হিপ্পি আন্দোলনের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Jannatul Ferdaus DU (আলোচনা | অবদান)
ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে দুইদিন অনুবাদ করতে পারিনি।আজ আবার শুরু করেছি।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
 
'''হিপ্পি আন্দোলনের ইতিহাসঃ'''
 
১৯৬০ এর দশকের শুরুর দিকে "ইয়ুথ মুভমেন্ট" বা তরুণ প্রজন্মের সক্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে প্রথমে আমেরিকায় এবং পরে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে হিপ্পি উপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ শতক এবং ২০ শতকের শুরুতে ইউরোপীয় সমাজে বিদ্যমান "বোহেমিয়ান" -র মত বিদ্যমান সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়েই হিপ্পির উদ্ভব হয়।হিপ্পি মূলত প্রাচ্যদেশীয় ধর্ম বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতায় প্রভাবিত একটি সামাজিক আন্দোলন। এর মূলনীতি হলো,প্রাকৃতিক জগতের সাথে ঐক্যের সম্পর্ক গড়ে তোলা,একই মতাদর্শের বেশ কয়েকজন মিলে একসাথে বসবাস করা(কম্যুনাল লিভিং),গানের মধ্য দিয়ে আর্টিস্টিক এক্সপেরিমেন্টেশন ফুটিয়ে তোলা এবং বিশেষ করে মাদকজাতীয় দ্রব্যগুলোকে বিনোদনের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা। ১৯৬০ এর দশক জুড়েই সমাজে বিদ্যমান নীতি এবং নৈতিকতার বিপরীতে গিয়ে (কাউন্টারকালচার) এক ধরনের উপসংস্কৃতি গড়ে ওঠে।এই নতুন গড়ে ওঠা জীবন ধরণই হিপ্পি আন্দোলন নামে পরিচিত।  
 
'''হিপ্পি আন্দোলনের উদ্ভবের কারণঃ-'''
 
'''গতানুগতিক সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণাঃ-'''
 
 
 
হিপ্পি আন্দোলনের ঐতিহাসিক যোগসূত্র অনুসন্ধানে বেশ অতীতে ফিরে যেতে হয়। পারসিয়ান "মাজদাকীয়" সংস্কার থেকে হিপ্পিরা অনুপ্রাণিত হয়েছে। মাজদাকীয় সংস্কারের রূপকার পারসিয়ান সংস্কারক মাজদাক;যে কম্যুনাল লিভিং,সম্পদের বণ্টনভিত্তিক ব্যবহার,নিরামিষ ভোজন এবং বন্ধনবিহীন ভালোবাসার প্রবর্তক হিসেবে সংস্কার কর্ম শুরু করে।১৯৬৭ সালে প্রকাশিত টাইম ম্যাগাজিনের একটি আর্টিকেলে দেখা যায়, প্রাচীন গ্রীসের দার্শনিক Diogenes of Sinope কর্তৃক প্রবর্তিত সিনিক দর্শনের সাথে হিপ্পি আন্দোলনের ঐতিহাসিক মিল রয়েছে।আর্টিকেলটি আরো দাবি করে যে, হিপ্পিরা যিশু খ্রিস্ট,হিলেল দ্য এল্ডার,বুদ্ধ,সেন্ট ফ্রান্সিস অব আসিসি,হেনরি ডেভিড থরো,গান্ধী এবং আরো অনেক ব্যক্তিবর্গের মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত।আবার কিছু নিদর্শন অনুযায়ী বলা হয়, ১৬২৫ সালে ঘটে যাওয়া মেরিমাউন্ট কলোনি(ন্যাথানিয়েল হথর্ন কর্তৃক পরবর্তীতে The Maypole of Merry Mount লেখা হয়) হলো আমেরিকা মহাদেশের প্রথম হিপ্পি আন্দোলন।
 
'''১৯ শতক থেকে ২০ শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপঃ-'''
 
১৮০০ শতকের শেষের দিক থেকে ১৯০০ শতকের প্রথমার্ধে জার্মানিতে লেবেন্সরিফর্ম(Lebensreform)  আন্দোলন সংঘটিত হয়।এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের প্রতি গুরুত্ব প্রদান সহ,শিল্পায়নের কারণে সমাজ,মানুষ এবং প্রকৃতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব, মানুষের ব্যক্তিত্ব,শরীর ও মনের সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা  এবং "পুরনো রীতি-প্রথার" মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে,এরকম ধ্যানধারণার ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই লেবেন্সরিফর্ম আন্দোলনের বিপরীতে,এর কাউন্টারকালচার হিসেবে ডার ভ্যান্ডারফোগেল(Der Wandervogel) রীতির উদ্ভব হয়।সংগঠিত সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক  ধারা,যেখানে জার্মানের ঐতিহ্যবাহী সংগীতের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হতো;এরকম এক ধারার বিপরীতে গিয়ে উদ্ভাবিত এই ডার ভ্যান্ডারফোগেল মুভমেন্টের মূল নায়ক ছিলো তরুণ সম্প্রদায়।তারা গতানুগতিক সাংগঠনিক ধারার বাইরে গিয়ে শখের বশে করা অপেশাদার সংগীতচর্চা এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারের পাশাপাশি নিত্য-নতুন ঘরানার পোশাক,দলবেঁধে হাইকিং বা ক্যাম্পিং এ যাওয়ার মত কাজগুলোকে প্রাধান্য দিতে থাকে।তরুণ সমাজের এই পরিবর্তনের পেছনে ফ্রেডারিক নিৎসে,গ্যোথে,হারমান হেসে এবং এডওয়ার্ড বালৎজারের মত কৃতিমান ব্যক্তিদের চিন্তা পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে।জার্মানে তখন শহরায়ণ এবং পূর্বপুরুষদের আদিম বিশ্বাসের প্রতি ফিরে যাওয়া প্রচলিত ট্রেন্ডের মধ্যে পরিণত হয়েছিলো।কিন্তু এর বিপরীতে হাজার হাজর তরুণ ডার ভ্যান্ডারফোগেলের মত প্রচলিত সামাজিক প্রথা বিরুদ্ধ মুভমেন্টে অংশগ্রহণ করতে থাকে।