মুসলিমদের সিসিলি বিজয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সংশোধন ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১৮ নং লাইন:
| casualties2 =
}}
'''মুসলিমদের সিসিলি বিজয়''' ৮২৭ সালের জুন মাসে শুরু হয় এবং ৯০২ সালে দ্বীপের শেষ প্রধান [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন]] দুর্গ [[তাওরমিনা|তাওরমিনার]] পতন হওয়া অবধি স্থায়ী হয়। বিচ্ছিন্ন দুর্গগুলো ৯৬৫ সাল অবধি বাইজেন্টাইনদের হাতে রয়ে গিয়েছিল। তবে ১১শ শতাব্দীতে [[নর্মান জাতি|নর্মানদের]] দ্বারা [[নর্মানদের দক্ষিণ ইতালি বিজয়|দখল]] না হওয়া পর্যন্ত দ্বীপটি [[মুসলিম]] শাসনের অধীনে ছিল।
সিসিলি ৭ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে মুসলিমদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল। কিন্তু এইসব অভিযান দ্বীপের উপর বাইজেন্টাইনদের নিয়ন্ত্রণের জন্য হুমকি ছিল না।দ্বীপটি মূলত শান্তিপূর্ণ অঞ্চল ছিল। ইফ্রিকিয়ার আগলাবি আমীরদের জন্য সুযোগ আসে ৮২৭ সালে, যখন দ্বীপের নৌবহরের কমান্ডার ইউফিমিয়াস বাইজেন্টাইন সম্রাট দ্বিতীয় মাইকেলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জেগে ওঠেন। অনুগত বাহিনী দ্বারা পরাজিত এবং দ্বীপ থেকে বিতাড়িত হয়ে ইউফিমিয়াস আগলাবিদের সাহায্য চেয়েছিলেন। আগলাবিরা এটিকে সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ করার, তাদের নিজস্ব ভঙ্গুর সামরিক প্রতিষ্ঠানের শক্তি ঘুরিয়ে দেয়ার এবং ''[[জিহাদ]]''কে সমর্থন করে ইসলামী পণ্ডিতদের সমালোচনা দূর করার একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য একটি সেনাবাহিনী প্রেরণ করে। দ্বীপে আরবদের অবতরণের পর, ইউফিমিয়াস দ্রুত পাশ কাটিয়ে যান। দ্বীপের রাজধানী সিরাকিউসে একটি প্রাথমিক আক্রমণ ব্যর্থ হয়, কিন্তু মুসলমানরা পরবর্তীতে বাইজেন্টাইনদের পাল্টা আক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং কিছু দুর্গ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। ইফ্রিকিয়া এবং [[আন্দালুস|আন্দালুসের]] সহায়তায় ৮৩১ সালে তারা [[পালের্মো]] দখল করে নেয়, যা নতুন মুসলিম প্রদেশের রাজধানী হয়ে ওঠে।
২৪ নং লাইন:
বাইজেন্টাইন সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সাহায্য করার জন্য কয়েকটি অভিযান পাঠায়, কিন্তু তারা পূর্ব সীমান্তে [[আব্বাসীয় খিলাফত|আব্বাসীয়দের]] বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং এজিয়ান সাগরে ক্রেটান সারাসেন্সের সাথে সংঘর্ষে ব্যস্ত থাকায় মুসলমানদের উচ্ছেদ করার জন্য টেকসই প্রচেষ্টা চালাতে অক্ষম ছিল, যারা পরবর্তী তিন দশক ধরে বাইজেন্টাইন অধিকৃত এলাকায় অভিযান চালায়। দ্বীপের কেন্দ্রে এন্নার শক্তিশালী দুর্গ ৮৫৯ সালে দখল হওয়ার আগ পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে প্রধান বাইজেন্টাইন প্রতিরোধক্ষেত্র ছিল। এটির পতনের পর মুসলমানরা দ্বীপের পূর্ব অংশের বিরুদ্ধে তাদের চাপ বৃদ্ধি করে, এবং দীর্ঘ অবরোধের পর ৮৭৮ সালে সিরাকিউস দখল করে নেয়। এরপর বাইজেন্টাইনরা কয়েক দশক ধরে দ্বীপের উত্তর-পূর্ব কোণে কিছু দুর্গের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে, এবং ১১শ শতক পর্যন্ত দ্বীপটি পুনরুদ্ধারের বেশ কিছু প্রচেষ্টা চালায়, কিন্তু সিসিলির উপর মুসলিম নিয়ন্ত্রণকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলতে ব্যর্থ হয়। ৯০২ সালে সর্বশেষ প্রধান বাইজেন্টাইন দুর্গ তাওরমিনার পতনের পর মুসলিমদের সিসিলি বিজয় সম্পন্ন হয়।
মুসলিম শাসনামলে সিসিলি সমৃদ্ধি লাভ করে এবং অবশেষে ইফ্রিকিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি আধা-স্বাধীন আমিরাত গঠন করে। দ্বীপের মুসলিম সম্প্রদায় ১০৬০ সালে
== প্রেক্ষাপট ==
৩৮ নং লাইন:
ইতালিতে সিসিলির অভিযান অব্যাহত থাকে এবং ৯৮২ সালে উপদ্বীপে পশ্চিমা সম্রাট দ্বিতীয় অটো এর হস্তক্ষেপকে প্ররোচিত করে, যেখানে তিনি [[স্টিলোর যুদ্ধ|স্টিলোর যুদ্ধে]] পরাজিত হন।{{sfn|Metcalfe|2009|pp=71–72}}{{sfn|Vasiliev|1923|p=149}} ১০২০ এর দিকে বাইজেন্টাইনরা দক্ষিণ ইতালিতে তাদের অবস্থান দক্ষ [[কাতেপান]] [[বাসিল বোয়োনেস|বাসিল বোয়োনেসের]] অধীনে একত্রিত করার পর আবার সিসিলির প্রতি মনোযোগী হয়। ১০২৫ সালে একটি বিশাল বাহিনী মেসিনায় অবতরণ করে, কিন্তু সম্রাট দ্বিতীয় বাসিলের মৃত্যুর খবর আসার পর অভিযানটি বাতিল করা হয়।{{sfn|Vasiliev|1923|p=149}}{{sfn|Metcalfe|2009|pp=79–80}} ১০৩৮ সালে একটি চূড়ান্ত প্রচেষ্টা করা হয়, যখন কালবি এবং [[জিরি]]<nowiki/>দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিভাবান তরুণ জেনারেল [[জর্জ ম্যানিয়াকস|জর্জ ম্যানিয়াকসকে]] সিসিলিতে পাঠানো হয়। ম্যানিয়াকস দ্রুত সমগ্র পূর্ব উপকূল পুনর্দখল করেন, কিন্তু বিজয় অসম্পূর্ণ রাখা হয় যখন তাকে ঈর্ষান্বিত প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বারা কনস্টান্টিনোপলে ফিরিয়ে আনা হয়। কালবিরা শীঘ্রই তাদের ক্ষতি পুনরুদ্ধার করে এবং ১০৪২ সালে সর্বশেষ বাইজেন্টাইন ঘাঁটি মেসিনার পতন হয়।{{sfn|Metcalfe|2009|pp=82–83}}{{sfn|Vasiliev|1923|p=150}}
আরবরা সিসিলির নিয়ন্ত্রণে ছিল [[নর্মানদের দক্ষিণ ইতালি বিজয়|নর্মানদের দ্বীপটি বিজয়ের]] আগ পর্যন্ত,
== প্রভাব ==
দীর্ঘ আরব-বাইজেন্টাইন সংগ্রাম দ্বীপের পরবর্তী ইতিহাসে স্থায়ী চিহ্ন রেখে গিয়েছিল। মুসলিম শাসনামলে সিসিলিয় সংস্কৃতি দ্রুত আরবীয় হয়ে ওঠেছিল কিন্তু মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের খ্রিস্টান সম্প্রদায় ইসলামীকরণের ব্যাপক বিরোধিতা করেছিল। দ্বীপ জুড়ে আরব প্রভাবের মাত্রা বিভিন্ন, যা টিকে থাকা স্থানসমূহের পাশাপাশি প্রতিরোধের দৈর্ঘ্য এবং আরব বসতির ব্যাপ্তির উপর নির্ভর করে। পশ্চিম অংশে (ভাল দি মাজারা) অনেক আরব-প্রাপ্ত নাম আছে, দক্ষিণ-পূর্ব অংশে (ভাল দি নোটো) যা আরো মিশ্রিত। খ্রিস্টান পরিচয় দ্বীপের উত্তর-পূর্ব অংশে (ভাল ডেমোনে) সবচেয়ে জোরালোভাবে টিকে ছিল, যা ছিল শেষ পতন, যেখানে সিসিলির অন্যান্য অংশ থেকে খ্রিস্টান শরণার্থীরা একত্রিত হয়েছিল, এবং যা বাইজেন্টাইন দক্ষিণ ইতালির সংস্পর্শেও ছিল।{{sfn|Metcalfe|2009|pp=34–36, 40}}
|