কৃত্তিবাস ওঝা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MaharajaAD (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
২৬ নং লাইন:
== কবি-পরিচয় ==
''কৃত্তিবাসী রামায়ণ''-এর কোনো কোনো পুঁথি থেকে "কৃত্তিবাসের আত্মপরিচয়" শীর্ষক একটি অসম্পূর্ণ অধ্যায় পাওয়া যায়।
 
কৃত্তিবাসের কালনির্ধারণে সাহায্য নেওয়া হয় ‘রামায়ণের’ কোন কোন সংস্করণে মুদ্রিত “আত্মবিবরণী”-র। এই “আত্মবিবরণী”-টির প্রামাণিকতায় অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে পরস্পরবিরোধী তথ্য আছে। অনেকে এটিকে আধুনিক কালের রচনা বলে মনে করেন। কিন্তু সব সত্ত্বেও এর মধ্যেই কৃত্তিবাসের পরিচয় আছে বলেই মনে হয়। মনে হয় কৃত্তিবাসের মূল রচনাটিতে আধুনিক কালের কেউ অনেক কিছু জুড়ে দিয়েছেন। এটি ছাড়া কৃত্তিবাসের সম্পর্কে অন্য কোন কিছু থেকে জানবার উপায় নেই।
এই অধ্যায় থেকে কবির বংশপরিচয়,
 
<blockquote><poem>
এই “আত্মবিবরণী” অনুসারে কৃত্তিবাস বলেছেন: বঙ্গদেশে (পূর্ববঙ্গে) বেদানুজ নামে এক রাজার সভায় নারসিংহ ওঝা ছিলেন পাত্র বা সভাসদ। রাষ্ট্রবিপ্লবের ফলে নারসিংহ ওঝা সপরিবারে বঙ্গদেশ ত্যাগ করে গঙ্গার তীরে ফুলিয়া গ্রামে বসতি করেন। নারসিংহের পুত্র গর্ভেশ্বর; গর্ভেশ্বরের তিন পুত্রের জ্যেষ্ঠের নাম মুরারি; মুরারি অনেক পুত্রের মধ্যে একজনের নাম বনমালী, ইনিই কৃত্তিবাসের পিতা। এইভাবে বংশপরিচয় দিয়ে কৃত্তিবাস নিজের জন্ম সম্পর্কে লিখেছেন:
আদিত্য বার<blockquote><poem>আদিত্যবার শ্রীপঞ্চমী পূণ্য মাঘ মাসমাঘমাস।
তথি মধ্যে জন্ম লইলাম কৃত্তিবাস।কৃত্তিবাস॥</poem></blockquote>
</poem></blockquote>
জন্মের পর উত্তম বস্ত্রে জড়িয়ে পিতা শিশুকে কোলে নিলেন, পিতামহ নাম রাখলেন কৃত্তিবাস। এগারো বছর কেটে বারোতে পা দিলে তিনি “বড়গঙ্গা” বা পদ্মানদী পার হয়ে উত্তরদেশে গেলেন বিদ্যার্জন করতে।
ব্যক্তিপরিচিতিঃ
<blockquote><poem>তথায় করিলাম আমি বিদ্যার উদ্ধার।
<blockquote><poem>
যথা যথা যাই তথা বিদ্যার বিচার॥
মালিনী নামেতে মাতা, পিতা বনমালী
সরস্বতী অধিষ্ঠান আমার শরীরে।
ছয় ভাই উপজিল সংসারে গুনশালি।
নানা ছন্দে নানা ভাষা আপনা হৈতে স্ফূরে॥</poem></blockquote>
</poem></blockquote>
বিদ্যার্জন শেষ করে গুরুকে দক্ষিণা দিয়ে কৃত্তিবাস ঘরে ফিরতে মনস্থ করলেন। এক মঙ্গলবারে তিনি গুরুর কাছ থেকে বিদায় নিলেন, গুরু তাঁকে প্রশংসা ও আশির্বাদ করলেন। কৃত্তিবাসের ইচ্ছা তিনি রাজপণ্ডিত হবেন। তাই তিনি গেলেন গৌড়ের রাজ দরবারে। সাতটি শ্লোক লিখে তিনি দ্বারীর হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন রাজার কাছে এবং অনুমতির অপেক্ষায় বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন। রাজা তখন রাজদরবারে বসেছেন। বেলা যখন “সাতঘড়ি” তখন দরবার ভাঙল। সোনার লাঠি হাতে দ্বারী উঠে এসে জিজ্ঞাসা করল:
<blockquote><poem>কার নাম ফুলিয়ার মুখটি কৃত্তিবাস।
রাজার আদেশ হইল করহ সম্ভাষ॥</poem></blockquote>
 
ব্যক্তিপরিচিতি:
<blockquote><poem>মালিনী নামেতে মাতা, পিতা বনমালী
ছয় ভাই উপজিল সংসারে গুনশালি। </poem></blockquote>
 
ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অনেক তথ্যের সন্ধান মেলে। কবির পূর্বপুরুষ নরসিংহ ওঝা ছিলেন পূর্ববঙ্গের বেদানুজ রাজার অমাত্য। তাঁরা ছিলেন "মুখুটি" (মুখোপাধ্যায়) বংশজাত রাঢ়ীয় বা [[রাঢ়]]দেশীয় [[ব্রাহ্মণ]] । পারিবারিক শিক্ষকতা বৃত্তির জন্য "উপাধ্যায়" পদবি লোকমুখে বিকৃত হয়ে হয় "ওঝা"। পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নরসিংহ ওঝা নদিয়ায় চলে এসে [[ফুলিয়া]] গ্রামে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাঁর পুত্র গর্ভেশ্বর। গর্ভেশ্বরের পুত্র মুরারি। মুরারির সাত পুত্রের অন্যতম ছিলেন কৃত্তিবাসের পিতা বনমালী। কৃত্তিবাসের মায়ের নাম ছিল মালিনী। কৃত্তিবাসেরা ছিলেন ছয় ভাই। তাঁদের এক বৈমাত্রেয় বোনও ছিল। ভাইদের মধ্যে কৃত্তিবাস ছিলেন জ্যেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা অধিক গুণবান।