পারি বলতে পারে ওনি তুমি এতো পাগল হইছে কেন বাবা হওয়ার জন্য ?
সাগর বলে , আরে পাগল হবে না তো কি হবে আমার কতদিনের স্বপ্ন আমাদের একটা সন্তান হবে আর সে আমাকে বাবা বলে তখন আমার কি যে খুশি হবে সেটা কেবল আমি জানি ?
নদী বলে , ও এখন বুঝেছি তুমি বাবা ডাক শুনতে চাও ছেলের মুখ থেকে যখন সময় হবে তখন জানতে পারবে এখন তুমি কামে যাও ?
আর সাগর কামে যায় ।
একদিন হঠাই নদী ঘর ঝাড়ু দিতে গেয়ে মাথা ঘুরিয়ে পরে যায় আর তার শাশুরি ডাক্তার নিয়ে আসে আর ডাক্তার নদীকে দেখে তার শাশুরিকে বলে , কাকি আপনি দাদী হতে চেলেছেন ? এই কথা সুনে নদী ও তার শাশুরি দুইজনে খুসি হয় ।
রাতের বেলা সাগর ঘরে আসলে তার মা তাকে কিছু বলে না তাকে তার বউ নদী বলে, তুমি বাবা হতে চলেসো আর আমি ? এই বলে নদী লজ্জা পাই ।
সাগর খুসিতে পাগল হয়ে বলে , তুমি আমাকে খুসির সংবাদ দিলে এতদিন পর আমার স্বপ সত্যি হতে চলছে ?
এরপর এই ভাবে কেটে যায় দিন আর সাগর তার বউ নদীর খেয়াল রাখে ।
হঠাই একদিন সাগর বলে , মা আমি গেলাম কামে তুমি ওর দিকে খেয়াল রেখো কেমন?
এই বলে সে চলে যায় ।
রাতের বেলা সাগর রিক্কাসা চালিয়ে যে ভাবে বাড়িতে ফিরে আসবে তখন নয়ন নামে একটা লোক তার রিক্কাসায় উথে পড়ে আর বলে মামা সামনে চলেন ?
সাগর বলে , থিক আছে ? এইবলে সে যায় নয়নকে নিয়ে ।
ওইদিকে তার তার বউ নদীর সন্তান আসার সময় হয়ে আসে তার সাশুরি কয়েকজন মহিলা নিয়ে এসে বউমা কাছে আছে আর ওই দিকে নয়ন বলে , মামা এইখানে দাড় করান আর আপনার যা যা আছে তা দিয়ে দেন নইলে আপনাকে আমি মেরে ফেলবো ? সাগর বলে , আমি দিবো না আমার প্রান থাকতে ?
নয়ন বলে , তাহলে তর প্রান দে ? এই বলে সে সাগরকে ছুরি মেরে টাকা আর রিক্কসা নিয়ে যায় আর সাগর নিচে পরে মারা যায় আর অইদিকে তার বউ একটা ছেলে সন্তান জন্ম দেয় । পরের দিন নদী বলে , ওরে আমার বাবু সোনা তোমার বাবা এসে তোমাকে আদর করবে তোমার বাবা জানে তোমার কথা শুনলে পাগল হয়ে যাবে ?
এমন সময় পুলিশ রফিক এসে বলে এটা কি রিক্সাচালক সাগরে ঘর ?
কুলসুম বেগম বলে , জী আর ও আমার ছেলে সাগর কিন্তু কেন ?
রফিক বলে , আসলে কাল রাতে আপনার ছেলে সাগর ছিন্তায়কারি ছুরিআঘাটে মারা যায় ? এই কথা সুনে সাগরে মা কাদে আর সাগরের লাশ নিয়ে আসে তা দেখে নদী কেদে বলে , তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না তুমি না বলেছিলে আমাদের সন্তানকে দেখবে আর সে তোমাকে বাবা বলবে এই দেখ ও তোমাকে বাবা বলে ডাকছে তুমি শুনছো ? কিন্তু সাগর তা সুনে না কারন ও আর বেচে নেই ।
আর পুলিশ সাগরের লাশ ময়নাতদন্ত জন্য নিয়ে যায় আর নদী ও সাগরের মা কাদে ।
( এই ভাবে এই গল্প কাহিনী শেষ )।
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( আকাশ ) গল্পের নায়ক ।
২য় চরিত্র ( মেঘলা ) গল্পের নায়কা ।
৩য় চরিত্র ( সাকিল ) সাইড হিরো ।
৪র্থ চরিত্র ( প্রিয়া ) মেঘলার বান্ধুবি ।
৫ম চরিত্র ( কাওসার ) দারোগা ।
৬ষ্ঠ চরিত্র ( রহিমা বেগম ) মেঘলার মা ।
৭ম চরিত্র ( জাবেদ ) সাকিলের বড়ো ভাই একজন চেয়ারম্যান ।
লেখক
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন
আমার নিজের লিখা ৮ম ছোটগল্প এটি নাম হল ( প্রতিবাদ করো ) ।
এটি মূলত একটি সামিজিক পেক্ষাপট এর কাহিনী নিয়ে লিখা এই ছোট গল্প ।
গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে , সাকিল তার দুই বন্ধুর সাথে পার্কে চেয়ারে বসে তারা কথা বলসে আর তখনি সাকিল বলে , দূর আর ভালো লাগে না কি করি এখন কোন সুন্দর মেয়ে এইখান দিয়ে জেতে দেখি না ?
আর তার এক বন্ধু বলে, বন্ধু ওইদিকে তাকাও দেখো দুইটা মেয়ে এইদিকে আইতে আছে ?
সাকিল বলে , দেখছি আমি চল তোরা আমার সাথে ওই মেয়ের কাছে চল ?
আর এই কথা বলে তারা তিনজন বন্ধু মিলে যায় ওই মেয়ের সামনে ।
সাকিল বলে , ওই সুন্দরি দাড়াও তোমরা দুইজন ওই সুন্দরি তোর নাম কি বল ?
আর ওরা তিনজন মিলে ওদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করে , আর তখনি মেঘলা নামে একটা মেয়ে সাকিলকে চড় মারে আর বলে , জানোয়ার একটা মেয়েদের সাথে কি ভাবে ব্যাবহার করতে হয় তা তোমার বাপ মা তোমাকে সে শিক্ষা দেয় না ভবিষ্যতে কোন মেয়েকে বিরক্ত বা ব্যাবহার করা আগে এই চড়ে কথা যেন মনে থাকে ?
প্রিয়া বলে , মেঘলা চল এইখান থেকে আর এদের সাথে ফালতু কথা বলে সময় নষ্ট করিস না চল ?
এরপর মেঘলা আর প্রিয়া চলে যায় , আর সাকিল তার গালে হাত দিয়ে বলে তোর এতো বড় সাহস তুই সাকিলের গালের চড় মারিস তোকে আমি এর উঠিত শিক্ষা দিবো এই তোরা চল ?
এই বলে সাকিল চলে যায় ।
পরের দিন আকাশ মেঘলাকে বলে , তুমি কালকে ওই ছেলেটাকে চড় মারলে এটা তুমি ঠিক করে নাই এমন তো হতে পারে ওই ছেলে তোমার ক্ষতি করতে পারে মেঘলা ?
মেঘলা বলে , তুমি এইসব জানলে কি করে আকাশ ?
আকাস বলে, প্রিয়া আমাকে এই সব বলছে তাই তো আমি জানতে পেরেছি আর এক্তা কথা তুমি সাবধানে থেকো ?
মেঘলা বলে , ওকে বাবা আমি সাবধানে থাকবো কি এইখানে দারিয়ে এইসব বলবে নাকি আমাদের বাড়িতে যাবে তুমি ?
আকাশ বলে, চলে ?
মেঘলাদের বারিতে গেলে মেঘলার মা রহিমা বেগম বলে , বাবা আকাশ এবার তোমার বাবা মাকে বলে আমার মেয়েকে তোমার ঘরে বউ করে তুলে ?
আকাশ বলে , কাকি আমি আমার বাবা মাকে বলব বলবো আপনি চিন্তা করবেন না আমি আপনার মেয়ে মেঘলাকে ভালোবাসি ওকে আমি সারাজিবন আগলে রাখবো ?
রহিমা বেগম বলে , বাবা তোমার কথা সুনে আমার মন ভরে গেল তোমরা দুইজন কথা বলে আর আমি তোমার জন্য নাস্তার নিয়ে আসি ?
সে নাস্তা আনতে যায় আর আকাশ মেঘলা দুইজন কথা বলে , তারপর আকাস তার বারিতে যায় , বিকেল বেলা সাকিলের বড় ভাই জাবেদ তার ঘরে উঠানে বসে আছে আর তার কাছে কয়েকজন লোক আসে বিচার নিয়ে সে বিচার করে আর জাবেদ সাহেব একজন নিস্তাবান ও সৎ চেয়ারমান সে কেন অন্যায়কে ছাড় দেয় না ।
সাকিল বলে , ভাই আমি একটু বাইরে গেলাম ?
জাবেদ বলে , যা তবে তোর নামে কোন নালিশ আসলে তোকে আমি ক্ষমা করব না যা এখন তুই ?
সাকিল বলে , ওকে ভাই আমি আসি ?
এই বলে সে বাইরের যায় ,আর তার বন্ধুরা তাকে বলে, সাকিল ওইদিন যে মেয়ে তোকে চড় মেরেছিল তার নাম আর সে কোথায় থাকে সব যোগায় করেছি ?
সাকিল বলে, তাহলে শুনি কে এই মেয়ে ?
তার বন্ধু তাকে সব বলে তা সুনে সাকিল বলে , আচ্ছা ওর নাম মেঘলা কালকে ওকে আমি শিক্ষা দিবো ?
এই বলে তারা চলে যায় , আর পরেরদিন মেঘলা আর প্রিয়া দুইজন কথা বলার শেষে প্রিয়া চলে যায় তার বাড়িতে আর মেঘলা একলা একলা আস্তে থাকে তখনি সাকিল ওর লোক নিয়ে ওর পথ আটকায় তখন মেঘলা বলে , কি সেদিনের চড়ের কথা মনে নাই আজকে আবার আমার পথ আটকাস ?
সাকিল বলে , সেদিনের চড়ের কথা আমি ভুলি নাই তাই তো আবার আইছি আর আমার নাম সাকিল আমি জাবেদ চেয়ারম্যানে ভাই তোরে আজকে বুঝায়া দিমু আমি কে ওই ডর ওকে আর নিয়ে চল ?
মেঘলা বলে , ছাড় সয়তান আমাকে ছাড় কোথায় নিয়ে যাস আমকে ?
সাকিল বলে , চুপ একদম চুপ এই সাকিলের গালে চড় মারিস আজকে তোর এমন হাল করবো যে তুই কোনদিন সমাজে চলতে পারবি না ?
এই বলে ওকে নিয়ে যায় সাকিল , কয়েক ঘণ্টার পর ওকে সাকিল রাস্তায় ফেলে চলে যায় আর ততক্ষণ সব সেষ হয়ে যায় মেঘলার , রাস্তা দিয়ে হেটে জাচ্চে আকাশ আর সে দেখতে পাই মেঘলাকে আর গেয়ে বলে, মেঘলা তোমার এই হাল কে করেছে আমায় বলে ?
মেঘলা কেদে কেদে বলে, জাবেদ চেয়ারমানের ভাই সাকিল আমার এই হাল করেছে ?
আকাশ তা সুনে বলে , ওকে আমি ছাড়বো না কিছুতে ?
এই বলে সে মেঘলাকে নিয়ে মেঘলাদের বারিতে গেলে তার মাকে সব খুলে আকাশ ,
তা সুনে , রহিমা বেগম , এখন আমার মেয়ের মেঘলা কি হবে ?
আকাশ বলে , কাকি আমি মেঘলাকে বিয়ে করবো ?
রুহিমা বেগম বলে, বাবা তুমি এইসব জানার পর আমার মেয়েকে বিয়ে করবে ?
আকাশ বলে , আমি মেঘলাকে ভালোবাসি আর এমন সময় আমি যদি ওর পাশে না দাড়িয়ে ওকে ছেরে চলে গেলে আমার ভালোবাসা কোন মানে হয় না আমি ওকে কথা দিয়েছে সারাজীবন ওর সাথে থাকবো ?
রহিমা বেগম বলে , ঠিক আসে বাবা আকাশ কিন্তু সে মেঘলার এতো বড় ক্ষতি করছে তার কিছু হবে না ?
আকাশ বলে, হবে কাকি আমি ওর ফাঁসির দড়িতে জুলিয়ে মারবো সাকিলকে ?
এই বলে সাকিল থানা গেয়ে জাবেদ চেয়ারম্যানে ভাইয়ের নামে মামলা করে আর পুলিশ চেয়ারম্যান জাবেদ এর বাড়িতে গেলে জাবেদ চেয়ারম্যান বলে, কি ব্যাপার আমার বাড়িতে পুলিশ কেন ?
তখন দারোগা কাওসার বলে ,চেয়ারম্যান সাহেব আপনার ছোট ভাই সাকিল মেঘলা নামে একটা মেয়েকে রেফ করেছে তাই আমরা ওকে ধরতে এসেছি ?
জাবেদ বলে , কি বলেলন দারোগা আপনি আমার ভাই সাকিল মেঘলা নামে মেয়েকে রেফ করছে আমার বিশ্বাস হয় না এটা নিশ্চয় কোন সাজানো নাটক ?
দারোগা কাওসার বলে , এটা কোন সাজানো নাটক না আকাশ তুমি মেঘলাকে এইদিকে আনেো এই দিকেন এই মেয়েকে আপনার ভাই সাকিল রেফ করেছে বেশি কথা না বলে সাকিলকে আমাদের কাছে তুলে দেন ?
তারপর জাবেদ সাকিলকে ঘর থেকে বাইরে দেখে এনে বলে, অনারা যা বলসে সব কি সত্য সাকিল ?
সাকিল বলে , হ্যাঁ সব সত্য আমাকে বাচাও তুমি ওরা আমাকে নিয়ে যাবে ভাইয়া ?
জাবেদ বলে , ছিঃ সাকিল ছিঃ তুই আমার ছোট ভাই বলতে লজ্জা করে আমার এই যে দারগা আপনি ওকে আমার সামনে থেকে নিয়ে যান ?
সাকিল বলে , ভাইয়া তুমি এইসব কি বলছো ?
জাবেদ বলে , আমি একজন সৎ ও নিস্তাবান চেয়ারম্যান এই এলাকার সব মানুষ আমকে সম্মান করে আর তোর জন্য আমার সম্মান ধুলে মিশে যাক আমি সেতা তাই না অকে নিয়ে যান আপনারা ?
তখন দারোগা কাওসার বলে , আপনার মতন সব ভাই আর চেয়ারমান মন্ত্রীরা এমন হত তাহলে দেশে কোন মাস্তান গুন্ডা আর রেফিক জন্ম নিতো না আর ওরা কোন মেয়েকে রেফ করতে সাহস পেতে না জা হোক আমি আপনার ভাই সাকিলকে নিয়ে গেলাম ?
জাবেদ বলে , আর এক্তা কথা ও যেন কোনোভাবে জেল থেকে ছাড়া না পাই আমার ভাই বলে ও পার পাবে না অন্যায় যখন করসে তখন ওকে শাস্তি পেতে হবে আর ওকে এমন শাস্তি দিবেন জাতে কেউ এই কাজ ভুলে না করে আর আমাদের সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে এদের বিরেধে আর এখন আপনি ওকে নিয়ে যান ?
দারোগা কাওসার বলে , ঠিক আছে আমরা আসি তাহলে ?
জাবেদ বলে , ওকে এখন তাহলে যান ?
এই বলে পুলিশ সাকিলকে নিয়ে যায় জেলখানায় আর দারোগাকে
মেঘলা বলে , দারোগা সাহেব আপনি দেখবেন এই জানয়ারে যেন ফাসি হয় ?
দারগা কওসার বলে , মেঘলা তুমি কোন চিন্তা করো না আর আমি যে বেবস্তা করব তাতে ওর ফাঁসি হবে আর একটা কথা এই সমাজের মানুষকে প্রতিবাদ করে তুলতে হবে জাতে কেউ এই সাহস না করে তোমরা এখন বাড়ি যাও দুইজন ?
মেঘলা আর আকাশ দুইজনের বাড়ির পথে রওইয়ানা হয় ।
এই ভাবে এই ছোটগল্পের কাহিনী সমাপ্ত হয় ।
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( নয়ন )
২য় চরিত্র ( জাহিদ )
৩য় চরিত্র ( জাবেদ )
৪র্থ চরিত্র ( সাহিদ )
৫ম চরিত্র ( রায়হান )
ষষ্ঠ চরিত্র ( শিপন )
এবং ৭ম চরিত্র ( রাজ )
আমার নিজের লিখা ৫ম ছোটগল্প এটি । নাম হল ( চালবাজ ) ।
এটি মূলত একটি কমেডি ছোটগল্প ।
গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে ,
জাবেদ দাড়িয়ে টাকা গুণতে আছে তখনি সেইখানে জাহিদ আসে আর বলে , কিরে তুই টাকা গুনতে আসিস এই খানে দেখি তো এইখানে কতো আছে দে আমায় ?
জাবেদ বলে এই নাও টাকা ?
জাহিদ বলে , আরে এইখানে তো ৯ হাজার টাকা আছে ?
জাবেদ বলে , কি বলে ভাই আমি ১০ হাজার টাকা গুনলাম আমি কইতে আছো নয় হাজার কই দেখি ?
জাহিদ বলে , তুই আমাকে বিশ্বাস করিস না শোন তোর সাথে আমি একটা বাজি ধরি তা হলে এইখানে যদি নয় হাজার হলে তাহলে ১ হাজার টাকা তোর আর এইখানে ১০ হাজার টাকা হলে আমার ৯ হাজার আমার কি রাজি ?
জাবেদ কিছু না ভেবে বলে , এইখানে পুরো ১০ হাজার টাকা আছে নয় হাজার না ?
জাহিদ বলে , তুই বাজীতে হারসো দে আমায় ৯হাজার আর তুই ১হাজার নে আমি গেলাম ? এই বলে সে চলে জায় । সে বসে ভাবে এই কি ভাই আমারে বলদ বানাইয়া সব টাকা চালবাজি করে নিয়ে গেছে আর আমায় এক হাজার টাকা ধরা দিসে দূর আমি জায় গা ?
পরের দিন রায়হান আর সাহিদ দুইজন তাদের গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঝগরা করসে , রায়হান বলে , সাহিদ তোরে না আমি কতবার বলেছি আমার গার্লফ্রেন্ডকে কল দিয়ে বিরক্ত করবি না তুই ?
সাহিদ বলে , তোর কথা হবে নাকি আমি ওকে ভালোবাসি আর ওকে আমি দুইশবার কল দিমু তোর কোন সমস্যা ?
রায়হান বলে , হ্যাঁ আমার সমস্যা আমি ওকে ভালোবাসি আজ তোকে আমি মেরে ফেলবো ? এরপর ওরা মারামারি করে আর এমন সময় জাহিদ এসে বলে , তোরা মারামারি করসিস কেন ?
রায়হান বলে , আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি আর ও ওকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করে
?
সাহিদ বলে , ওকে ফোন দিলে ও বিরক্ত হয় কেন ?
জাহিদ বলে , ও এই সমস্যা সমাদান আমি করে দিবো তোরা আমায় ৫ হাজার করে দে
আমি তোদের দুইজনের জন্য ওই মেয়ে থেকে সুন্দর মেয়ে নিয়ে আসবো ? আর অরা ওকে ৫ হাজার করে দেয় তা নিয়ে চলে যায় ।
পরেরদিন ওরা জাহিদকে খুজে পায় না ।
রায়হান বলে , জাহিদ ভাই আমাদের দুইজনের সাথে চালবাজি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে সে ?
সাহিদ বলে , এখন কি করা চল বাড়ি যায় আর পলায় আর চিকেন খায় চল ?
রায়হান বলে , চল যায় আর খাই ?
এই বলে তারা চলে যায় ।
আর জাহিদ শহরে এসে পরে , সেইখানে শিপন আর রাজের সাথে দেখা হয় জাহিদের শিপন বলে , আরে জাহিদ ভাই তুমি এইখানে কি মনে করে ?
জাহিদ বলে , আরে আমি তোদের কাছে আসছিলাম তোদের একটা কথা ছিল বলার ?
রাজ বলে , বলেন কি বলবেন আপনি ভাই ?
জাহিদ বলে , তোদের দুইজনের নাম্বার দিয়ে যা আমাকে প্রয়োজন হলে আমি ফোন দিবো ? আর ওরা নাম্বার দিয়ে সেইখান থেকে চলে যায় ।
আর বিকেল বেলা জাহিদ রাস্তায় বের হয়ে আসার সময় নয়ন বলে , ভাই পানি নিবেন একদম ফ্রেস পানি নেন না ? আর জাহিদ মনে মনে বলে , খুব পিপাসা লাগছে পানি না গেলে বাচব না ?
জাহিদ ওকে বলে , ভালো পানি দাম কত ?
নয়ন বলে , ১৫ টাকা দিবো ? মনে মনে বলে , একবার সুধু খাও তারপর কি হয় আমি এই পানির মধ্যে ঘুমের টেবলেট মিশিয়ে দিশি ?
জাহিদ বলে , দাও খেয়ে কলিজা ঠাণ্ডা করি ? জাহিদ পানি নিয়ে গেয়ে সে নিজে অজ্ঞান হয়ে মাতিতে পরে আর নয়ন ওর টাকা মোবাইল নিয়ে চলে যায় ।
( এই ভাবে এই ছোট গল্প শেষ হয় )।
 
 
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( নয়ন আহাম্মেদ ) গল্পের নায়ক ।
২য় চরিত্র ( প্রিয়া খান ) গল্পের নায়কা ।
৩য় চরিত্র ( জাবেদ আহাম্মেদ ) নয়নের বড় ভাই ।
৪র্থ চরিত্র ( নূপুর বেগম ) নয়নের ভাবি ।
৫ম চরিত্র ( জামাল খান ) প্রিয়ার বাবা ।
ষষ্ঠ চরিত্র ( ঝুমুর বেগম ) প্রিয়ার মা ।
৭ম চরিত্র ( সাকিল ) গল্পের সাইড নায়ক ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ৫ম উপন্যাস এটি । নাম হল ( ভালোবাসা তোমাকে দিলাম ) ।
এটি মূলত একটি লাভ স্টোরি গল্প ।
উপন্যাসের শুরুতে দেখা যায় যে ,
জাবেদ আহাম্মেদ তার অফিসে যাবে আর তার বউ নুপুর বেগম তাকে খাবার বেড়ে দেয় তার সামনে আর জাবেদ আহাম্মেদ তা খেতে খেতে বলে , ও ঘুম থেকে উঠেছে নাকি ঘুমাচ্ছে শুনি ?
নুপুর বেগম বলে , কে নয়ন ?
জাবেদ আহাম্মেদ বলে , তা না হলে কে অন্য কেউ তোমার তো ওই একটা দেওর ?
নুপুর বেগম বলে , হ্যাঁ ঘুমাছে ?
জাবেদ আহাম্মেদ বলে , কি এখনো ও ঘুমাচ্ছে সারারাত ও কি করে শুনি ওকে আমি কতবার বলেছি যে তোর পড়ালেখা শেষ হয়েছে এবার আমার বিজনেস সামেল দে কিন্তু ও তা না করে শুধু ঘুরে ফেরে আর আমায় টাকা নষ্ট করে ?
নুপুর বেগম বলে , এখন তো সময় ওর ঘুরা ফেরার আর তুমি ওকে শুধু বকে ?
জাবেদ বলে , বকি কি সাধে মা বাবা মারার যাওয়ার সময় ওকে আমার হাতে তুলে দেয় ?
নুপুর বেগম বলে , থাক আর ওই পুরানো কথা বলে শুধু শুধু চোখে পানি আনার দকার নেই তুমি খাও আর আমি ওর ঘুম ভাঙিয়ে ওকে নিচে নিয়ে আসছি আমি যায়
? এই বলে সে ওপরে যায় আর জাবেদ আহাম্মেদ খেতে থাকে ।
নুপুর বেগম বলে , সকাল শেষ হয়ে বেলা হতে চলল তুমি কি উঠবে না আর ওইদিকে তোমার ভাই রাগারাগি করছে তুমি তাড়াতাড়ি উঠে নিচে আসো খেতে আমি গেলাম?
আর নয়ন আহাম্মেদ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে তারপর নিচে যায় ।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , গুড মর্নিং ভাইয়া ?
জাবেদ আহাম্মেদ বলে , হ্যাঁ গুড মর্নিং এখন হয়েছে তুমি খাও আর নয়ন তোকে না আমি কতবার বলেছি আমার বিজনেজ সামলাতে হবে তোকে ?
নুপুর বেগম বলে , আবার তুমি কি শুরু করলে বলে ছেলেটাকে ঠিকমতন খেতে দিবে না তুমি ?
জাবেদ আহাম্মেদ বলে ,আমি গেলাম আমার খাওয়া শেষ ?
আর জাবেদ আহাম্মেদ তার অফিসে চলে যায় ।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , এবার সান্তি পেলাম আমি ?
নুপুর বেগম বলে , মানে কিসের সান্তি পেল তুমি নয়ন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , কেন ভাইয়ার হাত থেকে বাকি বলে আমার অফিসের বিজনেস সামলাও তুমি বলে ভাবি এখন আমার কি অফিসের বিজনেস সামলানো সময় ?
নুপুর বেগম বলে,তাহলে এখন কিসের সময় ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , কেন ঘুরা ফেরা আর ?
নুপুর বেগম বলে , আর কি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , ভাবি তুমিও না আমি গেলাম ? এই বলে সে বাইরে চলে যায়।
নুপুর বেগম বলে , একটা পাগল দেওর আমার ? এই বলে সে তার ঘরের কাজে মন দেয়।
নয়ন আহাম্মেদ রাস্তায় হাটতে হাটতে হঠাই প্রিয়া খান নামে একটা মেয়ের সাথে তার ধাক্কা লাগে আর ওই মেয়ের হাত থেকে বই নিচে পরে যায় আর নয়ন আহাম্মেদ ও সে মেয়ে দুইজনে বই উঠাতে গেয়ে আবার মাথায় তাক খায় আর নয়ন ওই মেয়েকে দেখে ওর প্রেমে পরে যায় আর তাকে বই উঠিয়ে দিয়ে নয়ন আহাম্মেদ বলে , সরি , আমি আসলের খেয়াল করি নাই যে আপনি সামনে চলে আসেন আর এই ধাক্কা লাগে আর আপনি কিছু মনে করেন নি তো ?
প্রিয়া খান বলে , না আমি কিছু মনে করি নাই আসলে আমার কিছু দোষ ছিল আমি তাহলে আসি ? এই বলে প্রিয়া খান চলে যায় সেইখান থেকে ।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , বাহ খুব সুন্দর মেয়ে আমার জীবনে আগে দেখি নাই ও হবে আমার জীবনের শাহজাদী এই যা নাম জিজ্ঞাসা করা হল না যা হোক পরের দেখা হলে তখন না হয় নাম জিজ্ঞাসা করে যেনে নিবো ?
এই বলে সে বাড়ি যায় আর তার ভাবিকে নয়ন আহাম্মেদ বলে , ভাবি জানো আজকে না আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে আর তখন আমার সাথে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগে আর ওই মেয়েকে দেখে আমি ওর প্রেমে পড়ে যায় ?
নুপুর বেগম বলে , বুঝলাম কিন্তু মেয়ের নামটা কি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , এই নামটা জিজ্ঞাসা করা হয় নি পরের দেখা হলে তখন নাম জেনে নিবো ? এই বলে নয়ন ওর রুমে যায় ।
পরের দিন বিকাল বেলা নয়ন আহাম্মেদ তার ভাই আর ভাবির সাথে শপিং মলে আসে তারা আর নয়ন আহাম্মেদ এর ভাবি আর ভাই তাদের নিজেদের জন্য ও নয়নের জন্য জামা কাপড় দেখছে ।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , ভাইয়া আর ভাবি তোমরা এইসব দেখো আর আমি অন্য দিকে গেয়ে দেখি ?
নুপুর বেগম বলে , ঠিক আছে যাও ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , ওকে ? এই বলে নয়ন অন্য দিকে যায় আর ও দেখে যে সেই মেয়ে এইখানে এসেছে আর নয়ন তার সামনে গেয়ে বলে , হাই আপনি এইখানে কে নিতে এসেছেন ?
প্রিয়া খান বলে , আচ্ছা , আপনি সে না যার সাথে আমার সেদিন ধাক্কা লেগেছিল আর আমি এইখানে একটা ঘড়ি কিনতে এসেছি আর আপনি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে, আমার ভাই আর ভাবি সাথে জামা কাপর কিনতে এসেছি এইখানে আর আপনি কার সাথে এসেছেন ?
প্রিয়া খান বলে , আমার বান্ধুবিদের সাথে আসি তাহলে এই তোরা চল bye ? এই বলে প্রিয়া চলে যেতে থাকে সেইখান থেকে আর নয়ন আহাম্মেদ বলে , ইস আজকেও নাম জানা হল না ? এই বলে নয়ন এক ছুটে শপিং মলের বাইরে গেয়ে দেখে সে চলে গেছে আর সে তার ভাবি আর ভাইয়ের কাছে ছুটে আসে আর ভাই আর ভাবির সপিং হয়ে গেল তারা বাড়িতে চলে আসে আর রাতের বেলা নয়ন তার ভাবিকে সব খুলে বলে ।
পরেরদিন সকালে নয়ন ঘর থেকে বের হয়ে সে একটি দোকানে বসে চা খাই ।
তারপর নয়ন আহাম্মেদ মনে মনে বলে , আজকে যদি তার সাথে দেখা হয় তাহলে তাকে আমার মনের কথা বলব আর নাম জিজ্ঞাসা করব আমি ?
চা খেতে খেতে নয়ন দেখে যে সে মেয়ে তার বান্ধুবিদের সাথে হেটে যাচ্ছে আর তখন নয়ন চা ফেলে দিয়ে সেখানে যায় আর নয়ন আহাম্মেদ বলে , হাই তোমার নাম কি ?
প্রিয়া খান বলে , আমার নাম হল প্রিয়া খান আর আপনি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , আমি নয়ন আহাম্মেদ আর তোমাকে কয়েকদিন একটা কথা বলবো ভাবছি আমি কিন্তু কি করে বলি তা ?
প্রিয়া খান বলে , কি বলবেন বলেন আপনি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , প্রথম যেদিন তোমার সাথে আমার ধাক্কা লাগে সেদিন থেকে আমি তোমায় ভালোবাসি আর আমার ভালবাসা তোমাকে দিলাম আমি অনেকবার তোমায় বলতে চেয়েছিল মন কিন্তু পারিনি আজ বললাম তাই ?
প্রিয়া খান বলে , মানে এইসব কি বলসেন আপনি আর আমকে আপনি ঠিকমতন চিনেন না জানেন না আর বললেন ভালোবাসি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , সেদিন থেকে তোমাকে আমি দেখেছি সেদিন থেকে তোমাকে আমার জীবন সঙ্গী করে নিলাম আর শুন তোমার সাথে আমার এই নিয়ে তিনবার দেখা হয়েছে আর দেরি করতে চাইনা আমি পরের বার দেখা হল তোমাকে আমি কাজী অফিসে হাত ধরে নিয়ে বিয়ে করবো ?
প্রিয়া খান বলে , আপনি পাগল নাকি তিনবার দেখা হইছে আজকে আমাকে ভালবাসার কথা বললেন আর পরেরবার দেখা হলে আমাকে আপনি কাজী অফিসে হাত ধরে নিয়ে বিয়ে করবেন এটা কি মামার বাড়ি পেয়েছেন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , হ্যাঁ আমি পাগল তোমার প্রেমে তবে মামা বাড়ি না পেলে শুশুর বাড়ি আমি পেয়েছি ? এই বলে নয়ন চলে যায় আর তারপর প্রিয়া ওর বান্ধুবিদের সাথে চলে যায় ।
এইদিকে নয়ন বাড়ি আসলে তার ভাবি নুপুর বেগম বলে , নয়ন আমার খালা তার আমাদের তাদের বাড়িতে যেতে বলেছে তার মেয়ের নাকি বিয়ে আর সেইখানে সব আমাদের সামলাতে হবে ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , আমি যেতে পারবো না তুমি আর ভাইয়া যাও ?
নুপুর বেগম বলে , তোমার ভাইয়ার অফিসের কিছু দরকার কাজ আসে তার জন্য তোমার ভাইয়া আমেরিকা যাবে আর সে যাবে না বলে তোমাকে বলসি আর হইত সেইখানে গেয়ে তার সাথে তোমার দেখা হতে পারে ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , ঠিক আছে সেইখানে আমি যাবো আর তোমার কথা যেন সত্যি হয় ভাবি ?
এই বলে সে আর তার ভাবি সেইখানে যায় ।
ঝুমুর বেগম বলে , আরে তোমরা এসে গেল আর এতদিন পর এই খালার কথা মনে পড়ল আমরা তোমাদের আমাদের মেয়ে বিয়ে কথা না বলে ফোন দিতাম তাহলে তোমরা আসতে না চলে ঘরে ভিতর ?
নুপুর বেগম বলে , চলেন খালা ? তারা সবাই ঘরের ভিতর ঢুকল ।
এমন সময় জামাল খান এসে বলে , মা তুমি কেমন আসো ?
নুপুর বেগম বলে , খালু আমি ভাল আছি আর আপনি ?
জামাল খান বলে , আমি ভালো আছি , বাবা নয়ন তুমি কি করসো ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , খালু আমি তো ভাইয়ার বিজনেস দেখা সুনা করি ?
জামাল খান বলে , ভালো ?
নুপুর বেগম বলে , খালু আপনার মেয়েকে ডাকেন আমরা দেখি ওকে ?
জামাল খান বলে , হ্যাঁ নিশ্চয় দেখবে ওর বিয়ে আর ওকে না দেখলে হয় এই ঝুমুর তুমি ওকে গেয়ে দেখে আনো ?
আর ঝুমুর বেগম তার মেয়ে প্রিয়াকে দেখে আনে আর ওকে নয়ন দেখে অবাক হয় আর প্রিয়া অবাক হয় ।
নুপুর বেগম বলে , বাহ খুব মিষ্টি মেয়ে আপনার খালা ও যে ঘরের বউ হয়ে যাবে সে ঘর আলোকিত হয়ে ভরে যাবে ?
এবার নয়ন বলে , এই আপনার মেয়ে আর এর বিয়ে ?
ঝুমুর বেগম বলে , কেন বল তো নয়ন তুমি কি ওকে আগে দেখেসো ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , না আমি আজকে এই প্রথম দেখলাম এমনি বললাম হাই কেমন আসো ?
প্রিয়া খান বলে , ভালো আছি আপনি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , আমিও ভালো আছি ?
এরপর রাতের বেলা নয়ন তার রুমে বসে ভাবসে আর মনে মনে বলসে , আমার কপাল খারাপ না হলে কি যে মেয়েকে ছেয়েছিলাম আমার বউ বানিয়ে আমার ঘরে নিতে ছেয়েছি আর সে এখন অন্য বউ হবে না আমায় ওকে ভুলে জেতে হবে আর ওকে সরি বলবো আমি ? আর দরজার পাশে দাড়িয়ে প্রিয়া সব সুনে ফেলে আর ভিতরে এসে বলে , কি আপনি না বলে ছিলেন আমার সাথে আবার দেখা হলে আমার হাত ধরে নিয়ে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করবেন আর আপনার সেই কথা কি হল ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , আমি দুঃখিত যে আমি জানতাম না যে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে একজনের সঙ্গে আমি তা জানলে তোমাকে কোনোদিন ওই কথা বলতাম না ?
প্রিয়া বলে , অনেক হয়েছে আপনার অভিনয় আসলে আপনার সাহস নেই যে একটা মেয়েকে এতোদিন ধরে ভালোবেসে তার বিয়ে কথা শুনে তাকে ছেড়ে দিসছেন
আপনি আসলে আপনি একটা কাপুরুষ ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , অনেক হুয়েছে আর না একটা কথা বলবেন না আমি কাপুরুষ না আমি হলাম সত্যি কারে বীরপুরুষ আমি তোমাকে কথা দিলাম তোমার বিয়ে আমার সাথে হবে আর কারো সাথে না এখন তুমি জেতে পারো ? এই বলে নয়ন ঘুমিয়ে পরে আর প্রিয়া চলে যায় তার রুমে সেও ঘুমিয়ে পড়ে ।
পরের দিন সকালে নয়ন আহাম্মেদ খাবার খেতে আছে আর প্রিয়ার বাবা তাকে বলে, নয়ন তোমার ভাবি মানে বউমা আমাকে তুমি নাকি কোন মেয়েকে ভালোবাসে কিন্তু তার নাম জানো আমাকে একটু খুলে বলবে তুমি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , খালু ওই মেয়ের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় ধাক্কা লেগে রাস্তায় তার পরে দেখা হয় শপিং মলে আর তারপর ?
জামাল খান বলে, তারপরে কি হল ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তারপরে আর কি ওই মেয়ের সাথে দেখা হলে আবার এবার সোজা ওর কাছে গেয়ে ওর জিজ্ঞাসা করি আর ভালোবাসার কথা বলি আর বলি তোমার সাথে এই নিয়ে তিনবার দেখা আবার পরেরবার দেখা হলে তোমায় সাথে আমার তখনি তোমার হাত ধরে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করব থিক বলেছি না খালু ?
জামাল বলে , ঠিক আছে , তারপরে কি হল দেখা হল ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তারপরে খালু ওই মেয়ের সাথে আর দেখা হয়নি আমার মনে হয় ওই মেয়ে ভয় পেয়েছে এই কথা শুনে আমি মনে হয় ওকে পাবো না ?
জামাল খান বলে , তুমি যখন এতো দূর গেছেো আমার বিশ্বাস তুমি ওকে একদিন পাবে আর সেদিন তোমাদের বিয়ে হবে ? এই কথা সুনে প্রিয়া মুখ লুকিয়ে হাসে আর সেটা কেউ খেয়াল না করলে নয়ন খেয়াল করে ।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , খালু আপনার কথা যেন সত্যি হয় ? এই কথা নয়ন প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে আর নয়ন মনে মনে বলে , ও হাসল কেন আমার ওই মেয়ে সাথে বিয়ে হবে শুনে আমি বুঝছি এবার ?
জামাল খান বলে , আচ্ছা , এতো ক্ষন আমরা যে মেয়েকে নিয়ে কথা বলসি তার নামা জানা হল না তার নাম কি নয়ন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তার নাম হল ?
প্রিয়া বলে , বাবা মা তোমাকে ডাকছে ?
জামাল খান বলে , থাক নয়ন আজকে শুনা হল না কালকে শুনবো আমি যায় গেয়ে দেখি ডাকছে কেন ? এরপর নয়ন আর প্রিয়া কথা বলে আর ঝগড়া করে ।
বিকেল বেলা নয়ন আহাম্মেদ তার খালুকে বলে , প্রিয়ার বিয়ে চলেন একবার মাজারে গেয়ে আপনার মেয়ে প্রিয়ার জন্য দোয়া করবেন জেন ওর স্বামী ওকে আপনাদের পড়ে যেন সুখি করে ?
এই কথা সুনে জামাল আহাম্মেদ বলে , তুমি ঠিকি বলেছেো আমার মেয়ের বিয়ে যেন ভালভাবে হয় আর তার স্বামী আমাদের পড় ওকে যেন সুখি করে তাহলে আমরা সবাই আজকে যাবো আর এখনি ? এই কথা সুনে প্রিয়া হেসে ফেলে এবার তা কেউ খেয়াল করে নি আর নয়নও ।
আর তারা সবাই মিলে মাজারে যায় আর সেইখানে তার বাবা মা তার জন্য দোয়া করে আর প্রিয়া দোয়া করে বলে , আমি জানি নয়ন আমায় কত ভালোবাসে আর আমিও নয়নকে ভালোবাসি কিন্তু বাবা মা আমার বিয়ে করেছে তাই কিছু বলতে পারছি না নয়নকে আমার ভালোবাসা সত্যি হয় আমি নয়নকে একদিন পাবো ? এরপর তারা চলে যায় সেইখান থেকে বাড়িতে ।
পরের দিন প্রিয়া তার ছাদে দাড়িয়ে পোষা পাখি তার সাথে কথা বলসে আর সেইখানে
নয়ন আসে ।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , কি পাখির সাথে কি কথা বলসো প্রিয়া ?
প্রিয়া খান বলে , তোমাকে বলবো কেন আর এই হচ্ছে পোষা পাখি ওর নাম আমি সুখ পাখি দিয়েছি আমার মন খারাপ হলে ওর সাথে কথা বলি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , ও আচ্ছা , তা শুনতে পারি তোমার মন খারাপ কেন ?
প্রিয়া আহাম্মেদ বলে , সেটা তোমাকে বলবো কেন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , আমার না মনে একটা কষ্ট আছে সেটা আমি সুখ পাখির সাথে সেয়ার করব তুমি সরো ? এরপর নয়ন ওর কষ্ট কখা বলে ।
এরপর বিকেল বেলা প্রিয়ার বাবা জামাল খান সে তার মেয়ের বিয়ের কার্ড দিতে যাবে যে কয়জন আছে এমন সময় প্রিয়া এসে বলে , বাবা আমি আর নয়ন দিয়ে আসি কার্ড তোমার যাওয়ার দরকার নেই ?
জামাল খান বলে , আচ্ছা যা তুই নয়ন তোর সাথে আমার কোন চিন্তা নেই
শোন এই কার্ডদের ভিতর নাম আছে তাদের দিবি যা এখন ?
এরপর নয়নকে নিয়ে প্রিয়া কার্ড দিতে যায় আর কার্ড দিয়ে শেষে নয়ন আর প্রিয়া বাড়ি পথে আসার আগে প্রিয়া তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় ।
তখন নয়ন আহাম্মেদ বলে , কি বাড়ি যাবে না তুমি এই খানে এসে থামলে কেন ?
প্রিয়া খান বলে , এইখানে তোমাকে এনেছি একটা কথা বলা আছে তাই ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , কি বলবে তুমি বলে ?
প্রিয়া খান বলে , সেই পথম দেখা আর তারপর আবার দেখা তোমার সাথে আর যেদিন তুমি আমাকে তোমার মনে কথা বলে সেদিন আমি চেয়েছিলাম বলতে আমি তোমায় ভালোবাসি কিন্তু তার আগে বাবা তার বন্ধুর ছেলে সাকিলের সাথে আমার বিয়ে থিক করে সেই জন্য বলতে পারিনি তোমায় তাই আজ বলসি আমি তোমাকে ভালোবাসি আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না আর আমি এই বিয়ে করতে পারবো না
তুমি কিছু করো নয়ন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , অবশেষে তুমি আমার ভালোবাসা গ্রহন করলে কিন্তু এমন সময় যে তোমার বিয়ে অন্য কারো সাথে হয়েছে ?
প্রিয়া খান বলে , তুমি দরকার হলে আমার বাবার সাথে কথা বলে আর তুমি না পারো তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তুমি ভয় পেয়েও না আমি কাল তোমার বাবার সাথে কথা বলবো আমাদের ব্যাপারে সে যদি রাজি না হয় আমারা পালিয়ে পেয়ে করবো ?
এই বলে সে প্রিয়াকে জরিয়ে ধরে আর তারপর তারা বাড়িতে যায় ।
পরেরদিন সকালে নয়ন প্রিয়ার বাবাকে বলতে গেলে তখন প্রিয়ার বাবা বলে , নয়ন তুমি এসেছো ভালো হয়েছে আজ প্রিয়ার হবু স্বামী সাকিল আসবে আমাদের বারিতে
? আর বলতে না বলতে সাকিল এসে পড়ে ।
সাকিল বলে , আক্কেল কেমন আসেন আপনি ?
জামাল খান বলে , ভালো আর তুমি কেমন আসো আর তোমার আসতে কোন কষ্ট হয়নি তো ?
সাকিল বলে , না আক্কেল , কোন কষ্ট হয়নি আমার আচ্ছা আক্কেল ওনি কে ?
জামাল খান বলে , এ হচ্চে আমার নয়ন আর নয়ন ও হচ্ছে সাকিল ওর সাথে আমার মেয়ে প্রিয়া হতে চলেছে তোমরা দুইজন কথা বলে আর আমি প্রিয়াকে ডেকে পাঠাচ্ছি ?
সাকিল আর নয়ন দুইজন কথা বলসে ।
সাকিল বলে , তুমি কাউকে ভালোবাসো নি নয়ন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , হ্যাঁ একজনকে আমি ভালোবাসি কিন্তু একটা বাঁধা এসে পড়ে তার ভিতরে ?
সাকিল বলে, তোমার কথা কিছু বুঝলাম না বাঁধা মানে ?
এমন সময় প্রিয়া সেইখানে আসে আর সাকিল তাকে বলে , প্রিয়া সেইছোটবেলা থেকে আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আর কয়েকদিন পর আমাদের বিয়ে হতে চলেছি আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না ?
এরপর তারা তিনজন কথা বলে ।
এই দিকে নয়ন তার ঘরে বসে চিন্তায় করছে আর সে মনে মনে বল, যে করে হোক খালুকে আমার সব বলতে হবে আমি প্রিয়াকে ভালোবাসি আর প্রিয়া আমাকে আর ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না আর প্রিয়া হচ্ছে আমার সে প্রথম ভালোবাসা যার সাথে আমার ধাক্কা লাগে ?
আর এই সব কথা তার ভাবি নুপুর বেগম দরজার এককোণে দারিয়ে সুনে আর ভিতরে গেয়ে ওকে বলে , নয়ন তুই যে মেয়েকে ভালবাসতিস সে আর কেউ না আমাদের প্রিয়া ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , হ্যাঁ ভাবি ও সে মেয়ে প্রিয়া যাকে আমি ভালোবাসি প্রিয়া আমাকে ভালোবাসে ?
নুপুর বেগম বলে , যা হয়েছি তুই ওকে ভুলে যা ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , ভাবি আমি ওকে ভুলতে পারবো না একদিন তুমি তো বলেছিলে আমায় ওই মেয়েকে আমার বউ করে আনতে আর তুমি এখন ?
নুপুর বেগম বলে , হ্যাঁ বলেছিলাম কিন্তু তখন জানতাম না যে সে মেয়ে প্রিয়া আর শোন তুই মন দিয়ে আজ থেকে চার বছর আগে প্রিয়ার বাবা যখন ঢাকার বাইরে একটা কাজের জন্য যায় আর সেইখানে সে একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খায় তখন তাকে সাকিল হাসপাতালে নিয়ে গেয়ে ওর রক্ত দেয় আর সব বিল দেয় আর সাকিলের বাবা আমাদের খালু বন্ধু তার এক মাস পর খালু ঠিক করে সাকিলে্র সাথে তার মেয়ের প্রিয়ার বিয়ে দিয়ে সব ঋণ শোধ করবে আজকে খালু বেচে আসে শুধু সাকিলের জন্য তুই খালুকে এই সব তাকে কষ্ট দেস না নইলে সে এইসব সুনে মরে যাবে ? নয়ন এই সব সুনে অবাক হয়।
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তুমি কোন চিন্তা করো না ভাবি আমি প্রিয়ার বিয়েতে বাধা হবে না এই তোমার মাথা হাত দিয়ে বললাম ?
এরপর নুপুর বেগম বাইরে যায় আর নয়ন ওর ঘরে বসে কাঁদে ।
এরপর বিয়ের হলুদ সন্ধ্যা দিন এসে গেছে তারপরেদিন হল বিয়ে বাড়িতে অনেক লোকজন এসেছে ।
বিয়ের আগের দিন নয়ন প্রিয়ার পোষা পাখির কাছে গেয়ে বলে আর কাঁদে । এমন প্রিয়া খান এসে বলে , তোমাকে আমি কি বললাম তুমি বাবার সাথে কথা বলেছো আমাদের বিয়ে নিয়ে ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , না ?
প্রিয়া খান বলে , মানে তুমি বাবাকে বলে নাই কিন্তু কেন বল ?
তখন নয়ন আহাম্মেদ বলে , তোমার বাবাকে কি করে বলবো বলে তুমি আমি যদি আমাদের ভালোবাসার কথা তাকে বলি তাহলে সে আর বাচবে না ?
প্রিয়া খান বলে , বাচবে না মানে কি হয়ে আমার বাবার বল নয়ন ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তাহলে সুনে আজ থেকে চার বছর আগে তোমার বাবা যখন ঢাকার বাইরে একটা কাজের জন্য যায় আর সেইখানে সে একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খায় তখন তাকে সাকিল হাসপাতালে নিয়ে গেয়ে ওর রক্ত দেয় আর সব বিল দেয় আর সাকিলের বাবা আর তোমার বাবা বন্ধু তার এক মাস পর তোমার বাবা ঠিক করে সাকিলে্র সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে তার সব ঋণ শোধ করবে তোমার বাবা আর আজকে বেচে আসে শুধু সাকিলের জন্য আর সেদিন এই সব বলতাম তাহলে সে সে এইসব সুনে কষ্ট পেয়ে মরে যাবে আমি চাই না আমার জন্য কেউ মারা তুমি তোমার বাবার পছন্দ ছেলেকে বিয়ে করে সুখি থেকেো ? প্রিয়া এই সব সুনে অবাক হয়।
প্রিয়া খান বলে , আর তুমি ?
নয়ন আহাম্মেদ কেদে কেদে বলে আসলো আমার কপাল তা খারাপ তোমাকে আর আমার পাওয়া হল না যা হোক তুমি আমার ভুলে যেও ?
প্রিয়া খান কেদে কেদে বলে , ভুলে যাবো তোমায় আমি কিন্তু কি করে বলতে পারো তুমি ?
নয়ন আহাম্মেদ বলে , তোমার বাবার জন্য যাতে ওনি কষ্ট না পায় ?
প্রিয়া খান কেদে কেদে বলে ভুলে যাবো তোমায় আমি ? এই বলে সে তার রুমে গেয়ে কাদে আর নয়ন ছাদে বসে বসে কাদে ।
এইদিকে হলুদ সন্ধ্যা এসে পরে আর প্রিয়াকে হলদু মাখিয়ে গোসল করায় আর নয়ন তার রুমে থাকে । রাতের বেলা প্রিয়া একটা চিঠি লিখে তার পাখি গলায় বেধে দেয় ।
অবশেষে বিয়ের দিন আসে আর ওইদিন তার ভাবি বলে , নয়ন মন খারাপ না করে বরং তুই বরকে বিয়ের আসরে নিয়ে আয় সাজিয়ে আর তুই হাসি হাসি মুখ থাকবি ?
এই বলে সে চলে যায় নিচে প্রিয়ার কাছে ।
নয়ন তার হাসির মাঝে দুঃখ লুকিয়ে রাখে আর সাকিলকে বর সাজিয়ে নিয়ে আসে আর ওইদিকে প্রিয়াকে কনে সাজিয়ে আনে বিয়ের আসরে সেও তার দুখ লুকিয়ে রাখে হাসির মধেো ।নয়ন আর প্রিয়া দুইজনের দিকে তাকিয়ে থাকে ।
বিয়ে হবে আর প্রিয়ার বাবা কি মনে করে জেন চাদে যায় আর সে দেখে পাখির গলায় চিঠি বেধে আসে সে তা খুলে পরে আর অবাক হয়ে নিচে যায় আর গেয়ে দিকে প্রিয়া কবুল বলবে এমন সয়ম জামাল খান বলে , এই বিয়ে বন্ধ করো তোমরা ?
তখন প্রিয়ার মা বলে , কি হয়েছি তোমার আর বিয়ে বন্ধ করতে বলসো কেন ?
তখন জামাল খান বলে , তোমার মেয়ে প্রিয়া নয়নকে ভালোবাসে ও নাকি সাকিলকে বিয়ে করতে পারবে না ?
ঝুমুর বেগম বলে , কি বলসো তুমি এইসব ?
জামাল খান বলে , এই দেখ চিথি এতে লিখেছে সে নয়নকে ভালোবাসে ওকে ছাড়া ও বাচবে না ? এরপর এই চিথি তার বউ আর সাকিল পড়ে ।
জামাল খান বলে , আমি এখন কি করবো তোমরা বলতে পারো আমি কোনোদিন কাউকে কথা দিয়ে তা অমান্য করি নাই কিন্তু আজামার মেয়ে প্রিয়ার জন্য ?
সাকিল বলে , এর একটা উপায় আছে আক্কেল তা হল নয়ন আপনি নয়ন আর প্রিয়ার বিয়ে দিয়ে দেন এই খানে আর আজকে ?
জামাল খান বলে , কিন্তু তুমি ?
সাকিল বলে , ভালোবাসা বিয়ে আর মৃত্যু এই তিন বিধার লেখা হয়তো আজকে আমার সাথে প্রিয়ার বিয়ে লিখেনে তাই বিয়ে হতে হতে হল না আজকে প্রিয়ার আর নয়নের বিয়ে লিখা আর ওদের বিয়ে হবে কাজী সাহেব আপনি আবার নুতুন করে খাতায় নাম লিখে নয়ন আর প্রিয়ার ?
জামাল খান বলে , বাবা সাকিল তুমি আমাকে এই বিপদ থেকে বাচালে আবারো তোমার কাছে আমি ঋণী হয়ে গেলাম ?
সাকিল বলে , ছিঃ ছিঃ আক্কেল আপনি কেন আমার কাছে ঋণী হবেন আপনি তো আমার বাবার মতন কোন বাবা কি তার ছেলে কাছে ঋণী থাকে ?
জামাল বলে , আজ থেকে আমার দুই ছেলে আর এক মেয়ে ? এই বলে জামাল খান সাকিলকে বুকে ঝড়িয়ে নেই আর নয়ন ও নয়ন প্রিয়াকে বুকে ঝরিয়ে নেয় আর তারপর নয়ন আর প্রিয়ার বিয়ে হয় সবাই খুশি হয় ।
( এই ভাবে এই উপন্যাসের কাহিনী শেষ হয় )।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( আবির ) ।
২য় চরিত্র ( আকাশ ) ।
৩য় চরিত্র ( মিম ) ।
৪র্থ চরিত্র ( নয়ন ) ।
এবং ৫ম চরিত্র ( আফিদি ওরেফে জাহিদ ) ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ৪র্থ ছোটগল্প । নাম হল ( ভালোবাসা দিবি কিনা বলো )
এটি মুলত একটি কমেডি ও ভালোবাসা গল্প ।
এই গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে , ইন্ডিয়া একটি বড় এলাকা নাম মুসিদাবাদ আর সেইখানে বেশির ভাগ মুসলমান থাকে ।
আবির ফুল হাতের পিছনে নিয়ে রাস্তায় দিয়ে যাচ্ছে আর এমন সময় নয়ন ওকে
ডাকে আর বলে , আরে ভাই আবির তুমি কোথায় যাও ?
আবির বলে , কেন তুই জানোস না যে আমাদের পাড়ায় কয়েক দিন একটা সুন্দর মেয়ে এসেছে আর আমি তো দুইতিনদিন ওর পিছে ঘুরে ছিলাম আর আজকে আমি তাকে ফুল দিয়ে আমার ভালোবাসার কথা বলবো আমি যায় আর আমার জন্য দোয়া করিস তুই ?
নয়ন বলে , ঠিক আছে যাও আবার চড় খেয়েও না তুমি ?
আবির বলে , তোর কথা রাখ কেন চড় খাবো আমি ভালোবাসা দিবো আর ভালোবাসা নিবো আমি গেলাম ?
এই বলে আবির চলে যায় ।
আর নয়ন বলে , বাবারে বাবা কি বলে আবির ভাই পরে তা দেখা যাবে ?
এই বলে নয়ন চলে যায় ওর কাজে ।
আর আবির ওই মেয়ের কাছে এসে হাসি মুখে বলে , আপনার নাম তা কি বলবেন ?
মিম বলে , জী আমার নাম হল মিম আর আপনি ?
আবির বলে , আমি হলাম এই এলাকার সবচেয়ে সুন্দর ছেলে নাম আমার আবির আর তুমি হল এই এলাকার সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে কি মিল আছে না আমাদের দুইজনের মধ্যে বলে ?
মিম বলে , মানে ?
আবির বলে , তুমিও সুন্দর আর আমিও সুন্দর i love you আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়ে করো না ভুল আমার ভালোবাসা দিবি কিনা বলো ?
মিম বলে , না, তুমি কি করে ভাবলে তোমার মতন একটা ছেলেকে আমি ভালবাসবো তুমি যত সুন্দর হয় না কেন এই আমি মিম তোমায় পাত্তা দিবো আর তুমি একটা গরিব ছেলে আর হলাম ধনীর ঘরের মেয়ে আমি গরিব ছেলেদের পছন্দ করি
না আমি তো প্রেম করলে বড়লোকের ছেলের সাথে প্রেম করবো আমি এখন যায় আমার কাজ আছে ?
এই বলে চলে যায় আর আবির ওইখানে দাড়িয়ে থেকে সেও চলে যায় ।
এর পরের দিন সকালে আকাশ পথ দিয়ে যাচ্ছে আর দেখে আবির বসে আছে আর কি যেন ভাবছে তখন আকাশ বলে , ভাই তোমার কি হইছে যে তুমি এইখানে বসে কি ভাবসো
আমায় বল ?
আবির বলে , ঐযে আমাদের পাড়ার মেয়ে মিম আছে না যে কয়েকদিন আগে আমাদের পাড়ায় এসেছিল ?
আকাশ বলে , হ্যাঁ , তো কি হইছে তাতে ?
আবির বলে , দুই তিন দিন ওর পিছে ঘুরে ছিলাম আর কালকে আমি তাকে ফুল দিয়ে আমার ভালোবাসার কথা বলি আর সে আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে আমাকে গরিব বলে অপমান করে আর বলে তার নাকি গরিব ছেলে পছন্দ না বড়লোকের ছেলের সাথে প্রেম করবে কিন্তু সে গরিবের ছেলের সাথে প্রেম করবে না ?
আকাশ বলে, তুমি কেন চিন্তা করবে না কালকে আমি নয়ন কে নিয়ে আসবো তোমার কাছে এই সময় আর এই জায়গায় ?
আবির বলে , ঠিক আছে এখন তুই যা ?
আর আকাশ চলে যায় সেইখান থেকে ।
পরের দিন সকালে ঠিক এই জায়গায় আকাশ নয়নকে নিয়ে আছে আবিরের সামনে ।
আবির বলে , ওই মেয়ের তেজ বা দিমাক ভাঙতে হবে যে করে হোক কিন্তু কি করে ?
আকাশ বলে , এই কাজ এমন একজনকে দিয়ে করাতে হবে যাকে ইন্ডিয়াতে কেউ জেনে না ?
নয়ন বলে , কি বাংলাদেশ হলে চলবে ?
আবির বলে , কে সে ?
নয়ন বলে , আফিদি ওরেফে জাহিদ ?
আকাশ বলে , আবির ভাই এই ছেলেকে দিয়ে তোমার কাজ হবে আর ওই মেয়েকে শিক্ষা দিতে পারবে ?
আবির বলে , তাহলে নয়ন ওকে নিয়ে আসো ?
নয়ন বলে , ঠিক আছে , ও তো গরিব আর ওই মেয়ে ওকে পাত্তা দিবে ?
তখন আকাশ বলে , এতা আমার কাছে ছেড়ে দে আমি এলাকার লোকের কাছে
প্রচার করবো যে ও বড়ে লোকের ঘরের সন্তান ?
ওরা তিনজন চলে যায় ।
আর আফিদি ওরেফে জাহিদ হাজির হয় তখন ওরা তিনজন ওকে বলে দেয় কি করতে হবে আর ওরা তিনজন সবার কাছে বলে যে বড়লোকের ঘরের বন্ধু এসেছে ওদের এলাকায় আর মিম সবার কাছে সুনে ফেলেছে যে আফিদি ওরেফে জাহিদ বড়লোকের ঘরের সন্তান ।
( আর পরের দিন সকালে সে এমন ভাব নে যে সে আসলে বড়লোকের ঘরের সন্তান কোন গরিবের ঘরের সন্তান না ) । আর দুই তিনদিন মিম আফিদি ওরেফে জাহিদ এর পিছে ঘুরে সে আজকে নিজে যায় তার কাছে তাকে তার মনের কথা বলবে ।
মিম বলে , আপনার নাম কি আর আপনি কোথায় থেকে এসেছেন ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে কোথায় থেকে এসেছি বাংলাদেশ থেকে আর আমার নাম কি আফিদি ওরেফে জাহিদ আর তুমি ?
মিম বলে , আমার নাম মিম আমি এইখানে থাকি ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , তুমি কি কিছু বলবে আমায় বলে আমার সময়ই নেই আমাকে বিজনেস এর কাজে এখন মিটিং করতে যেতে হবে ?
মিম বলে , আমি না আপনাকে কয়েকদিন ধরে ফলো করছি ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে, কেন তা শুনতে পারি ?
মিম বলে , আসলে আমি না আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি I LOVE YOU ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , তুমি কি করে ভাবলে আমি তোমার মতন একজন মেয়েকে ভালবাসবো তুমি যত সুন্দর হয় না কেন এই আমি আফিদি ওরেফে জাহিদ তোমায় পাত্তা দিবো আর তুমি আর হল আমার থেকো গরিব মেয়ে আর আমি বিশাল ধনীর ঘরের ছেলের আমার টাকা পয়সার কোন অবাব নেই আর আমি গরিব মেয়েদের পছন্দ করি না আর আমি প্রেম করলে তো প্রেম করবো বড়লোকের মেয়ের সাথে আমি এখন যায় আমার কাজ আছে ?
মিম বলে , এই সব তো আমি ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , মনে আছে কয়েক দিন আগে তুমি এই কথা গুলো একটা ছেলেকে বলে ছিলে ?
মিম বলে , হ্যাঁ , আপনি জানলে কি করে ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , বলতে আছি এই আবির নয়ন আর আকাশ তোরা এইখানে আয় কি চিনতে পারতে আসো তুমি ?
মিম ওদের দেখে অবাক হয় আর বলে , তোমরা এই খানে আর এইসবে মানে কি?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , তুমি একদিন ওকে ওর ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে ওকে ছোটলোক আর গরিব বলে আপমান করেছিলে আর ওরা তোমাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে আসে আর আমি কোন বড়লোকের ঘরের সন্তান নই আমি গরীব ছেলে আর তুমি মন দিয়ে শুনে কোনোদিন কাউকে গরিব বলে অপমান করবে না ?
মিম বলে , আবির আমার ভুল হয়ে গেছে আমায় মাফ করে দাও ?
আবির বলে , ঠিক আছে ,আমি তোমায় মাফ করে দিলাম আর চলে আমরা প্রেম করি
? মিম বলে , আমার বড়লোকের ঘরে ছেলে চাই না আমার তোমাকে চাই চলে যায় ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , যাও তোমরা ? আর ওরা দুইজন চলে যায়
নয়ন আর আকাশ বলে , চলে আমরাও যায় বাড়ি ?
আফিদি ওরেফে জাহিদ বলে , যাবো তো পাগল হইছিস নাকি দাড়া তোরা বন্ধুরা কাউকে গরিব বলে আপমান করতে নেই এই তোরা চল বাড়ি ?
আকাশ বলে , আরো তুমি এইখানে দারিয়ে থাকো আমরা দুইজন গেলাম এই চল নয়ন?
এই বলে আকাস আর নয়ন আফিদি ওরেফে জাহিদকে একলা রেখে যায় আর তার পরে সেও চলে যায় একলা ।
( এই ভাবে ছোট গল্প শেষ হল ) ।
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( সাকিল ) গল্পের নায়ক ।
২য় চরিত্র ( সোনালি ) গল্পের নায়কা ।
৩য় চরিত্র ( নয়ন) গল্পের সাইড নায়ক ।
৪র্থ চরিত্র ( রুপা ) সোনালির বান্ধুবি ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ২য় নাটক । নাম হলো ( হৃদয় ভাঙ্গা মন ) ।
এটি মূলত একটি ROMANANTIC SAD LOVE STORY ।
নাটকের শুরুতে দেখা যায় যে ,
সাকিল তার গার্লফ্রেন্ড সোনালির সাথে দেখা করবে বলে সে পার্কে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে তার জন্য আর সোনালি আসলে সাকিল বলে , তোমার এতো লেট হল কেন আমি সে ১ ঘণ্টা ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি এইখানে ?
সোনালি বলে , সরি , আর লেট হবে না আমার এই আমি কান ধরলাম ?
সাকিল বলে , ঠিক আছে , চলো আমরা ওই দিকে গেয়ে বসে কথা বলি ?
সোনালি বলে , চলো ?
( এই বলে ওরা ওইখানে বসে কথা বলে আর কথা বলতে বলতে তাদের সময় কেটে যায় আর তারপর তারা যে যার বাড়ি চলে যায় ) ।
পরের দিন সোনালি তার ঘর থেকে বের হয়ে কলেজে যাওয়ার পথে নয়ন ওর পথ আটকায় আর বলে , তোকে আমার ভালো লেগেছে সুন্দরি তোকে আমি বিয়ে করে আমার রানি করে রাখবো ?
সোনালি বলে , তোর স্বপ কোনোদিন পুরন হবে না আর আমি মরে গেলে তোকে বিয়ে করবো না তোকে একদিন বলেছি যে আমার সামনে আসবি না ?
নয়ন বলে , তুমি না আসলে বললে আমি আসবো তোমার সামনে কারন আমি তোমায় ভালোবাসি ? আর তখন সোনালি ওকে চড় মারে ।
সোনালি বলে , এই চড়ে কথা মনে থাকলে আর তুই আমার সামনে আসবি না আর শোন আমি সাকিল নামে একজনকে ভালোবাসি ?
এই বলে সোনালি তার কলেজে চলে যায় ।
আর গালে হাত দিয়ে নয়ন বলে , ঠিক আছে , আমি দেখে নিবো তুমি আমায় ছাড়া অন্য কাউকে কি ভাবে ভালোবাসো ?
এই বলে নয়ন চলে যায় ।
বিকেল বেলা সোনালি আর সাকিল ঘুরতে আছে আর কথা বলে আর সাকিলকে সোনালি সব খুলে বলে । এবং সাকিল আর সোনালি কথা বলার শেষে তারা বাড়ির পথে আসার সময় তাদের সাথে দেখা হয় রুপার ।
রুপা বলে , আরে সোনালি এতদিন পর তোর সাথে দেখা আর এ কে তোর সাথে ?
সোনালি বলে , আরে এটা হচ্ছে আমার বয়ফ্রেন্ড ওর নাম সাকিল আর সাকিল এই হচ্ছে আমার ছোটবেলার বন্ধু রুপা ?
সাকিল বলে , আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগল আচ্ছা আপনি এইখানে কি করতে আসলেন ?
রুপা বলে , আমিও , আর এইখানে একটা কাজের জন্য এসেছি আর আপনারা ?
সাকিল বলে , এইতো একটু ঘুরতে আসলাম ?
রুপা বলে , তাহলে আসি সোনালি আমি ?
রুপা বলে , ঠিক আছে ,
এই বলে তারা রুপা তার কাজে যায় আর সাকিল সোনালি ওরা চলে যায় যে যার বাড়ি ।
পরেরদিন দুপুরে সাকিল আর সোনালি পার্কে ঘুরতে যায় আর তখন নয়ন ওর সাথে দুই তিনজন নিয়ে এসে বলে, এই কি সোনালি তুমি এইখানে আর এই ছেলে কে ?
সোনালি বলে , আর তোমাকে বলতে যাবো কেন আর যদি শুনতে তাও তাহলে সুনে ও হচ্ছে সাকিল যার কথা আমি তোমাকে সেদিন বলেছি ?
এই কথা সুনে নয়ন রেগে সাকিলকে চড় মারার জন্য হাত উঠায় আর তখনি সোনালি উলটো ওকে চড় মারে আর সোনালি বলে , তোর এতো বড় সাহস আমার সামনে আমার বয়ফ্রেন্ডকে চড় মারতে চাস যা এইখান থেকে তুই ?
আর নয়ন বলে , আমি আজ যাচ্ছি কিন্তু কাল ওকে আমি এমন মার দিবো না ও বাপের জম্মে ভুলবে না এই তোরা চল ?
আর সে চলে যায় সেইখান থেকে আর তারপর সোনালি বলে , তুমি সাবধানে থেকো নইলে ও তোমার ক্ষতি করতে পারে ?
সাকিল বলে , দেখা যাবে তখন এখন তুমি চলে বাড়ি ?
সোনালি বলে , ঠিক আছে চলে ?
আর এই বলে তারা চলে যায় বাড়িতে ।
( পরের দিন সকালে সাকিল তার কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছে তখন নয়ন তার লোক জন নিয়ে আসে আর সাকিলকে একা পেয়ে নয়ন বলে , সেদিন তুই আমার হাত থেকে বেচে গেছিস কিন্তু আজ পারবি না তুই তোর এতো বড় সাহস আমার ভালোবাসা মানুষ সোনালির সাথে প্রেম করিস আজ তোর এমন হাল করবো যে তুই কোনোদিন হাঁটতে পারবি না এই তোরা ওকে মার ?
আর ওকে মারে আর সাকিল বলে , ভাই আমায় মারিস না আমায় ছেরে দে ?
নয়ন বলে , তোকে ছাড়ার কোন প্রশ্ন আসে না ওই তোরা ওকে মার ?
আর ওকে মেরে যাওয়ার সময় নয়ন বলে , যা তোকে ছেড়ে দিলাম কিন্তু পরে ওর সাথে দেখলে সেইদিন তোকে শেষ করে ফেলবো ?
এই বলে নয়ন ওর লোকজন নিয়ে চলে যায় আর পরে সাকিল ওর বাড়ি চলে যায় )
পরের দিন সোনালি দেখে যে সাকিল এর হাত পায়ে বেন্দিস লাগানো সে সাকিলের কাছে জানতে চাইলে সাকিল সব খুলে বলে সোনালিকে ।
এরপর সোনালি নয়নের বাড়িতে গেয়ে ওকে চড় মেরে বলে , ছিঃ নয়ন ছিঃ তুমি ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে গেছে আর সাকিলকে তুমি মারতে চেয়েছিল আমায় পাওয়ার জন্য আর একটা কথা শুনে রাখো তুমি আমি শুধু সাকিলকে ভালোবাসি আর কাউকে না ?
নয়ন কিছু বলে না শুধু চুপ করে কথা শুনে সোনালির ।
সোনালি বলে , এখনো সময় আছে তুমি আমাকে ভুলে যাও ?
এবার নয়ন বলে , কি করে তোমায় ভুলবো তুমি বলো আমি পারবো না তোমায় ছেড়ে থাকতে ?
সোনালি বলে , চেষ্টা করলে তুমি নিশ্চয় পারবে আমি আসি ?
এই বলে সে চলে যায় আর নয়ন কিছুক্ষন মন দিয়ে ভাবে ।
পরের দিন দুপুরে সোনালি আর সাকিল পার্কে ঘুরতে থাকে আর সেইখানে নয়ন আসে আর বলে , ভয় পেয়েও না আমি কিছু করতে আসি নাই ?
সোনালি বলে , তাহলে কিসের জন্য এসেসো শুনি ?
নয়ন বলে , আমি কাল সারারাত অনেক ভেবে দেখলাম যে জোর করে ভালোবাসা হয় না , আর আমি তোমায় পাবো না কোনোদিন ভাই সাকিল আমি তোমার ভালোবাসা কেড়ে নিতে চাইছিলাম আর তোমার ওপর অন্যায় করেছি আমায় মাফ করে দিও ?
সাকিল বলে , তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছেো যাও তোমাকে আমি মাফ করে দিলাম ?
নয়ন বলে , আমি না হয় আমার এই হৃদয় ভাঙ্গা মন নিয়ে বেচে থাকবো আজীবন ,
তোমরা দুইজন ভালো থেকো ? এই কথা বলে নয়ন সেইখান থেকে হেটে চলে যায় ।
সাকিল বলে। সোনালি আর আমাদের কোন বাঁধা রইল না চলে বাড়ি যায় ?
সোনালি হেসে বলে , চলে যায় ?
আর সাকিল সোনালি দুইজন একের অপর হাত ধরে তারা হেটে চলে যায় ।
( এই নাটকের কাহিনী এখানে সমাপ্ত হল ) ।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( হৃদয় ) গল্পের নায়ক ।
২য় চরিত্র ( রিয়া ও প্রিয়া ) গল্পের নায়কা আর সে দেখতে কালো ।
৩য় চরিত্র ( রনি ) হৃদয়য়ের বন্ধু ।
৪র্থ চরিত্র ( নূপুর ) রনির প্রেমিকা ।
৫ম চরিত্র ( রিয়াজ ) হৃদয়য়ের বন্ধু ।
ষষ্ঠ চরিত্র ( নয়ন ) ভিলেন বা গুন্ডা ।
৭ম চরিত্র ( রুপা ) রিয়ার ও প্রিয়ার বড় বোন ।
৮ম চরিত্র ( হাবীব ইসলাম ) একজন ডাক্তার ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন
আমার নিজের লিখা ৪র্থ উপন্যাস । নাম হলো ( ভালোবাসি তোমাকে ) ।
এটি মূলত একটি Action SAD LOVE STORY ।
উপন্যাসের শুরুতে দেখা যায় যে , রিয়ার বড় বোন রুপা খাবার রেডি করে তার ছোট বোনকে ডাকছে আর রিয়া তার রুম থেকে আছে খাবার খেতে তখন তার
বোন রুপা বলে, নে তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে তুই কলেজে যা তোর কলেজের যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে ? তখন রিয়া বলে , এইতো আপু আমি তাড়াতাড়ি খেয়ে যাচ্ছি ?
রুপা বলে , হয়েছে অনেক এবার চুপচাপ খেয়ে তারপরে তুই কলেজে যা ?
রিয়া বলে ,ঠিক আসে আপু ?
( এরপর খাওয়ার শেষে রিয়া কলেজের যাওয়ার জন্য রেডি হয় তারপর সে তার বোনকে বলে , আপু আমি গেলাম কলেজে bye ? এরপর তার বোন রুপা বলে, তুই সাবধানে যাস কেমন ? এই বলে রুপা একটু হেসে মনে মনে বলে, একটা পাগলি বোন আমার ? আর এতক্ষণ রিয়া তার কলেজের দিকে যায় হেটে হেটে ) ।
রিয়া কলেজের পথে হেটে যাচ্ছে আর তখনি নয়ন তার লোকজন নিয়ে ওর পথ আটকায় আর নয়ন বলে , ওই দাড়া তুই তোর বোন আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে আমাকে চড় মেরে অপমান করেছে আমি অনেক দুঃখ পেয়েছি এখন তোকে উঠিয়ে নিয়ে আমি কিডন্যাপ করবো আর তোর বোনকে ফোন করে আমি তা নিজে জানাবো যে তোকে আমি কিডন্যাপ করেছি আর তা সুনে তোর বোন আমার কাছে এসে বলবে তুমি আমার বোনকে ছেড়ে দাও এর বিনিময় তুমি যা বলবে তা আমি মাথা পেতে নিবো আর আমি তখন বলব আমাকে বিয়ে করতে হবে তোমায় ?
রিয়া বলে , শয়তান তোর এই আশা কোনোদিন পুরন হবেনা আমাকে ছেড়ে দে শয়তান ?
নয়ন বলে , তোকে ছেড়ে দিবো তাহলে আমার আশা পুরন হবে না এই তোরা দাড়িয়ে কি মজা দেখছিস ধর ওকে আর নিয়ে চল ?
( ওরা রিয়াকে যে উঠিয়ে নিয়ে যাবে তখনি ওদের সামনে হৃদয় এসে বলে, তোরা ওই মেয়েকে ছেড়ে দে ?
নয়ন বলে , ছেড়ে দিবো মানে তুই কে বে সালে
হৃদয় বলে , নাম আমার হৃদয় আমি আবারো বলসি তোরা ওই মেয়েকে ছেড়ে দে নইলে সব গুলারে এমন মার দিব না যে নিজের মা বাবা ভাই বোনের নাম ভুলে যাবি
? নয়ন বলে , ঠিক আছে দেখা থাক এই তোরা ওই মেয়েকে রেখে ওকে আগে মার ?
আর মারামারি শুরু হয়ে যায় হৃদয় নয়নের লোক আর নয়নকে মারে আর মার গেয়ে
নয়ন আর লোকজন সেইখান থেকে পালিয়ে যায় ) । তারপর রিয়া বলে, ধন্যবাদ আপনাকে ওদের হাত থেকে আমাকে বাঁচানো জন্য ?
হৃদয় বলে ,IS OK ,? এই কথা বলে হৃদয় সেইখান থেকে চলে যায় আর রিয়া তার কলেজে চলে যায় ।
রিয়া তার কলজে এসে দেখে যে, সেই ছেলেটা তাকে গুন্দার হাত থেকে বাচায় সে ছেলেটা তাদের কলেজে পড়ে আর কার সাথে কথা বলছে আর কি বলসে তা শুনার জন্য সে এক কোনায় বসে সুনে ।
হৃদয় তার বন্ধু রনিকে বলে , কিরে বন্ধু তুই মন খারাপ করে এইখানে বসে আছি কেন ক্লাসে যাবি না ?
তখন রনি বলে , হৃদয় তুই তো জানস আমি নুপুর নামে একটা মেয়েকে ভালোবাসি ?
হৃদয় বলে , হ্যাঁ জানি তো কি ওর সাথে তোর জামেলা হয়েছে ?
রনি বলে , না জামেলা মানে তুই জানস যে ও দেখতে একটু কালো আর ওকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটলে বা কোন জায়গায় নিয়ে যায় তখন আশেপাশে লোকজন নানা রকম কথা বলে যে তুই শেষে একটা কালো মেয়েকে ভালোবাসিস আর সেদিন আমি রাস্তায় দিয়ে হেটে বাড়িতে আসছেছিলাম তখন মানিক বলে ছিঃ বন্ধু তুই কালো মেয়ের সাথে সম্পক করোস আমি তোর জায়গায় হল ওই কালো মেয়েকে পাত্তা দিতেন না তারপর আমি বাড়িতে গেয়ে কিছুক্ষন ভেবে ওকে ফোন দিয়ে বলি আমার সাথে কথা বলবি না তোর সাথে আমার সম্পক শেষ কি এবার বুঝছিস হৃদয় ?
হৃদয় বলে, ছিঃ আমার ভাবতে খারাপ লাগে যে তুই আমার বন্ধু শোন কে কি বললো বলে তুই ওর সাথে তিন বছরের রিলেশন ভেঙ্গে দিলে আর শোন ও তো নিজের ইচ্ছা কালো হয়নি বরং মহান আল্লাহ তায়লা ওকে এই কালো রুপ দিয়েছে তিনি আর শোন কে কি বললো সেটার দিকে না নাকিয়ে নিজের কথা শোন আর কালো বলো মেয়ে খারাপ হবে সেটা কোন কথা না আর মেয়ে সুন্দর হলে মেয়ে ভালো হবে সেটা না সুন্দর হোক বা কালো তাদের চেনার উপায় হচ্ছে মন আর মনটা হলো আসল ?
রনি বলে , বন্ধু আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি আমি তার জন্য ক্ষমা চাইবো নুপুরের কাছে কালকে ?
হৃদয় বলে , তা হলে তুই কাল ওর কাছে ক্ষমা চাইবি চল এখন ক্লাসে যায় ?
এরপর ওরা দুইজন হাসি মুখে একসাথে গলায় হাত দিয়ে ক্লাসে যায় ।
আর এইসব দেখে রিয়া বলে , বাহ তার মনটা কত নরম এমন একজনকে আমার চাই ? এই বলে সেও তার ক্লাস রুমে যায় ।
পরের দিন সকালে কলেজে একপাশে হৃদয় তার চার বন্ধুর সাথে কথা বলছে আর অপরপাশে রিয়া তার বান্দুবিদের সাথে কথা বলছে আর রিয়া ফাকে ফাকে হৃদয়ের দিকে তাকাচ্ছে , আর হৃদয়য়ের বন্ধু রনি তা দেখে বলে , হৃদয় দেখ ওই মেয়েটা তোর দিকে বার বার তাকাচ্ছে ?
হৃদয় একটু তাকিয়ে দেখে বলে , আরে না আমার দিকে তাকাচ্ছে না ও মনে হয় অন্য কারো দিকে তাকাচ্ছে ? এই বলে হৃদয় কথা বাতায় আবার মনোযোগ দেয় ।
আবার রিয়া তাকায় হৃদয়ের দিকে তার পর সেও তার কথাবাতায় মনোযোগ দেয় ।
( এই ভাবে কয়েক দিন চলে ) ।
হঠাই একদিন কলেজ ছুটির পর রিয়া দেখে যে হৃদয় ওর বন্ধুর সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলছে হৃদয় বলে , রনি কাল তুই নোট বুক নিয়ে আসবি ঠিক মনে করে ?
রনি বলে, ওকে আমি নিয়ে আসবো আমি এখন গেলাম তুই থাক ?
এই বলে রনি চলে যায় তার বাড়িতে আর হৃদয় এইখানে দারিয়ে আছে আর এমন রিয়া বলে, আজ ওনাকে একা পেয়েছি আমার মনের কথা বলা এখনি সময় ?
রিয়া হৃদয়ের সামনে গেলে হৃদয় বলে , তুমি তো সে যাকে আমি কিছু গুন্দার হাত থেকে বাচিয়েছিলাম তাই না আর তুমি কি কিছু বলবে আমায় ?
রিয়া বলে, হ্যাঁ , আমি সে মেয়ে যাকে আপনি কিছু গুন্দার হাত থেকে বাচিয়েছিলাম আর আপনাকে একটা কথা বলতে চাই তা হল যা হোক আমি গুসিয়ে সুন্দর করে কথা বলতে পারি না ফুল দিয়ে বলে I LOVE YOU আমি তোমাকে প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলেছি ? তখন হৃদয় ওকে একটা চড় মেরে এরপর রেগে গেয়ে হৃদয়
তখন বলে ,তুমি কি করে ভাবলে আমি তোমার মতন একটা কালো মেয়েকে ভালবাসবো আর আয়নাতে নিজের মুখ দেখেসো কখনো একদম কালো
ভুত ?
রিয়া বলে, সেদিন আপনি আপনার বন্ধুকে বলছেন কালো হোক বা সুন্দর তাদের চেনার উপায় হচ্ছে মন মনটা হচ্ছে আসল ?
হৃদয় বলে , ও ওই কথা আমার কাছে আসল হচ্ছে সুন্দর চেহারা মন না আর তুমি চলে যাও আর আমার সামনে আর আসবে না ? এই বলে হৃদয় সেখান থেকে রেগে চলে যায় তার বাড়িতে আর রিয়া কেদে কেদে হাঁটতে হাঁটতে সে Bridge এর সামনে এসে রিয়া বলে আমি আমার এই জীবন আর রাখবো না শেষ করে দিবে এই পানিতে লাফ দিয়ে ? এই বলে যে লাফ দিতে যাবে তখন নয়ন তার লোক নিয়ে এসে বলে, সেদিন তোকে হৃদয় বাচিয়েছে আজ তোকে কে বাচাবে আমার হাত থেকে ?
রিয়া বলে, তোমরা আমায় মেরে ফেল আমার আর বাচার ইচ্ছা আর নেই ?
নয়ন বলে , তাহলে দিরি কিসের ওই যা তোরা ওকে এমন মার মারবি ওকে ও যেন এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেই কেউ আমার কাছে এই প্রথম কিছু চাইছি আমি আবার দয়াল সাগর ওর ইচ্চা পুরুন করে দেয় ?
এই বলে রিয়াকে এমন মার দেয় যে ওর মুখের চেহারা ভিগড়ে যায় আর রিয়া জ্ঞান হারিয়ে নিচে পড়ে যায় আর ওরা চলে যায় ।
এমন সময় গাড়িতে করে যাচ্ছে ডাক্তার হাবীব ইসলাম আর রিয়াকে দেখতে পেয়ে তার গাড়িতে করে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে তাকে তার মুখে প্লাস্টিক সাজারি করে অন্য একজনের চেহারা বসিয়ে দেয় ।
( প্রায় তিন মাস পর রিয়ার জ্ঞান আসে আর সে বলে , আমি কোথায় ?
হাবীব ইসলাম বলে , তুমি আমার বারিতে আসো তোমার নাম কি মা ?
রিয়া বলে , আমার না ম রিয়া ? এরপর ডাক্তার একটা আয়না এনে তাকে দেখা সে দেখে তার মুখে একটা সুন্দর মেয়ের মুখ সে অবাক হয়ে বলে ,এটা কার মুখ দেখছি আমি এটা তো আমার মুখ না আমি তো কালো ছিলাম ?
তখন হাবিব বলে , এটা আমার মেয়ে প্রিয়া মুখ আজ থেকে তিন বছর আগে আমার মেয়ে প্রিয়া পানিতে পরে মারা যায় আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে প্রিয়া ? তোমাকে আমি কলেজে ভতি করিয়ে দিবো ? আর তাকে ভতি করিয়ে দেয় ) ।
পরের দিন প্রিয়া কলেজে যাওয়ার আগে নয়নকে খুঁজে বের করে খুব মারে আর তারপর সে কলেজে ঢুকলে সব ছেলেরা পাগল হয় । হৃদয়ের বন্ধু রিয়াজ ওই মেয়ের প্রেমে পরে যায় আর তাকে গেয়ে I LOVE YOU বলে কিন্তু পাত্তা দেয় না সে । রিয়াজ হৃদয়ের কাছে গেয়ে বলে , মামা একটা সে রকম দেখছি আমাদের এই কলেজে তাকে গেয়ে আমি I LOVE YOU বললে সে আমাকে পাত্তা দেয় না হৃদয় তুই মেয়েটাকে গেয়ে পটিয়ে আয় ?
হৃদয় বলে , আমিও দেখিছে তাকে বাহ খুব সুন্দর মেয়ে আমি আগে দেখি নাই মনে হয় ও শুধু আমার জন্য এই কলেজে এসেছে আজকে কলেজ ছুটি হওয়ার পর আমি একলা গেয়ে ওই মেয়েকে বলবো আমার মনের কথা ?
কলেজ ছুটির পর প্রিয়া রাস্তা দিয়ে তার বাড়ির পথে যাচ্ছে তখন হৃদয় এক ছুটে এসে বলে, এই যে দাঁড়ান আপনাকে আমার একটা কথা বলা আছে ?
প্রিয়া বলে , কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন আমাকে বাসাই যেতে হবে ?
হৃদয় বলে , তোমাকে কলেজে প্রথম দেখে আমি সে তার হাত থেকে ফুল বের করে বলে ,আমি তোমাকে ভালোবাসি I LOVE YOU বলে ?
তখন প্রিয়া ওকে একটা চড় মেরে এরপর রেগে গেয়ে প্রিয়া
তখন বলে ,তুমি কি করে ভাবলে আমি তোমার মতন একটা ছেলেকে ভালোবাসবো আর আয়নাতে নিজের মুখ দেখেসো কখনো ?
আর হৃদয় বলে , এই কথা তো আমি ?
প্রিয়া বলে , আপনি আজ থেকে কয়েক মাস আগে কোন একজনকে এই সব কথা বলেছিলেন ?
হৃদয় বলে , কিন্তু তুমি কি করে জানলে এইসব ?
প্রিয়া বলে , সে একজন হলাম আমি ?
হৃদয় বলে , কিছু বুঝলাম না আমি ?
প্রিয়া বলে , আমি বুঝিয়ে বলি সেদিন আপনি আমার ভালোবাসা গ্রহন না করে আমায় অপমান করে তারিয়ে দেন আর আমি তখন সিধান্ত নেই পানিতে দুবে মারা যাবো আর সেইখানে সেই গুন্ডা এসে আমার মুখ নষ্ট করে দেয় আর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মাটিতে পড়ে যায় তখন ডাক্তার হাবীব এসে আমায় সেখান থেকে তুলে নিয়ে আমায় নুতুন এক মুখ আর নুতুন জীবন তান করে আর সেদিন আমি কালো বলে আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে অপমান করেছিলে আর আজ সুন্দর বলে সেই তুমি আমার জিবনে আসতে চাইছিলে ?
হৃদয় বলে , আমার ভুল হয়ে গেছে তুমি আমায় মাফ করে দিয়ে চলে আমরা আবার নত্তুন করে শুরু করি ?
প্রিয়া বলে , তার আর দরকার নেই আমার মনে এখন তুমি আর নেই তুমি ভালো থেকো ? এই বলে প্রিয়া সেখান থেকে চলে যায় আর হৃদয় তার হাত বাড়িয়ে তাকে ডাক দেয় কিন্তু প্রিয়া তা না সুনে সে হাঁটতে থাকে ।
( এই ভাবে এই উপন্যাসের কাহিনী শেষ হয় ) ।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( রাজ খান ) গল্পের নায়ক ।
২য় চরিত্র ( সাকিল ) গল্পের ভিলেন এবং সাইড নায়ক ।
৩য় চরিত্র ( নিলা আহাম্মেদ ) গল্পের নায়কা ।
৪র্থ চরিত্র ( সজল ) সাকিলের ডানহাত ।
৫ম চরিত্র ( রফিক ) সাকিলের বামহাত
৬ ষষ্ঠ চরিত্র ( রাকিব ) রাজের বন্ধু ।
৭ম চরিত্র ( প্রিয়া ) নিলার বান্ধুবি ।
( লেখক )
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন
আমার নিজের লিখা ৩ য় ছোট গল্প । নাম হলো ( ভিলেন ) ।
এটি মূলত একটি রোমান্টিক SAD LOVE STORY গল্প ।
গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে ,
নিলা আহাম্মেদ আর তার বান্ধুবি প্রিয়া দুইজনের একসাথে কলেজ যাচ্ছে আর তাদের সাথে দেখা হয় রাজ খানের সাথে । তখন রাজ বলে, নিলা আজকে কলেজ ছুটির পর তুমি আর আমি পার্কে ঘুরতে যাবো তুমি কি বল নিলা ?
তখন নিলা বলে একটু ভেবে বলে আমি যাবো তোমার সাথে ?
প্রিয়া বলে, আর আমি ?
রাজ বলে, আমি আর শুধু নিলা যাবো তুমি না ?
নিলা বলে , ও থাক আমাদের সাথে ?
রাজ বলে , তুমি যখন বলছো তাহলে ও থাক আমাদের সাথে ?
এই বলে তারা তিনজন কলেজে যায় আর নিলা ও প্রিয়া ওদের ক্লাস রুমে যায় ।আর রাজ ওর ক্লাস রুমে যায় আর ওই খানে রাজের বন্ধু রাকিব বলে, কিরে মামা তোকে আজকে পুরা নায়ক দেখচ্ছে কারন কি ?
তখন রাজ বলে, আজ আমি নিলার সাথে পার্কে ঘুরতে যাবো তাই এই কারন ?
রাকিব বলে, ও এ ব্যাপার ? ( আর তখন তাদের রুমে শিক্ষক এসে পরে আর ক্লাস শুরু হয়ে যায় )। কলেজ ছুটি হয়ে গেল রাজ ও নিলা পার্কে ঘুরতে যায় আর তাদের সাথে প্রিয়া যায় । ওইখানের নিলা আর রাজ তারা দুইজনের একের অপরকে মনের কথা বলছে আর অন্যদিকে প্রিয়া একলা বসে আছে পার্কের চেয়ারে । এবং তারা অনেকক্ষণ এইখানে সময়কাটানোর পর তারা তিনজন চলে যায় যে যার বাড়িতে ।
( পরেরদিন সকালে রফিক এক প্যাকেট সিগারেট থেকে একটা সিগারেট বের করে দেয় তাদের বস সাকিলকে আর সাকিল সেই সিগারেট তার মুখে নিয়ে তার পকেট থেকে গ্যাসলাইট বের করে আগুন জ্বালিয়ে ধুমা বের করে )। গ্যাসলাইট পকেটে ঢুকানো সময় তা পড়ে যায় আর তা তুলার জন্য সে নিচে হাত দেওয়ার আগে নিলা তার গ্যাসলাইট উঠিয়ে তাকে দিলে সে নিলার হাত থেকে তা আবার নিচে ফেলে দিয়ে তা উঠিয়ে সাকিল বলে, সাকিলের কাজ সাকিল নিজে করতে পারে কাউকে প্রয়োজন হয় না ?
তখন নিলা বলে , আপনার হাত থেকে গ্যাসলাইট নিচে পড়ে গেছে তা উঠিয়ে দিতে চাইছি আর আপনি আমার আমার সাথে এমন করলেন আমি তো আপনার সাহায্য করতে চেয়েছি ?
সাকিল বলে, বললাম না যে সাকিলের কাজ সাকিল নিজে করে কাউকে প্রয়োজন হয় না ?
নিলা বলে, আপনি একটা অভদ্র লোক আপনার উপকার করতে আসা আমার ভুল ? এই বলে নিলা চলে যায় । তখন সজল বলে বস আপনি কিছু বললেন যে আপনাকে এতো কথা শুনিয়ে গেল ?
সাকিল বলে , বাদ দে ওই মেয়ের কথা তোরা জানস যে আমি কোন মেয়ের গায়ের হাত দেই না আর শোন তোরা গেয়ে বাকি চাদা নিয়ে আয় অর কাজ থেকে না দিলে একদম শেষ করে দিবি যা ? তার পর ওরা দুইজন ওই খান চলে যায় ।
বিকেলবেলা রাজ নিলার জন্য অপেক্ষা করে নিলাদের বাড়ির রাস্তার সামনে নিলা এলে তারা দুইজন মিলে ওই পার্কে যায় তারা দুইজন অনেক কথা বলে তখন নিলা বলে , রাজ আজকে সকালে আমি যখন ঘর থেকে প্রিয়াদের বাড়ির যাওয়ার পথে দেখি তিনটা ছেলে একজনের হাত থেকে গ্যাসলাইট পড়ে গেল আমি আমি তা উঠিয়ে দিলে পরে সে তা নিচে ফেলে আবার উঠিয়ে বলে , সাকিলের কাজ সাকিল নিজে করতে পারে কাউকে প্রয়োজন হয় না ? এই কথা সুনে তখন
রাজ বলে, আরে বাদ দাও ওই সব কথা চলে আমরা ওইদিকে যাই চলে ?
নিলা বলে, চলে যায় ? এই কথা বলে তারা দুইজন যায় ।
আর এই দিকে রফিক আর সজল একজনকে ধরে আনে সাকিলের সামনে ।
সাকিল বলে , তোর এতো বড় সাহস তুই সাকিলকে উপরে পাঠিয়ে দিতে চাস তোকে আজ আমি উপরে পাঠিয়ে দিবো ? এই বলে লোকটার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে মেরে ফেলে আর তারপর তার লোকজন ওই লাশ নদীর পানিতে ফেলে দেয় ।
( ওই দিকে নিলা আর রাজ তাদের বাড়িতে চলে যায় ) ।
পরেরদিন বিকেলবেলায় নিলা সুন্দর করে সাজে আর একটা সুন্দর লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে বের হয় ঘর থেকে কারন আজ তার বান্ধুবি প্রিয়ার জন্মদিন । সে ওইখানে যাওয়ার আগে হঠাই সাকিলের চোখ পরে যায় তার দিকে আর সাকিলের মনে ধরে তাকে । আর ওইখানে গেয়ে প্রিয়ায় সাথে কেক কাটে আর মজা করে এবং পরে সে তার বাড়িতে চলে এসে ঘুমিয়ে পড়ে । কয়েকদিন সাকিল নিলাকে দেখে আর ওর ভালো লেগে যায় আর সাকিল ঠিক মতন কোন কাজ করতে পারে না খালি ওই মেয়েকে সে তার স্বপ্নে দেখে ।
হথাই একদিন সকালে সজল বলে, বস আপনার কি হইছে কাল বিকেলবেলায় ওই মেয়েকে দেখে আপনি সারাকক্ষন কি ভাবেন এতো ?
রফিক বলে , আরে বিটা বসে প্রেমে পড়ছে ওই মাইয়ার কি বুজলি তুই ?
সজল বলে , আপনি একবার হুকুম দেন আমাদের দুইজনকে আমরা ওই মেয়েকে আপনার সামনে উঠিয়ে নিয়ে আসবো ?
সাকিল বলে, না উঠিয়ে আনার দরকার নেই আমি নিজে কালকে ওকে আমার মনের কথা বলবো কিন্তু কি ভাবে ?
রফিক বলে, বস আপনি কালকে একটা ফুল নিয়ে ওকে ভালোবাসার কথা বলবেন ?
সাকিল বলে , হ্যাঁ ফুল নিয়ে যাবো আর আমার মনের কথা বলব ?
( এরপর পরেদিন দুপুর বেলা নিলা আর রাজ কথা বলে ) । নিলা রাজকে বলে , অনেকদিন হইছে আমাদের প্রেম চলে না আমরা বিয়ে করি ?
রাজ বলে , আমি আমার বাবা মাকে বলবো আমাদের বিয়ে কথা আজকে ?
নিলা বলে , সত্যি বলবে আমাদের বিয়ের কথা তোমার মা বাবাকে ?
রাজ বলে , হ্যাঁ বলবো ?
এর পর রাজ ওর বাসাই চলে যায় আর নিলা ওর বাড়ির পথে যেতে হঠাই সাকিল ওর দিকে এগিয়ে এসে বলে, দাড়াও তুমি তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ?
নিলা বলে , আপনার সাথে কি কথা বলবেন আর আপনার কথা শোনার সময় নেই পথ সারুন আমায় যেতে দেন ?
সাকিল বলে , যাবে তার আগে আমার কথা সুনে যাও তুমি ?
নিলা একটু রেগে বলে , কি বলবেন বলেন আমি সুনি ?
তখন সাকিল একটু নার্ভাস ফিল করে ,
সাকিল বলে। দেখো আমি ছোট বেলা থেকে বড় হইছি বন্দুক আর চুরি চাপাতি হাতে নিয়ে কখনো একে মেরে ওকে মেরে আজ আমি হলাম এই শহরের মাস্তান কখনো কোন মেয়ের দিকে আমার চোখ পরে নাই কিন্তু আজ তোমার দিকে চোখ পরে আর তখন থেকে আমি কেমন যেন হয়ে গেছি খালি তোমার স্বপ্ন দেখি আমি তোমাকে ভালোবাসি I LOVE YOU ? তাকে ফূল দিয়ে এই কথা বলে সাকিল ।
তারপর একটু হেসে নিলা বলে , সরি আমি আপনার সাথে রিলেশন করতে পারব না আমার বয়ফেন্দ্র আছে আর তা ছাড়া আমি আপনার মতন একটা মাস্তানকে ভালবাসবো ভাবলেন কি করে ?
সাকিল বলে , আমি কথা দিসচ্ছি তোমায় আমি ভালো হয়ে যাবো ওই সব ছেড়ে দিবো আমি শুধু তোমাকে চাই ? এই কথা বলে সাকিল নিলার হাত ধরলে নিলা সাকিলকে একটা চড় মেরে বলে , শোন তুই ভালো করে আমি রাজকে ভালোবাসি আর রাজ আমায় ভালোবাসে আর ওকে আমি বিয়ে করবো ? এই বলে নিলা সেইখান থেকে চলে যায় । আর সাকিল বলে , আমি তোমাকে না পেলে আর কাউকে পেতে দিবো না ? এই কথা বলে সাকিল চলে যায় ।
আর পরের দিন সকালে সাকিল একলা তার মটরসাইকেলে বসে অনেক ভেবে তারপর বিকেলবেলায় যখন নিলা রাজের সাথে দেখা করতে যাবে পার্কে আর পার্কে কাছে আসে আর সাকিল সেখানে তাকে ফলো করে এসে তার সামনে দাড়াই আর বলে, কি সেদিন তুই আমাকে চড় মেরেছিলিস আর আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিছে তাই না আর আমি তোকে উপড়ে পাঠিয়ে দিবো ?
নিলা বলে,মানে ?
সাকিল বলে, আমি বুঝিয়ে দেই আমি তোকে না পেলে কাউকে পেতে দিবো না ?
এই বলে সাকিল নিলাকে ছুরি মেরে তাকে খুন করে আর সেখান থেকে চলে যেতে রাজ এসে দেখে নিলাকে সাকিল ছুরি মেরেছে আর নিলা মারা যায় আর রাজ তাকে বুকে ধরিয়ে ধরে কাদে আর বলে না নিলা তুমি আমাকে একা করে চলে যেতে পারো না
তুমি চোখ খুলো নিলা ? আর শেষে সাকিলকে বলে ওই দাড়া ? আর সাকিল পিছনে তার দিকে তাকিয়ে চলে যায় ।
( এই খানে এই ছোট গল্প শেষ ) ।
 
 
 
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( মাসুদ ইসলাম রনি ) সীমার সৎ বাবা ।
২য় চরিত্র ( কেয়া বেগম ) সীমার মা ।
৩য় চরিত্র ( সীমা ইসলাম নিলা ) মূল চরিএ ।
৪র্থ চরিত্র ( সাহিদুল ইসলাম মান্নফ ) সীমার সৎ কাকা ।
৫ম চরিত্র ( রফিক ) সীমাদের প্রতিবেশী ।
(লেখক)
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ২য় ছোট গল্প । নাম হল ( সৎ মেয়ে সীমা ) ।
এটি মূলত একটি পারিবারিক গল্প নিয়ে এর কাহিনী লিখা । সীমার বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা কেয়া বেগম মাসুদ নামে এক লোককে বিয়ে করে । এখন সে তার মেয়েকে নিয়ে মাসুদের বাড়িতে থাকে । মাসুদ লোকটি প্রতিদিন তার সৎ মেয়েকে খালি কাজ করায় কিন্তু ঠিক মতন খেতে দেয় না । একদিন সীমা ঘরে কাজ করতে গেয়ে পানির জগ তার হাতে লেগে পরে যায় আর তখন মাসুদ এসে বলে, দিসে রে দিসে আমার পানির জগ নিচে ফেলে তোর এতো সাহস আমার পানির জগ নিচে হালিয়ে দিস তোকে আজ মেরে ফেলব ? আর মারতে থাকে। তখন সীমার মা এসে বলে , আপনি ওকে মারসেন কেন ও কি অনায় করসে ? তখন মাসুদ বলে, ওকে মারব না তো আদর করবো ও আমার পানির জগ নিচে ফেলে দিয়েছে ? এই বলে ওকে মারবেন আপনি যদি ওকে মারেন তাহলে আমি অকে নিয়ে চলে যাবে? মাসুদ বলে তুই যাইতে পারবি না গেলে ও যাবে ? এই বলে মাসুদ চলে যায় । পরের দিন মাসুদ আবার বলে , শোন আমি একটু রফিকদের বাড়িতে যায় এসে যেন দেখি তুই সব হারি পাতিল ধুবি আর আমার গাছে পানি দিবি এসে না দেখি তাহলে তর খাবার খাওয়া বন্ধ ? এই কথা বলে সে রফিকদের বাড়িতে যায় । ( আর এই দিকে সীমা কাজ করছে তার আপন মনে তার মা দেখে বলে তোর এইসব করতে হবে না তুই করে জা আমি করছি ? আর সীমা তার ঘরে যায় ) ওই দিকে মাসুদ রফিককে বলছে , রফিক ওই মেয়েকে নিয়ে পাড়া যায় না আমি বিয়ে করছি ওর মাকে আমি কেন ওর মেয়ের দায়িত্ব নিব বল কেন ? তখন রফিক বলল , আমি বলি তুমি বরং ওই মেয়েকে খুন করে ফেলো তাহলে তোমার জামেলা মিতে যাবে ? মাসুদ কিছুক্ষন ভেবে বলল, তুই ঠিক বলছিস ওকে খুন করে ফেলবো ? রফিক বলে কবে করবে ? মাসুদ বলে করব খুব তাড়াতাড়ি তোকে সেদিন বলবো আর আমরা দুইজন মিলে কাজ শেষ করবো ? এই কথা বলে মাসুদ তার বাড়িতে যায় আর গেয়ে দেখে যে সব কাজ শেষ । মাসুদের ছোটভাই বলল ভাইজান তোমাকে একটা কথা বলি ? মাসুদ বলল আমি সেই প্রথম দিন থেকে দেখছি যে যখন তখন তুমি সীমাকে কাজ করায় খেতে দেও না ? চুপ কর বেয়াদপ আমার মুখেমুখে কখা বলিস তুই যা এখান থেকে তুই আর তার ভাই মান্নাফ তার ঘরে চলে যায় । মাসুদ বেসি কখা না বলে ঘরে গেয়ে দেখে ও সুয়ে আছে তখন মাসুদ বলে কি ঘুমানো হচ্চে জা ঘর ঝাড়া দে ? ( সীমা কেদে কেদে ঘর ঝাড়া দেয় ) । আর তার মা এলে সেই ঝগড়া শুরু হয় । আর এইখানে তার ভাই আসে আর দেখে আর তার ভাইকে আবার বলে তুমি ওকে দিয়ে কাজ করাছো যা মা তুই বাইরে গেয়ে খেল ? তুই কিন্তু আবার আমার মুখেমুখে কথা বলিস ? তখন মান্নফ বলে , ও যদি তোমার নিজের সন্তান হতো তুমি কি ওকে কাজ করাতে না করাতে বরং বারিতে একটা চাকর রাখতে যে ওর সব কাজ করে দিত ? মাসুদ বলে , বাড়ি কাজ করতে বলেছি বলে তুই আমার এই সব বলসিস আর শণ ও যদি আমার নিজের মেয়ে হতো ওকে আমি কাজ করতে দিতাম না আর ও হচ্ছে আমার সৎ মেয়ে ওকে কোনোদিন আমার নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দিব না আর তোরা এখন যা আমার সামনে থেকে ? আর তারা চলে যায় ।( পরের দিন মাসুদ রফিককে ডেকে বলে আজ ওকে খুন করে মেরে ফেলবো ঘাড় থেকে একটা বোজা নামাবো ? এই বলে সে হাসে হাহাহাহা করে ) । তারপরে মাসুদ বাড়িতে আছে আর বলে, কেয়া আমি আমার ভুল বুজতে পারছি কালকে তোমরা যাওয়ার পর আমার ছোট ভাইয়ের কথা আমি ভাবছি সারারাত আমি তোমায় মেয়েকে মেনে নিলাম ওকে ডাকো ? তার ভাই মান্নাফ বলে সত্যি ভাইজান তুমি সীমাকে নিজের মেয়ে বলে মেনে নিয়েছ খুব ভালো ভাবি সীমাকে ডাকেন আজ আমাদের খুসির দিন ? তখন মাসুদ মনে মনে বলে খুসির দিন না কান্না দিন সেটা টের পাবে আজ ? এবার হেসে সবার সামনে বলে হ্যাঁ খুসির দিন ? সীমা আসে আর তার মা বলে , মা সীমা তোর বাবা তকে নিজের মেয়ে মেনে নিয়েছে? সীমা বলে আমি আপনাকে বাবা বলে ডাকি ? মাসুদ মনে মনে বলে, আজ তো তোমার জিবনের শেষ দিন ডাকো বাবা বলে ? এবার সবার সামনে বলে , তুমি বাবা বলে ডাকো ?সীমা মাসুদকে বাবা বলে ডাকে তা দেখে সবাই খুসি কিন্তু মাসুদ মনে মনে রাগে । এবার বলে মা সীমা চলো তোমাকে আমি আজকে বা এখনি মেলায় নিয়ে যাবো ? সিমা তো খুব খুসি । তার মা বলে মেয়েকে নিয়ে ১ম বার মেলায় জাবেন ওকে নুতুন পোশাক আর ভাত খাইয়ের দেই তার পর আপনি ওকে নিয়ে মেলা জাবেন ? মাসুদ বলে ঠিক আছে যাও তারাতারি রেদি করে নিয়ে আসো ? সীমাকে তার মা রেদি করে আনে খাইয়ের আনে । ( এর পর তার মা আর কাকাকে বিদায় দিয়ে তার সৎ বাবার সাথে যায় , তার বাবা তাকে একটা ঘন জঙ্গলে নিয়ে আসে সেই খানে আসে রফিক দারিয়ে আর ওকে নিচে নামায় আর বলে মেলা যাবি আজ তোকে জমের বারিতে পাথিয়ে দিবো ) এই বলে মাসুদ রফিকের কাছ থেকে তলোয়ার নিয়ে যে ওকে মারবে তখন সীমা বলে , আমায় মেরো না আমি তো তোমার মেয়ে তুমি তো বলেছিলে বাবা ? এবার মাসুদ বলে, আরে ওটা তো ছিল শুধু অবিনয় আর ওই অভিনয় না করলে ওরা আমার সাথে কখনো তোকে যেতে না কারন আমি তো দেখতে পারি না যদি তর কোন ক্ষতি করি তাই এই অভিনয় করেছিলাম ? সীমা বলে আমায় মেরো না আমায় ছিড়ে দাও ? মাসুদ বলে হ্যাঁ তোকে ছিরে দিব কিন্ত মেরে ? এই বলে একটা কুপ দিয়ে শেষ করে দেয় আর তারা এইখানে থেকে পালিয়ে যায় আর পরে থাকে সীমার লাশ ।পরের দিন পুলিশ সীমার লাশ নিয়ে আসে তার বাড়িতে তা দেখে তার মা কেদে বলে, সকালে এসে বলে এই পাষাণ আমার মেয়েকে ও মেনে নিয়েছে আর ওকে মেলায় নিয়ে যাবে বলে ওকে নিয়ে যায় আমি যদি জানতাম আমার মেয়ের এই দশা হবে তা হলে আমি ওকে আর সাথে যেতে দিতাম না দারাগা সাহেব আমি এই দুইজনের ফাসি চাই আর কেউ যেন আমার মতন এই ভুল না করে ২য় বিয়ে করে ? এই বলে মা কাদে । আর রফিক ও মাসুদকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ । ( এই খানে এই ছোট গল্প কাহিনী শেষ ) ।
 
 
 
 
 
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( করিম ইসলাম নয়নের বাবা ) ৩০
২য় চরিত্র ( রুপা বেগম নয়নের মা ) ২৬
৩য় চরিত্র ( নয়ন ) এই নাটকের মূল চরিত্র । ১২
৪র্থ চরিত্র ( সাওন নয়নের বন্ধু ) ১১
৫ম চরিত্র ( রবিন নয়নের বন্ধু ) ১১
৬ ষষ্ঠ চরিত্র ( শফিক একজন চাষি ) ২৮
৭ সপ্তম চরিত্র ( কালু শফিকের ছোট ভাই )২৭
লেখকের নাম হল
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন ।
আমার নিজের লিখা ১ম নাটক । এটি মূলত মা বাবার সন্তান হারা নিয়ে এই নাটকের গল্প। নাটকটির নাম হল ( আদরের সন্তান নয়ন ) । করিম ইসলাম হলেন একজন চাষি , সে ধান চাষ বাস করে তার সংসার চালায় । একদিন সে তার জমিতে ধানের উপর সার ছিটিয়ে দিসছে । এমন সময় শফিক এসে বলে , কি তোমার জমিতে সার দিতে আসো ? তখন করিম বলে , এইতো সার দিসছি না হলে যে ফসল ভালো হবে নে তো তোমার জমি ধান পাকিয়ে গেছে কাটবে নে ? শফিক বলে হ্যাঁ কাটিব , আমি বাড়ি যায় তাহলে তুমি থাকো ? এই বলে সে চলে যায় । (আর করিম তার কাজ করতে থাকে ) । দুপুর হয়ে গেলে সে বাড়ি থেকে আনা খাবার খেয়ে , আবার কাজ করে। তার কাজ শেষ করে সে বাড়িতে যায় সন্ধ্যার দিকে , সে বাড়িতে গিয়ে তার বউ রুপাকে ডাকে , রুপা কোথায় গিলি রুপা ? এই ডাকের আওয়াজ পেয়ে রুপা তার রান্না ছেড়ে বাহিরে এসে বলে, ও তুমি এসে গেছে , তোমার এইসব আমায় দিয়ে তুমি হাত মুখ ধুয়ে খেতে আসো আমি খাবার দিসছি ? করিম হাত মুখে ধুয়ে এসে খাবার খাই আর বলে, কোথায় আমার সোনা মানিক নয়ন ? তখন রুপা বলিলো ও ঘুমাছে ? করিম বলে আচ্ছা ঘুমাক ? হঠাই নয়ন এসে বলে বাবা ? করিম বলে নয়ন সোনা তুমি ঘুমাইনি ? তখন নয়ন বলে আমার ঘুম আসে না আমায় গল্প সুনালে ঘুম আসবে ? তখন করিম বলে , ঠিক আছে আজ আমি তোমাকে চাঁদের বুড়ির গল্প শুনাবো ? করিম খাবার খেয়ে তার ছেলেকে চাঁদের বুড়ির গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ায় , আর তারাও ঘুমিয়ে পরে । ( রাত পেরিয়ে হয় ভোর , করিম আর তার বউ রুপা ফজরের নামাজ আদায় করে ) নামাজ পড়া হলে করিম তার জমির কাজে যায় আর রুপা তার রান্নাবান্না করতে থাকে, তার পরে সে তার ছেলে নয়নকে বলে , নয়ন তুই রবিনদের বাড়ি গিয়ে একজোড়া বাতাবি লেবু নিয়ে আসবি ? নয়ন বলে ঠিক আছে আমি গেলাম বাতাবি লেবু নিয়ে আসতে ? এই কখা বলে নয়ন যায় । রবিনদের বাড়িতে এসে সে বাতাবি লেবু নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে আর তার মায়ের কাছে দেয় । নয়ন বলে, মা আমি খেলিতে গেলাম ? তার মা রুপা বলে তুই তাড়াতাড়ি চলিয়া আসিস ? নয়ন বলে ওকে মা আমি যায় ? ( এই কখা বলিয়া নয়ন চলিয়া যায় খেলিতে )। নয়ন খেলার জন্য আছে তাদের পোরানো মাঠে ওই খানে একপাশে একটা পরিত্যক্ত ময়লা ফেলার একটা পাইপ আসে সে পাইপের ভিতর ৬০০ ফুট গভীর আছে , এর মধ্যে কেউ পড়লে সে আর বাচবে না ?সেইখানে নয়ন, রবিন,আর সাওন ওরা তিনজন মিলে ব্যাটবল খেলে । নয়ন শাওনকে বলে , তুই অস্তে বল কর ? তখন রবিন বলে না তুই ওর কখা না শুনে বল গতিতে কর ? এই কখা নিয়ে রবিন আর নয়নের মাঝে ঝগড়া হয় ,আর ওদের খেলা নষ্ট হয়ে যায় । ( ওরা তিনজন যে যার বাড়িতে চলে যায় ) । আর এই দিকে নয়নের বাবা করিম কাজ শেষ করে বাড়িতে চলে আসে । বাড়িতে গিয়ে একটু ঝিরায় আর বলে, রুপা নয়ন কই ওকে ডাকো ? রুপা নয়নকে ডাকে , বাবা নয়ন এইদিকে আসো তোমার বাবা ডাকছে ? নয়ন এসে বলে বাবা আমাকে ডাক দিলে কেন ? তখন করিম বলল বাবা তুমি তো এখন বড় হয়েসো তোমাকে এবার স্কুলে যেতে হইবে আমার সাথে কালিকে তুমি যাবে স্কুলে ভতি হতে কেমন ? রুপা বলিল কিরে নয়ন স্কুলে ভতি হবি নে ? নয়ন বলে হ্যাঁ আমি স্কুলে যাবে , আচ্ছা মা ওই স্কুলে আমার নুতন বন্ধু হবে আর নুতুন বই পাবো বল না মা ? তখন রুপার পরিবতে তার বাবা করিম বলে হ্যাঁ সব হবে ? এই কখা সুনে নয়ন খুব আনন্দ পায় । (আর তার সাথে তার মা বাবা মুখে হাসি পায় ) । পরের দিন সকাল দিকে করিম তার ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে স্কুলের ভতি করার জন্য । স্কুলে গিয়ে হেডমাস্টার সাহেবের রুমে ঢুকে পড়ে , আর করিম বলে সার এই হচ্ছে আমার সন্তান নয়ন ওকে আপনার স্কুলে ভতি করার জন্য নিয়ে এলাম ? তখন হেডমাস্টার বলে , ও আচ্ছা , এই যে বাবা তোমার নাম নয়ন তাই না ? তখন নয়ন বলে আমার নাম নয়ন ? হেডমাস্টার নয়নকে বলে , আমার স্কুলের তোমার কাছে কেমন লাগে আর তুমি কি এইখানে পড়তে চাও ? তখন নয়ন বলে হ্যাঁ আমার কাছে আপনার স্কুল ভালো লেগেছে ,আমি এই খানে পড়তে চাই ? এই কখা সুনে স্কুলের হেডমাস্টারে মুখে হাসি ফোটে , অবশেষে নয়নের বাবা নয়নকে স্কুলে ভতি করিয়ে নুতুন বই নিয়ে বাসাই চলে যায় । বিকেল বেলায় নয়নকে নিয়ে তার বাবা তাদের গ্রামের গঞ্জে নিয়ে ভালো দেখে একটা নুতুন ব্যাগ কিনে দেয় নয়নকে । ( নয়ন নুতুন ব্যাগ পেয়ে আনন্দে মন ভরে যায়) রাতের বেলা নয়ন স্কুলের ব্যাগ নিজের কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়ে আর সে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে সে তার নুতুন বাগ আর নুতুন বই নিয়ে স্কুলে গেছে, আর তার অনেক বন্ধু হইছে ,আর সে বন্ধুদের সাথে খেলা করতে আসে ) আর তার ঘুম ভেঙ্গে যায় আর স্বপ্ন । সকাল বেলা তার মার কাছে সে বলে , মা আমি না স্বপ্ন দেখছি যে আমি নুতুন ব্যাগ আর নুতুন বই নিয়ে স্কুলে গেছি আর অনেক বন্ধু হইছে আর তাদের সাথে খেলা করছিলাম এমন সময় স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় মা আমার স্বপ্ন সত্যি হবে ? তখন মা বলে তাই হবে ? এর পরে নয়ন বলে, মা আমি খেলিতে গেলাম ? তখন রুপা বলে তুই আজ না গেলে হয় না আমিও কালিকে একটা খারাপ স্বপ দেখছি তোকে নিয়ে যাস নে তুই আজ খেলিতে ? নয়ন বলে , মা তুমি চিন্তা করিয়ে না আমায় নিয়ে, আমার কিছু হবে না আমি গিলাম ? ঠিক আছে তুই যা তবে সাবধানে খেলিস বরং আর তাড়াতাড়ি চলিয়া আসিস ? নয়ন একছুটে চলে যায় সে জায়গায় খেলতে। তার মা খুব চিন্তায় পরে যায় । ( নয়নের বাবা ঘরে এলে তার মা তার দূর চিন্তায় কখা খুলে বলে তার
স্বামীকে ? তার স্বামী তুমি শুধু শুধু এই সব নিয়ে ভেবো না ? আমাদের ছেলের কিছু হবে না ? এর পর করিম ভাত খাই । ওই খানে নয়ন, রবিন আর সাওন সহ আরও ছেলে মিলে ব্যাটবল খেলে , হঠাই তাদের বল গেয়ে পরে সেই তাদের পোরানো মাঠে ওই খানে একপাশে একটা পরিত্যক্ত ময়লা ফেলার একটা পাইপ এর ভিতরে , নয়ন আর তার বন্ধুরা মিলে সেই বল উঠাতে অনেক চেষ্টা করে কিন্তু তাদের লাঠি লাগোর পাই । পরের তারা একটা রশি নিয়ে আসে আর তার ভিতরের দেয় কিন্তু কিছু হয় না । ( এমন সময় হঠাই নয়ন পাইপের ভিতরে পা পিছলে পড়ে যায় ) আর তার বন্ধুরা সবাই নয়নের বাসাই গেয়ে যে এই কখা বলে যে নয়ন পাইপের ভিতর পরে গেছে তা সুনে তার মা বলে কেদে কেদে বলে , কি কস তোরা ও নয়নের বাপ এইদিকে এসো ওরা কি কই আমায় নয়ন নাকি পাইপের ভিতর পরে গেছে তারাতারি চলে নইলে আমার ছেলে নয়ন আর বাচিবে না ? তারা দুইজন ওদের সঙ্গে যায় সেই জায়গায় । শফিক আর কালু হল দুই ভাই এবং গ্রামের সব লোক সেই খানের ভির জমায় , আর কয়েকজন মিলে সে পাইপের ভিতর থেকে একটা খাচার মতন মেসিন দিয়ে নয়নকে বের করে আনে । ( কিন্তু ততক্ষণ ময়লা পানিয়ে খেয়ে নয়ন মারা যায় ) নয়নের মা বাবা কাদের তাদের সন্তানের লাশে সামনে । করিম বলে কাল আমার ছেলে নুতুন ব্যাগ আর বই নিয়ে যাওয়ার কখা ছিল স্কুলে আর আজ ও উপরে চলে গেছে ? মা রুপা কহে , এই কিছু একটা হবে বলে আমি ওকে বারবার মানা করেছি তুই আজ খেলতে যাসনে কিন্তু ও আমার কখা অমান্য করে চলে গেছে ঠিকি আমদের বুক খালি করে চলে খেলি বাবা নয়ন? নয়নের মা বাবা কাদে তাদের আদরে সন্তান নয়নের জন্য । ( এই ভাবে এই নাটকের কাহিনী সমাপ্ত হয় )
 
 
 
 
 
 
 
 
আমার নিজের লিখা ১ম ছোট গল্প । এটি মূলত একটি ইসলামিক গল্প । নাম হলো
( ইমানদার লোক সাজাহান ) । নিজামুদ্দিন হালদার
আর তার ছোট ভাই সাজাহান হালদার হলেন ইমানদার ব্যক্তি । তাদের টাকার পয়সার কোন অভাব নেই, তারা এলাকার মানুষের টাকা দিয়ে সাহায্য করে থাকে। তারা সবসময় আল্লহ দেখানো পথে চলে , আর পাঁচ ওয়াক্ত নামজ আদায় করে । ( তারা সবসময় সত্য কখা বলে আর সবাইকে ইসলামের পথে চলতে বলে ) । একদিন সাজাহান হালদার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি পথে রওয়ানা হতে একটু সামনে গিয়ে দেখে যে ,কয়েকজন লোক মিলে একজন লোককে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করসে , সে তাদের কাছে গিয়ে বলে , তোমরা একে এই ভাবে মারধর করসো কেন ? তখন তাদের মাঝখান থেকে একজন বলে , ও আমার ঘরে আমার বউয়ের গয়না চুরি করেছে, তাই ওকে আমরা মারছি ? এই সুনে সাজাহান বলে তাই বলে এই ভাবে মারতে হয় , সুনে তোমরা ওকে ছেড়ে দাও ? তাহলে আমার বউয়ের গয়না কে দিবে দাম ? তখন সাজাহান বলে সে দিবে , আর সে দিয়ে দেয় । আর সে চোরকে বলে তুমি কেন চুরি করেছে ? তখন চোর তার দুঃখের কখা বলে ,আর তা শুনে সাজাহানের খুব মায়া হয় সে চোরকে কিছু সাহায্য দিয়ে পাঁঠীয়ে দেয় । রাতের বেলা তারা দুই ভাই খবার খাই , তখন সাজাহান তার ভাইকে আজকের ঘটনা খুলে বলে । ( তারপর তারা ঘুমিয়ে পরে পরের দিন ভোরে তারা দুই ভাই নামাজ আদায় করে ) । বিকাল বেলা সাজাহান বাচ্চাদের আরবি পড়াই , বাচ্চারা তাকে খুব ভালো বাসে আর সেও বাচ্চাদের ভালোবাসে । ( তার পরেরদিন তার বড় ভাই নিজামুদ্দিন হালদার তাকে বলে ,ভাই সাজাহান তুই এই ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই হিমতলি এতিমখানায় ইমান সাহেবকে দিয়ে বলবি এটা আপনার এতিমখানায় বাচ্চাদের আর এতিমখানায় মেরামতের জন্য দান দিয়েছে আমাদের কমিশনার ? সাজাহান বলে , আপনি চিন্তা করবেন না আমি ঠিকমতন নিয়ে যাবো ।তা সুনে বলে,ওইখানের ছিনটায়কারি থাকে তুই সাবধানে থাকিস ? সাজাহান বলে ঠিক আছে , এই বলে সে চলে যায় ) । সে এতিমখানায় যাওয়ার পথে কয়েকজন ছিনটায়কারি তাকে ধরে , আর বলে, যা কিছু আছে তা দিয়ে দে নইলে তোকে মেরে ফেলবো ? এমন সময় সাজাহান বলে , আমি বাঁচব না মরবো সেটা ঠিক করার মালিক আল্লহ, তোরা না , আমার কিছু করতে পারবি না ? তখন একজন ছিন্তায় কারি বলে দাড়া তোকে এখনি গুলি করে মেরে ফেলবো , এই কখা বলে গুলি করতে গেলে ,এমন সময় পুলিশ এর গাড়ির শব্দ পেয়ে তারা পালিয়ে যায় । আর সাজাহান মহান আল্লহ কে মনে মনে বলে তোমার অনেক মেহের বান ? এই কখা বলে সাজাহান এতিমখানায় চলে যায় । ( এই খানে ছোট গল্প সমাপ্ত ) ।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আমার নিজের লিখা ২য় উপন্যাস । এটি মুলত একটি ভুতের উপন্যাস নাম হল ( নয়ন ) । গ্রামের নাম মধুপর , এই মধুপর গ্রামের বাস করে নয়ন নামে একটি ১৬ বছর বয়সের ছেলে তার বড় ভাই রাকিবের সাথে । ( তাদের মা বাবা কেউ বেচে নেই ) তাদের কাকা বেচে আছে সে ঢাকাই থাকে। ( একদিন রাকিব ঘরে বসে মাছ ধরার জন্য জাল শিলায় করসে । (রাকিব একজন জেলে সে মাছ ধরে এটা তার পেশা , মাছ ধরে বেচে আর ওই টাকা দিয়ে সংসার চালায় ) । রাকিব ঘরে বসে মাছ ধরার জন্য জাল শিলায় করসে , আর এমন সময় রহিম তাদের বাড়িতে এসে রাকিবকে বলে ভাই নয়ন কোথায় ও কি পাঠশালা যাবে না .? রাকিব বলে, নয়ন পাঠশালা যাবে তুমি দাড়ায় আমি ওকে ডাকছি ? সে এই কখা বলে নয়নকে ডাক দেয় , আর বলে তুই এখন পাঠশালা যা । ( নয়ন তাড়াতাড়ি করে জামা কাপর গায়ে দিয়ে সে পাঠশালা যাই রহিমের সাথে ) । পাঠশালায় যাওয়ার পথে করিম, বাদল, আর শিবলুর সাথে দেখা হয় , এবং তারা সবাই একসাথে পাঠশালায় যাই ।
( পাঠশালায় গিয়ে তারা যে কাণ্ড পাকায় তা হল , তারা তাদের (পন্ডিতমশাই ) ব্যাগে ব্যাঙ ঢুকিয়ে দেয় আর তাদের (পন্ডিতমশাই ) ঘুম থেকে উঠে বাগে থেকে ব্যাঙ বের হতে দেখে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ) । তারা পাঠশালা থেকে পালিয়ে যায় , আর পন্ডিতমশাই নয়ন এর বাড়িতে গিয়ে সব কখা বলে চলে যায় তাদের বাড়ি থেকে । ( সব শুনে রাকিব রেগে বলে ,তুই আজ বাড়ি আয় তোর খবার বন্ধ ।, ( রাতের বেলা নয়ন বাড়িতে চুপি চুপি ডুকে কিন্তু তার ভাই তাকে দেখে ফেলে ,এবং অনেক বকে ওকে খেতে দেয় না । ( পরে রাত গবীর হলে তার ভাই রাকিব বলে , তুই আমার একমাএ ভাই তুই যদি এমন করেস তাহলে আমি কি করে সমাজে চলব বল ? নে খেখে নে রাত অনেক গভীর হয়েছে )। তার পর রাগ অভিমান শেষে তারা দুই ভাই ভাত খাই ( পরেরদিন নয়ন তার বন্ধুদের নিয়ে পন্ডিতমশাই এর বাড়িতে যায় তার জন্য উপহার নিয়ে , এবং তারা পন্ডিতমশাইকে তা দিয়ে বলে ,আপনি হলেন আমাদের পন্ডিতমশাইকে আমারা আপনার সঙ্গে অনেক বেয়াদবি করসে , আমাদের আপনি আমাদের ক্ষমা করিয়া দিবেন বলেন ? পন্ডিতমশাই হাসি মুখে বলে, যা আমি তোদের ক্ষমা করিয়া দিয়াছি , যা এখন তোরা )। ওরা সবাই চলে যাই আর পথে ধারে এসে নয়ন বলে, এবার হবে আসল খেলা । পন্ডিতমশাই যে না উপহার প্যাকেট খুলেছে তেমনি তার মুখে একটা খেলনা হাত তাকে একটা ধাপ্পর মারে আর সে মাটিতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় । ( পরের দিন বিকাল বেলা তারা ফুটবল খেলার জন্য তাদের খেলার মাঠে আসে , আর তারা ফুটবল খেলা শুরু করে , খেলতে খেলতে তাদের বল গেয়ে পরে একটি মরা পরানো জায়গায় ) আর একটা কখা তাদের গ্রামের নাম মধুপর এই মধুপর গ্রামের রহেছে হিন্ধু মানুষ । খেলতে খেলতে তাদের বল গেয়ে পরে একটি মরা পরানো জায়গায় , তখন নয়ন রহিমকে বল আনতে বলে কিন্তু রহিম বলে, আমি পারব না নয়ন তুই যা । এই কখা সুনে কারন জানতে চাইলে রহিম ওকে বলে , এই জায়গায় হচ্ছে একটা , এইখানে লাশ পোড়ায় কালকে ‍ একটা লাশ পোরানো হয়েছে ভাই আমি পারব না আমার ভয় করে তুমি যাও ? এই কথা শুনে নয়ন হেসে বলে তুই একটা বিতু রাম যা নিয়ে আয় কিছু হবে না ? নয়ন আর বন্ধু মিলে রহিমকে জোর করে পাঠায় , রহিম তাদের কখা অবশেষে মেনে নিয়ে সে ভয়ে ভয়ে যাই , আর বলটা নিয়ে নেয় । ( বল নেওয়ার সময় তার মনে হয় কেউ যেন আমার হাত মাটির ভিতর টেনে নিয়ে যাচ্ছে , অবশেষে সে বল নিয়ে নেয় তখনি আকাশ কালো মেঘে ডেকে যায় আর শুরু হয় বৃষ্টি )। তারা তাড়াতাড়ি সেখান থেকে যে যার বাড়ি চলে যায় ।
( পরের দিন রহিমের সাথে নয়ন এর দেখা হয় , রহিম বলে, নয়ন কাল ওই বল নেওয়ার সময় আমার মনে হয় কেউ যেন আমার হাত ধরে মাটির ভিতর টেনে নিয়ে যাচ্ছে , এই বিষয় নিয়ে সারারাত চিন্তা করতে করতে আমার খুব জ্বর হয়েছে নয়ন ? নয়ন বলে, তুই চিন্তা করিস না তোর জ্বর ভালো হয়ে যাবে তুই এখন বাড়ি যা আর ঠিক মতন টেবলেট খাবি )। এই বলে নয়নও ওর বাড়ি যায় ।( এই ভাবে কয়েকদিন কেটে যায় ) হঠাৎ একদিন নয়ন ও তার বড় ভাই তাড়াহুড়া করে রহিমেদের বাড়িতে যায় , রহিমের মা বলে বাবা আমার রহিম আর নেই । শুরু হয় কান্নাকাটি , রহিম জ্বর থাকাকালিন সময় মারা যায় । নয়ন বিশ্বাস করতে পারছে না যে তার সবচেয়ে কাছে বন্ধু রহিম আর নেই , সেও মনে মনে দুঃখ পাই আর কাঁদে । ( অবশেষে রহিমকে কবর দিয়ে দেয় , নয়ন ও তার ভাই রাকিব রহিমের মাকে সান্ত্বনা দিতে থাকে , এরপর নয়ন আর রাকিব বাসায় চলে আসে ) নয়ন তার ঘরে এক কোনে বসে তার আর রহিমের সাথে দিন কাটানো কখা মনে করে । আজ প্রায় ৪ মাস হয়ে গেসে রহিম ‍‍আর নেই তাদের মাঝে। এখন নয়ন পাঠশালা একলা যায় আর একলা বাড়ি আসে আর সে কোন শয়তানি করে না কারন তার যে প্রিয় বন্ধু যে আর নেই । ( একদিন রাতের বেলা যখন নয়ন পড়া শেষ করে ঘুমায় , ঠিক রাত ২ টা সময় নয়ন এর কানে একটা শব্দ আসে ভেসে এবং নয়ন এর ঘুম ভেঙ্গে যায় সে শব্দ সুনে , নয়ন এবার শুনে তাকে কে যেন নাম ধরে ডাকছে ? নয়ন দরজাতা খুল আমাকে ভিতরে আসতে দে । এবার নয়ন বলে কে ডাকে আমায় ? আবার সে নাম ধরে ডাকে বলে আমি রহিম আমাকে তুই ভিতরে আসতে দে , আমাকে তুই কি বাইরে দাড় করিয়ে রাখবি ? নয়ন কেন কিছু না ভেবে দরজা খুলে দেখে কেউ নেই, সে ডাকে , কই তুই রহিম আমি তোর জন্য দরজা খুলেছি তুই ভিতরে আয় ? কিন্তু কেউ নেই , নয়ন বাইরে গেয়ে ডাকে কিন্তু কেউ নেই , হঠাৎ নয়ন দেখে তার বন্ধু রহিম কাছে পিছে লকিয়ে তাকে ডাকছে ,সেইখানে গেয়ে দেখে কেউ নেই সে খুব ভয় পাই , হঠাৎ তার পিছ দিয়ে কেউ যেন তার গায়ে হাত দেয় । আর সে চমকে উঠে পিছে ভয়ে মত তাকিয়ে দেখে তার বড় ভাই রাকিব , রাকিব বলে কিরে তুই এত রাতে কি করসিস এইখানে । ( সে তার ভাইকে সব খুলে বলে কি ঘটেছে তার সাথে , তার ভাই বলে তুই রহিমকে খুব ভালোবাসোস তাই এইসব আবল তাপল বকসিস যা গেয়ে ঘুমা , তার ভাই রাকিব গেয়ে ঘুমিয়ে পরে ) দুই দিন এইভাবে কাটে, আবার রাতের বেলা নয়ন যখন ঘুমায় তখন সে শুনতে পাই , রহিম ওকে ডাকছে , নয়ন আমাকে ভিতরে আসতে দে ? নয়ন এবারো দরজা খুলে কিন্তু কোথায় রহিম ? সে বাইরে গেয়ে ডাকতে থাকে রহিম কই তুই আয় আমার সাথে মজা করবি না ভিতরে আসলে আসবি না এলে নাই , এই বলে সে চলে আসতে থাকে, তখন আবার সেই ডাক শুনতে পাই , কিরে আমাকে একা ফেলে তুই চলে যাবি আমাকে নিবি না ? এই বলে যে নয়ন ওকে নিতে যাই কিন্তু এবারো কেউ নেই । ( হঠাৎ নয়ন একটা মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই , সে দেখতে চাই কে এত জোরো চিৎকার করসে সে গেয়ে যা দেখে তাতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে , আর মাটিতে পরে যায় ) পরের দিন তার ভাই তাকে বলে , বুজেছি রহিম এর আত্মা তোকে বার বার ঘর থেকে বের করে নিয়ে ভাগিস তুই বেচে গেসিস , কিন্তু তোর এই খানে থাকা নিরাপদ নয় এইখানে থাকলে তর বড় কোন ক্ষতি হতে পারে , তোকে আমি কাকা বাড়ি ঢাকাই পাঠিয়ে দিবে ওই খানের তোর কোনে ক্ষতি হবে না । নয়ন ঢাকা যেতে চাই না কিন্তু তার ভাই তাকে ঢাকা তার কাকার কাছে পাঠিয়ে দেয় ।( এই ভাবে ১০ বছর অতিক্রম হয় , নয়নের এখন বয়স ২৬ , নয়ন ঢাকাই এক স্কুলের teacher হয়েছে সবাইকে তাকে অনেক ভালোবাসে , এইখানে আসার পর নয়ন আর সেই শব্দ বা তাকে ডাকছে , নয়ন দরজা তা খুল আমাকে ভিতরে আসতে দে , এই সব আর সুনে না ) হঠাৎ একদিন নয়ন তার স্কুলের বাচ্চাদের পড়া শেষ করে বাড়িতে এসে জামা কাপর পালটিয়ে সে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খেয়ের রাতে সে একটু সিলেবাস দেখে যে বাচ্চাদের কাল কি পড়াবে ,সে তা দেখে ঘুমিয়ে পড়ে ঠিক রাত ৩ টা সময় হঠাৎ কে যেন ওকে ডাকছে , নয়ন আমি , ওই নয়ন দরজাটা খুল আমাকে ভিতরে আসতে দে ? এবার নয়ন বুঝে এই কণ্ঠে কেমন চিনা লাগছে ঠিক আজ থেকে দশ বছর আগে সেই এই কখা গুলো সুনেছিল , এবার সে বুজে যাই এটা তার বন্ধু রহিম না অন্য কেউ সে তাড়াতাড়ি দরজার সিটকারি ভালো করে লাগিয়ে দেয় , জেন ওই আত্মা এসে তার কোন ক্ষতি না করে । ( নয়ন জানে যে সে যদি একবার ওই দরজা খুলে তবে , সেদিন হবে তার শেষ দিন ) । এই ভাবে এই উপন্যাসের কাহিনী শেষ হয় ।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আমার নিজের লিখা ৩ য় উপন্যাস । নাম হল (ভালোবাসার প্রতিদান )
এটি মুলত একটি পরিবারে পারিবারিক জীবন মুখী উপন্যাস ।
আকাশ নামে একটা ছেলের জন্ম হল , কিন্তু তার পরিবারে কারোও মুখে নেই হাসি ,কারন ওই পরিবারে আগে পাঁচটা সন্তান জন্ম নেই । আর ওই পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে যখন বয়স ১০ তখন সেই বড় মেয়ে তার বাবার কাছ থেকে পরীক্ষার টাকা চাইতে যাই কিন্তু তার বাবা তাকে দেয় না দূর করে তারিয়ে দেয় , আর সে মেয়ে সেখান থেকে চলে আসার জন্য বাঁশের হাক্কা পার হতে গেয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় । ( সেই মেয়ের নাম হল আমেনা) । ( মেয়েটির লাশ অনেক খুঁজাখুঁজি পর ৭ দিনের মাথায় লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গা নদীর পারে ‌ ) । এবং সেই লাশ একেবারে পচে গেছে যে চেনা যায়না কিন্তু তারা মেয়েটির প্যান্টের কুমরে ২ টা পেয়েরা দেখে চিনে ফেলে , এবং কান্নাকাটি শুরু হয়ে যাই । ( অবশেষের সেই মেয়েটিকে দাফন করা হয় ‌ ) । আকাশ জন্মের কয়েকদিন পর তার মায়ের একটা বিরাট রোগ ধরা পরে , ( আকাশরা এখন পাচভাই বোন ‌ ) । তিন ভাই ও দুই বোন , বতমানে যে বড় বোন তার বিয়ে হয়ে গেয়ে ,সেই স্বামী নিয়ে অন্য জায়গায় থাকে । আকাশ একটু একটু করে বড় হচ্ছে ,
( তার মা পিঠা ও আগর বাতি বানিয়ে তা বেচে সংসার চালায় ) ।আর তার বাবা ২য় বিয়ে করে বউ নিয়ে অন্য জায়গায় থাকে, আর তার বাবা মাঝে মাঝে এসে তার মায়ের কাছ থেকে টাকা নেয় , টাকা তার মা না দিলে তার বাবা তার মাকে মারধর করে, টাকা নিয়ে চলে যায় সে বউয়ের কাছে। ( আর একটা কখা যে মেয়ে হাক্কা পার হতে গেয়ে মারা গেয়েছিল টাকা আনতে গেয়ে সে সময় তার বাবা ওই ২য় বিয়ে করে ) । দুই ভাই কাজছবি কাজ করে আর বোন Garments এর কাজ করে বেতন ৪০০ টাকা করে পাই । বতমানে যে বড় বোন তার নাম( হাসিনা ) এই বোন একসময় Garments এর কাজ করত ,এবং কাজ করা সময় সেই নিলয় নামে একটা ছেলেকে ভালোবাসে আর ওই ছেলের সাথে তার মা বিয়ে দেয় । তার মানে আছে এখন (আকলিমা ) এই আকলিমা তার মায়ের সব কখা শুনে এবং মাকে সাহায্য করে। ( আকাশ বাদে সবার পড়ালিখা বন্ধ করে দেয় তার বাবা আর দাদিমা )। বাকি দুই ভায়ের নাম হল ( কাসেম আর রুবেল )। তারা তিন ভাই হলে দুই বোনের চেয়ে অনেক ছোট , হাসিনা বয়স ২৮ , আকলিমা ২৩ , কাসেম ১৭ , রুবেল ১৬ ও আকাশ ১১ । (আকাশকে তার বোন আকলিমা স্কুলে ভতি করায় , তার ভাই সেখানে পড়ালিখা করে । কাসেম ও রুবেল কাজছবি কাজ করে যে বেতন পাই তা তারা দুই ভাই নিজেদের মধ্যে ভেঙ্গে খেয়ে ফেলে , ঘরে একটাকাও দেয় না , এই কখা নিয়ে জামেলা হয় । আর তাদের বাবা এসে তাদের কাছে টাকা চাই , কিন্তু তারা দেয় না , আর তাদের উপর শুরু হয় খুব মারধর )। এই ভাবে চলতে থাকে । একদিন তাদের মা হঠাই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে যায় । আর সবাই মিলে তার মাকে ঘরে নিয়ে আনে , বাড়িতে ডাক্তার আনা হয় , আর ডাক্তার তার মাকে দেখে বলে অনাকে জলদি করে বড় কোন হাস্পাতালের ভতি করাতে হবে , এই কখা বলে ডাক্তার চলে যায় । তার বাবা এই সংবাদ পেয়ে এসে বলল , ওকে ডাক্তার খানা নিতে হবে না ও এই খানে থেকে মরুক , এই কখা সুনে তার মেয়ে আকলিমা বলল ,আমার মা কোথায় থাকবে আর কোথায় মরবে সেটা আমরা বুজবো , আপনি চলে যান এই খান থেকে ? এবং সে চলে যায় । পরেরদিন হাসিনা খবর পেয়ে চলে আসে তার স্বামীরবাড়ি থেকে , সে ছিল pegnet তার সন্তান হওয়া আরও দুইমাস সময় বাকি । যা হোক সে চলে আসে তার মাকে দেখতে এবং খুব কান্নাকাটি করে । এর পর তার মাকে হাসপাতালে ভতি করায় এবং সে ভালো হয়ে যায় , আর এই ভাবে ১৪ দিন কেটে যায় । আবার তার মায়ের সে রোগ ধরা পড়ে., আর এই রোগে সে কয়েকদিন ভুগে অবশেষে সে মারা যায় । মারা যাওয়ার আগে সে তার মেয়ে আকলিমাকে বলে তুই তোর ভাইদের খেয়াল রাখিস , ওদের সব আবদার মানিস , ওদেরকে কষ্ট দেস না মা । এই বলে সে মারা যায় আর শুরু হয় বাড়িতে কান্নাকাটির ডোল । ( এর তার দিন আগে বড় মেয়ের একটি মেয়ে সন্তান হয় তার নাম রাখা হয় তানজিল তিশা অনেক আনন্দ হয় বাড়িতে তাদের মায়ের কোলে তার মেয়ে তানজিল তিশা দেয় সে আদর করে )। যা হোক তাদের মাকে তারা শেষ বিদায় দিল । ( তাদের মায়ের চারদিনের খরচ করসে তাদের বাড়ির বড় জামাই লাল মিয়া ও তাদের কাকা ও আকলিমা নিজে , অবশেষে তাদের মায়ের চারদিনের খরচ সম্পন্ন করা হইছে )। এখন তাদের সংসার এর দেখ ভাল করে আকলিমা , হাসিনা তার স্বামীকে নিয়ে চলে যায় তার স্বামীর দেশের বাড়িতে । আকলিমার কাকা বলে, তুই একা পারবি না তুই বিয়ে করে নে , কিন্তু আকলিমা বলে্‌ , মা মারার যাওয়ার সময় ভাইদের আমার হাতে তুলে দেয় , আমি যদি চলে যায় ওদের দেখবে কে আমি বিয়ে করব না ।( তার কাকা চলে যাই সেখান থেকে তার ছোট ভাই আকাশ স্কুল থেকে বাড়িতে ,তখন আকলিমা ওকে বুকে ঝড়িয়ে ধরে বলে , তোদের ছেড়ে আমি কোথায় যাব না । ( মনে মনে সে কাঁদতে থাকে )। এই ভাবে ১০ বছর কেটে যায় । কাসেম ( বতমান বয়স ২৭ ) ও রুবেল ( বতমান বয়স২৬ ) তারা দুই ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে তাদের বাড়িতে থাকে , তাদের দুইজনের বউের মধ্যে বড় বউ খুব হিংসা করে বা ঝগড়া করে তার বোনের সাথে , আর মেজ বউ খুব দেখভাল করে এই খানে আকলিমার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কাসেম তার বউয়ের কথা শুনে , তার বউ যা বলে তা করে । বড় বউ মেজ বউকে বলে , তুই আকলিমা বু কে খুব সম্মান করিস তাই না শোন তাকে মাথা না করে বরং পায়ের নিচে রাখ তাহলে ভালো হবে , মেজবউ বলল , আমি তোমার মতন নই বুজলে ।( এই কখা বলে সে চলে যায় তার রুমে ) হঠাই একদিন আকাশ ( বতমান বয়স ২১ ) ফোঁৎ করে তার বাড়িতে এসে বলল , আমার খিদে লেগেছে কেউ কি আছো যে আমার আমার খাবার দিবে?. তার বোন তার জন্য খাবার নিয়ে আসলো । এবং আকাশ বলে তুমি এত কষ্ট করে আনতে গেলে কেন ? তারা কোথায় ? এমন সময় তার বড় ভাবি এসে তাকে নানা কথা শুনাই । ( মেজ বউ তার বাপের বাড়ি গেসে বলে তার বোন আকলিমা ) । আকাশ ভাত না গেয়ে সেখান থেকে চলে যায় , আর তার বোন মনে মনে কাঁদে । ( তার বড় দুই ভাই শুনে কিন্তু কাসেম কি করবে কিছু করার নেই ) । এই ভাবে কয়েক দিন কেটে যায় । বাড়ির মেজ বউ তার বাপের বাড়ি থেকে জামা কাপর নিয়ে আসে , তা সবাইকে দেয় শুধু আকাশ বাদ যায় , কারন আকাশ বারিতে নেই। (পরেরদিন আকাশ বাড়িতে আসলে তার মেজ ভাবি তাকে তার জামা কাপর দেয় তা পেয়ে খুসি হয় । তার পরেরদিন তার বড় বউ তার বাপের বাড়ি যায় , আর ঘরে কাজ মেজ বউ আর আকলিমা করে । মেজ বউ আকলিমাকে বলে আপা আপনি কেন কাজ করসেন কাজ করব আমরা দুই জা আপনি বিশ্রাম নিবেন ? আকলিমা বলে আমি কাজ করলে কি হবে বলে ? অনেক কিছু হবে যান বিশ্রাম নেন , এই বলে সে বিশ্রাম নেই। তার ২ দিন পর বাড়িতে আসে বড় বউ তার বাপের বাড়ি থেকে জামা কাপর এনে ভালোটা সে রেখে খারাপ কাপর তার ননদ কে দেয় , আর অন্যদের মেজ বউ তা দেখে বলে , আমাদের না হয় দিলে খারাপটা তাই আপাকে দিলে খারাপটা দিলে এক্তু ভালো দিতে সাড়ি । এই নিয়ে বড় বউ আর মেজ বউ এর মধ্যে কাটাকাটা হয় । একদিন বড় বউ বলে তোর এত দরত তাই না দাড়া তোকে কি করি তা তুই দেখ খালি । ( এই বলে সে চলে যাই ) । বড় বউ মেজ বউকে গয়না চুরি করা বদনাম দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় । সে এই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে ফেলে পরের দিন তার লাশ পাই , বাড়ির পাশে যে আম গাছ আছে সেই গাছে সে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে ফেলে তার লাশ নামিয়ে ফেলে তার স্বামী আর বাড়ির লোকজন । অবশেষে বাড়ির মেজ বউ এর দাফন হয়ে যায় । আকাশ এই কখা সুনে বাড়ি এসে কাদতে থাকে , বলে আমার মায়ের মতন ভাবি চলে গেছে আমি বিস্বাস করি না যে মেজ ভাবি এই চুরি করতে পারে , নিশ্চয় এই মহিলার কাজ । তার ভাই বলল কি বলসিস তুই ‍‍? যখন থেকে এই মহিলা এই বাড়িতে এসেছে তখন থেকে জামালা তরী হয়েছে । এই কখা শুনে বাড়ি বরবউমার, তোমার সামনে তোমার ভাই আমাকে অপমান করলো , তুমি কিছু বলবে না ‍‍? এই কখা সুনে কাসেম আকাশকে তার প্যান্টের বেল খুলে মারছে । আর তারভাই রুবেল ও তার বোন বলে ওকে মারিস না তুই তাহলে ও মারা যাবে । ( এরপর কাসেম সেখান থেকে চলে যায় ) । বাড়িতে একদিন আকাশ এর বিয়ের পস্তাব নিয়ে আসে , বিয়ের
সব কখা বাতা ঠিক হয় , তখন বাড়ির বড় এসে আকাশ এর নামে মেয়ের পক্ষের কাছে বাজে বাজে কথা বানিয়ে বলে , আর বিয়ে ভেঙ্গে যায়। ( আর তারা সেখান থেকে চলে যায় ( এর পর বড় বউয়ের অনেক কাটাকাটা হয় ।এরি মধে আকলিমা আকাশকে চর মেরে বসে ) । পরের দিন বাড়ির বড় বউ আকাশ আর রুবেলকে যে কোন বিষয় নিয়ে জামেলা হয় , আকলিমা চলে আসে তাদের মাঝখানে , যা হোক আবার কাটাকাটি হয় বাড়ি বর বউ আকলিমাকে বলে আপনি তো আয়বুরি , বিয়ে করেন নি , খান তো আমার স্বামী কামায় । ( এই কখা শুনে সে খুব কষ্ট পাই , যেঁ তার আপন ভাইয়ের বউ তাকে এই কখা বলে ) ।বারির বর বউ তাদেরকে ঘর থেকে বের হতে বলে তারা সেখান থেকে চলে যায় । বাইরের ঝড় শুরু হয়েছে, বৃষ্টি হচ্ছে খুব । তারা তিনজন ঘর থেকে বের হয়েছে , কিন্তু যাবে কোথায় তা জানে না । তার বোনের গায়ে বৃষ্টি পানি পড়ে তার খুব ঝড় হয়েছে , কিন্তু ডাক্তার পাবে কোথায় তাদের কাছে টাকা নেই ।ওই দিকে বাড়ির বড় বউ খুব আরামের আসে সবাইকে বাড়ি থেকে বের করেছে।তার স্বামী এসে বলে, আমার বোন আর ভাইদের ডাকো তাদের জন্য জামা কাপর এনেছে , কি হল দাক তাদের ‍‍? বাড়ির বড় বউ বলে আমি তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিসি । এই কথা সুনে বলল কি বললি তুই । সে এক কখা বলে , তা সুনে কাসেম রেখে বলল তোর এত বড় সাহস তুই আমার বোনকে ঘর থেকে বের করে দেস । বড় বউ বলল সে তোমাকে অপমান করে তোমার টা খেয়ে, সে বিয়ে করে নি তোমার উপর তার খুব লোভ ‍‍? সে তার বেল খুলে মারতে মারতে বলে কি বললি তুই আমার বোন লোভী , আমার বোন বিয়ে করে নি কেন জানতে চাস , আমাদের মা মারা জাওয়ার সময় তাকে বলে গেছে আমাদের দেখতে বলে গেছে।আমাদের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে সে আজই বিয়ে করে নাই , আর তুই তাকে এই কখা বলে অপমান করে ঘর থেকে বের করে দিলি , আমার বোন না আমার মা তুই আমার মায়ের মতন বোনকে অপমান করসস এই অপমান বুকে নিয়ে আমার মায়ের মতন বোন বাচবে না। অবশেষে বাড়ির বড় বউ মাফ চাই তার স্বামীর কাছে । তার স্বামী মাফ আমার কাছে না আমার মায়ের মতন বোনের কাছে মাফ চাইবে চল আমার সাথে । তারা খুঁজতে খুঁজতে পাই তাদের ভাই আর বোনকে । ( ততক্ষণ তার বোন হাজারো দুঃখ বুকে নিয়ে চির বিদায় নেয় ) আর সেখানে কান্নাকাটি পড়ে জায় । কাসেম বলে দেখ আপা যে তোমায় অপমান করেছে সে আজ তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছে ‍‍? আর বাড়ির বড় বউ তার ভুল বুজে এমন সময় যে আকলিমা মারা যায় সে ক্ষমা চাই আর বলে সব আমার জন্য হয়েছে ,একটা সুখে সংসার ভেঙ্গে গেছে আমি অপরাদি , আমার জন্য দুইজন মানুসের জীবন গেছে আমি অপরাধি , আমাকে তোমরা শাস্তি দেও । ভাই আকাশ আমি তোমার প্রতি অন্যায় করেছি আমায় মাফ করে দেয় ভাই ।অবশেষে আকাশ তার ভাবিকে বলে ছিঃ ভাবি আপনি কেন খমা চাইসেন , যা হবার তা হয়ে গেছে , আমার বোন তো আফ ফিরে আসবে না । অবশেষে তারা আবারো এক সাথে থাকতে শুরু করলো কিন্তু তাদের বোন আকলিমা নেয়, তারা আকলিমা ছবিতে ফুলের মালা দিয়ে নুতুন করে শুরু করে । ( এই উপন্যাসের কাহিনী এইখানে সমাপ্ত হল )।
 
 
 
 
 
 
 
আমার নিজের লিখা ১ম এটি উপন্যাস । এটি মূলত একটি প্রেমের গল্প । ( ভালোবাসা ভালোবাসা ) । গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে গল্পের নায়ক নিরব তার ভালোবাসার মানুষ নিলাকে তার বাবার সামনে থেকে উঠে নিয়ে যায় । নিলার বাবা হাসান আহাম্মেদ , পুলিশকে ফোন করে বলে যে নিরব তার মেয়ে নিলাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে , এবং পুলিশ নিরবের বাড়ি গিয়ে নিরবকে গেপ্তার করে নিয়ে যায় , আজ থেকে ৩ মাস আগের যে ঘটনা ঘটে ছিল তা হল । হাসান আহাম্মেদ, এর একমাএ মেয়ে নিলা আহাম্মেদ আজ ১৮ তম জন্মদিন । তার জন্মদিন ধুমধুম করে পালন করে তার বাবা , এবং নিলাকে তার বাবা একটি গাড়ি উপহার দেয় , আর খুব খুসি হয় । পরেরদিন সকাল ১০ টা সময় নিলা তার বন্ধুদের সাথে ঘরতে বের হয় তার বাবার উপহার দেওয়া সেই গাড়ি করে । নিলা ও তার তিন বন্ধু মিলে কোন এক জায়গায় গাড়ি থামায় এবং তারা সেখানে খুব মজা করে । নিলা বসে বসে বন্ধুদের সাথে এই জায়গায় সুন্দর রুপ নিয়ে কখা বলসে , এমন সময় নিলা কারো কণ্ঠে গান শুনতে পাই । ( গানটি হল এমন যে ও আমার দেশের মাটি তোমার পায়ে ঠেকায় মাথা ) । নিলা খুঁজতে থাকে কে এই দেশের গান গাইছে , এবং সে খুজতে খুজতে একটু দূরে দেখে যে একদল যুবক বসে আছে আর তাদের মাঝে একজন যুবক গান গাইছে । ( গানটি হল এমন যে ও আমার দেশের মাটি তোমার পায়ে ঠেকায় মাথা ) এই যুবক হল আমাদের গল্পের নায়ক নিরব । নিলা নিরবের গান শুনতে থাকে দাড়িয়ে এবং গান শেষ হলে নিলা হাততালি দিয়ে বলে বাহ খুব সুন্দর আপনি দেশের গান গাইতে পারেন , নিরব বলল ধন্যবাদ । নিলা বলল আপনি গান কার কাছ থেকে এই গান শিখেছেন বলেন না , নিরব আমার মায়ের কাছ থেকে , ( এই কখা বলে নিরব চলে যায় তার নিজ ঠিকানা ) নিলা মনে মনে বলল , যা ওনার নাম টা জানা হল না আমার , নিলার তিন বন্ধু এখানে আসে আর বলে কি রে নিলা ,ওই গায়কের প্রেমে পড়লি নাকি , নিলা এই কখা সুনে বলে কি সব তরা বলসিস চল বাড়ি ফিরে যাই ( এই কখা বলে ওরা নিজ নিজ বাড়ি চলে যাই ) । ঠিক পরেরদিন নিলা তার বাড়ির বারান্দা বসে চা পান করছিল এমন সময় নিলা সে গান শুনতে পাই ( ও আমার দেশের মাটি তোমার পায়ে ঠেকায় মাথা ) এবং দেখে যে কালকে যার গান শুনে সে তার বাড়ি সামনে দিয়ে গান গাইতে গাইতে যাচ্ছে তখন নিলা তাকে ডাক দিয়ে বলে আপনি এইখানে আচ্ছা আপনার নাম কি আর আপনি থাকেন কোথায় সে বলল আমার নাম নিরব ,আমি এইখান থেকে একটু দূরে আমার ঘুর / আর তুমি sorry আপনাকে আমি তুমি করে বললাম কিছু মনে করবেন না যা হোক আপনার নাম , নিলা আমার নাম আর আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন কোন সমস্যা নেই , ঠিক আসে বলবো
তবে তুমি আমাকেও তুমি করে বলবে , ঠিক আসে বলবো এটা হল আমার বাড়ি এই ভাবে চলল নিলা আর নিরবের কখা তার পরে নিরব চলে যায় তার বাড়িতে । ( রাতের সময় নিরব আর তার মা মিলে কখা বাতটা বলে ) দুপুরবেলা আবার নিরব আর নিলা একসাথে দেখা হয় ওই পথম যে জায়গায় যেখানে নিরব বসে গান করেছিল , তারা দুইজন সারাদিন গল্প করে , আর ঘুরতে যাই আর এই রকম চলে ৪ চারদিন তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে ,এবং নিরব নিলাকে তার ভালোবাসার কখা বলে আর নিলা রাজি হয়ে যায় । তারা দুইজন এক এক জায়গায় ঘুরতে থাকে আর তাদের মনের কখা গুলো শেয়ার করে , ( এই ভাবে চলে কয়েকদিন ) একদিন নিরব নিলাকে নিয়ে তার মায়ে কাছে যায় । এবং নিরবের মা , নিলাকে বলে মা তুমি সারাজিবন আমার এই ছেলের সাথে থেকো , এরপর নিরব আর নিলা তারা তার মায়ের সাথে বসে একসাথে খাবার গিয়ে নিরব ও নিলা ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় দিয়ে যাচ্ছে আর এমন সময় নিলার বাবা নিলা আর নিরবকে এক সাথে দেখে ফেলে , এবং সে বাড়ি চলে যায় । নিলা বাড়ি এলে তার বাবা তাকে বলে , কে ওই ছেলে যে তোমার সাথে ছিল ,নিলা তার বাবাকে সব কখা ভয়ে বলে ফেলে তার বাবা বলে যা হোক তুমি ওই ছেলেকে ভুলে যাও আমি আমার বন্ধু ছেলে রনি সঙ্গে তোমার বিয়ে ঠিক করেছি আর তাকে তোমার বিয়ে করতে হবে, এই কখা সুনে নিলা বলে আমি নিরবকে ভালোবাসি আর নিরব ছাড়া কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে অসম্বব । তারপর হাসান আহাম্মেদ বলে সামান্য একটা রাস্তার গায়কের জন্য তুই তোর বাবার কখা অমান্য করলি , এই আমি তোকে ছোটবেলা থেকে এই দুই হাতে তোকে মানুষ করলাম সামান্য একটা রাস্তার গায়কের জন্য তুই তোর বাবার কখা অমান্য করলি , ছিঃ মা ছিঃ এরপর নিলা বলল বাবা আমি তোমাকে যেমন ভালোবাসি , নিরবকে ভালোবাসি । ( এই কখা বলে নিলা তার রুমে চলে যায় ) । পরেরদিন সকালে নিলা নিরবদের বাড়িতে গেয়ে নিরবকে সব কখা খুলে বলে , নিরব সব শুনে বলে তুমি বাড়ি যাও আমি দেখছি । ( নিলা বাড়ি চলে যায় ) । বাড়ি গেলে তার বাবা বলে কোথায় গিছিল তুই ? নিলা বলল আমি দিয়ার বাড়ি গেয়েছিলাম , হাসান আহাম্মেদ বলল তুই মিথ্যা বলসিস তুই নিরব এর সাথে দেখা করতে গিছিল ? নিলা বলে সব যখন জানো তাহলে বলস কেন , ? ( এই বলে আবার নিজ রুমে চলে যায় ) । নিলার বাবা তখন রনি কাছে ফোন দিয়ে বলে , বাবা রনি আমি দেরি করতে চাই না এই শুক্রবারে তোমার সাথে নিলার বিয়ে দিতে চাই । ( এই কখা বলে হাসান আহামেদ ফোন কেটে দেয় ) তার পরেরদিন নিরব নিলাদের বাড়িতে এসে হাজির হয় । এবং নিলার বাবার সাথে নিরবের ঝগড়া হয় , হাসান আহাম্মেদ বলে তর মতন রাস্তার একটা গায়ক ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিব না , ওর বিয়ে হবে আমার বন্ধু ছেলে রনি সঙ্গে , রনি একজন ওকিল । ( নিলা উপর থেকে সব সুনে ফেলে ) নিরব হাসান আহাম্মেদকে বলে আমি যদি নিলাকে না পাই তাহলে সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দিব । ( এই বলে নিরব চলে যায় ) । রনি চলে আসে নিলাদের বাড়িতে এবং নিলার বাবা সব কখা খুলে বলে রনিকে , রনি তা সুনে বলল , আঙ্কেল নিলা কি আসে বাসাই ? নিলার বাবা বলল , ও ঘরে আসে যাও তুমি ওর সাথে কথা বল । রনি নিলার সাথে কখা বলতে যায় এবং কখা বলে । অবশেষে বিয়ের দিন হাজির হল নিলাকে বিয়ের কনে সাজানো জন্য নিয়ে যায় এবং বিয়ের কনে সাজানো শেষে তার বাবার কাছে নিলা এলে তার বাবা হাসান আহাম্মেদ তাকে বলে , বা খুব সুন্দর লাগছে আমার নিলা মাকে , আমার ছোট মেয়ে নিলা আজ কত বড়ে হয়ে গেছে, বিয়ে করে আজ অন্যর ঘরে চলে যাবে , নিলার বাবা তাকে অনেক দোয়া করে । ( এই বলে হাসান আহাম্মেদ তার মেয়ে নিলাকে নিয়ে যে বরে কাছে যাবে তখন নিরব তার ভালোবাসার মানুষ নিলাকে তার বাবার সামনে থেকে উঠে নিয়ে যায় । নিলার বাবা হাসান আহাম্মেদ , পুলিশকে ফোন করে বলে যে নিরব তার মেয়ে নিলাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে , এবং পুলিশ নিরবের বাড়ি গিয়ে নিরবকে গেপ্তার করে নিয়ে যায় ) । পুলিশ নিলাকে নিয়ে এসে তার বাবার কাছে দেয় । তারপর নিলাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য আনা হল কাজি সাহেব তার কাজ করে যাচ্ছে , এক সময় কাজী বলল , মা তুমি কি এই বিয়ে রাজি তাহলে বলে কবুল কিন্তু নিলা কবুল বলে না মনে মনে কাদতে থাকে , রনি কিচ্ছু একটা বুজতে পারে , আর রনি বলল নিলা তুমি আমার সাথে চলে আর নিলা বলল কোথায় যাব তোমার সাথে ? রনি বলল চলে আমার সাথে । তখন হাসান আহাম্মেদ বলে কি হচ্ছে এটা রনি ? আপনি দেখে যান আঙ্কেল ( এই বলে রনি নিলাকে নিয়ে জেলখানায় নিরবের কাছে যাই আর নিরবের মুক্ত করে দেয় আর নিরবের হাতে নিলাকে তুলে দেয় রনি ,আর বলে , ভাই এই নাও তোমার ভালোবাসা নিলাকে তোমরা চিরসুখী হয় । এমন সময় হাসান আহাম্মেদ এসে বলে এটা কি হলে রনি শুধু আমার মেয়ে তুমি ওই ছেলের সাথে তুলে দিলে আমি মানি না আর মানবো না । রনি বলল , আঙ্কেল আপনার মানা না মানা কিছু আসে যায় না কারন নিলা নিরবকে ভালোবাসে আর নিরব নিলাকে ভালোবাসে , আঙ্কেল শুধু শুধু একটা সম্পক ভেঙ্গে কি লাভ বলেন ,আজ যদি আমার সাথে নিলার বিয়ে হত তাহলে তিনটা জীবন নষ্ট হয়ে জেত , ভাগিস আল্লাহ সেটা হতে দেয় নাই আঙ্কেল আপনি আপনার রাগ অভিমান ভেঙে ওদের ভালোবাসা মেনে নেন ? আর হাসান আহাম্মেদ তার ভুল বুজতে পেরে ক্ষমা চাই তখন নিরব নিলা বলে বাবা আপনি কেন ক্ষমা চাইসেন অবশেষে নিলার আর নিরব এর প্রেম সফল হল । রনি ওদের ভালোবাসার নাম দেয় ভালোবাসা ভালোবাসা । আর রনি তাদের দুইজনকে এক করে সেখান থেকে চলে যায় মনে দুঃখ নিয়ে । ( এই ভাবে এই উপন্যাস কাহিনি শেষ হল )
 
 
 
 
আমার নিজের লিখা ৭ম উপন্যাস এটি নাম হল (মাধবীলতা ও তার নয়নদা ) ।
আর এই উপন্যাসটি নেওয়া হয়েছে আমার নিজের লিখা ৬ষ্ঠ উপন্যাস ( নয়নদা )
থেকে । আর এই উপন্যাসের কাহিনী লিখা হয়েছে সামাজিক পেক্ষাপট ঘিরে ,
লেখক
সাকিল আহাম্মেদ নয়ন
চরিত্রসমূহ
১ম চরিত্র ( রাজচন্দ্র ) একজন জমিদার ও নয়নচন্দ্র বাবুমসাই ।
২য় চরিত্র ( রেখাচন্দ্র ) জমিদারে বড়ো মেয়ে ।
৩য় চরিত্র ( নয়নচন্দ্র ) মুল চরিত্র , আর জমিদারে ছোট ছেলে ।
৪র্থ চরিত্র ( মাধবিলতা দাস ) মুল চরিত্র, আর পরোহিত এর একমাএ মেয়ে ।
৫ম চরিত্র (নারায়ণ দাস ) একজন পরোহিত যিনি পুজা করে থাকে ।
ষষ্ঠ চরিত্র ( দেবযামিনী দাস ) একজন পরোহিত এর স্ত্রী ।
৭ম চরিত্র ( রাগিণী মুখার্জি) ) একজন জমিদার এর মেয়ে ।
৮ম চরিত্র ( ভুবন মুখার্জি ) একজন জমিদার।
৯ম চরিত্র ( মিতালি মুখার্জি ) ) জমিদারে স্ত্রী ও রাগিণী মা ।
১০ম চরিত্র ( রামলাল ) জমিদারে বাড়ির পুরানো চাকর ।
১১ তম চরিত্র (হরিদাস পাল ) একজন (পন্ডিতমশাই ) যিনি বাচ্চাদের শিক্ষা দান করে ।
১২তম চরিত্র (বিজয়চন্দ্র ) রাজচন্দ্র এর ছোট ভাই ।
১৩ তম (রাধাচন্দ্র) বিজয়চন্দ্র এর স্ত্রী ।
১৪ তম চরিত্র (সীতাচন্দ্র )বিজয়চন্দ্র এর মেয়ে ।
এই উপন্যাসের শুরুতে দেখা যায় যে ,
জমিদার রাজচন্দ্রদের এর ছেলে নয়নচন্দ্র বিগত ১২ বছর পর কলিকাতা থেকে নিজের
বাড়িতে আসছে আজ , তাই এই জন্য নয়নচন্দ্র বাবুমশাই তাদের বাড়ির চাকর রামলালকে বলে সে যেন নয়নচন্দ্রর প্রিয় খাবার সব রেডি করে রাখে আর নয়নচন্দ্রদের ঘর পরস্কার করে রাখে , এবং কয়েকঘণ্টার পর ওই দিকে নয়নচন্দ্র ঘোড়া গাড়ি করে তার বাড়িতে আসতে ঠিক ১২ বছর পর । আর এই দিকে রাজচন্দ্র , বিজয়চন্দ্র ও তার বউ আর মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাকে বরং করার জন্য , আর একটু দূরে পিলার এর সামনে দারিয়ে আছে । ( হিন্ধুদের রীতি মতে বিধবা মেয়েকে কোন শুভ কাজে থাকতে নেই থাকলে কোন না কোন ক্ষতি হয় ) ।
আর তাদের রয়েছে বাড়ির চাকর ? আর এমন সময় নয়নচন্দ্র চলে আসে আর তার বাবুমশাইকে পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করে , আর তার কাকা আর কাকিমাকে প্রনাম করে । ( হঠাই নয়নচন্দ্রর চোখ পড়ে দূরে থাকা সাদা শাড়ি পড়া তার রেখার দিদির দিকে , সে বলে বাবুমশাই আপনিরা সবাই এইখানে আর রেখা দি দূরে কেন আর সাদা শাড়ি পড়া কেন ? তখন তাহার কাকিমা বলিলো তোমার দিদির স্বামী সাতদিনের জ্বরে মারা যায় ।আর তার স্বামীর বাড়ির লোক ওকে তাড়িয়ে দেয় , আর তুমি আসবে বলে আমরা ওকে তোমার সামনে আসতে দিতে চাই নে কারন বিধবা মেয়ে কোন শুভ কাজে আসতে নে নইলে ক্ষতি হবে তাই । নয়নের বাবুমশাই বলে রামলাল তুমি ওর ব্যাগ নিয়ে যাও , আর এই খানে না দারিয়ে চলে সবাই বাড়ির ভিতর ঢুকি ? আর সবাই ভিতরে যায় । আর রাতের বেলা নয়নচন্দ্রকে তার প্রিয় খাবার দেয় , তা দেখে নয়নচন্দ্র বলে, রামু কাকা তোমার মনে আসে আমার প্রিয় খাবারের কখা ? তখন রামলাল বলে নয়ন বাবাজি আমি না জানলে বলে কে জানবে বলে গিন্নী মা মারা যাওয়ার পর আমি তো তোমায় নিজ হাতে লালন পালন করেছি এই সব বাদ দিয়ে এখন তুমি খাও ? নয়নচন্দ্র খাবার খাই । সে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে কারন সে কলিকাতা থেকে এই চন্দ্রপুরে আসতে অনেক দকল যায় এই জন্য সে ঘুমিয়ে পড়ে । পরের দিন সকাল বেলা নয়নচন্দ্র ঘুম থেকে উঠে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা খেতে চলে আসে , আর খেতে খেতে সে বলে ,রেখা দি কোথায় তাকে তোমরা ডাকো আমি তার সাথে বসে খাবার খাবো ? তার কাকিমা আবারো সে কথা বলে তাকে কিন্তু সে কিছু না সুনে তার দিদি কে নিয়ে আসে কিন্তু তার দিদি আস্তে চাই নে সে জোর করে আনে আর বলে, দিদি আজ তোর গায়ে সাদা সাড়ি পরে আসিস তাই তুই তর আদরের ভাইকে ভাত খাওয়াবি না ? তার দিদি বলে আমি অপয়া আমি তোর সামনে এলে তোর ক্ষতি হবে? কই তুমি তো আমার সামনে এলে কই কোন ক্ষতি হলে না আমায় এই সব রীতি আমি মানি না তুমি আমাকে ভাত খাওয়া বে আর সীতার বিয়ের সব কাজ করবে এতা আমার সাফ কখা ? এই বলে সে বাইরে বের হই , আর সে পথমে হরিদাস পাল (পন্ডিতমশাই ) এর কাছে যায় আর বলে , নমস্কার পন্ডিতমশাই কেমন আসেন ? হরিদাস পাল , আমি ভালো আছি কিন্তু তুমি কে বাবা ? নয়নচন্দ্র বলে আমি নয়নচন্দ্র ? হরিদাস পাল বলে, জমিদার রাজচন্দ্রদের ছেলে তুমি ? তাদের দুইজনের আলাপ আলোচনার শেষে নয়ন চলে যায় তার সেই ছোট বেলার খেলার সাথি মাধবিলতার বাড়িতে । ( সেইখানে গেয়ে মাধবিলতার বাবা সাথে তার সাক্ষাৎ হই , বলে কাকু পাকনা বুড়ি আসে ? নারায়ণ দাস বলে কে পাকনা বুড়ি ? মনে মনে ইস আমি যে ওকে পাকনা বুড়ি বলি তারা জানে না , না মানে মাধবী ঘরে আছে কাকু ওকে একটু ডাকেন না ওর সাথে কথা বলবো ? ও মাধবিলতা ও তো জল আনতে পুকুর পারে আনতে গেছে ? নয়নচন্দ্র বলে তা হলে আমি আসি কাকু ? এই বলিয়া সে পুকুর পারে যায় কিন্তু তাদের দুইজনের দেখা হইছে কিন্তু ঝগড়ায়) । মাধবিলতা বলে এই যে , আপনিকে আপনার চোখের মাথা খাইসেন পথ চলতে পারেন না দিলেন তো আমার সব জল ফিলিয়া আবার জল ভরিতে হইবে? তখন নয়নচন্দ্র বলে দেন আমি জল ভড়ে দেই ? না থাক আমার জল আমি ভরবো ? আচ্ছা আপনিকে আমার উপর রেখে আসেন ? মাধবিলতা বলে হ্যাঁ ? এই কথা বলে মাধবিলতা জল কলসিতে ভরে নিয়ে জায় বাড়ি আর নয়নচন্দ্র পকুর পারে খুজতে থাকে তার মাধবিলকে । ( কিন্তু মাধবিলতা অনেক আগে তার বাড়ি চলিয়া গেছে নয়ন বলে, আজ ওর সাথে আমার হল না দেখা যায় কাল বরং সে আমবাগানে আসবো হইত সেখানে হবে দেখা ওর সাথে যায় ? এই বলে সে তার বাড়ি পথে রওয়ানা হয় ) । আর মাধবিলতার বাড়ির যাওয়ার কিছুক্ষন আগে তার মা দেবযামিনী দাস বলিলো ওগো তুমি কার সঙ্গে কথা বলতে ছিল গো আর তিনি কে ? নারায়ণ বলিল, আরে এইত জমিদার এর ছেলে নয়নচন্দ্র আমার কাছে এসে পায়ে ধরে নমস্কার করে বলে আমি নয়নচন্দ্র আর রাজচন্দ্র আমার বাবূমশাই ? দেবযামিনী দাস জানতে চাই যে নয়নচন্দ্র তার বাড়িতে কেন এসেসে তখন নারায়ণ দাস বলে যে , তাহাদের মেয়েকে খুঁজতে এসেসে ওর সাথে দেখা করতে , মনে হয় অনেকদিন হয়েছে দেখা হয়নি তাই দেখা করতে এসেছে ? এমন সময় আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে আর তারা বাবাকে বলে , নয়নদা এসেছে বাবা কোথায় ? তার বাবা বলে,তোকে না পেয়ে পুকুর পারে গেছে মনে হয় বাড়ি চলে আসে ? তার বাবা বলে,তোকে না পেয়ে পুকুর পারে গেছে মনে হয় ? এই কখা সুনে সে পুকুর পারে যায় কিন্তু তার আগে সে চলে গেছে আর মন খারাপ করে বাড়ি চলে আসে আর বলে , নয়নদা আজ তুমি ১২ বছর পর এলে কিন্তু আমাদের হল না দেখা কালিকে আমি সেই আমবাগানে যাবো আমার মনে হয় আমাদের সেইখানে হবে দেখা ? নয়নচন্দ্র বাড়ি গিয়ে দেখে তার কাকাই আর তার বাবুমশাই কখা বলছে , শুন বিজয় সবাইকে তো নেমন্ত করা হলে শুধু নারায়ণ দাস পরোহিত ছাড়া কাল তুই লোক পাঠিয়ে নারায়ণকে বলবি তর মেয়ের বিয়ের সে থাকবে পরোহিত আর তাদের নেমন্ত গ্রহন করতে বলবি ? বিজয়চন্দ্র বলে আমি তাই করবো দাদা আপনি চিন্তায় করিবেন না ? এই কথা শুনে নয়নচন্দ্র তার কাকাই এর পায়ের হাতে ধরিয়া বলে তাকে যেন এই কাজ দেয় নারায়ন এর বাড়ি গেয়ে নেমন্ত দিতে তার কাকাই বলে, ঠিক আছে তুই জাবি নয়ন ওদের বাড়িতে তুই এবার ঘরে যা ? তার কাকাই বুঝে যায় কেন ও এমন পাগলামি করসে । আর বিজয়চন্দ্র তার ঘরে গিয়ে খাবার খাই । ( পরেরদিন সকালবেলা নয়নচন্দ্র সেই আমবাগানে এসে অপেক্ষা করে তার মাধবীলতার জন্য অনেকক্ষন পাইচারি করার পর দেখে যে কেউ লালশারী পরে আসছে তার সামনে ) সে বলে এই কি আপনি এই খানে আপনি সে না যার সাথে আমার ধাক্কা লাগে আর আপনার সব জল পরে যায় ? মাধবীলতা বলে হ্যাঁ আমি সেই কিন্তু আপনি এই খানে কি করসেন বলেন ? নয়নচন্দ্র বলে একজনের জন্য অপেক্ষা করছি সেই এই খানে আসবে আর আপনি এই খানে আসলেন কেন ? মাধবিলতা বলে , আপনি যে কারনে এইখানে আসছেন আমিও সেই কাজে আসলাম বুঝলেন ? নয়নচন্দ্র বলে ও আচ্ছা , শুনি কে সে ভাগ্যবান লোক যার জন্য আপনি অপেক্ষা করসেন এই আমবাগানে ? তখন মাধবিলতা বলল , আপনি বলে্‌ন , শুনি কে সে ভাগ্যবান লোক যার জন্য আপনি অপেক্ষা করসেন এই আমবাগানে ? তখন নয়নচন্দ্র বলল , আপনি আগে বলেন মেয়েদের আগে বলা উচিৎ তাই না এবার বলেন কে সে ভাগ্যবান লোক ? আর এবার মাধবীলতা বলে এবার সত্যি সত্যি বলে যে সে তার নয়নদা সাথে দেখা করতে এইখানে এসেছে ? এবার আপনি বুলুন কে সে ? নয়নচন্দ্র বলে বলবো তার নাম ? মাধবীলতা বলে, হ্যাঁ বলেন তার নাম আমি তো বলছি এবার আপনি বুলুন ? নয়নচন্দ্র বলে তার নাম পাকনা বুড়ি ? এই নাম শুনে মাধবীলতা বলল, তার মানে আপনি হচ্ছেন নয়নদা ? অবশেষে তাদের পরিচয় হয় আর অনেক কখা । ( হঠাই নয়নচন্দ্র বলে পাকনা বুড়ি ,ও মাধবিলতা এখন তো অনেক বড় হইসস তাই তকে আর পাকনা বুরি না বলে আমি আমি মাধবী বলে ডাকিব ? মাধবী বলে , কি নয়নদা কিছু বলবে ? তখন নয়নচন্দ্র বলে কাকাই বলেছে তোর বাবাকে আমার ছোট বোন সীতার বিয়ে দিবেন তিনি আর তদের নেমন্ত দিয়েসে কি আসবে আমি আজ যাই ওই দিকে সব কাজ পরে আছে শোন তরা কিন্তু আসবি ? এই বলে নয়নচন্দ্র তার বারিতে যায় ) আর মাধবিলতা তার বাড়িতে গেয়ে তার বাবাকে বলে ওই কখা । অবশেষে বিয়ের হলুদ সন্ধা এসে গেছে সুরু হয়ে গেছে হলুদ সন্ধা। সেই খানে আছে মাধবিলতা আর তার মা আর তার বাবা পরে আসবেন । হলুদ সবাই দেয় আর মাধবিলতা আর নয়নচন্দ্র এক সাথে হলুদ দেই শেষে । এমন সময় নয়নচন্দ্র দেখে তার দিদি লুকিয়ে দেখছে এবং নয়নচন্দ্র সেইখানে গেয়ে তার দিদিকে নিয়ে আসে আর বলে তুমি হলুদ দেলে না যে দিদি চলে সীতাকে হলুদ মাখাই ? তখন তার কাকিমা বলে নয়ন তোমাকে বলেছিলাম বিধবা মেয়েদের এই সব শুভ কাজে আসতে নেই ? তখন নয়নচন্দ্র বলে কাকি মা আজ তোমার বিয়ে মেয়ের বিয়ে দিবে কাল যদি দিদি মতন এই একি দশা হই তখন কি তোমার মেয়ের কালায় এমন করতে বলে ? তার কাকিমা কিছু বলে না চুপ করে থাকে এই কথা সুনে ।
তার বাবুমসাই বলে ,নয়ন তোমাকে এই সব করতে কে বলেছে বল আমায় ? তখন তার কাকিমা বলে , দাদা নয়ন ঠিক বলেছে আমরা অন্যায় করেছি রেখার উপর অকে আমাদেরে থাকার অনুমতি দেন না ? অবসেষে জমিদার বলল ঠিক আছে ও আজ থেকে সব শুভ কাজে থাকবে ? ( এর পর সবাই মুখে হাসি ফুটে আর রেখা মন আনন্দদে কান্না চলে আসে ) আর নয়নচন্দ্র মাধবিলতাকে নিয়ে আড়ালে গিয়ে তারা দুইজন একে অপরকে হলদ্দ মাখাই আর তার পরে মাধবিলতা সেইখান থেকে এক ছুটে আবার হলুদ সন্ধ্যায় অনুস্তানে চলে আসে আর নয়নচন্দ্রও চলে আসে এই জায়গায় । ( এই ভাবে হলুদ সন্ধ্যা শেষ হয়ে যায় , আর বিয়ের দিন চলে আসে নয়নচন্দ্র আর তার সাথে কয়েকজন মিলে সীতাকে নিয়ে আসে আর সাত টা গোল পাক দিয়ে পরে সীতাকে নিচে বরের সামনে ) এরপর বিয়ের সব রীতি শেষ হয় আর সীতার বিয়ে সম্পন্ন হয় । তারপরে সীতা আর তার স্বামীকে রাজচন্দ্র অ বিজয়চন্দ্র আশীর্বাদ করে আর বিদায় জানায় সীতাকে , সীতা তার স্বামীর বাড়ি চলে যায় । ( তার
কিছুদিন পর জমিদারের বাড়িতে ইংরেজ এসে জমিদার রাজচন্দ্র তুমি তো আজ প্রায় ৪ মাস খাজনা দিসসো না আমাদের তাই আমরা তোমার এই বাড়ি আমি নিলামে তুলবো ? এই সুনে জমিদার রাজচন্দ্র বলে আমি যে ভাবে পারি আপনাদের খাজনা দিবো পরিশোধ করে ? ইংরেজ বলে ১০হাজার টাকা দিতে পারবে আমি তোমাকে ১ মাসে সময় দিলাম না পারলে আমরা এই বাড়ি নিলামে তুলে তোমাকে পথে ফকির করে ছাড়বো ? এই বলে তারা চলে যায় ) আর রাজচন্দ্র হতাশ হয়ে পরে সে কি করবে এখন , এমন সময় তার ছোট ভাই বিজয়চন্দ্র বলে দাদা আপনি চিন্তা করবেন না টাকা যোগার হবে । রাজচন্দ্র বলে কি ভাবে ? তখন বিজয়চন্দ্র বলে দাদা ওই উওর পাড়া জমিদার ভুবন মুখার্জি আছে চলে তার কাছে যায় সে আমদের এই বিপদের কথা সুনে সে নিশ্চয় সাহায্য করবে চলে ? তারা দুইভাই সেইখানে চলে যাই । আর গিয়ে সব খুলে বলে , আর তা শুনে ভুবন মুখার্জি বলে সাহায্য করতে পারি কিন্তু একটা কথা ? রাজচন্দ্র বলুন কি কথা ? ভুবন মুখাজি বলে আপনাকে আমি টাকা দিব আপনার ছেলের সাথে আমার একমাএ কন্যার বিবাহ দিতে হবে কি রাজি তো ? ( রাজচন্দ্র কোনোদিন ভাবে নে যে টাকার বিনিময়ের তার ছেলের বিয়ে দিতে হবে ) তার ভাই বলে দাদা রাজি হয়ে যাও এই বিয়েতে তুমি রাজি হলে জমিদার মশাই টাকা দিবে না আর তাকে পেলে তোমার জমিদারি নিলামের উঠবে ? কিছুক্ষন ভেবে অবশেষে বিবাহে রাজি হয়ে যায় । জমিদার ভুবন মুখার্জি তার কন্যাকে ডাক দিয়ে বলে মা রাগিণী এই হচ্চে দক্ষিণ পারার জামিদার রাজচন্দ্র আর তার ভাই বিজয়চন্দ্র ? রাগিণী মুখার্জি তাদের কে প্রনাম করে আর তার পরে তার বাবা তাকে বাড়ির ভিতর জেতে বলে আর এইখানে বিয়ের সব কখা পাকা হয় এই সামনে সপ্তাই বিবাহ তারিখ ঠিক করে । আর মিতালি মুখার্জি তাদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসে এবং তা খাই আর তারা দুই ভাই চলে যায় টাকা নিয়ে। আর এইদিকে রাগিণী তার বিবাহের কথা শুনে লজ্জা হলে লাল । ( তারা এসে বলে নয়নের বিবাহ ঠিক করে এসেছি ) রাধাচন্দ্র বলে দাদা বিবাহ ঠিক করসো ভালো কখা মেয়েটা কে শুনি ? তখন বিজয়চন্দ্র বলল উওর পাড়ার জমিদার ভুবন মুখার্জি এর কন্যা রাগিণী মুখার্জি সঙ্গে বিবাহ থিক করেছি এই সপ্তাই ? রাধাচন্দ্র বলে তাহলে তো হাতে সময় নেই আমাদের ? তখন রাজচন্দ্র বলে তুমি তোমার মেয়ে আর জামাইকে ডাকো ? এই বলিয়া বরং রাজচন্দ্র তার ঘরে চলে যায় । বিজয়চন্দ্র বলে আমার মনে হয় না যে নয়ন এই বিয়েতে রাজি হবে ? রাধাচন্দ্র কারন জানতে চাইলে বলে কারন হল যে মাধবিলকে ভালোবাসে আমাদের নয়ন ? রাধাচন্দ্র তা সুনে বলে শেষ মেষ ওই পরোহিতের মেয়েকে ভালবাসে ছিঃ ? তারপর তার তারা দুইজন ঘরে যায় আর তাদের মেয়েকে জামাই নিয়ে আসার জন্য চিঠি লিখে তা পাঠায় । আর ওই দিকে নয়নচন্দ্র আর মাধবিলতা মেলায় যায় মেলা দেখতে ,আর নয়নচন্দ্র মেলা থেকে মাধবিলতাকে চুড়ি কিনে দেয় আর তা নিয়ে আমবাগানে গেয়ে মাধবীলতার হাতে চুড়ি পড়িয়ে দেয় আর নয়নচন্দ্র বলে । তোকে এই লাল রঙে চুড়িতে বেশ মানিয়েছে ? এই কখা শুনে মাধবিলতা হাসে আর তারপর তারা কিছুক্ষন কথা বলে তার যে যার বাড়িতে যায় । আর নয়নচন্দ্র তার বাড়িতে আসিলে তার বাবুমশাই তাকে সব কথা বলে তা সুনে সে বলে, আমি পারিব না এই বিবাহ করিতে বাবুমশাই আমায় ক্ষমা করিবেন আপনি ? রাজচন্দ্র বলিল, কেন তুমি এই বিবাহ করিতে পারিবে না বল ? এবার নয়নচন্দ্র বলে বাবুমশাই আমি একজনকে ভালোবাসি আর তাকে ছাড়া আমি কাউকে বিবাহ করিতে পারিব না ? এবার রাজচন্দ্র সান্ত গলায় বললেন কে সে ? নয়নচন্দ্র বলে , তার নাম মাধবিলতা ? এই কখা বলার পর রাজচন্দ্র তাকে রেগে বলে তোমার এতো বড় সাহস তুমি কিনা শেষে একটা পরোহিতের মেয়েকে এই বাড়ির বউ করতে চাও আমি বেচে থাকতে কোনোদিন ওই মেয়েকে এই বাড়ির বউ বলে মেনে নিব না ? বাবুমশাই মাধবীলতা পরহিতের মেয়ে বলে মেনে নিবেন না আপনার মানা না কিছু আসে যায় না আমি ওকে বিবাহ করিব আমি গেলাম ? হঠাই রাজচন্দ্র সিঁড়ি থেকে পরে যায় আর নয়নচন্দ্র ছুতে এসে তার বাবুমসাইকে ঘরে নিয়ে যায় আর ডাক্তার বাবুকে ডেকে নিয়ে আছে তার কাকাই । ডাক্তার বাবু তাকে দেখ তারপর বলে জমিদার মশাই আপনি বিশ্রাম নেন ? নয়নচন্দ্রকে ডাক্তারবাবু বলে বাবা নয়ন তোমার বাবুমশাইয়ের হ্যাট অ্যাটাক হয়েছে । আর দেখবেন যে ওঁনী কোন কারনের কষ্ট না পায় আর যদি কোন করনের কষ্ট পাইয় তাকে আর বাঁচানো যাবে না আমি আসি বরং আজ ?
( এই কথা বলে ডাক্তারবাবু চলে যায় ) দিদি তুমি সবাইকে নিয়ে একটু
ঘরের বাহিরের যাবে ? আর তারা সবাই ঘরের বাইরে চলে যাই ।
নয়নচন্দ্র কেদে তার বাবুমসাইয়েকে বলে, আমি রাজি এই বিবাহে আপনি যা বলবেন আমি তা করবো ? রাজচন্দ্র বলে তুই ওকে ভুলে যা ? এই কথা সুনে নয়নচন্দ্র কেদে বলল আমি ওকে ভুলে যাবো সারাজিবনের মতন ? আর তার পর নয়নচন্দ্র বাবুমশাই মুখে হাসি ফুটে । তারপরে রাজচন্দ্র সবাইকে ডাকিতে বলে ভিতরে আর নয়নচন্দ্র সবাইকে ভিতরে আসতে বলে আরা তারা এলে এরপর রাজচন্দ্র তার ভাই আর ভাইয়ের বউকে বলে, জমিদার ভুবন মুখাজি বলে ছেলেকে নিয়ে আমাদের সবাইকে তার বাড়িতে গেয়ে মেয়েকে আশীবাদ করে আসতে বললেন কাল তাহলে আমরা কাল সবাই যাবো ? তার ভাই বিজয়চন্দ্র বলে ,দাদা তাহলে আমরা কাল না হয় যাবো ? তার পরে একদিন বিকেল বেলা নয়নচন্দ্র আমবাগানে গেয়ে মাধবিলতা জন্য অপেক্ষা করে আর মাধবিলতা সে সব বলে যে , সে ওকে বিয়ে করতে পারবে না মাধবিলতা কারন জানতে চাইলে বলে তার বাবুমসাইকে বাচাতে সে রাগিণী নামে ,মেয়েকে বিয়ে করবে আর আজ আশীবাদ করতে যাবে ভুবন মুখাজি বাড়িতে । তার পর সব শেষ , সেখান থেকে নয়নচন্দ্র তার বাড়িতে চলে আসে । ( আর মাধবিলতা বসে বসে কাদতে থাকে )। আর তারপরে সবাই মিলে হাসি মুখে যাই
ভুবন মুখাজি বাড়িতে কিন্তু নয়নচন্দ্র মুখে হাসির ছাপ নেই সুধু কিন্তু তারপরও সে হাসি মুখে থাকতে চাই । আর ওই দিকে আশীবাদ শুরু হয়ে গেছে , জমিদার রাজচন্দ্র তার ছেলে আর ছেলের হবু বউকে আশীবাদ করে বলে, তোমরা দুইজন সুখি হও? একে একে আশীবাদ করা শেষে জমিদার ভুবন মুখাজি তার মেয়ে আর মেয়ের হবু জামাই আশীবাদ করে বলে , মা তুই সুখি হও আর বাবা আমার মেয়েকে নিয়ে তুমি সুখি হও এই আশীবাদ করি আমি ? এই দিকে রাজচন্দ্র তার ছেলের বিয়ের হবে তার বাড়িতে এই কথা বলে জমিদার রাজচন্দ্র আর তা সুনে ভুবন মুখাজি বলে, ঠিক আছে আপনার বারিতে হবে বিয়ে ? তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে আর ওই দিকে নয়নচন্দ্র আর রাগিণী মুখাজি একটা ঘরে তারা কথা বলে আর এমন সময় তার কাকাই বিজয়চন্দ্র এসে বলে, আমি কি একটু নয়ন তোমার সাথে কথা বলতে পারি? নয়নচন্দ্র বলে তুমি আমার সাথে কথা বলবে তাতে অনুমতি নিয়া কি আসে তুমি যখন ইচ্চা আমার সাথে কথা বলতে পারো ? বিজয়চন্দ্র বলে, মা রাগিণী একটু বাইরে যাবে আমি ওর সাথে একলা কথা বলবো ? এরপর রাগিণী বলে, আপনি ওনার সঙ্গে কথা বলুন আমি বাইরে গেলাম ? এই বলে সে বাইরে চলে যায় । নয়নচন্দ্র বলে, কাকাই কি বলবে বলো ? তার কাকাই বিজয়চন্দ্র বলে, আমি জানি তোর এই বিয়েতে মত নেই ? নয়নচন্দ্র বলে , কে বলেছে তোমায় যে আমার এই বিয়েতে মত নেই কাকাই ? তখন বিজয় বলে ,আমি জানি যে তুই মাধবিলতাকে ভালোবাসিস কি এমন হয়ে গেল যে তুই তাকে ছেড়ে এই রাগিণীকে বিয়ে করতে যাচ্ছিস তুই ? তখন নয়নচন্দ্র বলে , কাকাই আমাদের বাড়িতে কেউ কোনোদিন প্রেম ভালোবেসে বিয়ে করে নি আর বাবুমশাই তা পছন্দ করে না আর আমি আমার বাবুমশাই এর পছন্দ মেয়েকে বিয়ে করব না হলে আমার বাবুমশাই বাচবে না কাকাই ? এবার বিজয়চন্দ্র মনে মনে বলে, এটা নিশ্চয় দাদার কাজ এর পর নয়নচন্দ্রকে বলে তুই থাক আমি যায় ? আর সে চলে যায় আর নয়নচন্দ্র তার চোখের জল মুছে ফেলে আর তারপর রাগিণী ভিতরে এসে তারা আবার আলাপ করে । এরপরে তারা সবাই তাদের বাসাই চলে আসে । ( আর তার পরে বিজয়চন্দ্র মনে মনে একলা বলে, আমার জন্য আমার একমাএ ভাইপো জিবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার জন্য আমি দায় আমাকে ক্ষমা করিস নয়ন ? এইদিকে মাধবিলতাকে কাদতে
দেখে তার বাবা নারায়ণ দাস তার মেয়েকে বলে, মা তুই কাদিস কেন মা বল আমায় তুই তোর কি হয়েছে ? মাধবিলতা তার বাবকে নয়নচন্দ্রের বিবাহের কথা বলে যে অর বাবুমসাই তার মেয়ে ঠিক করেছে আমায় নাকি নয়নদা বিয়ে করতে পারবে না কিন্তু আমি তাকে ছাড়া বাচব না বাবা ? এই বলে কাদে মাধবিলতা তার এই কথা সুনে মাধবীলতার মা বলে, আমি তোকে আগে বলেছিলাম ওরা বড় ঘরে লোক ওরা আমদের দেখতে পারে না শুধু তর বাবা পরহিত বলে ওই বাড়িতে পুজা করতে পারে না জানি কবে ওই জমিদার তার ওইখানে পুজা করা বন্ধ করে দেয় ? তখন নারায়ন বলে তুমি অইসব অলক্ষ্মী কথা বলসো কেন মা কাল আমি তর বিবাহ পস্তাব নিয়ে যাবো জমিদার বাড়িতে এবার মুখে হাসি আন মা তোর এই মন খারাপ আমার ভালো লাগে না ? এবার মুখে হাসি এনে মাধবিলতা তার বাবাকে জরিয়ে ধরে বলে বাবা তুমি খুব ভালো ? এই কথা সুনে নারায়ন এর বউ বলে , ঠিক আছে যাও কাল ? এই বলে সে বাইরে তুলসি গাছের সামনে এসে প্রদীপ এর আগুন ধরিয়ে সঙ বাজিয়ে অলু দিয়ে সে বলে, মা দুগগা দেখো লোকটা কালকে গেয়ে অপমানিত না হয় মা দুগগা ? পরের দিন জমিদার রাজচন্দ্রদের কাছে নারায়ন তার মেয়ের বিবাহ পস্তাব নিয়ে আসলে তাকে অপমান করে তারিয়ে দেয় আর বলে তোমার মেয়ের সাথে আমার ছেলে বিয়ে দিবো না এই কথা ভাবলে কেমন করে আর আজ থেকে তোমাকে আমার বাড়িতে কোন পুজা বা বিবাহের কাজ করতে হবে না যাও এইখান থেকে ? এই বলে তাকে তারিয়ে দেয় রাজচন্দ্র )। সে তার বাড়িতে গেয়ে তার মেয়ে আর বউকে সব খুলে বলে তা সুনে দেবযামিনী দাস বলে, কি হয়েছে তোমাদের দুইজনের এই সব তোর জন্য হয়েছে মুখ পড়া তুই বেরিয়ে যা আমার ঘর থেকে ? মাধবীলতা বলে কোথায় যাবো মা আমি ? তার মা বলে কেন তুই জাহান্নামে যাবি ? তারপরে মাধবীলতার বাবা বলে ছিঃ কি বলসো তুমি যা মা তুই তোর ঘরে ? আর মাধবীলতা তার ঘরে যায় । আর বাবা বলে আমি ওর বিয়ে দিবো আর জমিদার মশাইকে দেখিয়ে দিবো আমি তবে বিয়ে অন্য কারো সাথে ওই জমিদার ছেলের সঙ্গে নয় ? আর এই সব কথা মাধবিলতা শুনে ফেলে আর কাদে। বিয়েদিন চলে আসে অবশেষে জমিদার রাজচন্দ্রদের বাড়িতে । আর আজ নয়নচন্দ্রর মন খারাপ তার দিদি এসে বলে কি মাধবিলতার জন্য মন খারাপ করছিস করিস না এখন যার সাথে তোর বিয়ে হবে তার কথা ভাব ভাই তুই ? এই বলে তাকে নিয়ে বিয়ের আসরে যাবে আর যায় আর বিয়ে সম্পন্ন হয় । আর এই দিকে মাধবীলতার রাজচন্দ্রদের বাড়ির গেটের সামনে এলে পাহারাদার তাকে ঢুকতে দেয় না সে অনেক হাত জোর করে এর পরেও ঢুকতে দেয় না । আর একজন পাহারাদার বাড়ির ভিতরে গেয়ে জমিদার রাজচন্দ্রকে বলে যে মাধবীলতা তাদের গেটের সামনে এসে ভিতরে ঢুকতে চাইছে তখন জমিদার রাজচন্দ্র নিজে ওই গেটের এসে বলে, তুই এইখান থেকে চলে যা আর কোনোদিন আসবি না আর শোন কিছক্ষন আগে আমার ছেলের সাথে রাগিণীর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে আর ওর জীবনের তোর কোন স্থান নেই যা এইখান থেকে তুই যাবি না আমার পাহারাদার দিয়ে ঘাড় ধরে বের করে দিবো ? মাধবীলতা বলে, তার আর দরকার হবে না আমি নিজে চলে যাবো ?এই বলে সে চলে যাই আর পথে পথে হাঁটতে হাঁটতে বলে, আমি সরাজীবন চেয়েছিলাম তোমার সাথে থাকতে তা আর হলে না তুমি ভালো থেকো রাগিণীকে নিয়ে নয়নদা ? এই ভাবে এই উপন্যাসের কাহিনী সমাপ্ত হয়।