বিবর্ধক কাচ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: লেখা যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎ইতিহাস: লেখা যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১০ নং লাইন:
 
কয়েক সহস্রাব্দ ধরে মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকায় বিবর্ধক কাচ ব্যবহৃত হতো।<ref>https://doi.org/10.2307%2F505216</ref> ৪২৪ খ্রিস্টপূর্বে অ্যারিস্তোফানেস রচিত "দি ক্লাউস" নাটকের একটি কৌতুকে এর ব্যবহার দেখা যায়। নাটকে দেখা যায়, একটি শুকনো কাঠে আগুন ধরানোর উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি ঔষধালয়ে বিবর্ধক কাচ ক্রয় করতে যান। রোমান লেখক প্লিনি দ্য এল্ডার রচিত একটি নাটকেও এর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে তিনি একটি জলপূর্ণ কাচের ভূগোলকের কথা বলেছেন। টীকাকার সেনেকা এ প্রসঙ্গে বলেন, অনেক ছোট কিংবা অনুজ্জ্বল অক্ষরও এর সাহায্যে দেখা যেত। [[হাসান ইবনে আল-হাইসাম]] রচিত ১০২১ সালের আলোকবিজ্ঞানবিষয়ক পুস্তকে উত্তল লেন্স ব্যবহার করে বিবর্ধক কাচ প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। <ref>https://doi.org/10.1097%2F00006123-199804000-00116</ref>দ্বাদশ শতাব্দীতে আরব দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিকদের অনেক বই লাতিন ভাষায় অনূদিত হওয়া শুরু হয়। এগুলোর মধ্যে আল-হাইসামের বইটিও ছিল।ঐ বই পড়ে বিজ্ঞানী [[রজার বেকন]] ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডে বিবর্ধক কাচের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে [[ইতালি|ইতালিতে]] তদনুযায়ী চক্ষু-চশমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়।<ref>https://doi.org/10.1097%2F00006123-199804000-00116</ref>
 
==বিবর্ধন==
 
বিবর্ধক কাচের বিবর্ধন যে বিষয়টির উপর নির্ভর করে সেটি হলো- ব্যবহারকারীর চোখ ও অভীষ্ট বস্তুর মধ্যে কোথায় বিবর্ধক কাচটি স্থাপন করা হয়েছে। কৌণিক বিবর্ধনের উপর বিবর্ধন কাচের ক্ষমতা নির্ভর করে (আলোকীয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে না)। ব্যবহারকারীর চোখের রেটিনায় বিবর্ধক কাচসহ ও কাচছাড়া গঠিত বিম্বের আকৃতির অনুপাত। কাচছাড়া বিম্বে গঠিত আকৃতির ক্ষেত্রে এটা ধরে নেওয়া হয়, ব্যবহারকারী বস্তুটিকে নিজের চোখের সর্বনিম্ন ততটুকু দূরত্বে লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আসবে, যে দূরত্বে বস্তুটি অস্পষ্ট দেখায় না। একে বলা হয়, "কোনো বস্তু দেখার নিম্নবিন্দু।" বয়সের সাথে সাথে নিম্নবিন্দুর মানের পরিবর্তন হয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিম্নবিন্দুর মান ৫ সেন্টিমিটার , অপরপক্ষে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর মান ১ বা ২ মিটার। বিবর্ধক তৈরির ক্ষেত্রে নিম্নবিন্দুর আদর্শ মান ০.২৫ মিটার।
 
==তথ্যসূত্র==