মোনাজাইট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Monjurious (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
১ নং লাইন:
'''মোনাজাইট''' এক প্রকার লালচে-বাদামী ফসফেট খনিজ যাতে পৃথিবীর দুষ্প্রাপ্য উপাদানগুলো আছে। সংমিশ্রণে পরিবর্তনের কারণে মোনাজাইটকে খনিজের একটি গ্রুপ হিসাবে ধরা হয়। যাতে সবথেকে বেশি প্রাপ্য প্রজাতি হচ্ছে মোনাজাইট (Ce), যা গ্রুপটির সেরিয়াম বেজড সদস্য। এটি সাধারণত ছোট ছোট আলগা স্ফটিকারে পাওয়া যায়। মোহস স্কেলের খনিজ দৃঢ়তায় এর কাঠিন্য ৫.০ থেকে ৫.৫ পর্যন্ত পাওয়া যায় এবং ইহা যথেষ্ট ঘনও, প্রায় 4.6 থেকে 5.7 গ্রাম/ঘন সেন্টিমিটার। খনিজের উপাদানের হিসাবে অন্তত চারটি আলাদা প্রকারের মোনাজাইট পাওয়া যায় (সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতি):
মোনাজাইট (Ce), (Ce,La,Nd,Th)ফসফেট (সবথেকে বেশি পাওয়া যায়),
মোনাজাইট (La), (La,Ce,Nd)ফসফেট,
৫ নং লাইন:
মোনাজাইট (Sm), (Sm,Gd,Ce,Th)ফসফেট
ক্যাটাগরিঃ খনিজ ফসফেট
ফর্মুলাঃ (Ce, La, Th)ফসফেট
১৩ নং লাইন:
স্ফটিলের বর্ণঃ একরঙা
স্ফটিকের প্রকারঃ প্রিজম্যাটিক (২/মিটার) (অনুরূপ H-M সিম্বল)
শনাক্তকরণঃ
রঙঃ লালচে বাদামি, বাদামি, ফ্যাকাশে হলুদ, গোলাপি, সবুজ, ধূসর
স্ফটিকের স্বভাবঃ সাধারণত প্রিজম্যাটিক অথবা কীলক আকৃতির স্ফটিক।
দ্বৈততাঃ সংস্পর্শে আসলে দেখা যায়।
খাজঃ স্বতন্ত্রতা (১০০) দুর্বলতা (১০)
৩০ ⟶ ২৯ নং লাইন:
মোহস স্কেল দৃঢ়তাঃ ৫.০ - ৫.৫
আলোকদীপ্তিতাঃ রজনীয়, এডামানটাইন প্রতিরোধী
রেখাঃ সাদা
ডায়াফানেইটিঃ স্বচ্ছ থেকে অস্বচ্ছ।
মাধ্যাকর্ষণের নির্দিষ্টতাঃ ৪.৬ - ৫.৭ (৪.৯৮ - ৫.৪৩ মোনাজাইট - Ce এর জন্য)
আলোকিক বৈশিষ্ট্যঃ দ্বিখণ্ডিত (+)
৪৪ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
nγ = 1.823–1.860
প্লোক্রোসিজমঃ দুর্বল।
2V কোণঃ ১০-২৬ ডিগ্রী
৫০ ⟶ ৪৯ নং লাইন:
গলনাংকঃ ১৯০০-২১০০
অন্যান্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম ও থোরিয়ামের উপস্থিতিতে তেজস্ক্রিয়তা প্রদর্শন করে। ক্যাথোডে আলোক বিচ্ছুরণ ও প্যারাচৌম্বকীয় ধর্ম প্রদর্শন করে।
বন্ধনীতে থাকা উপাদানসমূহ খনিজে প্রাপ্ত তাদের আপেক্ষিক অনুপাতের ক্রমান্বয়ের উপর ভিত্তি করে তালিকায় রাখা হয়, ল্যান্থানাম (La) হচ্ছে পৃথিবীতে বিরল মোনাজাইটের ভেতর সবথেকে বেশি প্রাপ্ত ধাতু। অল্প কিছু ইউরেনিয়াম এবং থোরিয়ামসহ সামান্য পরিমাণ সিলিকাও পাওয়া যায়। থোরিয়াম ও ইউরেনিয়ামের আলফাক্ষরণের দরুন মোনাজাইটে প্রচুর পরিমাণে হিলিয়াম থাকে যা তাপ প্রদানের মাধ্যমে আলাদা করা যায়।
৫৮ ⟶ ৫৭ নং লাইন:
সব মোনাজাইটই একই গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে, যার অর্থ এদের পরমাণুর সংযোগসূত্রতার সাথে M(III)ফসফেট এর যৌগিক গঠনের যথেষ্ট মিল আছে। M(III) এর কেন্দ্রে একটা বিকৃত সমন্বয়কারী গোলক আটটি অক্সাইড দ্বারা ঘিরে থাকে আশেপাশে M - O দূরত্বের মাধ্যমে যার দৈর্ঘ্য ২.৬ Å হয়ে থাকে। ফসফেট আয়ন আকৃতিতে চতুস্তলবিশিষ্ট। এই গঠন লিড ক্রোমেটেও দেখা যায়।
খনন ইতিহাসঃ
১৮৮০ সালে কার্ল আউর ভন ওয়েলসবাক বালু বোঝাই করে আসা একটা জাহাজে থাকা নুড়িপাথরে সর্বপ্রথম।মোনাজাইটের বালু দেখতে পান। ভন ওয়েলসবাক মূলত থোরিয়াম খুজছিলেন তার সদ্য আবিষ্কৃত দ্যুতিময় লন্ঠনের জন্য। থোরিয়ামের উৎস থেকে মোনাজাইটের বালু খুব দ্রুত গৃহীত হচ্ছিল এবং এখান থেকেই বিরল-পৃথিবী শিল্পের সূত্রপাত হয়।
|