পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
[[File:Stress_strain_ductile.svg|thumb|473x473px|একটি সাধারণ কম কার্বন ইস্পাতের পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা]]
২১ ⟶ ২০ নং লাইন:
:<math>\varepsilon_\text{t} = \int\tfrac{\delta L}{L}</math>
এখানে মাত্রাগুলি তাৎক্ষণিক মান। যেহেতু উপাদানের আয়তন একই থাকে এবং বিকৃতি একইভাবে ঘটে, সুতরাং
:<math>A_0 L_0 = A L</math>
৩৭ ⟶ ৩৬ নং লাইন:
:<math>\varepsilon_\text{t} = \ln\left(\tfrac{L}{L_0}\right)=\ln(1+\varepsilon)</math>
সুতরাং একটি
:<math>\delta F =\sigma_\text{t} \, \delta A + A \, \delta\sigma_\text{t} = 0 </math>
৫০ ⟶ ৪৯ নং লাইন:
:<math>\varepsilon_\text{t} = \ln\left(\tfrac{A_0}{A_\text{neck}}\right)</math>
প্রকৃত পীড়ন এবং বিকৃতির মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করার জন্য একটি পরীক্ষামূলক সমীকরণ সাধারণত ব্যবহৃত হয়। সেটি হল
:<math>\sigma_\text{t} = K (\varepsilon_\text{t})^n </math>
== পর্যায়গুলি ==
ঘরের তাপমাত্রায় কম কার্বন স্টিলের পীড়ন-বিকৃতি বক্ররেখার জন্য একটি রৈখিক লেখচিত্র দেখানো হয়েছে চিত্র ১য়ে। পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে উপাদানের বিভিন্ন আচরণ দেখা যায়, যা থেকে বোঝা যায় উপাদানের বিভিন্ন যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে। স্পষ্ট করে বলা যায়, উপকরণগুলিতে চিত্র ১য়ে দেখানো এক বা একাধিক পর্যায়ে অনুপস্থিত থাকতে পারে বা সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ও থাকতে পারে।
প্রথম পর্যায়টি হল [[সরলরৈখিক স্থিতিস্থাপক|সরলরৈখিক স্থিতিস্থাপক]] অঞ্চল। এখানে পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক, অর্থাৎ, [[হুকের সূত্র|সাধারণ হুকের সূত্র]] মেনে চলে, এবং এর নতিটি হল [[ইয়ং-এর গুণাঙ্ক]]। এই অঞ্চলে, উপাদানগুলির কেবল স্থিতিস্থাপক বিকৃতি হয়। এই পর্যায়ের শেষে শুরু হয় প্লাস্টিক বিকৃতি। এই বিন্দুর পীড়নকে বলা হয় [[ইল্ড শক্তি]] (বা উপরের ইল্ড বিন্দু (সংক্ষেপে ইউওয়াইপি)।
দ্বিতীয় পর্যায় হল [[পদার্থ-কঠিনতা]] অঞ্চল। বিকৃতি ইল্ড শক্তি বিন্দু পার হওয়ার পর এই অঞ্চলটি শুরু হয়, চূড়ান্ত ক্ষমতা বিন্দুতে এটি সর্বোচ্চে পৌঁছোয়। এই বিন্দুর পীড়ন হল সর্বাধিক, যেটি উপাদানটি সহ্য করতে পারবে। এই বিন্দুকে বলা হয় [[সর্বোচ্চ প্রসারণ ক্ষমতা]] (ইউটিএস)। এই অঞ্চলে, মূলত বিকৃতি হতে থাকে এবং উপাদান দীর্ঘ হতে থাকে পীড়নের কোন বৃদ্ধি ছাড়াই। স্টিলের মতো কিছু উপকরণে এই অংশটি প্রায় সমতল থাকে। এই সমতল অঞ্চলের পীড়নকে নিম্ন ইল্ড বিন্দু (এলওয়াইপি) বলা হয়। এটি হয়[[লিডারস বন্ধনী|লিডারস বন্ধনী]] গঠন এবং প্রসারণ থেকে। স্পষ্টতই, উপরের ইল্ড শক্তিতে অসমসত্ত্ব প্লাস্টিক বিকৃতি এই বন্ধনী গঠন করে এবং বিকৃতি সহ এই বন্ধনীগুলি উপাদানের নিম্ন ইল্ড শক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। উপাদানটি আবার একইভাবে বিকৃত হবার পর, কার্য কঠিনতার ফলে পীড়ন এবং সমান বিকৃতি বৃদ্ধি হয়।
তৃতীয় পর্যায় হল গ্রীবা গঠন অঞ্চল। প্রসারণ শক্তির পরে, একটি [[গ্রীবা গঠন (প্রকৌশল)|গ্রীবা]] অঞ্চল তৈরি হয় যেখানে স্থানীয় প্রস্থচ্ছেদ অঞ্চল গড় প্রস্থচ্ছেদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে যায়, অর্থাৎ ঐ অংশটি অন্য অংশের থেকে সরু হতে থাকে। গ্রীবা বিকৃতিটি অসমসত্ত্ব এবং এই সময় পীড়ন ছোট অংশে বেশি কেন্দ্রীভূত হয়। এর ফলে গ্রীবা গঠন আরো তাড়াতাড়ি হতে থাকে এবং উপাদানটি ভেঙে যায়।
== আরো দেখুন==
|