শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MustafaKamal (আলোচনা | অবদান) |
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা |
||
৪২ নং লাইন:
১৯১০ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত শ্রী অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি কর্তৃক লিখিত "শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত" গ্রন্থ পূর্বাংশ। দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় খন্ড।পৃষ্ঠা নং-৮০ এর তথ্যমতে, সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন (র:) এর অধস্তন নবম বংশধর লস্করপুর হাবেলী নিবাসী সৈয়দ হামিদ রাজার পুত্র ছিলেন '''সৈয়দ শায়েস্তা মিয়া।''' উনার আশপাশের লোকজনের প্রয়োজনের কথা ভেবে আজ হতে প্রায় ৩শত বছর পূর্বে খোয়াই নদীর অববাহিকায় পশ্চিম তীরে একটি হাট বা বাজার স্থাপন করেন সৈয়দ শায়েস্তা মিয়া । প্রথমে এ বাজারটি শায়েস্তা মিয়ার বাজার নামে পরিচিতি পেলেও কালক্রমে বাজারে আসা লোকজন কর্তৃক বাজার থেকে গঞ্জে পরিণত হয়। সৈয়দ শায়েস্তা মিয়ার কোন সন্তান সন্ততি ছিল না।
বর্তমান শায়েস্তাগঞ্জ পুরাণ বাজারই হচ্ছে মূল শায়েস্তা মিয়ার বাজার। তৎকালীন বৃটিশ সরকার কর্তৃক আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ রেল ষ্টেশন স্থাপন করা হয়। এর ফলে শায়েস্তাগঞ্জ বাজারটি সম্প্রসারিত হয়ে রেল ষ্টেশন সংলগ্ন দাউদনগরে
বর্তমান শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাধীন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দাউদনগর গ্রাম। হযরত শাহজালাল (রঃ) এর সঙ্গী ৩৬০ জন আওলিয়ার মধ্যে সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ) এর নাম অন্যতম। তিনি স্বীয় আধ্যাত্বিকতা ও দক্ষতায় চিরঅম্লান হয়ে আছেন ইতিহাসের পাতায়। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ) আল্লাহর ইচ্ছায় এবং স্বীয় বীরত্ব ও যোগ্যতার নিরীখে সিপাহসালার হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন এবং তৎকালীন তরফ রাজ্য জয় করেন। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ) এর নবম অধঃস্তন বংশধর ছিলেন বন্দেগী সৈয়দ শাহ দাউদ (রঃ) যার পদস্পর্শে এই দাউদনগর গ্রাম ধন্য হয়েছিল। এই মহান আওলিয়ার নামানুসারেই ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ “দাউদ নগর” গ্রামের গোড়া পত্তন হয়। সৈয়দ শাহ দাউদ (রঃ) এর বংশধর সৈয়দা ধনবিবি সাহেবা ছিলেন দাউদনগরের জমিদার। বর্তমান দাউদনগর বাজারটি তারই জমিদারির অংশে স্থাপিত। বংশানুক্রমিক ধারায় সৈয়দ শাহ দাউদের (রঃ) বংশধরগণ এই গ্রামের ঐতিহাসিক “দাউদনগর হাবেলীতে” বসবাস করছেন।
== অবস্থান ও আয়তন ==
|