পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[File:Stress_strain_ductile.svg|thumb|473x473px|একটি সাধারণ কম কার্বন ইস্পাতের পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা]]
 
[[প্রকৌশল]] এবং [[বস্তু বিজ্ঞান|বস্তু বিজ্ঞানে]], একটি বস্তুর '''পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা''' [[পীড়ন]] এবং [[বিকৃতি (পদার্থ বিজ্ঞান)|বিকৃতির]] মধ্যে সম্পর্কটি উপস্থাপন করে। পরীক্ষা কুপনে ধীরে ধীরে [[কাঠামোগত ভার|ভার]] বৃদ্ধি করে [[বিকৃতি (প্রকৌশল)|বিকৃতি]] পরিমাপ করা হয়, যা থেকে পীড়ন এবং বিকৃতি নির্ধারণ করা যায় (দেখুন [[প্রসার্য পরীক্ষা]])। সেই মানগুলি বসিয়ে এই লেখচিত্রটি পাওয়া যায়। এই বক্ররেখাগুলি [[পদার্থের বৈশিষ্ট্যাবলীর তালিকা| একটি পদার্থের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য]] প্রকাশ করে, যেমন [[ইয়ং-এর গুণাঙ্ক]], [[ইল্ড শক্তি]] এবং [[চূড়ান্ত প্রসার্য শক্তি]]।
 
[[প্রকৌশল]] এবং [[বস্তু বিজ্ঞান|বস্তু বিজ্ঞানে]], একটি বস্তুর '''পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা''' [[পীড়ন]] এবং [[বিকৃতি (পদার্থ বিজ্ঞান)|বিকৃতির]] মধ্যে সম্পর্কটি উপস্থাপন করে। পরীক্ষা কুপনে ধীরে ধীরে [[কাঠামোগত ভার|ভার]] বৃদ্ধি করে [[বিকৃতি (প্রকৌশল)|বিকৃতি]] পরিমাপ করা হয়, যা থেকে পীড়ন এবং বিকৃতি নির্ধারণ করা যায় (দেখুন [[প্রসার্য পরীক্ষা]])। সেই মানগুলি বসিয়ে এই লেখচিত্রটি পাওয়া যায়। এই বক্ররেখাগুলি [[পদার্থের বৈশিষ্ট্যাবলীর তালিকা| একটি পদার্থের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য]] প্রকাশ করে, যেমন [[ইয়ং-এর গুণাঙ্ক]], [[ইল্ড শক্তি]] এবং [[চূড়ান্ত প্রসার্য শক্তি]]।
== সংজ্ঞা ==
সাধারণভাবে বলতে গেলে, যে কোনও ধরণেরধরনের বিকৃতিতে পীড়ন এবং বিকৃতির মধ্যে সম্পর্কের প্রতিনিধিত্বকারী রেখাচিত্রগুলি পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পীড়ন এবং বিকৃতি লম্বভাবে, ব্যবর্তন বা দুইয়ের মিশ্রণ হতে পারে। এছাড়াও হতে পারে একাক্ষবিশিষ্ট, দ্বি-অক্ষবিশিষ্ট, অথবা বহু-অক্ষবিশিষ্ট, এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনও হয়। বিকৃতির রূপটি সংকোচন, প্রসারণ, মোচড়, আবর্তন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যথায় উল্লিখিত না হলে, পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা হল, প্রসারণ পরীক্ষায়, অক্ষ বরাবর লম্বভাবে কাজ করা বস্তুর পীড়ন এবং অক্ষ বরাবর লম্বভাবে হওয়া সংশ্লিষ্ট বিকৃতির মধ্যে সম্পর্ককে বোঝায়।
=== প্রকৌশল পীড়ন এবং বিকৃতি ===
একটি দণ্ডের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল প্রাথমিকভাবে <math>A_0</math> এবং সেটিকে সমান এবং বিপরীত দুটি বল <math>F</math> দুই প্রান্ত বরাবর টানলে তার মধ্যে পীড়ন সৃষ্টি হয়। বস্তুটি একটি চাপ অনুভব করে যেটির মান বল এবং দণ্ডের প্রস্থচ্ছেদের অনুপাতের সমান, এর সাথে অক্ষ বরাবর বৃদ্ধি ঘটে:
২৪ ⟶ ২৩ নং লাইন:
:<math>A_0 L_0 = A L</math>
 
প্রকৃত পীড়ন এবং বিকৃতি প্রকৌশল পীড়ন এবং বিকৃতি দ্বারা প্রকাশ করা যেতে পারে। প্রকৃত পীড়নের জন্য,
 
:<math>\sigma_\text{t} = \tfrac{F}{A}=\tfrac{F}{A_0} \tfrac{A_0}{A} = \tfrac{F}{A_0} \tfrac{L}{L_0} = \sigma (1 + \varepsilon)</math>
 
বিকৃতির জন্য,
 
:<math>\delta \varepsilon_\text{t} = \tfrac{\delta L}{L}</math>
৩৬ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
:<math>\varepsilon_\text{t} = \ln\left(\tfrac{L}{L_0}\right)=\ln(1+\varepsilon)</math>
 
সুতরাং একটি প্রসার্য পরীক্ষায় প্রকৃত পীড়ন প্রকৌশল পীড়নের চেয়ে বড় প্রকৃত বিকৃতি প্রকৌশল বিকৃতির চেয়ে কম। সুতরাং, প্রকৃত পীড়ন-বিকৃতিপীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখাকে দেখানোর প্রতি বিন্দু সমতুল্য প্রকৌশল পীড়ন-বিকৃতিপীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখাকে দেখানোর প্রতি বিন্দু থেকে উপরে এবং বামে সরে যাবে। প্রকৃত এবং প্রকৌশল পীড়ন এবং বিকৃতির মধ্যে পার্থক্য প্লাস্টিক বিকৃতির সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। নিম্ন বিকৃতি অঞ্চলে (যেমন স্থিতিস্থাপক বিকৃতি), উভয়ের মধ্যে পার্থক্য নগণ্য। প্রসারণ শক্তির বিন্দুটি প্রকৌশল পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখার সর্বোচ্চ বিন্দু। কিন্তু প্রকৃত পীড়ন-বিকৃতিপীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখায় এমন কোনও বিন্দু নেই। প্রকৌশল পীড়ন নমুনা বরাবর প্রয়োগ বলের সমানুপাতিক হওয়ার কারণে, গ্রীবা গঠনের মানদণ্ড হিসাবে বলা যায় <math>\delta F = 0</math>।
 
:<math>\delta F =\sigma_\text{t} \, \delta A + A \, \delta\sigma_\text{t} = 0 </math>
৫৩ ⟶ ৫২ নং লাইন:
:<math>\sigma_\text{t} = K (\varepsilon_\text{t})^n </math>
 
এখানে, <math>n</math> হল পদার্থ-কঠিনতা সহগ এবং <math>K</math> হল the প্রতিরোধশক্তি সহগ। <math>n</math> হল উপাদানেরর কার্য কঠিনতার একটি পরিমাপ। উচ্চ <math>n</math> যুক্ত বস্তু গ্রীবা তৈরিতে বাধা দেয়। সাধারণত, ঘরের তাপমাত্রায় ধাতুর <math>n</math> এর মান ০.০২ থেকে ০.৫ পর্যন্ত হতে পারে।<ref>{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Mechanical behavior of materials|lastশেষাংশ=Courtney|firstপ্রথমাংশ=Thomas|publisherপ্রকাশক=Waveland Press, Inc|yearবছর=2005|isbnআইএসবিএন=|locationঅবস্থান=|pagesপাতাসমূহ=6-13}}</ref>
 
== পর্যায়গুলি ==
ঘরের তাপমাত্রায় কম কার্বন স্টিলের পীড়ন-বিকৃতিপীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখার জন্য একটি রৈখিক লেখচিত্র দেখানো হয়েছে চিত্র ১য়ে। পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে উপাদানের বিভিন্ন আচরণ দেখা যায়, যা থেকে বোঝা যায় উপাদানের বিভিন্ন যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে। স্পষ্ট করে বলা যায়, উপকরণগুলিতে চিত্র ১য়ে দেখানো এক বা একাধিক পর্যায়ে অনুপস্থিত থাকতে পারে বা সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ও থাকতে পারে।
 
 
প্রথম পর্যায়টি হল [[সরলরৈখিক স্থিতিস্থাপক|সরলরৈখিক স্থিতিস্থাপক]] অঞ্চল। এখানে পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক, অর্থাৎ, [[হুকের সূত্র|সাধারণ হুকের সূত্র]] মেনে চলে, এবং এর নতিটি হল [[ইয়ং-এর গুণাঙ্ক]]। এই অঞ্চলে, উপাদানগুলির কেবল স্থিতিস্থাপক বিকৃতি হয়। এই পর্যায়ের শেষে শুরু হয় প্লাস্টিক বিকৃতি। এই বিন্দুর পীড়নকে বলা হয় [[ইল্ড শক্তি]] (বা উপরের ইল্ড বিন্দু (সংক্ষেপে ইউওয়াইপি)।
 
প্রথম পর্যায়টি হল [[সরলরৈখিক স্থিতিস্থাপক|সরলরৈখিক স্থিতিস্থাপক]] অঞ্চল। এখানে পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক, অর্থাৎ, [[হুকের সূত্র|সাধারণ হুকের সূত্র]] মেনে চলে, এবং এর নতিটি হল [[ইয়ং-এর গুণাঙ্ক]]। এই অঞ্চলে, উপাদানগুলির কেবল স্থিতিস্থাপক বিকৃতি হয়। এই পর্যায়ের শেষে শুরু হয় প্লাস্টিক বিকৃতি। এই বিন্দুর পীড়নকে বলা হয় [[ইল্ড শক্তি]] (বা উপরের ইল্ড বিন্দু (সংক্ষেপে ইউওয়াইপি)।
দ্বিতীয় পর্যায় হল [[পদার্থ-কঠিনতা]] অঞ্চল। বিকৃতি ইল্ড শক্তি বিন্দু পার হওয়ার পর এই অঞ্চলটি শুরু হয়, চূড়ান্ত ক্ষমতা বিন্দুতে এটি সর্বোচ্চে পৌঁছোয়। এই বিন্দুর পীড়ন হল সর্বাধিক, যেটি উপাদানটি সহ্য করতে পারবে। এই বিন্দুকে বলা হয় [[সর্বোচ্চ প্রসারণ ক্ষমতা]] (ইউটিএস)। এই অঞ্চলে, মূলত বিকৃতি হতে থাকে এবং উপাদান দীর্ঘ হতে থাকে পীড়নের কোন বৃদ্ধি ছাড়াই। স্টিলের মতো কিছু উপকরণে এই অংশটি প্রায় সমতল থাকে। এই সমতল অঞ্চলের পীড়নকে নিম্ন ইল্ড বিন্দু (এলওয়াইপি) বলা হয়। এটি হয়[[লিডারস বন্ধনী|লিডারস বন্ধনী]] গঠন এবং প্রসারণ থেকে। স্পষ্টতই, উপরের ইল্ড শক্তিতে অসমসত্ত্ব প্লাস্টিক বিকৃতি এই বন্ধনী গঠন করে এবং বিকৃতি সহ এই বন্ধনীগুলি উপাদানের নিম্ন ইল্ড শক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। উপাদানটি আবার একইভাবে বিকৃত হবার পর, কার্য কঠিনতার ফলে পীড়ন এবং সমান বিকৃতি বৃদ্ধি হয়।
 
দ্বিতীয় পর্যায় হল [[পদার্থ-কঠিনতা]] অঞ্চল। বিকৃতি ইল্ড শক্তি বিন্দু পার হওয়ার পর এই অঞ্চলটি শুরু হয়, চূড়ান্ত ক্ষমতা বিন্দুতে এটি সর্বোচ্চে পৌঁছোয়। এই বিন্দুর পীড়ন হল সর্বাধিক, যেটি উপাদানটি সহ্য করতে পারবে। এই বিন্দুকে বলা হয় [[সর্বোচ্চ প্রসারণ ক্ষমতা]] (ইউটিএস)। এই অঞ্চলে, মূলত বিকৃতি হতে থাকে এবং উপাদান দীর্ঘ হতে থাকে পীড়নের কোন বৃদ্ধি ছাড়াই। স্টিলের মতো কিছু উপকরণে এই অংশটি প্রায় সমতল থাকে। এই সমতল অঞ্চলের পীড়নকে নিম্ন ইল্ড বিন্দু (এলওয়াইপি) বলা হয়। এটি হয়[[লিডারস বন্ধনী|লিডারস বন্ধনী]] গঠন এবং প্রসারণ থেকে। স্পষ্টতই, উপরের ইল্ড শক্তিতে অসমসত্ত্ব প্লাস্টিক বিকৃতি এই বন্ধনী গঠন করে এবং বিকৃতি সহ এই বন্ধনীগুলি উপাদানের নিম্ন ইল্ড শক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। উপাদানটি আবার একইভাবে বিকৃত হবার পর, কার্য কঠিনতার ফলে পীড়ন এবং সমান বিকৃতি বৃদ্ধি হয়।
তৃতীয় পর্যায় হল গ্রীবা গঠন অঞ্চল। প্রসারণ শক্তির পরে, একটি [[গ্রীবা গঠন (প্রকৌশল)|গ্রীবা]] অঞ্চল তৈরি হয় যেখানে স্থানীয় প্রস্থচ্ছেদ অঞ্চল গড় প্রস্থচ্ছেদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে যায়, অর্থাৎ ঐ অংশটি অন্য অংশের থেকে সরু হতে থাকে। গ্রীবা বিকৃতিটি অসমসত্ত্ব এবং এই সময় পীড়ন ছোট অংশে বেশি কেন্দ্রীভূত হয়। এর ফলে গ্রীবা গঠন আরো তাড়াতাড়ি হতে থাকে এবং উপাদানটি ভেঙে যায়।
 
তৃতীয় পর্যায় হল গ্রীবা গঠন অঞ্চল। প্রসারণ শক্তির পরে, একটি [[গ্রীবা গঠন (প্রকৌশল)|গ্রীবা]] অঞ্চল তৈরি হয় যেখানে স্থানীয় প্রস্থচ্ছেদ অঞ্চল গড় প্রস্থচ্ছেদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে যায়, অর্থাৎ ঐ অংশটি অন্য অংশের থেকে সরু হতে থাকে। গ্রীবা বিকৃতিটি অসমসত্ত্ব এবং এই সময় পীড়ন ছোট অংশে বেশি কেন্দ্রীভূত হয়। এর ফলে গ্রীবা গঠন আরো তাড়াতাড়ি হতে থাকে এবং উপাদানটি ভেঙে যায়।
 
== আরো দেখুন==
৭৭ ⟶ ৭৪ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{reflist}}
 
==বহিঃসংযোগ==