আন্তঃআণবিক বল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Khalid Hasan Shohag (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Khalid Hasan Shohag (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন:
 
== ভ্যানডার ওয়ালস বল ==
আধানবিহীন পরমাণু বা অণুসমূহ এর মধ্যকার মিথস্ক্রিয়া থেকে ভ্যানডার ওয়ালস বল এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ঘনীভূত পর্যায়, গ্যাসের শোষণ এবং জগতের ক্ষুদ্র দেহগুলোরবস্তুসমূহের আকর্ষণ থেকেও এসেছে।<ref name=":0">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3390/ijms131012773|শিরোনাম=Theoretical Models for Surface Forces and Adhesion and Their Measurement Using Atomic Force Microscopy|শেষাংশ=Leite|প্রথমাংশ=Fabio L.|শেষাংশ২=Bueno|প্রথমাংশ২=Carolina C.|শেষাংশ৩=Da Róz|প্রথমাংশ৩=Alessandra L.|শেষাংশ৪=Ziemath|প্রথমাংশ৪=Ervino C.|শেষাংশ৫=Oliveira|প্রথমাংশ৫=Osvaldo N.|তারিখ=2012-10-08|সাময়িকী=International Journal of Molecular Sciences|খণ্ড=13|সংখ্যা নং=12|পাতাসমূহ=12773–12856|doi=10.3390/ijms131012773|issn=1422-0067}}</ref>
 
'''কেসম (স্থায়ী-স্থায়ী ডাইপোল) বল'''
৪৯ নং লাইন:
আধানসমূহের মধ্যে স্থির তড়িৎ ক্রিয়া(অণুর আয়নে), ডাইপোলসমূহ(অপোলার অণু), কোয়াড্রপোল(সকল অণু যা কিউবিকের চেয়ে কম প্রতিসাম্য) এবং স্থায়ী মাল্টিপোল এর জন্য দায়ী কেসম বল(উইলিয়াম হেন্ড্রিক কেসমের নামে) যা ভ্যানডার ওয়ালস বলের প্রথম অবদান।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/0031-9163(65)90679-7|শিরোনাম=Second virial coefficient of non-polar non-spherical molecules|শেষাংশ=Saksena|প্রথমাংশ=M.P.|শেষাংশ২=Saxena|প্রথমাংশ২=S.C.|তারিখ=1965-08|সাময়িকী=Physics Letters|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=120–122|doi=10.1016/0031-9163(65)90679-7|issn=0031-9163}}</ref> স্থায়ী ডাইপোলসমূহের মধ্যকার আকর্ষণ থেকে এ বলের উৎপত্তি এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।<ref name=":0" />
 
এটা ডাইপোলসমূহের মধ্যকার আকর্ষণ বল যা বিভিন্ন ঘূর্ণন কাঠামো ডাইপোলের জড়ো গড় (ensemble averaged) নিয়ে গঠিত। এটা ধারণা করা হয় যে অণুসমূহ প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকে এবং কখনোই এক জায়গায় স্থির থাকে না। এটা যদিও ভালো ধারণা, কিন্তু কোন কোন বিন্দুতে অণুসমূহ স্থির থাকে। কেসম বলের শক্তি দূরত্বের(অণুসমূহের) ষষ্ঠ ঘাতের বিপরীত মানের উপর নির্ভর করে। কেসম বল কেবল সেইসব অণুর মধ্যে ঘটতে পারে যাদের স্থায়ী ডাইপোল বিদ্যমান। কেসম খুবই দুর্বল প্রকৃতির ভ্যানডার ওয়ালস বল এবং জলীয় দ্রবণে ঘটে না। কৌণিক গড়ের সমীকরণ:
 
<math>\frac{-m_1^2 m_2^2}{24\pi^2 \varepsilon_0^2 \varepsilon_r^2 k_\text{B} T r^6} = V,</math>
৫৫ নং লাইন:
যেখানে m = ডাইপোল মোমেন্ট, <math>\varepsilon_0</math> = ফাকা জায়গার অনুমতি, <math>\varepsilon_r</math> = ডাইলেকট্রিক ধ্রুবক, ''T'' = তাপমাত্রা, <math>k_\text{B}</math> = বোলসম্যান ধ্রুবক, and ''r'' = অণুসমূহের মধ্যকার দূরত্ব।
 
'''ডিবাই (স্থায়ী-আবেশআবেশিত ডাইপোল) বল'''
 
ভ্যানডার ওয়ালস বলের দ্বিতীয় অবদান। স্থায়ী ডাইপোলসমূহের ঘূর্ণন এবং পরমাণু ও অণুসমূহের (আবেশআবেশিত ডাইপোল) মধ্যকার সম্পর্ক থেকে ডিবাই বল এসেছে। যখন একটি অণুর স্থায়ী ডাইপোল অপর অণুর ইলেকট্রনগুলোকে সরিয়ে দেয় তখন আবেশআবেশিত ডাইপোলের সৃষ্টি হয়। স্থায়ী ডাইপোলধারী অণু নিজ ধর্মের অন্য অণুকে আবেশিত করে এবং পারস্পরিক আকর্ষণ ঘটায়। এই বল কেসম বলের মত তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে না কারণ আবেশআবেশিত ডাইপোলের স্থানান্তর ঘটতে পারে এবং পোলার অণুর চারপাশ ঘুরতে পারে। ডিবাই আবেশ প্রভাব এবং কেসম কাঠামো প্রভাবকে পোলার ক্রিয়া বলা হয়।<ref name=":0" /> বিজ্ঞানী পিটার জে. ডব্লিউ. ডিবাইয়ের নামানুসারে ডিবাই বলের নামকরণ করা হয়েছে।
 
এ বলের একটি উদাহরণ হচ্ছে HCl এবং Ar এর মধ্যকার বল। HCl এর প্রভাবে Ar এর ইলেকট্রন H এর দিকে ধাবিত হয় অথবা Cl এর কারণে দূরে সরে যায়, ফলে Ar এ আবেশআবেশিত ডাইপোলের সৃষ্টি হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/bf00577166|শিরোনাম=A Floating Gaussian Orbital calculation on argon hydrochloride (Ar � HCl)|শেষাংশ=Blustin|প্রথমাংশ=Peter H.|তারিখ=1978|সাময়িকী=Theoretica Chimica Acta|খণ্ড=47|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=249–257|doi=10.1007/bf00577166|issn=0040-5744}}</ref> <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1039/tf9383401346|শিরোনাম=Induced dipoles and the heat of adsorption of argon on ionic crystals|শেষাংশ=Roberts|প্রথমাংশ=J. K.|শেষাংশ২=Orr|প্রথমাংশ২=W. J. C.|তারিখ=1938|সাময়িকী=Transactions of the Faraday Society|খণ্ড=34|পাতাসমূহ=1346|doi=10.1039/tf9383401346|issn=0014-7672}}</ref> কৌণিক গড়ের সমীকরণ:
 
:<math>\frac{-m_1^2 \alpha_2}{16\pi^2 \varepsilon_0^2 \varepsilon_r^2 r^6} = V,</math>
৬৯ নং লাইন:
'''লন্ডন বল'''
 
ভ্যানডার ওয়ালস বলের তৃতীয় এবং প্রধান অবদান। পরমাণু এবং অণুসমূহের ক্ষণস্থায়ী অ-শুন্য ডাইপোলের কারণে এ বল উঠে এসেছে। এধরণের পোলারাইজেশন হয় পোলার অণু দ্বারা বা অ-পোলার অণুতে ঋণাত্বক আধানবিশিষ্ট ইলেকট্রন মেঘের বিকৃতি দ্বারা।এভাবেদ্বারা। এভাবে ইলেকট্রন মেঘে ইলেকট্রন ঘনত্বের এলোমেলো অবস্থার কারণে লন্ডন বল সংঘটিত হয়। কম ইলেকট্রনবিশিষ্ট পরমাণু থেকে বেশি ইলেকট্রনবিশিষ্ট পরমাণু লন্ডন বলে বেশি সহায়ক। লন্ডন বল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ সকল উপাদানেই পোলারাইজেশন ঘটে, অন্যদিকে কেসম এবং ডিবাই বলে স্থায়ী ডাইপোলের দরকার পড়ে। লন্ডন বল চিরন্তন এবং পরমাণু-পরমাণু(দুটি পরমাণুর মধ্যকার) বলেও উপস্থিত। বিভিন্ন কারণে, সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বৃহদাকার বস্তুসমূহের মধ্যকার ক্রিয়ায় লন্ডন বলকে প্রাসঙ্গিক ধরা হয়। ১৯৩৭ সালে হ্যামেকার বৃহদাকার বস্তুসমূহের মধ্যকার ভ্যানডার ওয়ালস বলের তত্ব বিকশিত করেন এবং দেখান যে এইসব ক্রিয়ার সংযোজন তাদেরকে(বস্তু) দীর্ঘ পরিসীমা প্রদান করে।<ref name=":0" />
 
== বলসমূহের আপেক্ষিক শক্তিমত্তা ==